'বুড়ার এক পা কবরে, তাও জোর কমেনা' উক্তিটি লালসালু রচনার।
‘বুড়ার এক পা কবরে, তাও জোর কমেনা’ উক্তিটি লালসালু রচনার।
See lessSign up to join our community!
Please sign in to your account!
Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.
Please briefly explain why you feel this question should be reported.
Please briefly explain why you feel this answer should be reported.
Please briefly explain why you feel this user should be reported.
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় এনজিও কোনটি
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় এনজিও ব্র্যাক। জেনেভাভিত্তিক গণমাধ্যম সংগঠন ‘এনজিও অ্যাডভাইজার’ - এর পর্যালোচনায় বিশ্বের এক নম্বর বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (NGO) হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে ব্রাক(BRAC)।
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় এনজিও ব্র্যাক।
জেনেভাভিত্তিক গণমাধ্যম সংগঠন ‘এনজিও অ্যাডভাইজার’ – এর পর্যালোচনায় বিশ্বের এক নম্বর বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (NGO) হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে ব্রাক(BRAC)।
See lessআমেরিকান ডলারের উপর কার ছবি থাকে
মার্কিন ১ ডলারের নোটে আছে আমেরিকার প্রখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী ও প্রথম রাষ্ট্রপতি জর্জ ওয়াশিংটনের ছবি। এর আইনি বাধ্যবাধকতা আছে। মার্কিন ৫ ডলারের নোটে আমেরিকার ১৬ তম রাষ্ট্রপতি আব্রাহাম লিংকনের ছবি। নৈতিক, সাংস্কৃতিক, সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক সঙ্কটে তিনি আমেরিকাকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। মার্কিন ১০ ডলারেরRead more
মার্কিন ১ ডলারের নোটে আছে আমেরিকার প্রখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী ও প্রথম রাষ্ট্রপতি জর্জ ওয়াশিংটনের ছবি। এর আইনি বাধ্যবাধকতা আছে।
মার্কিন ৫ ডলারের নোটে আমেরিকার ১৬ তম রাষ্ট্রপতি আব্রাহাম লিংকনের ছবি। নৈতিক, সাংস্কৃতিক, সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক সঙ্কটে তিনি আমেরিকাকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
মার্কিন ১০ ডলারের নোটে আছে আমেরিকার প্রথম ট্রেজারি সেক্রেটারি আলেকজান্ডার হ্যামিলটনের ছবি। তিনি মার্কিন সামরিক কর্মকর্তা, রাষ্ট্রনায়ক ও প্রতিষ্ঠাতা পিতাদের একজন।
মার্কিন ২০ ডলারের নোটে আমেরিকার সপ্তম রাষ্ট্রপতি অ্যান্ড্রু জ্যাকসনের ছবি আছে।
See lessসম্রাট হুমায়ুন বাংলার কি নাম দিয়েছিলেন
মুঘল সম্রাট হুমায়ুন বাংলার নাম দেন 'জান্নাতাবাদ'। মুঘল সাম্রাজ্যের দ্বিতীয় সম্রাট নাসির উদ্দিন মুহাম্মদ হুমায়ুন বাংলায় এসে বাংলার আবহাওয়া ভূ প্রকৃতি এবং অফুরন্ত সম্পদ দেখে বাংলার নাম রাখেন জান্নাতাবাদ।
মুঘল সম্রাট হুমায়ুন বাংলার নাম দেন ‘জান্নাতাবাদ‘।
মুঘল সাম্রাজ্যের দ্বিতীয় সম্রাট নাসির উদ্দিন মুহাম্মদ হুমায়ুন বাংলায় এসে বাংলার আবহাওয়া ভূ প্রকৃতি এবং অফুরন্ত সম্পদ দেখে বাংলার নাম রাখেন জান্নাতাবাদ।
See lessইলিশা ১ গ্যাস ক্ষেত্রটি কোন জেলায় অবস্থিত
ইলিশা ১ গ্যাস ক্ষেত্রটি ভোলা জেলায় অবস্থিত। গত ৯ মার্চ সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের মালের হাট সংলগ্ন এলাকায় ইলিশা-১ কূপের খনন কাজ শুরু হয়। ভোলা জেলায় মোট ৩টি গ্যাসক্ষেত্রের ৯টি কূপ রয়েছে। এগুলো হলো- বোরহানউদ্দিন উপজেলার শাহাবাজপুর গ্যাস ক্ষেত্র ৬টি কূপ, সদরের ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ভোলা নর্থRead more
