কার্জনের শিক্ষানীতি-সংক্রান্ত প্রস্তাবে তৎকালীন শিক্ষা পরিস্থিতির পর্যালােচনা করে বলা হয়েছিল—“পাঁচটি গ্রামের মধ্যে চারটি গ্রামে কোনাে স্কুল নেই। প্রতি চারজন ছেলের মধ্যে তিনজন কোনাে প্রকার শিক্ষা না পেয়েই বড়াে হচ্ছে এবং প্রতি চল্লিশ জন বালিকার মধ্যে একজন করে বালিকা বিদ্যালয়ে অধ্যয়নের ...
QNA BD Latest Articles
ইসলামিক শিক্ষাব্যবস্থায় মাদ্রাসার ভূমিকা লেখাে।
ইসলামিক শিক্ষায় উচ্চশিক্ষার কেন্দ্রকে মাদ্রাসা বলা হত। মাদ্রাসাগুলির বেশিরভাগই ছিল মসজিদ অথবা সমাধিস্থলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। সাধারণত একটি মাদ্রাসায় ছাত্র ও শিক্ষকদের আবাসনের জন্য অনেক কামরা থাকত। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এক একটি মাদ্রাসার এক-একটি বিশেষ বিষয়ে খ্যাতি ছিল। এই কারণে ছাত্ররা এক ...
লর্ড কার্জনের প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা- সম্পর্কিত নীতিগুলি লেখাে।
লর্ড কার্জন 1904 খ্রিস্টাব্দের 11 মার্চ একটি সরকারি সিদ্ধান্তের আকারে তাঁর শিক্ষানীতি প্রকাশ করেন। এটি ‘Government of India’s Resolution of Education Policy, 1904’ নামে পরিচিত। লর্ড কার্জন যে নীতিগুলি গ্রহণ করার কথা বলেন, তা নীচে উল্লেখ করা হল一 প্রাথমিক শিক্ষার ...
মধ্যযুগে হিন্দুশিক্ষা কেমন ছিল-সে সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখাে।
মধ্যযুগে মুসলিম শাসিত ভারতে হিন্দু শিক্ষাব্যবস্থা রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপােষকতা থেকে বঞ্চিত হলেও, সাধারণ মানুষ প্রাচীন ভারতের ঐতিহ্যসম্পন্ন ওই শিক্ষাকে ত্যাগ করেনি। রাজকোশ থেকে আর্থিক সাহায্য না পেলেও ধনী ব্যক্তিবর্গের সাহায্যে এবং তীর্থক্ষেত্রগুলিতে পুণ্যার্থীদের প্রদেয় অর্থে প্রাচীন হিন্দু শিক্ষাব্যবস্থা নিজ বৈশিষ্ট্য নিয়েই ...
মধ্যযুগে ভারতের নারীশিক্ষা কেমন ছিল—সে সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখাে।
গোঁড়া মুসলমানগণ নারীশিক্ষাকে সমাজের পক্ষে হানিকর বলে মনে করলেও মধ্যযুগের মুসলমান শাসকরা এবং মনীষীগণ নারীশিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিতেন। ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক হজরত মহম্মদও নারীশিক্ষাকে আবশ্যিক বলে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু পরবর্তীকালে পর্দাপ্রথার প্রচলন হওয়ায় নারীশিক্ষা অনেকখানি সংকুচিত হয়। নীচে মধ্যযুগের নারীশিক্ষা ...
মুসলিম যুগে শিক্ষার অসুবিধাগুলি কী কী ছিল?
অন্যান্য শিক্ষাব্যবস্থার মতাে ইসলামীয় শিক্ষার ক্ষেত্রেও সুবিধার পাশাপাশি কিছু অসুবিধাও ছিল। সেগুলি হল一 (১) সর্বজনীনতার অভাব: এই শিক্ষা প্রকৃত অর্থে সর্বজনীন ছিল না। (২) হিন্দুদের অবহেলা: হিন্দুরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই শিক্ষায় অবহেলিত হত। (৩) মাতৃভাষার অবহেলা: ইসলামীয় শিক্ষায় মাতৃভাষার ওপর ...
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শিক্ষা ও ধর্মশিক্ষা বিষয়ে হান্টার কমিশনের সুপারিশগুলি লেখাে
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শিক্ষা প্রসঙ্গে হান্টার কমিশন যেসব সুপারিশ করেন, সেগুলি হল一 (1) রাজন্যবর্গের জন্য পৃথক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন: কমিশন দেশের রাজন্যবর্গের ছেলেমেয়েদের জন্য পৃথক বিদ্যালয় ও কলেজ স্থাপনের সুপারিশ করে। (2) মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য পৃথক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন: মুসলিম-অধ্যুষিত অঞ্চলের মানুষের জন্য ...
হান্টার কমিশনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য লেখাে
হান্টার কমিশন তথা প্রথম ভারতীয় শিক্ষা কমিশন গঠনের মূল উদ্দেশ্য, লক্ষ্য ও পর্যালােচনার দিকগুলি ছিল一 (1) উড-এর ডেসপ্যাচের কার্যকারিতা অনুসন্ধান: উড-এর ডেসপ্যাচে ভারতীয় শিক্ষাব্যবস্থার উন্নতির জন্য যেসব সুপারিশ করা হয়েছিল, সেগুলি কতখানি কার্যকরী হয়েছে, তা দেখা এবং কার্যকরী না হয়ে ...
বৈদিক-ব্রাহ্মণ্য ও বৌদ্ধ শিক্ষার বৈসাদৃশ্যগুলি লেখাে।
এই শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষা ছিল গুরুকুলকেন্দ্রিক। এই শিক্ষায় চতুরাষ্রম ব্যবস্থা পরিলক্ষিত হয়। এই শিক্ষা ছিল বেদাশ্রয়ী ও বর্গাশ্রমভিত্তিক। ব্রাহ্মপ্য শিক্ষায় বেদকে অন্ত্রান্ত বলে মনে করা হত। এই শিক্ষা সর্বজনীন ছিল না। বিশেষত, শূদ্রদের জন্য শিক্ষার দ্বার বন্ধ থাকত। বৈদিক ব্রাহ্মণ্য শিক্ষাব্যবস্থায় ...
উচ্চশিক্ষা বিষয়ে হান্টার কমিশনের সুপারিশগুলি লেখাে এবং ওই সুপারিশগুলি মূল্যায়ন করাে।
হান্টার কমিশনকে কেবল প্রাথমিক শিক্ষা সম্পর্কেই সুপারিশ করার অধিকার দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু যেহেতু প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষার মধ্যে একটি সম্পর্ক বর্তমান, অর্থাৎ প্রাথমিক শিক্ষার ওপর ভিত্তি করে মাধ্যমিক শিক্ষা এবং তার ওপর ভিত্তি করে কলেজীয় শিক্ষা তথা উচ্চশিক্ষায় পৌঁছােনাে যায়, ...