সম্পত্তির ওপর নারীর অধিকার: দুটি মহাকাব্য মহাভারত ও রামায়ণ এবং পুরাণ গ্রন্থে বারবার নারী ও সম্পত্তি সুরক্ষার জন্য সাবধান বাণী উচ্চারিত হয়েছে। প্রাচীন ভারতে রাষ্ট্রের (রাজন) উৎপত্তির অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে স্ত্রী ও সম্পত্তি সংরক্ষণের প্রয়োজনকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। রামায়ণে ...
QNA BD Latest Articles
মোঙ্গল আক্রমণ ও মহম্মদ-বিন্-তুঘলক
মোঙ্গল আক্রমণ ও মহম্মদ-বিন্-তুঘলক: ১৩২৬ থেকে ১৩২৮ খ্রিস্টাব্দের মধ্যবর্তী কোনো এক সময় চাঘতাই মোঙ্গল নেতা তরমাশিরিন খাঁ ভারতে এসেছিলেন। তরমাশিরিনের ভারতে আগমনের নির্দিষ্ট সময়, উদ্দেশ্য এবং পরিণতি সম্পর্কে সমকালীন ও পরবর্তী ঐতিহাসিকদের বিবরণে বহু অসামঞ্জস্যতা লক্ষ্য করা যায়। ইসামীর বিবরণ’ ...
সুলতানি আমলে প্রাদেশিক শাসনকাঠামো
সুলতানি আমলে প্রাদেশিক শাসনকাঠামো: সুলতানি আমলে রাজধানীর নিকটবর্তী অঞ্চল সরাসরি কেন্দ্রীয় শাসনের অধীনে থাকত। দূরবর্তী অঞ্চলে কেন্দ্রের অনুরূপ প্রাদেশিক শাসনব্যবস্থা প্রবর্তিত ছিল। প্রদেশের সংখ্যা প্রথমে ছিল কম। পরে সাম্রাজ্যের বিস্তৃতির ফলে প্রদেশের সংখ্যাও বাড়ানো হয়। প্রদেশগুলির আয়তন এক ছিল না ...
সুলতানি আমলে কেন্দ্রীয় শাসনকাঠামো
সুলতানি আমলে কেন্দ্রীয় শাসনকাঠামো: সুলতানি আমলে শাসনব্যবস্থার চরিত্র আক্ষরিক অর্থেই ছিল স্বৈরতান্ত্রিক। ধর্ম ও রাজনৈতিক স্বার্থ চিন্তাকে সমখণ্ডিত করে সুলতানি আমলে যে শাসন-পদ্ধতির প্রচলন করা হয়, তাতে সুলতান রাষ্ট্রের পার্থিব ও অপার্থিব উভয় ক্ষেত্রেই চূড়ান্ত কর্তৃত্বের অধিকারী ছিলেন। ধর্ম ও ...
সুলতানি আমলে রাষ্ট্রের প্রকৃতি
সুলতানি আমলে রাষ্ট্রের প্রকৃতি: ‘রাষ্ট্র’ প্রাথমিকভাবে একটি রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। কিন্তু দেশ বা জাতির সামাজিক ও সাস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যগুলির বিকাশের উপযোগী ক্ষেত্র হিসেবে রাষ্ট্রের স্থান সর্বাগ্রে। স্বভাবতই মধ্যকালীন ভারতবর্ষের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জীবনধারার উত্থানপতনের গতিপ্রকৃতি জানার জন্য ভারতে সুলতানি শাসনের প্রকৃতি বিচার ...
বলবনের রাজতান্ত্রিক বা নরপতিত্বের আদর্শ
রাজতান্ত্রিক বা নরপতিত্বের আদর্শ: দিল্লির সুলতানদের মধ্যে একমাত্র বলবন রাজতন্ত্র সম্পর্কে তাঁর আদর্শ ও নীতি সবিস্তারে ব্যাখ্যা করেছেন। জিয়াউদ্দিন বারাণীর ফতোয়া-ই-ফিরোজশাহি গ্রন্থে বলবনের রাজতন্ত্রের আদর্শ-সম্পর্কিত বিস্তারিত আলোচনা পাওয়া যায়। এ প্রসঙ্গে ইসামী কিছু না বলার ফলে বিষয়টির যথার্থতা সম্পর্কে সন্দেহের ...
সুলতানি আমলে ‘সার্বভৌমত্ব’ ও ‘বৈধতা’র ধারণা
সুলতানি আমলে ‘সার্বভৌমত্ব’ ও ‘বৈধতা’র ধারণা: দিল্লি-সুলতানির শাসনকালে ভারতে রাজতন্ত্র ও সার্বভৌমত্বের ধারণা বহুমুখী টানাপোড়েন ও বৈপরীত্যের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়েছে। এই টানাপোড়েনের দুই প্রান্তে ছিল—(১) কোরানের বাণী, নবি হজরত মহম্মদের জীবনী ও বাণী এবং অন্যান্য হাদিসী গ্রন্থকে জীবন ও ...
লোদী বংশ (১৪৫১ – ১৫২৬ খ্রি:) : ইব্রাহিম লোদী, সিকন্দর লোদী, বহলুল লোদী
লোদী বংশ (১৪৫১ – ১৫২৬ খ্রি:): ‘লোদী’-রা ছিল আফগানিস্তানের অধিবাসী। আফগান ‘লোদী’ উপজাতির ‘শাহু খেল’ গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত মালিক বাহরাম সুলতান ফিরোজ তুঘলকের আমলে মুলতানে আসেন এবং সেখানকার গভর্নর মর্দান দৌলতের অধীনে চাকুরি নেন। বাহরামের এক পুত্র সুলতান শাহ শিরহিন্দের শাসক ...
মহম্মদ শাহ (১৪৩৪-৪৫ খ্রিঃ) | মুবারক শাহ (১৪২১-‘৩৪ খ্রিঃ)
মুবারক শাহ (১৪২১-‘৩৪ খ্রি:): খিজির খাঁ’র মৃত্যুর পর দিল্লির সিংহাসনে বসেছিলেন তাঁর পুত্র মুবারক শাহ। এই মনোনয়নে অভিজাতদের সম্মতি থাকার ফলে সিংহাসনকে কেন্দ্র করে প্রাথমিক সমস্যা দেখা দেয়নি। পিতার মতোই মুবারক ভাষা, সাহিত্য ও সামরিক বিদ্যায় যথেষ্ট পারদর্শী ছিলেন। প্রথম ...
খিজির খাঁ (১৪১৪-‘২১ খ্রিঃ) | সৈয়দ বংশ (১৪১৪-১৪৫১ খ্রিঃ)
সৈয়দ বংশ (১৪১৪-১৪৫১ খ্রিঃ): তুঘলক বংশের শেষ সুলতান নাসিরউদ্দিন মামুদের মৃত্যুর পর দিল্লির আমির ও মালিকরা জনৈক অভিজাত দৌলত খাঁকে দিল্লির শাসক মনোনীত করেন (১৪১২-‘১৩ খ্রিঃ)। সিংহাসনে তাঁর কোনো বৈধ অধিকার ছিল না। কোনো রাজতান্ত্রিক ঐতিহ্যও তাঁর ছিল না। স্বভাবতই ...