ইলিশা ১ গ্যাস ক্ষেত্রটি ভোলা জেলায় অবস্থিত।
গত ৯ মার্চ সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের মালের হাট সংলগ্ন এলাকায় ইলিশা-১ কূপের খনন কাজ শুরু হয়। ভোলা জেলায় মোট ৩টি গ্যাসক্ষেত্রের ৯টি কূপ রয়েছে। এগুলো হলো- বোরহানউদ্দিন উপজেলার শাহাবাজপুর গ্যাস ক্ষেত্র ৬টি কূপ, সদরের ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ভোলা নর্থর ২টি ও সর্বশেষ ইলিশা গ্যাস ক্ষেত্রের ইলিশা ১ কূপ।
See lessফারাক্কা বাঁধ বাংলাদেশের সীমান্ত থেকে কত দূরত্বে অবস্থিত
ফারাক্কা বাঁধ বাংলাদেশের সীমান্ত থেকে ১৬.৫ কি. মি. দূরত্বে অবস্থিত। ফারাক্কা বাঁধ হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ বাঁধ যা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে গঙ্গা নদীর ওপর নির্মিত হয়েছে। এই বাঁধটি ১৯৭৫ সালে চালু হয়েছিল, এবং এর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল নদীর পানিকে হুগলি নদীর দিকে স্থানান্তরিত করে কলকাতা বন্দরের নাব্যতা বজাRead more
ফারাক্কা বাঁধ বাংলাদেশের সীমান্ত থেকে ১৬.৫ কি. মি. দূরত্বে অবস্থিত।
ফারাক্কা বাঁধ হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ বাঁধ যা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে গঙ্গা নদীর ওপর নির্মিত হয়েছে। এই বাঁধটি ১৯৭৫ সালে চালু হয়েছিল, এবং এর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল নদীর পানিকে হুগলি নদীর দিকে স্থানান্তরিত করে কলকাতা বন্দরের নাব্যতা বজায় রাখা। বাঁধটির অবস্থান বাংলাদেশের সীমান্ত থেকে প্রায় ১৬.৫ কিলোমিটার (১০.৩ মাইল) দূরে অবস্থিত।
ফারাক্কা বাঁধের ইতিহাস ও নির্মাণ
ফারাক্কা বাঁধের পরিকল্পনা মূলত ১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান (বর্তমানে বাংলাদেশ) বিভাজনের পর থেকে শুরু হয়। হুগলি নদীতে পলি জমে যাওয়ার কারণে কলকাতা বন্দরের প্রবাহ কমে যাওয়া একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এই সমস্যার সমাধানের জন্য ভারতের পরিকল্পনাকারীরা গঙ্গা নদীর কিছু পানি হুগলি নদীতে স্থানান্তর করার জন্য একটি বাঁধ নির্মাণের প্রস্তাব দেন।
১৯৬১ সালে ফারাক্কা বাঁধের নির্মাণ কাজ শুরু হয়, এবং এটি শেষ হয় ১৯৭১ সালে। বাঁধটি ১৯৭৫ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়। বাঁধটি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মালদা এবং মুর্শিদাবাদ জেলার মধ্যে অবস্থিত। এটি ২,২৪০ মিটার (৭,৩৫০ ফুট) দীর্ঘ এবং এতে একটি ব্যারেজ ও একটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে। বাঁধটির পাশাপাশি একটি ৩৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ফিডার ক্যানাল নির্মাণ করা হয়, যা গঙ্গা নদীর পানি হুগলি নদীতে নিয়ে যায়।
ফারাক্কা বাঁধের উদ্দেশ্য ও কার্যক্রম
ফারাক্কা বাঁধ মূলত কয়েকটি কারণে নির্মাণ করা হয়েছিল:
ফারাক্কা বাঁধের প্রভাব
ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণের পর থেকে বিভিন্ন ধরনের প্রভাব দেখা গেছে:
ফারাক্কা পানি চুক্তি
১৯৯৬ সালে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ফারাক্কা পানি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যার মাধ্যমে গঙ্গা নদীর পানি উভয় দেশের মধ্যে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বণ্টন করা হয়। এই চুক্তি ৩০ বছরের জন্য কার্যকর, যা উভয় দেশের জন্যই কিছুটা স্বস্তি নিয়ে এসেছে।
