চর্যাপদ আবিষ্কারের ইতিহাস সংক্ষেপে লিখ।
কে, কখন চর্যাপদ আবিষ্কার করেন? সংক্ষেপে তুলে ধর।
চর্যাপদের প্রারম্ভিক পটভূমির পরিচয় দাও।
উত্তর: বাংলা সাহিত্যে প্রাচীন যুগের একমাত্র ঐতিহাসিক নিদর্শন চর্যাপদ। অষ্টম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যে এ পদগুলো রচিত। এগুলো ছিল মূলত বৌদ্ধধর্মতান্ত্রিকদের সাধন সংগীত। বৌদ্ধদের সাধন সংগীত হিসেবে এটা পরিচিত হলেও এতে একটি সমকালীন সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, গোষ্ঠীগত পরিচয় এবং বাংলা ভাষার আদি পরিচয় পাওয়া যায়। ২৩ জন পদকর্তা মতান্তরে ২৪_জন পদকর্তা ৫১টি পদ রচনা করেন।
বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যদের রচনা সম্পর্কে ১৯০৭ সালের পূর্বে কোনো তথ্যই জানা ছিল না। ১৮৮২ সালে রাজেন্দ্রলাল মিত্র প্রকাশিত গ্রন্থে সর্বপ্রথম বৌদ্ধতান্ত্রিকদের সাহিত্যের কথা জানা যায়। এতে উৎসাহিত হয়ে হরপ্রসাদ শাস্ত্রী একাধিক বার (৩ বার, ১৮৯৭, ১৮৯৮ ও ১৯০৭) নেপালে গিয়েছিলেন। হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯০৭ নেপালের রাজদরবারের পুথিশালা থেকে পদ আবিষ্কার করেন এবং ১৯১৬ বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে তাঁর সম্পাদনায় “হাজার বছরের পুরান বাংলা ভাষায় বৌদ্ধগান এবং দোহা’ নামে প্রকাশ করেন। চর্যাপদের ভাষা দুর্বোধ্য বলে এর নামকরণ করেন সন্ধ্যাভাষা। নেপালের প্রাপ্ত পুঁথিতে এগুলোর নাম ছিল ‘চর্যাচর্যবিনিশ্চয়’।