জন্মকথা : ইংরেজিতে যাকে ‘Lyric poetry’ বলা হয় বাংলাতে তাকে গীতি কবিতা রূপে নির্দেশ করা হয়েছে। ‘লিরিক’ শব্দটির উদ্ভব প্রাচীন বাদ্য যন্ত্র বীণা বা ‘Lyre’ থেকে। গ্রিস দেশে Lyre বা বীণা সহযোগে গায়ক তার ব্যক্তিগত অনুভবকে যখন গান করে গাইত ...
QNA BD Latest Articles
গীতিকাব্যের স্বরূপ বিশ্লেষণ করে উদাহরণসহ তার বৈশিষ্ট্যগুলি লিপিবদ্ধ করো।
ইংরেজি ‘lyrical poetry’ শব্দ থেকে বাংলায় গীতি-কবিতাটির সৃষ্টি হয়েছে। অর্থাৎ lyric শব্দের মূলে আছে লায়ার নামক বীণাজাতীয় বাদ্যযন্ত্র, এই যন্ত্র সহযোগে যে গান গাওয়া হত তাকে lyric বা গীতি-কবিতা বলে। এরই নিরিখে সমগ্র বিভিন্ন ইউরোপের আখ্যানকাব্য ও ইলিয়াড ওডিসিকে এই ...
সনেটের সংজ্ঞা ও নির্মাণ রীতির আলোচনা করে বাংলা সনেটের স্বরূপ ও বৈশিষ্ট্যের পরিচয় দাও।
বাংলা সনেটের প্রবাদ পুরুষ প্রমথ চৌধুরী একদা সনেট সম্পর্কে বলেছিলেন : “ভালোবাসি সনেটের কঠিন বন্ধন শিল্পী যাহে মুক্তি লভে অপরে ক্রন্দন।” গীতি-কবিতার যেসব শাখা একটি বিশেষ রূপকৃতি বা শিল্প রূপের বন্ধনকে স্বীকার করে নিয়েছে এবং সেই রূপকৃতি হিসাবেই খ্যাতি লাভ ...
একটি আদি মহাকাব্য, সাহিত্যিক মহাকাব্য, বিশুদ্ধ মহাকাব্য
বিশুদ্ধ মহাকাব্য মহাকাব্য বা এপিক হল তন্ময় আখ্যান কাব্যের একটি মহত্তম বিভাগ। রচনাগত দিক থেকে এটি প্রাচীন, দীর্ঘ কাহিনিমুক্ত এবং বস্তুনিষ্ঠ সাহিত্য প্রকরণ। বঙ্কিমচন্দ্রের ধারণায় এতে গীতি-কবিতার মন্ময়তা এবং নাটকের বস্তুনিষ্ঠা দুয়েরই সমন্বয় ঘটেছে। অর্থাৎ—“মহাকাব্যের বিশেষ গুণ এই যে, কবির ...
মহাকাব্য কাকে বলে? এর শ্রেণি কয়টি? যে-কোন একটি শ্রেণির মহাকাব্যের বৈশিষ্ট্য উদাহরণ সহ আলোচনা করো। প্রসঙ্গত মহাকাব্য সম্পর্কে অ্যারিষ্টটলের মত সংক্ষেপে লিপিবদ্ধ করো।
মহাকাব্যের ইংরাজি প্রতিশব্দ Epic গোসলে গ্রিক Epos শব্দের রূপান্তর। Epos শব্দের প্রাচীন অর্থ ছিল ‘শব্দ’ পরে এই শব্দের ওপর বিভিন্ন অর্থ আরোপিত হয়েছে কখনো বিবরণ বা কাহিনি কখনো বা বীরত্মব্যঞ্জক কবিতা বা কাব্য অবশেষে Epic-এর অর্থ দাড়িয়ে যায় কাহিনিমূলক বীরত্ব ...
‘বীরাঙ্গনা কাব্যের নারী চরিত্র কোন অর্থে বীরাঙ্গনা? বীরাঙ্গনা কাব্যে আধুনিকতার লক্ষণ কী কী ভাবে প্রকাশিত?