এই চুক্তি অনুযায়ী, শুষ্ক মৌসুমে (জানুয়ারি থেকে মে) পানির প্রবাহ নির্ধারণ করা হয়। চুক্তির শর্তানুসারে, উভয় দেশকে নিজেদের পানির চাহিদা মেটাতে সহযোগিতামূলক মনোভাব প্রদর্শন করতে হবে।
ফারাক্কা বাঁধের বিষয়ে আরও বিস্তারিতভাবে আলোচনা করতে গেলে এর ইতিহাস, কাঠামো, কার্যকারিতা, পরিবেশগত ও সামাজিক প্রভাব, এবং ভারত-বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ওপর এর প্রভাবকে আলাদা আলাদা করে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে।
বাঁধের কার্যকারিতা
১. নাব্যতা বজায় রাখা:
ফারাক্কা বাঁধের মূল লক্ষ্য ছিল হুগলি নদীর নাব্যতা বজায় রাখা। হুগলি নদীর পানি স্তর কমে যাওয়া এবং তাতে পলি জমে যাওয়ার কারণে কলকাতা বন্দরের কার্যকারিতা হুমকির মুখে পড়েছিল। বাঁধটি নির্মাণের ফলে গঙ্গা নদীর পানি ফিডার ক্যানালের মাধ্যমে হুগলি নদীতে প্রবাহিত হয়, যা নদীর নাব্যতা বাড়িয়ে তোলে এবং বন্দরের কার্যকারিতা পুনরুদ্ধার করে।
২. সেচ ও পানির সরবরাহ:
ফারাক্কা বাঁধের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ ও বিহারের কৃষি জমিতে সেচের জন্য পানি সরবরাহ করা হয়। বাঁধটি শুষ্ক মৌসুমে কৃষকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পানি সরবরাহের উৎস হিসেবে কাজ করে।
৩. জলবিদ্যুৎ উৎপাদন:
ফারাক্কা বাঁধে একটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে, যা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। বাঁধটি থেকে উৎপন্ন বিদ্যুৎ স্থানীয় অঞ্চলের বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণে সাহায্য করে।
পরিবেশগত ও সামাজিক প্রভাব
১. পরিবেশগত প্রভাব:
ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণের ফলে গঙ্গা নদীর নিম্ন ধারে পানির প্রবাহ কমে গেছে, বিশেষত শুষ্ক মৌসুমে। এর ফলে বাংলাদেশের পদ্মা নদীর নাব্যতা হ্রাস পেয়েছে, যা মৎস্য সম্পদ ও কৃষি জমির জন্য ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলেছে। এছাড়া, নদীর পাশে অবস্থিত জলাভূমি ও জলজ জীববৈচিত্র্যও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
২. সামাজিক প্রভাব:
বাঁধের কারণে পানির প্রবাহ কমে যাওয়ায় বাংলাদেশের কিছু অঞ্চলে কৃষি ও মৎস্যজীবীরা বিপদে পড়েছেন। পানি সংকটের কারণে খাদ্য উৎপাদন কমে গেছে, যা স্থানীয় জনগণের জীবিকা ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপর প্রভাব ফেলেছে।
ভারত-বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক
ফারাক্কা বাঁধ নিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে কূটনৈতিক বিরোধ রয়েছে। বাঁধ নির্মাণের পর থেকেই বাংলাদেশ উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে যে, এর ফলে পদ্মা নদীতে পানির প্রবাহ কমে যাওয়ার কারণে দেশের খাদ্য ও পানি নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে।
১৯৭৭ সালে, ভারত ও বাংলাদেশ একটি পাঁচ বছরের জন্য প্রাথমিক পানি বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষর করে, যা উভয় দেশের পানির চাহিদা পূরণে সহায়ক ছিল। তবে এই চুক্তি শেষ হওয়ার পর পুনরায় বিরোধ শুরু হয়। ১৯৯৬ সালে, দুই দেশ নতুন করে একটি ৩০ বছরের জন্য ফারাক্কা পানি চুক্তি স্বাক্ষর করে, যা এখনও কার্যকর রয়েছে।
এই চুক্তি অনুসারে, শুষ্ক মৌসুমে গঙ্গা নদীর পানি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ভাগ করা হয়, এবং দুই দেশই পানি বণ্টন সংক্রান্ত পরিস্থিতি মনিটর করার জন্য একটি যৌথ কমিটি গঠন করে।
চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
