বৈষ্ণবধর্মের সঙ্গে বৈষ্ণব পদাবলী অভিন্নভাবেই যুক্ত—এই অনুমানের ভিত্তিতে অনেকেরই ধারণা বৈষ্ণবপদসাহিত্য একান্তভাবেই চেতন্যোত্তর কালের সৃষ্টি। কিন্তু এই অনুমান এবং অনুমান নির্ভর ধারণা—দুটিই অতিশয় ভ্রান্ত। বৈষ্ণবধর্মের সঙ্গে বৈষ্ণব পদের যােগটা অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত নয় বলেই বিদ্যাপতির মতাে পঞ্চোপাসক স্মার্ত ব্রাহ্মণ সন্তান এবং ...
QNA BD Latest Articles
তুর্কী-আক্রমণ কালকে ‘বাঙালীর মানস প্রস্তুতির কাল’ বিষয়ের স্বপক্ষে বা বিপক্ষে অভিমত
খ্রীঃ ১২০০ অব্দের সন্নিহিত কোন তারিখে ইখতিয়ারউদ্দিন বিন বক্তিয়ার খিলজি মাত্র সপ্তদশ অশ্বারােহী নিয়ে বঙ্গবিজয় করেছিলেন এই গল্পকথায় আস্থা স্থাপন না করেও বিশ্বাস করা চলে যে এই তুর্কী-আক্রমণ গৌড়বঙ্গে একটা তুমুল আলােড়ন সৃষ্টি করেছিল। এর আগেও ভারতের বুকে বহু বিদেশি ...
চৈতন্যজীবনী কাব্যগুলিতে যথার্থ জীবনী সাহিত্যের লক্ষণ
চৈতন্যজীবনী রচনার কারণ : চৈতন্যজীবনী সাহিত্য-বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়ে প্রথমেই একটু বুঝে নেওয়া প্রয়ােজন, কোন্ কারণে মধ্যযুগে চৈতন্য জীবনীগুলি রচিত হয়েছিল। স্বকালে অনেক ধর্মগুরুই ‘পুরুষােত্তম’-রূপে বন্দিত হয়ে থাকেন এবং তদীয় ভক্ত-শিষ্যাদি দ্বারা পূজার্যাদি লাভ করে থাকেন। কচিৎ কোন ভক্ত হয়তাে ...
চর্যাপদগুলির রচনার পটভূমিকা বিশ্লেষণ করে বাঙলা সাহিত্যের ইতিহাসে চর্যাপদণ্ডলির স্থান নির্ণয় কর। চর্যাপদে প্রতিফলিত সমাজচিত্রের পরিচয় দাও।
আকস্মিকভাবে পৃথিবীর নূতন কোনও ভূখণ্ড আবিষ্কারের সঙ্গে সঙ্গে যেমন (পৃথিবীর মানচিত্র ও ইতিহাসের পরিবর্তন সাধিত হয়। অনুরূপ প্রাচীন একখানি গ্রন্থ আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে সমগ্র সাহিত্যের ইতিহাসকেও বদলে দিতে পারে। পুরাতন বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে এমনই একটি বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয়। পর পর ...
চৈতন্যদেবকে অবলম্বন করে বাঙলা সাহিত্যের যুগবিভাগের সার্থকতা বিচার কর
চৈতন্য-আবির্ভাবের পটভূমি: চৈতন্যদেবের আবির্ভাব গৌড়বঙ্গে এক যুগান্তকারী ঘটনা অনার্য-অধ্যুষিত বঙ্গভূমিতে একদা বৌদ্ধধর্মের প্লাবন দেখা দিয়েছিল। এর পর জগদগুরু শঙ্করাচার্যের আবির্ভাব এবং গৌড়বঙ্গে ব্রাহ্মণ্যধর্মাবলম্বী সেনবংশীয় রাজাদের আধিপত্যে বৌদ্ধধর্মে ভাটা এবং হিন্দুধর্মের পুনরভ্যু্থান সৃচিত হয়। ত্রয়ােদশ শতকের উষালগ্নেই বাঙলায় তুর্কী আক্রমণ আবার ...
