সূচনা: সিন্ধু নদের তীরে অবস্থিত হরপ্পা সভ্যতা ছিল ভারতের প্রথম নগর সভ্যতা/ সিন্ধু বা হরপ্পা সভ্যতার সমাজ ছিল শ্রেণি- বিভক্ত। হরপ্পার সিলমােহরে যে লিপি ব্যবহৃত হয়েছে। তার আজও পাঠোদ্ধার হয়নি। তাই হরপ্পার সমাজ সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য মেলেনি। তবে যতুটুকু ...
QNA BD Latest Articles
পুরা প্রস্তর যুগের মানুষের জীবনের নানা দিকের ওপর আলােকপাত করাে।
সূচনা: লিখিত তথ্যের অভাবে প্রাচীন প্রস্তর যুগের মানুষের জীবনযাত্রার সম্পূর্ণ ধারণা পাওয়া যায় না। তবে কিছু কিছু প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণ, যেমন— ফসিল, হাতিয়ার, ব্যবহার্য দ্রব্যসামগ্রী ও প্লুহাচিত্র ইত্যাদির ভিত্তিতে এযুগের মানুষের জীবনযাত্রা সম্পর্কে কিছুটা ধারণা মেলে। [1] খাদ্যাভ্যাস: পুরা প্রস্তর যুগের ...
তাম্র-প্রস্তর যুগ (Chalcolithic Age)-এর সংস্কৃতির পরিচয় দাও।
সূচনা: মানুষ যে যুগে পাথরের ব্যবহারের পাশাপাশি ধাতু হিসেবে তামার ব্যবহারও শুরু করেছিল সেই যুগ হল তাম্র-প্রস্তর যুগ। মানবজাতির অগ্রগতির ধারাবাহিকতা রক্ষায় এই যুগ প্রুত্বপূর্ণ সূচনা নেয়। প্রাচীন মিশর, মেসোপটেমিয়া ও ভারতে তাম্র প্রস্তর যুগের বহু নিদর্শন মিলেছে। [1] সময়কাল: ...
নব্য প্রস্তর যুগের সমাজব্যবস্থা কেমন ছিল? এ যুগের চাষবাস সম্পর্কে লেখাে।
নব্য প্রস্তর যুগে মানুষ আগের তুলনায় আরও বেশি সমাজবদ্ধ হয়। একে অপরের ওপর আরও বেশি নির্ভরশীল হয়ে ওঠে। এসময় থেকেই সমাজে পেশাভিত্তিক শ্রেণির উদ্ভব ঘটে। [1] কাঠামাে: পুরাতন পাথরের যুগে গড়ে ওঠা সমাজ কাঠামাে নব্য প্রস্তর যুগে এসে আরও পরিশীলিত ...
মধ্য প্রস্তর যুগের মানব সংস্কৃতির বিভিন্ন দিক বর্ণনা করাে। লুইস হেনরি মরগ্যানের মতানুযায়ী মানব-সমাজের ক্রমবিকাশের ধাপকে ব্যাখ্যা করাে।
আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ১০০০০ অব্দ থেকে শুরু করে আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৮০০০ অব্দ পর্যন্ত সময়কাল মধ্য পাথরের যুগ নামে পরিচিত। অর্থাৎ পুরাতন পাথরের যুগ ও নতুন পাথরের যুগের অন্তর্বর্তীকালীন সময়কাল হল মধ্য পাথরের যুগ| এ যুগের মানব সংস্কৃতির তেমন উল্লেখযােগ্য বৈশিষ্ট্য দেখা ...
হরপ্পা সভ্যতার নগর পরিকল্পনার বিবরণ দাও।
সূচনা: সিন্ধু বা হরপ্পা সভ্যতা এক নগরকেন্দ্রিক সভ্যতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল। মহেনজোদারাে, হরপ্পা, চানুহূদড়াে, কালিবঙ্গান, লােথাল প্রভৃতি নগরগুলিব প্রাপ্ত ধবংসাবশেষ থেকে এই সভ্যতার নগর পরিকল্পনার ধারণা পাওয়া যায়। [1] আঞ্চলিক বিভাজন: হরপ্পা নগরটির দুটি অংশ ছিল একটি পশ্চিমের উঁচু দুর্গাঞ্চল, ...
মেহেরগড় সভ্যতার পরিচয় দাও।
সূচনা: ভারতের প্রাচীনতম গ্রামীণ সভ্যতা হল নব্য প্রস্তর যুগের মেহেরগড় সভ্যতা। আধুনিক ধারণায় হরপ্পা সভ্যতা ছিল মেহেরগড় সভ্যতারই বিকশিত রূপ। এ প্রসঙ্গে শিরিন রত্নাগর বলেছেন, “মেহেরগড়ই হরপ্পা সংস্কৃতির ক্রমবিকাশের স্তরগুলি তুলে ধরে। [1] আবিস্কার: ফরাসি প্রত্নতত্ত্ববিদ যা ফ্রঁসোয়া জারিজ (Jean ...
আদিম আফ্রিকার সংস্কৃতি কীরূপ ছিল? এই সময়কালের আফ্রিকার পরিবর্তিত আবহাওয়ার ওপর আলােকপাত করাে।
সাধারণভাবে মনে করা হয় জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মানবজীবনে যে সংস্কার, নিয়ম ও নীতিবােধগুলি জড়িয়ে থাকে তা হল সংস্কৃতি। ব্রিটিশ বিজ্ঞানী ই.বি. টাইলর তঁার ‘প্রিমিটিভ কালচার গ্রন্থে লিখেছেন—“সংস্কৃতি হল এমন এক জটিল বিষয় যার মধ্যে মানুষের জ্ঞান, বিশ্বাস, শিল্পবােধ, নৈতিকতা, ...
কীভাবে বিবর্তনের মধ্য দিয়ে আদিম মানুষ শিকারী খাদ্য সংগ্রাহক থেকে স্থায়ী বসবাসকারীতে পরিণত হয়?
সূচনা: নব্য প্রস্তর যুগের আগে পর্যন্ত খাদ্য উৎপাদন করতে জানত না বলে মানুষ বিভিন্ন হাতিয়ারের সহায়তায় তারা বন্য পশু শিকার করত এবং বনের ফলমূল, পাখির ডিম, নদীর মাছ প্রভৃতি সংগ্রহ করত। অর্থাৎ প্রথম পর্যায়ে আদিম মানুষ ছিল খাদ্যসংগ্রাহক (Food-gatherer)। পুরুষ ...
প্রাচীন প্রস্তর ও নব্য প্রস্তর উভয় যুগের মানুষের জীবনযাত্রা প্রণালীর পার্থক্যগুলি উল্লেখ করাে। উভয় যুগের হাতিয়ারের পার্থক্যগুলি লেখাে।
এই যুগের হাতিয়ারগুলি ছিল মাজাঘষা করা ও ধারালাে, যেমন—পাথরের কুঠার, কাস্তে, নিড়ানি, বড়শি, বাটালি, ছুঁচ ও কুমােরের চাকা। মানুষ হয়ে উঠল খাদ্য-উৎপাদক। চাষ ও পশুপালন হয়ে উঠল খাদ্যের প্রধান উৎস। নব্য প্রস্তর যুগে মানুষ গােষ্ঠীবদ্ধভাবে নদী বা জলাশয়ের ধারে বাসগৃহ ...