ফারাক্কা বাঁধ সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জগুলো এখনও বিদ্যমান, বিশেষ করে পানি বণ্টন নিয়ে। বাংলাদেশের পদ্মা নদীর নাব্যতা রক্ষার জন্য নতুন নতুন কৌশল গ্রহণ করার প্রয়োজন হতে পারে। এছাড়া, দুই দেশের মধ্যে আরও ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা ও পারস্পরিক বোঝাপড়া উন্নত করার জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।
ফারাক্কা বাঁধের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার মধ্যে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, বাঁধের কার্যকারিতা বাড়ানো, এবং পরিবেশগত প্রভাব হ্রাস করার জন্য নতুন নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করা যেতে পারে।
ফারাক্কা বাঁধ নিয়ে বাংলাদেশের সাথে ভারতের বিরোধের মূল কারণ
ফারাক্কা বাঁধ নিয়ে বাংলাদেশের সাথে ভারতের বিরোধের মূল কারণ হলো গঙ্গা নদীর পানির বণ্টন এবং এর ফলে বাংলাদেশের নদী ব্যবস্থা ও পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব। নিচে এই বিরোধের কারণগুলো বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা হলো:
১. পানির প্রবাহ কমে যাওয়া:
ফারাক্কা বাঁধের মাধ্যমে গঙ্গা নদীর পানি হুগলি নদীতে স্থানান্তরিত করা হয়, যার ফলে পদ্মা নদীতে পানির প্রবাহ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়। বিশেষত শুষ্ক মৌসুমে (জানুয়ারি থেকে মে), যখন নদীর পানি স্বাভাবিকভাবেই কম থাকে, বাঁধের কারণে পদ্মা নদীর পানি আরো কমে যায়। এর ফলে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে কৃষি, মৎস্য এবং জলজ সম্পদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
২. পরিবেশগত ক্ষতি:
পদ্মা নদীর পানির প্রবাহ কমে যাওয়ায় এর নাব্যতা কমে যায়, যা নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে পলি জমা হওয়ার প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। এতে নদীটি আরো সংকুচিত হয় এবং তা কৃষি জমি এবং বসতবাড়ির জন্য ক্ষতিকর হয়ে ওঠে। এছাড়া, পানির অভাবে বাংলাদেশের অনেক জলাভূমি শুকিয়ে যায়, যা পরিবেশগত ভারসাম্য নষ্ট করে এবং জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি করে।
৩. কৃষি ও মৎস্য সম্পদের ক্ষতি:
বাংলাদেশের অনেক কৃষি জমি সরাসরি পদ্মা নদীর ওপর নির্ভরশীল। পানি কমে যাওয়ার কারণে সেচের সংকট দেখা দেয়, যা খাদ্য উৎপাদনে বিরূপ প্রভাব ফেলে। একইভাবে, মৎস্য সম্পদও ক্ষতিগ্রস্ত হয়, কারণ নদীর পানি কমে গেলে মাছের প্রজনন প্রক্রিয়া বিঘ্নিত হয়। এই কারণে বাংলাদেশের কৃষক ও মৎস্যজীবীরা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন।
৪. সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব:
পানি সংকটের কারণে বাংলাদেশের কিছু অঞ্চলে খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ে। কৃষি উৎপাদন কমে যাওয়ায় খাদ্যশস্যের উৎপাদন কমে যায় এবং পানির অভাবে জীবিকা নির্বাহ কঠিন হয়ে ওঠে। ফলে বাংলাদেশের কিছু অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার মান নিম্নমুখী হয়।
৫. কূটনৈতিক উত্তেজনা:
ফারাক্কা বাঁধ নিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা বহুদিন ধরেই চলমান। বাঁধের কারণে সৃষ্ট সমস্যা নিয়ে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ফোরামে বেশ কয়েকবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তবে ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে পানি বণ্টন সংক্রান্ত বিভিন্ন চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও সমস্যাগুলো পুরোপুরি সমাধান হয়নি।