মধুসূদন দত্ত যখন বীরাঙ্গনা কাব্য রচনা করেন, বাংলা সাহিত্যে অন্তত তখন নারী চিত্তমুক্তির কোনো সচেতন প্রত্যাশা ব্যক্ত হয়নি। মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যে দেবদেবী অধ্যুষিত ক্ষেত্রে, নারী কেন পুরুষের স্বাধীনতাও বিশেষ কখনও স্বীকৃত হয়নি। সপ্তদশ শতকের মুসলিম কবিরা এবং ময়মনসিংহ গীতিকার কবিগণ ...
বীরাঙ্গনা কাব্যের ‘দশরথের প্রতি কৈকেয়ী’ কবিতার কাব্যশৈলী বিচার করো।
বিংশ শতকের ভাষাবিজ্ঞান ও আধুনিক সমালোচনা পদ্ধতির যৌথ ফসল শৈলী বিজ্ঞান। সাহিত্যে আমাদের ভাবের প্রকাশ ঘটে থাকে ভাষা তার অনুসারী হয়। কিন্তু দৈনন্দিন কথাবার্তার ভাষাতে শুধুমাত্র communication ঘটে সাহিত্যে লক্ষ্য Expression কবিগণ ভাষায় Foregrounding ঘটান সচেতন, অচেতন ভাবেই, মূল লক্ষ ...
বৈষ্ণব কবিতা কী গীতি কবিতা? গীতি কবিতার সংজ্ঞা দিয়ে আলোচনা করো।
বৈষ্ণব পদাবলী গীত কবিতা কিনা এনিয়ে বিতর্কের অবকাশ থাকলেও এর গীতি ধর্মবিষয়ে সন্দেহের অবকাশ থাকে না। বাঙালি মানসে যে গীতি প্রবণতার সুর চর্যাপদের যুগ থেকে আরম্ভ করে সাহিত্য ধারায় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রবাহিত হয়ে আসছিল, বৈক্ষ্ণব পদাবলীতে তা উত্তাল কলরোলে ...
‘পরম অধর্মাচারী রঘুকুলপতি’ বারংবার উচ্চারিত এই অভিযোগ এবং খেদ কেকেয়ী চরিত্রকে তথাকথিত পতিব্রতার পরিবর্তে কীভাবে ও কেন প্রতিবাদী নারীতে রূপান্তরিত করেছে; তা ‘দশরথের প্রতি কেকেয়ী’ অবলম্বনে বিশ্লেষণ করে বলো।
‘দশরথের প্রতি কেকেয়ী’-পত্রে রামায়ণের সর্ব নিন্দিত নারী কেকেয়ীকে আমরা ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্য বোধে উদ্দীপ্ত হতে দেখি। চারিত্রিক গুণাবলীর বিচারে কেকেয়ী অবশ্যই সমালোচনার উর্ধে নন, তথাপি তাঁর প্রতি কবি মধুসূদনের সহানুভূতি ছিল আন্তরিক। তিনি পুত্র স্নেহে অন্ধ, স্বার্থ পরায়ণ ও প্রতিহিংসা কাতর ...
দশরথের প্রতি কৈকেয়ী পত্রিকার শৈলী বিশ্লেষণ করে একটি শিল্পকুশলতা দেখাও
বীরাঙ্গনাকাব্যে মধুসূদন দত্ত যেকটি চরিত্রলিপি লেখিকা হিসাব নির্বাচন করেছেন তারা সকলেই পৌরাণিক চরিত্র। সবচেয়ে বেশি চরিত্র তিনি সংগ্রহ করেছেন মহাভারত থেকে। এইসব চরিত্রের কেউই ঠিক অবিকৃত পৌরাণিক ধারণা নিয়ে এই কাব্যগ্রন্থে উপস্থিত হয়নি, বস্তুত সেরকম হলে কবি সেই চরিত্রের প্রতি ...