অথবা, শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের বংশী ও বিরহ খণ্ডের চিত্রিত বড়ায়ি চরিত্র বিশ্লেষণ কর উত্তর : শ্রীকৃষ্ণকীর্তনে অন্যতম উল্লেখ্য চরিত্র হচ্ছে বড়ায়ি এবং এ চরিত্র পরিকল্পনায় কবি বড়ু চণ্ডীদাসের কৃতিত্ব অবশ্য স্মরণীয়। বড়ায়ি টাইপ চরিত্র। হয়তো দামোদর গুপ্তের ‘কুট্টিনীমতন’, বাৎস্যায়নের ‘কামসূত্র’ বা জ্যোতিরীশ্বর ...
QNA BD Latest Articles
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য অবলম্বনে সমাজ বাস্তবতা ও সংস্কৃতির পরিচয় দাও
অথবা, শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যে বিধৃত সমাজ চিত্র অঙ্কন কর অথবা, শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের প্রেক্ষিতে তৎকালীন সমাজজীবন সম্পর্কে আলোচনা কর উত্তর : প্রাচীন ও মধ্যযুগের কাব্য ধর্মাশ্রয়ী রচনা হলেও সেগুলোতে তৎকালীন সমাজজীবনের খানিকটা আভাস মিলে। ‘চর্যাগীতিকা’ ও ‘মঙ্গলকাব্য’গুলোতে সমাজচিত্র অনেকটা স্পষ্ট। বড়ু চণ্ডীদাসের ...
কাব্য হিসেবে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন এর সার্থকতা বিচার কর
অথবা, শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের শিল্পমূল্য বিচার কর অথবা, শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের সাহিত্য মূল্য বিচার কর উত্তর: বাংলা সাহিত্যে ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ মধ্যযুগের প্রথম কাব্য। এর রূপ বৈশিষ্ট্যটি সেকালের বাংলা কাব্যে অদ্বিতীয়। মধ্যযুগের আদি নিদর্শন সত্ত্বেও এ কাব্যে কবি বড়ু চণ্ডীদাসের অসামান্য কবি প্রতিভার পরিচয় ...
জে জে আইলা তে তে গেলা অবনাগমনে কাহ বিমনা ভইলা ॥ হেরি সে কাহি নিঅড়ি জিনউর বটই। ভনই কাহ্ হি অহি ন পাইসই ॥- আধুনিক বাংলায় রূপান্তর কর।
উত্তর: জে জে আইলা তে তে গেলা অবনাগমনে কাহ বিমনা ভইলা ॥ হেরি সে কাহি নিঅড়ি জিনউর বটই। ভনই কাহ্ হি অহি ন পাইসই ॥ প্রদত্ত চরণগুচ্ছ কাহ্নপাদানাম রচিত ৭নং চর্যাপদ থেকে গৃহীত হয়েছে। নিচে পদটি আধুনিক বাংলায় রূপান্তর করা ...
চর্যাপদে বিধৃত ধর্ম ও সাধনতত্ত্বের পরিচয় দাও
কী উদ্দেশ্যে চর্যাপদ রচিত হয়েছিল? আলোচনা কর। চর্যাপদের ধর্মদর্শন কী? উত্তর: বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন চর্যাপদ। এটি বৌদ্ধ সহজিয়া সাধকদের সাধনসংগীত। বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যরা তাঁদের ধর্মমত প্রচারের উদ্দেশ্যে চর্যাপদ রচনা করেন। এটি কবিতার আকারে লেখা হলেও আসলে সাধন-ভজন বিষয়ক তত্ত্বগ্রন্থ। চর্যার ...
অপনা মাংসে হরিণা বৈরি – ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: আলোচ্য পদটি ‘চর্যাগীতিকা’র ৬ নং পদের অন্ত র্গত। পদটির রচয়িতা ভুসুকুপাদ। এই পদটিতে ইঙ্গিতে মানবজীবনের চিরন্তন সত্যকে তুলে ধরা হয়েছে। হরিণের আপন মাংসই তার চির শত্রু। আর হরিণের এই সুস্বাদু মাংসের জন্য শিকারি সুযোগ পেলেই তাকে শিকার করে। ` ...
কাহ্নপা’র পরিচয় দাও।
কাহপা সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখ। উত্তর: কাহ্নপা বা কানুপা বাংলা ভাষা-সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন চর্যাপদের আদি কবিদের মধ্যে অন্যতম। তিনি চর্যাপদের সর্বোচ্চ পদকর্তা হিসেবে তেরোটি পদ [৭, ৯, ১০, ১১, ১২, ১৩, ১৮, ১৯, ৩৬, ৪০, ৪২, ৪৪ ও ৪৫] রচনা করেন। ...
চর্যাপদের ভাষাকে ‘সন্ধ্যাভাষা’ বলা হয় কেন?
চর্যাপদের ভাষা কি সান্ধ্যভাষা ? মতামত দাও। উত্তর: বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন হিসেবে হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯০৭ সালে নেপালের রাজদরবারের পুথিশালা থেকে চর্যাপদ আবিষ্কার করেন এবং ১৯১৬ সালে তা প্রকাশ করেন। চর্যাপদ আবিষ্কৃত হওয়ার পর থেকে এর প্রাচীনত্ব নিয়ে কোনো বিরোধ ...
জো সো বুধী সোহি নিবুধী জো সো চোর সোহি সাধী – চরণ দুটি বিশ্লেষণ কর
“জো সো বুধী সোহি নিবুধী জো সো চোর সোহি সাধী” উত্তর: প্রদত্ত চরণগুচ্ছ ঢেণপাদানাম রচিত ৩০ নং চর্যাপদ থেকে গৃহীত হয়েছে। এখানে চোর ও সাধু সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে। আলোচ্য চরণদ্বয়ের দুটি অর্থ বিদ্যমান- একটি বাহ্যিক অর্থ- আরেকটি অন্তর্নিহিত অর্থ। ...
চর্যাপদের আবিষ্কার সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখ।
চর্যাপদ আবিষ্কারের ইতিহাস সংক্ষেপে লিখ। কে, কখন চর্যাপদ আবিষ্কার করেন? সংক্ষেপে তুলে ধর। চর্যাপদের প্রারম্ভিক পটভূমির পরিচয় দাও। উত্তর: বাংলা সাহিত্যে প্রাচীন যুগের একমাত্র ঐতিহাসিক নিদর্শন চর্যাপদ। অষ্টম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যে এ পদগুলো রচিত। এগুলো ছিল মূলত বৌদ্ধধর্মতান্ত্রিকদের সাধন ...