৬. ফারাক্কা পানি চুক্তি ও তার সীমাবদ্ধতা:
১৯৯৬ সালে ফারাক্কা পানি চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও এর বাস্তবায়নে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ রয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী পানির প্রবাহ বজায় রাখা সম্ভব হলেও কখনও কখনও ভারতের অভ্যন্তরীণ কারণে পানি প্রবাহে পরিবর্তন আসে, যা বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিকর হয়ে ওঠে। এছাড়াও, চুক্তির কিছু ধারা বাস্তবিক জীবনে কার্যকর করা কঠিন, যা দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার কারণ হতে পারে।
৭. জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব:
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে গঙ্গা ও পদ্মা নদীর পানির স্তর পরিবর্তিত হচ্ছে। এই পরিবর্তন বাঁধের কার্যকারিতা এবং পানির বণ্টনের ওপর নতুন চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করছে। ভারতের বাঁধ পরিচালনার নীতি এবং বাংলাদেশের পানি চাহিদার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করা ক্রমশ কঠিন হয়ে পড়ছে।
এই সমস্ত কারণ মিলেই ফারাক্কা বাঁধকে কেন্দ্র করে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে। যদিও দুই দেশ এই সমস্যার সমাধানে বিভিন্ন সময়ে আলোচনা ও চুক্তি করেছে, তবে পুরোপুরি একটি স্থায়ী সমাধানে পৌঁছানো এখনও সম্ভব হয়নি।
ফারাক্কা বাঁধের কারণে বাংলাদেশে বন্যার ঝুঁকি
ফারাক্কা বাঁধের কারণে বাংলাদেশে বন্যার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়, বিশেষত বর্ষা মৌসুমে। বাঁধের অপারেশন এবং গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানির প্রবাহ নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি বাংলাদেশের নিম্নাঞ্চলগুলোতে বন্যার সৃষ্টি করতে পারে। নিচে এই সমস্যার কারণগুলো বিশদভাবে আলোচনা করা হলো:
১. পানির অবাধ প্রবাহের বাধা:
ফারাক্কা বাঁধ গঙ্গা নদীর উপর নির্মিত হওয়ায় এর স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়। বর্ষাকালে যখন ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে নদীর পানির স্তর বৃদ্ধি পায়, তখন বাঁধ থেকে অতিরিক্ত পানি ছেড়ে দেওয়া হয়। এই অতিরিক্ত পানি পদ্মা নদীর মাধ্যমে বাংলাদেশের নিম্নাঞ্চলে প্রবেশ করে, যা সেসব অঞ্চলে বন্যার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। বিশেষ করে, যদি একবারে বড় পরিমাণ পানি ছাড়া হয়, তাহলে তীরবর্তী অঞ্চলগুলো তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
২. নদীর প্রাকৃতিক প্রবাহের পরিবর্তন:
ফারাক্কা বাঁধের কারণে গঙ্গা-পদ্মা নদীর প্রাকৃতিক প্রবাহ পরিবর্তিত হয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে পানি সংকট দেখা দেয়, কিন্তু বর্ষাকালে অতিরিক্ত পানি প্রবাহিত হয়। এই অস্বাভাবিক প্রবাহের পরিবর্তন বাংলাদেশের নদী ব্যবস্থার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, যা বন্যার কারণ হতে পারে।
৩. নদীর পলি জমা ও নাব্যতা হ্রাস:
ফারাক্কা বাঁধের কারণে পদ্মা নদীতে পলি জমা বাড়ছে। এতে নদীর নাব্যতা কমে যাচ্ছে, যা বন্যার সময় পানি নিষ্কাশনের পথে বাধা সৃষ্টি করে। ফলে নদীর পানি তীরে উঠে আসে এবং বন্যার তীব্রতা বাড়ায়।
৪. অব্যবস্থাপনা ও তথ্যের অভাব:
