Melting Point and Boiling Point (গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক)
স্বাভাবিক চাপে যে তাপমাত্রায় কোন কঠিন পদার্থ তরলে পরিণত হয় তাকে ওই পদার্থের গলনাঙ্ক বলে।
আবার, স্বাভাবিক চাপে যে তাপমাত্রায় কোন তরল পদার্থ বাষ্পীভূত হয় অর্থাৎ ফুটতে শুরু করে তাকে ওই তরল পদার্থের স্ফুটনাংক বলে।
কিছু যৌগ আছে যাদের মধ্যে আয়নিক বন্ধন বিদ্যমান থাকে তাদেরকে আয়নিক যৌগ বলা হয়। আবার কিছু যৌগ আছে যাদের মধ্যে সমযোজী বন্ধন বিদ্যমান থাকে তাদেরকে সমযোজী যৌগ বলা হয়। সমযোজী যৌগের চেয়ে আয়নিক যৌগের গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক বেশি হয়।
কারণ আয়নিক যৌগের অণুতে পরমানু সমূহের মধ্যে বিদ্যামান বন্ধন শক্তি, সমযোজী যৌগের অণুতে বিদ্যামান পরমাণুসমূহের মধ্যকার বন্ধন শক্তি অপেক্ষা বেশি থাকে। আবার আয়নিক যৌগের পরমাণু সমূহ ধনাত্মক ও ঋণাত্মক চার্জিত থাকে। এই ধনাত্মক ও ঋণাত্মক আধান অনু গঠনের সময় ত্রিমাত্রিক ভাবে সুবিন্যাস্ত হয়ে জ্যামিতিক কাঠামো গঠন করে। এতে করে আয়নিক যৌগের একটি ক্যাটায়ন নির্দিষ্ট সংখ্যক অ্যানায়ন দ্বারা এবং আয়নিক যৌগের একটি অ্যানায়ন নির্দিষ্ট সংখ্যক ক্যাটায়ন দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকে। এতে আয়নিক যৌগের অণুতে আন্তঃআণবিক আকর্ষণ বল অনেক বেশি হয়। ফলে আয়নিক যৌগের অণু কে ভাঙতে অনেক বেশি তাপ শক্তির প্রয়োজন হয়।
কাজেই আয়নিক যৌগের গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক অনেক বেশি হয়।
কিন্তু সমযোজী যৌগ গঠনকালে পরমাণু সমূহ পরস্পরের সাথে এক বা একাধিক ইলেকট্রন শেয়ারের মাধ্যমে বন্ধন গঠন করে।
এতে করে সমযোজী যৌগের অনুতে আন্তঃআণবিক আকর্ষণ বল অনেক কম হয়।
এজন্য এদের গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক অনেক কম হয়।
যেমনঃ NaCl, KCl, MgO, CaO ইত্যাদি আয়নিক যৌগ সমূহের গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক বেশি।
যেমনঃ NaCl, KCl, MgO, CaO ইত্যাদি আয়নিক যৌগ সমূহের গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক বেশি।
অন্যদিকে সমযোজী যৌগ গ্লুকোজ, চিনি, কর্পূর ইত্যাদি এদের গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক অনেক কম।
আবার সমযোজী যৌগ পানি সাধারণ তাপমাত্রায় তরল অবস্থায় থাকে। কার্বন ডাই অক্সাইড এর আন্তঃআণবিক আকর্ষণ বল অনেক কম হওয়ায় গ্যাসীয় অবস্থায় থাকে। কাজেই আমরা বলতে পারি আয়নিক যৌগের গলনাংক ও ও স্ফুটনাঙ্ক ও সমযোজী যৌগের চেয়ে অনেক বেশি।
Leave a comment