মৃত্যুঞ্জয়ের সঙ্গে নিখিলের সাক্ষাৎকার: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কে বাঁচায়, কে বাঁচে ছোটগল্পে অনাহারে মৃত্যু দেখার পর মৃত্যুঞ্জয় যখন সাময়িক অসুস্থ অবস্থায় অফিসে নিজের চেয়ারে বসেছিল, তখনই সেই ঘরে তার সহকর্মী-বন্ধু নিখিল প্রবেশ করে। মৃত্যুঞ্জয়ের আর্তনাদ : মৃত্যুঞ্জয়ের সংকটাপন্ন চোখ-মুখ এবং দেহভঙ্গি ...
QNA BD Latest Articles
"মরে গেল। না খেয়ে মরে গেল।"- বক্তা কে? এর মধ্য দিয়ে বক্তার চরিত্রের কোন্ দিক ফুটে উঠেছে?
বক্তা: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ গল্পের উল্লিখিত মন্তব্যটির বক্তা কাহিনির কেন্দ্রীয় চরিত্র মৃত্যুঞ্জয়। চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য : অফিসে যাওয়ার সময় মৃত্যুঞ্জয় জীবনে প্রথমবার যেদিন ফুটপাথে অনাহারে মৃত্যুর দৃশ্য প্রত্যক্ষ করল, সেদিন তার মনের মধ্যে প্রবল প্রতিক্রিয়া হয়েছিল। প্রাথমিভাবে মানসিক ...
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ ছোট গল্পের নামকরণের সার্থকতা বিচার করাে।
ব্যক্তি মানুষের নামের ক্ষেত্রে কানা ছেলের নাম পদ্মলােচন হলে ক্ষতি নেই। কিন্তু সাহিত্যের ক্ষেত্রে নামকরণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ কোনাে সাহিত্যকর্মের সার্থক নাম সেই রচনাটির প্রকৃত মর্ম উপলব্ধি বিশেষ সহায়ক হয়ে ওঠে। অনেক সময় নামের মধ্য দিয়েই লেখক তার অভিপ্রেত বক্তব্যের ইঙ্গিত ...
“ধিক। শত ধিক আমাকে।”- বক্তা কে? বক্তার চরিত্র সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করাে।
উদ্দিষ্ট বক্তা: প্রশ্নোধৃত অংশটি বক্তা হলেন মৃত্যুঞ্জয়। বক্তার চরিত্র : মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ ছোটগল্পের নায়ক মৃত্যুঞ্জয়ের চরিত্র পর্যালোচনা করতে গেলে নীচের বিষয়গুলি চোখে পড়ে। ন্যায়নীতিপরায়ণতা : মৃত্যুঞ্জয় একজন সৎ, মধ্যবিত্ত চাকুরিজীবী। নিরীহ, শান্ত, দরদি, ভালা মানুষ এই ...
“এ অপরাধের প্রায়শ্চিত্ত কি?"- কোন অপরাধের কথা বলা হয়েছে? বক্তার এই অপরাধবােধের কারণ কী?
উদ্দিষ্ট অপরাধের পরিচয়: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ গল্পে মৃত্যুঞ্জয় অফিসে যাওয়ার পথে ফুটপাথে এক অনাহারে মৃত্যুর দৃশ্য দেখে। নিজেদের চারবেলা পেট ভরে খাওয়া এবং দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষদের মৃত্যু বিষয়ে উদাসীনতাকে মৃত্যুঞ্জয়ের অপরাধ বলে মনে হয়। অপরাধবােধের কারণ : মানুষের ...
‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ ছোটগল্পের টুনুর মা চরিত্র পর্যালোচনা করাে।
টুনুর মার চরিত্র: ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ ছোটগল্পে টুনুর মা চরিত্রটি অতি সামান্য পরিসরে উপস্থাপিত হলেও গল্পের বিষয়বস্তুর প্রেক্ষিতে চরিত্র খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্বামী-অন্ত-প্রাণ : মৃত্যুঞ্জয়ের স্বামী-অন্ত-প্রাণ সহধর্মিণী হল মমতাময়ী নারী টুনুর মা। শারীরিকভাবে শীর্ণা ও রোগ ণা হয়েও মন্বন্তরের বীভৎসতায় ...
‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ ছোট গল্পের নিখিল চরিত্রটি পর্যালোচনা করাে।
নিখিলের চরিত্র: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ ছোটগল্পের অন্যতম প্রধান চরিত্র নিখিলের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য নিম্নলিখিতভাবে আলােচনা করা যায়। সংসার-উদাসীন : মৃত্যুঞ্জয়ের অফিসের সহকর্মী-বন্ধু ছিল নিখিল। প্রখর বুদ্ধিমান, রােগা চেহারার এই যুবকটি ছিল কিছুটা অলস প্রকৃতির। দুই সন্তানের পিতা নিখিলের ...
“অথচ নিখিল প্রশ্ন করলে সে জবাবে বলল অন্য কথা।”- নিখিল মৃত্যুঞ্জয়কে কেন প্রশ্ন করেছিল? মৃত্যুঞ্জয় কেন অন্য কথা বলে?
“অথচ নিখিল প্রশ্ন করলে সে জবাবে বলল অন্য কথা।”- নিখিল মৃত্যুঞ্জয়কে কেন প্রশ্ন করেছিল? মৃত্যুঞ্জয় কেন অন্য কথা বলে?
ফুটপাথে অনাহারে-মৃত্যু দেখার পর থেকে মৃত্যুঞ্জয় কীভাবে সম্পূর্ণ পালটে গেল, তা ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ ছোট গল্প অবলম্বনে লেখাে।
অথবা, “তারপর দিন দিন কেমন যেন হয়ে যেতে লাগল মৃত্যুঞ্জয়।” মৃত্যুঞ্জয় ধীরে ধীরে যেভাবে পরিবর্তিত হয়েছিল তা গল্প অবলম্বনে লেখাে। অথবা, “তারপর মৃত্যুঞ্জয়ের গা থেকে ধূলিমলিন সিল্কের জামা অদৃশ্য হয়ে যায়।”- মন্তব্যটির আলােকে ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ গল্পের মৃত্যুঞ্জয়ের ভূমিকা ...
“অন্য সকলের মতাে মৃত্যুঞ্জয়কে সেও খুব পছন্দ করে।”- কার কথা বলা হয়েছে? তার মৃত্যুঞ্জয়কে পছন্দ করার যে কারণ লেখক আলােচনা করেছেন এই প্রসঙ্গে সেটির বিবরণ দাও।
উদ্দিষ্ট ব্যক্তি : মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ ছোট গল্প থেকে সংকলিত এই উদ্ধৃতিটিতে মৃত্যুঞ্জয়ের সহকর্মী-বন্ধু নিখিলের কথা বলা হয়েছে। মৃত্যুঞ্জয়কে পছন্দ করার কারণ: মৃত্যুঞ্জয় ছিল ন্যায়নীতিবােধসম্পন্ন, ধীরস্থির, নির্বিরােধী, সহানুভূতিশীল এক সাদাসিধে যুবক। কিন্তু শুধু তার এইসব ইতিবাচক চারিত্রিক ...