বাঁধের পানির নিয়ন্ত্রণ এবং বণ্টন ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে যদি সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত না নেওয়া হয়, তাহলে সেটি বন্যার ঝুঁকি বাড়াতে পারে। ভারত থেকে যখন অতিরিক্ত পানি বাংলাদেশে প্রবাহিত হয়, তখন যদি বাংলাদেশের কাছে আগাম সতর্কতা বা তথ্য না থাকে, তাহলে তারা যথাযথ প্রস্তুতি নিতে পারে না, যার ফলে বন্যার ক্ষতির পরিমাণ বেড়ে যায়।
৫. জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব:
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বর্ষাকালে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়ছে, যা নদীগুলোর পানির স্তর অস্বাভাবিকভাবে বাড়িয়ে তুলতে পারে। এই অতিরিক্ত পানি যখন ফারাক্কা বাঁধের মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রবাহিত হয়, তখন নিম্নাঞ্চলে বন্যার ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়।
৬. কৃষি ও অবকাঠামোর ক্ষতি:
বন্যার কারণে বাংলাদেশের অনেক কৃষি জমি তলিয়ে যায়, যা ফসলের ক্ষতি করে এবং খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ে। এছাড়া, অবকাঠামোগত ক্ষতি যেমন রাস্তা, ব্রিজ, এবং বাঁধের ক্ষতি দেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
ফারাক্কা বাঁধের কারণে সৃষ্ট বন্যার ঝুঁকি মোকাবেলার জন্য বাংলাদেশকে কৌশলগতভাবে প্রস্তুত থাকতে হয়। এতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, বিশেষ করে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে তথ্য বিনিময় এবং সংকট ব্যবস্থাপনা কৌশল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়া, দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার মাধ্যমে নদী ব্যবস্থাপনা ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন করাও অত্যন্ত জরুরি।
See lessইউরোপীয় বণিকদের মধ্যে কারা প্রথম বাংলায় বাণিজ্য করতে আসে
ইউরোপীয় বণিকদের মধ্যে পর্তুগিজরা প্রথম বাংলায় বাণিজ্য করতে আসে। ইউরোপীয়দের মধ্যে পর্তুগিজরাই প্রথম বাংলায় আগমন করে। পনেরো শতকের শুরু থেকেই তারা বাণিজ্যের জন্য দুঃসাহসিক সমুদ্রযাত্রা শুরু করে। ১৪৯৮ খ্রিস্টাব্দের আগস্ট মাসে ভাস্কো ডা গামার কালিকটে পৌঁছার কয়েক দশক পরে বাংলায় পর্তুগিজদের আগমন ঘটে।Read more
ইউরোপীয় বণিকদের মধ্যে পর্তুগিজরা প্রথম বাংলায় বাণিজ্য করতে আসে।
ইউরোপীয়দের মধ্যে পর্তুগিজরাই প্রথম বাংলায় আগমন করে। পনেরো শতকের শুরু থেকেই তারা বাণিজ্যের জন্য দুঃসাহসিক সমুদ্রযাত্রা শুরু করে। ১৪৯৮ খ্রিস্টাব্দের আগস্ট মাসে ভাস্কো ডা গামার কালিকটে পৌঁছার কয়েক দশক পরে বাংলায় পর্তুগিজদের আগমন ঘটে।
পঞ্চদশ শতকের শেষভাগে পর্তুগিজ নাবিক ভাস্কো – দা – গামা আফ্রিকার পশ্চিম – পূর্ব উপকূল ঘুরে বরাবর সমুদ্রপথে ভারতবর্ষে আসার পথ আবিষ্কার করেন। ১৫১৪ খ্রিষ্টাব্দে পর্তুগিজ বণিকগণ উড়িষ্যার অন্তর্গত পিপলি নামক স্থানে সর্বপ্রথম বাণিজ্য কুঠি স্থাপন করে। ১৫১৭ খ্রিস্টাব্দে জো – ডি – সিলভেরা নামক জনৈক পর্তুগিজ সমর অধিনায়ক এক নৌবহর নিয়ে চট্রগ্রামে আসেন ও বাণিজ্য কুঠি স্থাপনের চেষ্টায় ব্যর্থ হন। পরবর্তীতে নুনো – দা – কুনহা নামক জনৈক পর্তুগিজ শাসনকর্তা বাংলায় বাণিজ্য কুঠি স্থাপনের চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকেন। ১৫৩৬ খ্রিষ্টাব্দে বাংলার সুলতান মাহমুদ শাহ শের শাহের বিরুদ্ধে পর্তুগিজদের সাহায্যের আশায় চট্রগ্রাম ও সপ্তগ্রামে (হুগলি) বাণিজ্য কুঠি নির্মাণের অনুমতি দেন। এভাবে বাংলায় পর্তুগিজদের প্রতিষ্ঠা হয়। উল্লেখ্য, ১৬০০ সালে ইংরেজরা, ১৬০২ সালে ওলন্দাজরা এবং ১৬৬৪ সালে ফরাসিরা ভারতবর্ষে আগমন করেন।
See lessইউরোপীয় বণিকদের মধ্যে কারা প্রথম ভারতবর্ষে বাণিজ্য করতে আসে?