‘শিবায়ন’-কে কি মঙ্গলকাব্যরূপে অভিহিত করা চলে? এর বিশিষ্টতা উল্লেখ করে এই কাব্যের একজন প্রধান কবির কৃতিত্বের পরিচয় দাও।
“শিবায়ন কাব্যের বিষয় প্রধানতঃ পৌরাণিক হওয়া সত্ত্বেও লৌকিক জীবনের সঙ্গে এর সম্পর্কই সর্বাধিক ঘনিষ্ঠ।” -উক্তিটির যাথার্থ্য বিষয়ে আলােচনা কর। শিবের উদ্ভব : ‘শিবায়ন’ বা ‘শিবমঙ্গল’ শিবের মাহাত্ম্য প্রচারের উদ্দেশ্যে রচিত হয়েছিল। আবার তিনটি প্রধান মঙ্গলকাব্যের উদ্দিষ্ট দেবতা মনসা, চণ্ডী ও ...
বাঙলা সাহিত্যের যুগবিভাগ
আনুমানিক খ্রীঃ দশম শতকের দিকে মাগধী অবহট্ঠ ভাষার খােলস ছেড়ে বেরিয়ে এলাে নব্য ভারতীয় আর্যভাষার অন্যতম শাখা বাঙলা, যার স্বরূপ আমরা প্রত্যক্ষ করেছি সমকালেই রচিত চর্যাপদে। তারপর প্রায় সুদীর্ঘ সহস্র বৎসর অতিক্রান্ত হয়েছে। দীর্ঘকালের পথ-পরিক্রমায় ভাষা-দেহে যেমন ক্রম-পরিণতির লক্ষণসমূহ ফুটে ...
ধর্মমঙ্গল কাব্যের স্বাতন্ত্র্য আলােচনা করে কবির কাব্যকৃতির পরিচয়
ধর্মঠাকুরের মাহাত্ম্সূচক কাব্যের নাম ‘ধর্মমঙ্গল কাব্য’। পৌরাণিক দেবতাদের মধ্যে যমকে ধর্ম নামে অভিহিত করা হলেও কাবেব্যাক্ত ধর্মের সঙ্গে নাম সাদৃশ্য ছাড়া এর অপর কোন সম্পর্ক নেই। বৌদ্ধদের ত্রি-শরণ বুদ্ধ, ধর্ম ও সঙঘ— এই ধর্মের সঙ্গেও কাব্যোক্ত ধর্ম-ঠাকুরের কোন সম্পর্ক নেই। ...
বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের উদ্ভব
আনুমানিক খ্রীঃ পূঃ পঞ্চদশ শতকের দিকে আর্যভাষাভাষী জনগােষ্ঠী উত্তর-পশ্চিম সীমাঞ্চল দিয়ে ভারতে উপনীত হয় এবং ভারতের আদিবাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে প্রধানতঃ জয়লাভের মধ্য দিয়ে সপ্তসিন্ধুর তীরে বসতি বিস্তার করে। ক্রমশঃ ভারতের আদি অধিবাসীদের সহিত যেমন একদিকে তাদের মিশ্রণ ঘটে, ...
‘মনসামঙ্গল’ কাব্যের নামকরণ, উদ্ভব ও বিষয়বস্তুর পরিচয়। ‘মনসামঙ্গল’ কাব্যের সাধারণ পরিচয় দিয়ে বিজয়গুপ্তের কৃতিত্ব । বাংলা মঙ্গলকাব্যধারায় মনসামঙ্গল কাব্যের বৈশিষ্ট্য
ভূমিকা (নামকরণ, উদ্ভব ও কাহিনী):- বাংলা সাহিত্যে চৈতন্য-পূর্ব যুগেই যে মনসা মঙ্গল কাব্যের উদ্ভব ঘটেছিল, তার সাক্ষ্য দিয়েছেন চৈতন্যজীবনীকার বৃন্দাবন দাস। তিনি চৈতন্যভাগবত গ্রন্থে চৈতন্য-আবির্ভাব কালের প্রেক্ষাপট বর্ণনা করতে গিয়ে নবদ্বীপের তৎকালিক অবস্থা-সম্বন্ধে লিখেছেন : দত্ত করি বিষহরী পূজে কোন ...