‘চন্দ্রশেখর’ উপন্যাসে ইতিহাসের প্রেক্ষাপট কিয়দংশ উদঘাটিত হলেও তবে তা পুরোপুরি ঐতিহাসিক উপন্যাস নয়। এর কাহিনি গ্রন্থনের গতিপ্রকৃতির দিকে লক্ষ্য রেখে নির্দ্বিধায় মন্তব্য করা চলে ‘চন্দ্ৰশেখর ইতিহাসাশ্রয়ী সামাজিক ও মনস্তাত্ত্বিক উপন্যাস। চন্দ্রশেখর উপন্যাসে বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব মীরকাসেমের সমসাময়িক যে ইতিহাসটুকু ...
QNA BD Latest Articles
‘হাঁসুলী বাঁকের উপকথা’য় নারীচরিত্র রূপে বসন্ত ও গােপীবালার স্বরূপ উদঘাটন করাে।
হাঁসুলী বাঁকের উপকথার নারীরা অধিকাংশই ‘প্রবৃত্তি-প্রধান দুরস্ত হৃদয়াবেগের’ আধার, ব্যতিক্রম শুধু বসন্ত আর গােপীবালা। দুটি চরিত্র খুবই নিষ্ক্রিয় এ উপন্যাসে। তারমধ্যে বসন বা বসন্তকে অন্যভাবে এঁকেছেন তারাশংকর, ঔপন্যাসিকের নিজস্ব এক শ্রদ্ধা এই চরিত্রটির ‘হাঁসুলী বাঁকের বাঁশবাদির কাহা পাড়ায় মানুষদের প্রকৃতি ...
‘চন্দ্রশেখর’ উপন্যাসে দেখা যায় সে যুগের যে রাজনৈতিক ঝড় শৈবালিনীকে সুরক্ষিত সমাজজীবন ও শান্ত গৃহকোণ থেকে বিচ্যুত করেছে– তার প্রকৃত উৎস ছিল তার নিজের অশান্ত হৃদয় গভীরে। চরিত্রটি অবলম্বনে এ বিষয়ে তোমার মতামত ব্যক্ত করো।
বঙ্কিম সাহিত্যে শৈবালিনী নারী চরিত্র অপূর্ব সৃষ্টি। ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে যে উপন্যাসের কাহিনি বয়ন, সেই ‘চন্দ্রশেখর’-এর একজন সামাজিক পারিবারিক নারীচরিত্র রূপে শৈবালিনী যেভাবে আপনাতে আপনি বিকশিত হয়ে উঠেছেন তাতে সতঃতই বিস্ময়ের উদ্রেক করে৷ প্রবাদে আছে– “স্ত্রীয়াশ্চরিত্রম দেবা ন জানন্তি, মনুষ্য কতঃ।” ...
বঙ্কিমচন্দ্র ‘চন্দ্রশেখর’ উপন্যাসে ঘটনার সমাবেশ ঘটিয়েছেন অনেক বেশি। কাহিনিকে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য যা অত্যন্ত জরুরী। এই ঘটনাধারার মধ্যে এমন কয়েকটি স্মরণীয় মুহূর্ত আছে যা ইতিহাসের দিগন্তকে উদ্ভাসিত করে দেয়।
“বঙ্কিমচন্দ্র ‘চন্দ্রশেখর’ উপন্যাসে ঘটনার সমাবেশ ঘটিয়েছেন অনেক বেশি। কাহিনিকে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য যা অত্যন্ত জরুরী। এই ঘটনাধারার মধ্যে এমন কয়েকটি স্মরণীয় মুহূর্ত আছে যা ইতিহাসের দিগন্তকে উদ্ভাসিত করে দেয়।”– উদাহরণ সহযোগে আলোচনা করো। বঙ্কিমচন্দ্র তাঁর চন্দ্রশেখর উপন্যাসে একটা বিশেষ ...
দলনী বেগম বঙ্কিমচন্দ্রের অপরূপ সৃষ্টি ; দলনীর পরিচয় ইতিহাসে নেই। বঙ্কিমচন্দ্রের যে কল্পনা আয়েষা সৃষ্টি করেছিল তাই-ই আর এক পা অগ্রসর হয়ে দলনীকে সৃষ্টি করলো। – আলোচনা করো।
বঙ্কিমচন্দ্রের ‘চন্দ্রশেখর’, ঐতিহাসিক উপন্যাস নয়। এটি ইতিহাসাশ্রয়ী মনস্তত্ত্বমূলক উপন্যাস। বাংলার শেষ নবাব মীরকাসেম-এর বেগমরূপে দলনী চরিত্রের স্বরূপ উপন্যাস মধ্যে উদ্ঘাটিত হলেও দলনী অনৈতিহাসিক চরিত্র। ইতিহাসের সঙ্গে তাঁর উল্লেখ নেই। অথচ লেখক অতি নিষ্ঠা ও প্রতিভার গুণে দলনীকে এমনভাবে সৃষ্টি করেছেন ...