ইউরোপীয় বণিকদের মধ্যে পর্তুগিজরা প্রথম ভারতবর্ষে বাণিজ্য করতে আসে। ইউরোপীয়দের মধ্যে পর্তুগিজরাই প্রথম বাংলায় আগমন করে। পনেরো শতকের শুরু থেকেই তারা বাণিজ্যের জন্য দুঃসাহসিক সমুদ্রযাত্রা শুরু করে। ১৪৯৮ খ্রিস্টাব্দের আগস্ট মাসে ভাস্কো ডা গামার কালিকটে পৌঁছার কয়েক দশক পরে বাংলায় পর্তুগিজদের আগমন ঘটেRead more
ইউরোপীয় বণিকদের মধ্যে পর্তুগিজরা প্রথম ভারতবর্ষে বাণিজ্য করতে আসে।
ইউরোপীয়দের মধ্যে পর্তুগিজরাই প্রথম বাংলায় আগমন করে। পনেরো শতকের শুরু থেকেই তারা বাণিজ্যের জন্য দুঃসাহসিক সমুদ্রযাত্রা শুরু করে। ১৪৯৮ খ্রিস্টাব্দের আগস্ট মাসে ভাস্কো ডা গামার কালিকটে পৌঁছার কয়েক দশক পরে বাংলায় পর্তুগিজদের আগমন ঘটে।
পঞ্চদশ শতকের শেষভাগে পর্তুগিজ নাবিক ভাস্কো – দা – গামা আফ্রিকার পশ্চিম – পূর্ব উপকূল ঘুরে বরাবর সমুদ্রপথে ভারতবর্ষে আসার পথ আবিষ্কার করেন। ১৫১৪ খ্রিষ্টাব্দে পর্তুগিজ বণিকগণ উড়িষ্যার অন্তর্গত পিপলি নামক স্থানে সর্বপ্রথম বাণিজ্য কুঠি স্থাপন করে। ১৫১৭ খ্রিস্টাব্দে জো – ডি – সিলভেরা নামক জনৈক পর্তুগিজ সমর অধিনায়ক এক নৌবহর নিয়ে চট্রগ্রামে আসেন ও বাণিজ্য কুঠি স্থাপনের চেষ্টায় ব্যর্থ হন। পরবর্তীতে নুনো – দা – কুনহা নামক জনৈক পর্তুগিজ শাসনকর্তা বাংলায় বাণিজ্য কুঠি স্থাপনের চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকেন। ১৫৩৬ খ্রিষ্টাব্দে বাংলার সুলতান মাহমুদ শাহ শের শাহের বিরুদ্ধে পর্তুগিজদের সাহায্যের আশায় চট্রগ্রাম ও সপ্তগ্রামে (হুগলি) বাণিজ্য কুঠি নির্মাণের অনুমতি দেন। এভাবে বাংলায় পর্তুগিজদের প্রতিষ্ঠা হয়। উল্লেখ্য, ১৬০০ সালে ইংরেজরা, ১৬০২ সালে ওলন্দাজরা এবং ১৬৬৪ সালে ফরাসিরা ভারতবর্ষে আগমন করেন।
See lessঢেঁকি শব্দটি কোন ভাষার শব্দ
‘ঢেঁকি’ শব্দটি দেশি ভাষার শব্দ। উৎপত্তি অনুসারে “ঢেঁকি” শব্দটি দেশি শব্দ । বাংলাদেশের আদিম অধিবাসীদের ব্যবহৃত কিছু শব্দ এখনও বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত হয় । এসব শব্দকে দেশি শব্দ বলে । যেমন - কুলা, গঞ্জ, চোঙ্গা, টোপর, ডাব, ডাগর, ঢেঁকি ইত্যাদি ।
‘ঢেঁকি’ শব্দটি দেশি ভাষার শব্দ।
উৎপত্তি অনুসারে “ঢেঁকি” শব্দটি দেশি শব্দ ।
বাংলাদেশের আদিম অধিবাসীদের ব্যবহৃত কিছু শব্দ এখনও বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত হয় । এসব শব্দকে দেশি শব্দ বলে । যেমন – কুলা, গঞ্জ, চোঙ্গা, টোপর, ডাব, ডাগর, ঢেঁকি ইত্যাদি ।
See lessবর্তমানে বিশ্বে শীর্ষ যক্ষ্মা রোগীর দেশ কোনটি?
