আয়নিকরণ শক্তি ঃ 

গ্যাসীয় অবস্থায় এক মোল কোন পরমাণু থেকে এক মোল ইলেকট্রন অপসারণ করে এক মোল একক ধনাত্বক গ্যাসীয় আয়নে পরিনত করতে যে শক্তির প্রয়োজন হয়, তাকে ঐ মৌলের আয়নিকরণ শক্তি বলে।

    Na (g)  —————-> Na+ (g) +   e
  1mol.                          1mol.        1mol

 

এখানে 1mol গ্যাসীয় Na (g) পরমাণু হতে এক মোল ইলেকট্রন অপসারণ করে 1mol একক ধনাত্বক গ্যাসীয় সোডিয়াম আয়নে পরিণত করতে  496kj শক্তির প্রয়োজন হয়। একে সোডিয়ামের আয়নিকরণ শক্তি বলে।

আয়নিকরণ শক্তি একটি পর্যায়বৃত্ত ধর্ম।  

যে কোন পর্যায়ের বাম থেকে ডানে গেলে আয়নিকরণ শক্তিরমান ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পায়। 

আবার যে কোন গ্রুপের উপর থেকে নিচে গেলে আয়নিকরণ শক্তিরমান ক্রমান্বয়ে হ্রাস পায়।

পর্যায় ভিত্তিক সম্পর্কঃ 

যে কোন পর্যায়ের বাম থেকে ডানে গেলে পরমাণুর আকার ক্রমান্বয়ে হ্রাস পেতে থাকে। এতে পরমাণুর নিউক্লিয়াস কর্তৃক সর্ববহিঃস্হ শক্তিস্তরের প্রতি আকর্ষন বাড়তে থাকার কারণে আয়নিকরণ শক্তির মানও বাড়তে থাকে। 

যেমন- তৃতীয় পর্যায়ের মৌল Na, Mg, Al, Si, P, S, Cl এদের মধ্যে Cl এর আয়নিকরণ শক্তি সবচেয়ে বেশি। কারণ Cl এর আকার সবচেয়ে ছোট। 

আবার Na এর আয়নিকরণ শক্তির মান তৃতীয় পর্যায়ের মৌলগুর মধ্যে সবচেয়ে কম। কারণ তৃতীয় পর্যায়ের মৌলগুর মধ্যে Na আকার সবচেয়ে বেশি।

গ্রুপ ভিত্তিক সম্পর্ক ঃ 

যে কোন পর্যায়ের উপর থেকে নিচে গেলে পরমাণুতে একটি করে নতুন নতুন শক্তিস্তর যুক্ত হওয়ার কারণে নিউক্লিয়াস কর্তৃক সর্ববহিঃস্হ শক্তিস্তরের প্রতি দূরত্ব বৃদ্ধি পায়। এতে পরমাণুর নিউক্লিয়াস কর্তৃক সর্ববহিঃস্হ শক্তিস্তরের প্রতি আকর্ষন হ্রাস পেতে থাকার কারণে আয়নিকরণ শক্তির মানও হ্রাস পেতে থাকে। 

গ্রুপ – ১ এর মৌল Li, Na, K, Rb, Cs, Fr ক্ষার ধাতুগুলির মধ্যে Li এর আয়নিকরণ শক্তি সবচেয়ে বেশি। কারণ Li এর আকার সবচেয়ে কম। আবার Fr এর আয়নিকরণ শক্তি সবচেয়ে কম। 

কারণ Fr এর আকার সবচেয়ে বেশি।