‘চন্দ্রশেখর উপন্যাস ইতিহাস ও কাল্পনিক কাহিনির আশ্চর্য সমন্বিত রূপ।’– আলোচনা করো।
প্রথমেই বলে নেওয়া ভালো, চন্দ্রশেখর কোনো ঐতিহাসিক উপন্যাস নয়, ইতিহাসাশ্রিত সামাজিক ও মনস্তাত্ত্বিক উপন্যাস। ইতিহাস এখানে যতটুকু প্রভাব বিস্তার করেছে তা কাহিনি নির্মাণের প্রয়োজনে, ইতিহাস রস সৃষ্টির জন্য নয়। এর মূল কাহিনি নির্মিত হয়েছে প্রতাপ-শৈবালিনী চন্দ্রশেখর প্রভৃতি সামাজিক চরিত্রকে নিয়ে। ...
‘একটি যুগের ঐতিহাসিক শক্তির ঘাতপ্রতিঘাতে ব্যক্তিজীবন কীভাবে আলোড়িত হয় তার ছবি আঁকাই ঐতিহাসিক উপন্যাস রচনার লক্ষ্য।’– ‘চন্দ্রশেখর’ উপন্যাসটি অবলম্বনে এই মতের সমর্থনে অথবা বিপক্ষে তোমার যুক্তি প্রতিষ্ঠিত করো।
চন্দ্রশেখর উপন্যাস সম্পর্কে বঙ্কিমচন্দ্র একদা মন্তব্য করেছিলেন– “ইহাতে যে সকল ঐতিহাসিক ঘটনার উল্লেখ আছে, তাহার কোনো কোনো কথা সচরাচর প্রচলিত ভারতবর্ষীয় বাঙ্গালার ইতিহাসে পাওয়া যায় না। ‘সয়ের উল মতাক্ষরীণ’ নামক পারস্য গ্রন্থের একখানি ইংরেজি অনুবাদ আছে; ঐতিহাসিক বিষয়ে, কোথাও কোথাও ...
‘হাঁসুলী বাঁকের উপকথা’য় স্বৈরিণী নারীরূপে কালােশশী কালাে বৌ চরিত্রটির স্বরূপ বর্ণনা করাে।
স্বৈরিণী নারী কালােশশী— আটপৌরে পাড়ার ডাকাত পরম কাহারের বিয়ে করা বউ। আটপৌরদের গােরাচাদের বেটার বেটী। হাঁসুলী বাঁকের উপকথার এক নজর কড়া চরিত্র। এই উপন্যাসের দুটি নেমেসিস একটি কন্দ্রাবাবার বাহন বিষধর চন্দ্রবােড়াকে পুড়িয়ে মারা আর একটি মুহূর্তের উন্মাদনায় কাহার পাড়ার মাতব্বর ...
‘ঔপন্যাসিক নয়ানের মা’ নারী চরিত্রটির পরিকল্পনায় যে অভিনবত্বের সমাবেশ ঘটিয়েছেন, তা ব্যাখ্যা করাে।
‘হাঁসুলী বাঁকের উপকথা’ উপন্যাসে নারী চরিত্রের বৈচিত্র্য আনার প্রয়ােজনেই হয়তাে বাসিনী বৌ বা নয়ানের মা চরিত্রের পরিকল্পনা করেছেন লেখক। এই নারীর প্রতি বাঁশবাদী গ্রামের কাহার পল্লির কোনা সহানুভূতিই ছিল না বলে তারাশংকর উল্লেখ করেছেন— “নয়ানের মা এককালে ছিল মাতব্বরের পরিবার, ...
‘হাঁসুলী বাঁকের উপকথা’ উপন্যাসে করালী চরিত্রটির স্বরূপ উদঘাটন করাে।
বনওয়ারীর মতাে সরল না হলেও করালীর চরিত্র খুব জটিল নয়। সে-ও এক যৌগিক চরিত্র। বনওয়ারীর বিপরীত ও বিরােধী। আধুনিক যুগ ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অভিঘাতে কাহারদের সমাজে যে কেন্দ্রাতিগ শক্তির জন্ম হয়েছিল, যা প্রত্যক্ষবাদী ও পরবির্তনকামী আত্মবিস্তারে ও আত্মপ্রতিষ্ঠায় আগ্রহী, সে ...