বর্তমানে বিশ্বে শীর্ষ যক্ষ্মা রোগীর দেশ ভারত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও) জানিয়েছে, গত বছর বিশ্বব্যাপী যক্ষ্মার (টিবি) রেকর্ডসংখ্যক ৮২ লাখ নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। ১৯৯৫ সাল থেকে সংস্থাটি বৈশ্বিক টিবি মনিটরিং শুরু করার পর থেকে এটি সর্বোচ্চ সংখ্যা। ডাব্লিউএইচওর গ্লোবাল টিউবারকিউলোসিস রিপোর্ট ২Read more
বর্তমানে বিশ্বে শীর্ষ যক্ষ্মা রোগীর দেশ ভারত।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও) জানিয়েছে, গত বছর বিশ্বব্যাপী যক্ষ্মার (টিবি) রেকর্ডসংখ্যক ৮২ লাখ নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। ১৯৯৫ সাল থেকে সংস্থাটি বৈশ্বিক টিবি মনিটরিং শুরু করার পর থেকে এটি সর্বোচ্চ সংখ্যা।
ডাব্লিউএইচওর গ্লোবাল টিউবারকিউলোসিস রিপোর্ট ২০২৪ মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়। সেখানে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী টিবি মোকাবেলায় ‘মিশ্র অগ্রগতি’ হয়েছে এবং উল্লেখযোগ্য তহবিলের অভাবের মতো সমস্যাগুলো এখনো রয়ে গেছে।
২০২২ সালে টিবি সম্পর্কিত মৃত্যুর সংখ্যা ১৩ লাখ ২০ হাজার থেকে ২০২৩ সালে সাড়ে ১২ লাখে নেমে এসেছে। তবে রোগ সংক্রমণের সংখ্যা ৭৫ লাখ থেকে বেড়ে ৮২ লাখে পৌঁছেছে। তবে সব নতুন সংক্রমণ শনাক্ত হয় না। সংস্থাটির অনুমান, প্রকৃতপক্ষে প্রায় এক কোটি আট লাখ মানুষ গত বছর এই রোগে আক্রান্ত হয়েছিল।
ডাব্লিউএইচওর প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসাস এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘যক্ষ্মায় এখনো এত মানুষের মৃত্যু ও অসুস্থ হওয়া একটি ক্ষোভের বিষয়, যখন এটি প্রতিরোধ, শনাক্ত ও চিকিৎসার জন্য আমাদের হাতে সরঞ্জাম রয়েছে। ডাব্লিউএইচওর সব দেশকে আহ্বান জানায়, তারা যেন তাদের প্রতিশ্রুতিগুলো পূরণ করে, এই সরঞ্জামগুলোর ব্যাপক ব্যবহার বৃদ্ধি করে এবং যক্ষ্মা নির্মূলে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত করে।’
রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২২ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে সংক্রমণ বৃদ্ধির মূল কারণ বৈশ্বিক জনসংখ্যা বৃদ্ধি। গত বছর প্রতি এক লাখে ১৩৪টি নতুন যক্ষ্মা সংক্রমণ রেকর্ড করা হয়েছিল, যা ২০২২ সালের তুলনায় ০.২ শতাংশ বেশি।
See lessবিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের নাম কি
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের নাম কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। ১২০ কিলোমিটার বা ৭৫ মাইল দীর্ঘ এই সৈকত পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকত। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতটি পৃথিবীর দীর্ঘতম অখন্ডিত সমুদ্র সৈকত।
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের নাম কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত।
১২০ কিলোমিটার বা ৭৫ মাইল দীর্ঘ এই সৈকত পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকত। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতটি পৃথিবীর দীর্ঘতম অখন্ডিত সমুদ্র সৈকত।
See less