‘কবিকঙ্কণ-চণ্ডীতে দেবদেবী এবং নানা অলৌকিক ঘটনা আমদানি করা হইয়াছে, কিন্তু জীবনরসিক কবি এই সকল বাস্তব-বিরোধী উপাদানের সাহায্যে যে জগৎ ও জীবন অঙ্কিত করিয়াছেন, তাহা আমাদের চোখে দেখা বাস্তব জগৎ।- আলোচনা করো। মঙ্গলকাব্যের কাহিনী দেবমাহাত্ম্যমূলক। স্বর্গের দেবতা মর্ত্যে আসিয়া কি ভাবে ...
QNA BD Latest Articles
কালকেতুর অভিযানের ফলে আরণ্যক পশুজগতে তুমুল তোলপাড়ের কাহিনী বর্ণনায় কবির (ক) বর্ণনার যথাযথতা, (খ) মানবিকতার সার্থক আরোপ ও (গ) কৌতুকরস সৃষ্টি দক্ষতার নিদর্শন দেখাইয়া আখ্যায়িকার মধ্যে এই কাহিনী প্রবর্তনের উদ্দেশ্য সম্বন্ধে আলোচনা করো।
কিরাত নগরে অত্যন্ত দরিদ্র অবস্থার মধ্যে কালকেতু ফুল্লরাকে নিয়ে বাস করে। কালকেতু প্রত্যহ বনে গিয়া পশু শিকার করে আনে, ফুল্লরা পশুর মাংশ পাড়ায় ঘুরে বিক্রয় করে। তাতে যৎসামান্য যা কিছু পাওয়া যায় তাহাতেই তাদের দরিদ্র সংসার কোনমতে চলে যায়। কালকেতু ...
মুরারি শীল ও ভাঁড়ুদত্ত এই দুইটি চরিত্র অবলম্বন করিয়া মুকুন্দরামের চরিত্রাঙ্কন নৈপুণ্যের পরিচয় দাও এবং এই দুইটি চরিত্রের হাস্যকরতা যে উহাদের জীবন্ত করিয়া তুলিতেও যথেষ্টা সহায়তা করিয়াছে তাহা আলোচনার সাহায্যে বুঝাইয়া দাও।
চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের গতানুগতিক কাহিনীর মধ্যে মুকুন্দরাম কিছুটা বৈচিত্র্য সম্পাদন করেছেন বটে কিন্তু তাঁর প্রতিভার পরিচয় পাওয়া যায় এই কাব্যের কয়েকটি চরিত্রাঙ্কনের মধ্যে। তিনি একদিকে যেমন দেবচরিত্রগুলি মনুষ্যধর্মে রূপায়িত করেছেন অন্যদিকে তেমনি মনুষ্যচরিত্র রূপায়ণে তীক্ষ্ণ পর্যবেক্ষণ শক্তির পরিচয় দিয়েছেন। মনুষ্য চরিত্রগুলির ...
‘বণিকসহ কালকেতুর কথোপকথন’ এবং ‘কালকেতুর অঙ্গুরী বিক্রয়’ উপাখ্যান দুটির বর্ণনায় কবির কৃতিত্ব বিচার করো।
স্বর্গলোকে দেবী পার্বতীর সঙ্গে মহাদেবের কলহ হলে পার্বতীকে পরামর্শ দেন সখী জয়,–মর্ত্যলোকে নিজের পূজা প্রচার করতে। এরপর দেবী মহাদেবের সহায়তায় ইন্দ্রপুত্র নীলাম্বরকে শাপ দিয়ে কালকেতু ব্যাধরূপে মর্ত্যে প্রেরণ করলেন। দেবীর উদ্দেশ্য, কালকেতুর মাধ্যমেই মর্ত্যে তিনি পূজিত হবেন। অতঃপর কালকেতু নাম ...
মুকুন্দরামের রসিকতা যে জীবনের লঘু ও গম্ভীর সর্বক্ষেত্রেই সমভাবে স্বতঃস্ফূর্ত ও উহার বিকাশ যে কেবলহাসির উপলক্ষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, তাহা তাঁহার চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের আলোচনার দ্বারা প্রতিপন্ন করিতে চেষ্টা করো।
বাস্তব রসের কবি হিসাবে মুকুন্দরামের কৃতিত্ব ‘চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের প্রচলিত আখ্যায়িকা এবং চণ্ডীদেবীর চরিত্র পরিকল্পনার মধ্যেই জীবনবোধ এবং বস্তুনিষ্ঠার যেথষ্ট পরিচয় মিলে। মুকুন্দরামের কৃতিত্ব এই যে, তিনি রসিক শিল্পীর সামঞ্জস্যবোধ ও সূক্ষ্ম রসবোধ লইয়া, কোথাও বা নিজের কল্পনা জুড়িয়া দিয়া উহার ...
