Hello,

Sign up to join our community!

Welcome Back,

Please sign in to your account!

Forgot Password,

Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.

Please briefly explain why you feel this question should be reported.

Please briefly explain why you feel this answer should be reported.

Please briefly explain why you feel this user should be reported.

QNA BD Latest Questions

Mithu Khan
Enlightened

'অসারের তর্জন গর্জনই সার' বলতে কি বোঝায়?

অসারের তর্জন গর্জনই সার এর অর্থ কি

1 Answer

    •  ‘অসার’ শব্দের অর্থ –> অপদার্থ, অন্তঃসারহীন, বাজে, অসত্য, মিথ্যা।
    •  ‘তর্জন’ শব্দের অর্থ –> ভৎর্সনা, তিরস্কার, ক্রোধে গর্জন, ভয় প্রদর্শন; আস্ফালন, ক্রোধপ্রকাশ।
    •  ‘গর্জন’ শব্দের অর্থ –> গম্ভীর চিৎকার বা আওয়াজ।
    •  ‘সার’ শব্দের অর্থ –> শ্রেষ্ঠ বা উত্কৃষ্ট অংশ, বৃক্ষাদির শক্ত মজ্জা, মর্মার্থ, একমাত্র সম্বল, সারাংশ।
    •  যদি আমরা শব্দগুলোর অর্থানুসারে একত্রিত করি তাহলে দাঁড়াচ্ছে, ‘অন্তঃসারহীন অপদার্থের ক্রোধে গম্ভীর চিৎকার করাই একমাত্র সম্বল’।
    •  প্রায় একই অর্থ বহন করে আরেকটি সহজ প্রবাদ বাক্য হল- “খালি কলসি বাজে বেশি”

    সহজ ব্যাখ্যাঃ– ক্ষমতাহীন ব্যক্তি সাধারণত আস্ফালন বেশি করে। তার অনেক ক্ষমতা আছে এটা বুঝানোর ই একটা প্রচেষ্টা মাত্র। এমন অনেক ব্যক্তি আছে যারা প্রায় সারাক্ষণই হম্বি-তম্বি করে আমি এটা করতে পারি, ওটা করতে পারি, কিন্তু কাজের সময় কিছুই করতে পারে না। ঠিক তেমনি ভাবে সমাজে আমার মত কিছু মূর্খ্য, অর্ধ-শিক্ষিত লোকজন বেশি কথা বলে নিজেকে জাহির করতে চায়! প্রমাণ করতে চায় আমি একজন বুদ্ধিমান! চিৎকার চেচামেচি করে প্রমাণ করতে চায় আমার অনেক ক্ষমতা!!

     উদাহরণঃ-

    “ঘটনাটা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার। অ্যাডলফ হিটলার তাঁর প্রকৌশলীদের নির্দেশ দিলেন দানবাকৃতির একটি ট্যাংক তৈরির।

    যে প্রজেক্টের কোড নাম ‘প্যাঞ্জারক্যাম্পওয়াগন ৮ মুজ’-সংক্ষেপে ‘দ্য মাউস’। প্রকৌশলীরাও দিন-রাত এক করে ফেললেন বিশাল এই যুদ্ধযান তৈরির জন্য। শেষ পর্যন্ত তৈরি হলো ৫০ ফুট দৈর্ঘ্যরে দ্য মাউস। দেড় হাজার হর্স পাওয়ারের মোটর যুক্ত থাকায় ট্যাংকটির ক্ষমতাও হলো অবিশ্বাস্য। সেটি এতটাই বেশি যে সামনে আসা সাধারণ কোনো ট্যাংককে নিমেষেই ধ্বংসের ক্ষমতা রাখে এটি। পরিকল্পনামতো দৈত্যাকৃতির এই যুদ্ধযানের সবই ঠিকঠাক ছিল, খালি ওজনটা ছাড়া। ভারী সব যন্ত্র যুক্ত করায় ওজন গিয়ে দাঁড়াল ১৮০ টনে। ১৯৪৪ সালের যেদিন জার্মানির রাস্তায় দ্য মাউসকে নামানো হলো, সেদিন স্বভাবতই এর ক্ষমতা দেখতে উৎসুক মানুষের অভাব হলো না। সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তা থেকে নকশাকার-সবাই উপস্থিত। অবশ্য কাউকেই নিরাশ করল না দ্য মাউস। নিমেষেই ভবন থেকে সামনের সব কিছুই গুঁড়িয়ে দিল। তবে এর ধ্বংসাত্মক ক্ষমতার চেয়েও নজর কাড়ল গগনবিদারী শব্দ। সে শব্দের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে আশপাশের সব বাড়ির জানালা ভাঙতে লাগল। এর কিছুক্ষণ পর মাটিতেই দেবে গেল যন্ত্রদানবটি। এই বিকট আওয়াজের কারণেই বিপুল পরিকল্পনা, অর্থ আর শ্রমে তৈরি দ্য মাউস এক দিনের পরীক্ষার পরই বাতিল করা হলো”।

    সূত্র: কালের কন্ঠ।

Leave an answer

Leave an answer

Related Questions