‘বুলান মণ্ডলের প্রতি কালকেতুর’ এবং কালকেতুর প্রতি ফুল্লার উপদেশ অংশদুটির মধ্যে মুকুন্দরামের কবি প্রতিভার কোন্ কোন্ বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠেছে, তা আলোচনা করো।
চরিত্র সৃষ্টি করতে গিয়ে মুকুন্দরাম যে কত বাস্তব অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়েছেন তা তাঁর কাব্য ‘চণ্ডীমঙ্গল’—স্পষ্ট ধরা পড়ে। জমিদার ও প্রজার পারস্পরিক সু-সম্পর্ক দেখানোর জন্য তৎকালীন কৃষি নির্ভর অর্থনীতিটিকে জীবন্ত করে তুলেছেন কবি। বুলান মণ্ডলের সঙ্গে কালকেতুর কথোপকথন কালে তা অনুভত ...
‘কবিকঙ্কণ চণ্ডী’-র কয়েকটি প্রধান চরিত্র অবলম্বন করিয়া মুকুন্দরামের মানবচরিত্রাভিজ্ঞতা, এবং জীবনরস উপভোগের বৈশিষ্ট্য সম্বন্ধে আলোচনা করো।
চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের কাহিনী ব্রতকথার আকারে মুকুন্দরামের আবির্ভাবের বহু পূর্ব হতেই সমাজে প্রচলিত ছিল। কাহিনীর পরিবেশনায় কিছুটা বৈচিত্র্য সম্পাদন করলেও মুকুন্দরামের প্রকৃত বৈশিষ্ট্য এই কাব্যের আখ্যানাংশে ততটা লক্ষিত হবে না। মুকুন্দরামের প্রতিভার পরিচয় নিহিত আছে এই কাব্যের কয়েকটি চরিত্রাঙ্কনের মধ্যে। ঘটনার ...
শুধু মধ্যযুগ নয়, সমগ্র বাংলা সাহিত্যে ফুল্লরা এক অনন্য সাধারণ নারী চরিত্র—এই উক্তির পক্ষে বা বিপক্ষে তোমার যুক্তি বিন্যস্ত করো।
আধুনিক যুগে কাহিনী কেন্দ্রিক রচনায় চরিত্র প্রাধান্য প্রধান লক্ষণ। প্রার চারশত বৎসর পূর্বে আবির্ভূত কবিকঙ্কণের রচনাশৈলীতে এই আধুনিকতার স্পর্শ পাওয়া যায়। দেবী অপেক্ষা মর্ত্যের মানব চরিত্রাঙ্কনে তিনি যে সহানুভূতি, বাস্তবজ্ঞান ও তাঁর সূক্ষ্ম পর্যবেক্ষণ শক্তির পরিচয় দিয়েছেন তার জন্যেই তাঁকে ...
“মুকুন্দরামের সম-সাময়িক বা পরবর্তী বহু কবি চণ্ডীমঙ্গল আখ্যান অবলম্বন করিয়া কাব্য রচনা করিয়াছেন। কিন্তু মুকুন্দরামের চণ্ডীমঙ্গল আপন বৈশিষ্টে সমুজ্জ্বল।” এই মন্তব্যটির বিচার করো।
মঙ্গলচণ্ডী দেবীর ব্রতকথা অবলম্বনে কাব্য রচনা মধ্যযুগের মঙ্গলকাব্যশাখার একটি বিশিষ্ট ধারা। মাণিকদত্তকে চণ্ডীমঙ্গলের আদিকবি বলে ধরা হয়। মুকুন্দরাম পূর্ববর্তী কবি মাণিকদত্তকে তাঁর কাব্যে শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলিয়াছেন- মাণিকদত্তের আমি করিয়ে বিনয়। যাহা হৈতে হৈল গীতপথ পরিচয় ৷ মাণিকদত্তের কাব্য বিশেষ ...
“মধ্যযুগীয় মানুষ হলেও—ব্রাহ্মণ এবং ভূস্বামীর আশ্রয়ে কাব্যরচনা করলেও আমাদের কবি ঠিক সামন্ততান্ত্রিকতাগ্রস্ত হননি।”—তোমাদের পঠিত কাব্যা অবলম্বনে এই অভিমতের পক্ষে বা বিপক্ষে তোমার নিজের মতটি যুক্তি দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করো।
সাহিত্যে আমরা সমাজের একটা সুস্পষ্ট ছবি দেখতে পাই। কারণ মানুষ সামাজিক জীব। কবিরাও মানুষ, সমাজকে এড়িয়ে তাঁরা সাহিত্য রচনা করতে পারেন না। সাহিত্যের মধ্য দিয়েই সমাজ জীবনের ছবি চিত্রিত হয়। সাহিত্যই সমাজ জীবনের দর্পণ। বাস্তববাদী কবিরা সমাজকে পরিবেশকে বাদ দিয়ে ...