হজ্ব আদায় করা ফরজ। ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে হজ সর্বশেষ স্তম্ভ। হজ
আদায় করার পূর্বে আমাদের জানা প্রয়োজন তাওয়াফ কত প্রকার ও কি কি। আমরা যদি
সঠিকভাবে না জানি তাওয়াফ কত প্রকার ও কি কি তাহলে সঠিক ভাবে হজ্ব পালন করতে পারব
না। তাই হজ্ব সঠিকভাবে পালন করতে তাওয়াফ কত প্রকার ও কি কি জেনে নেওয়া
প্রয়োজন। তাওয়াফ কত প্রকার ও কি কি জানতে আমার পোস্ট টি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
কাবা শরীফের চারিদিকের নিয়মতান্ত্রিকভাবে প্রদক্ষিণ করাকে শাব্দিক অর্থে তাওয়াফ
বলা হয়। হজের ক্ষেত্রে কাবা শরীফের চারদিকে প্রদক্ষিণ করাকে তাওয়াফ বলে।
পবিত্র কাবা বা আল্লাহর ঘর ছাড়া অন্য কোন জায়গায় কোন জিনিস কে কেন্দ্র করে
তাওয়াফ করা হারাম। রাসূল (সাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি বাইতুল্লাহর তাওয়াফ করল ও দুই
রাকাত সালাত আদায় করল তার এ কাজটি একটি গোলাম আজাদ এর সমতুল্য হল।
তাওয়াফ কত প্রকার
তাওয়াফ অর্থ হলো কাবা শরীফের চারি দিকে প্রদক্ষিণ করা। তাওয়াফ সাত প্রকার ।
৭ প্রকার তাওয়াফ নিয়ে আলোচনা করা হলো –
হজের তাওয়াফ তাওয়াফে জিয়ারত
আইয়ামে নাহর বা ১0 জিলহজ সুবেহ সাদিকের পর থেকে ১২ ই জিলহজ সূর্যাস্তের
পূর্বে হজের উদ্দেশ্যে একদিনে বাইতুল শরীফ সাতবার প্রদক্ষিণের নাম
তাওয়াফে জিয়ারত। এ তাওয়াফ না করলে হজ্ব আদায় হবে না। কারণ তাওয়াফ
হল হজের একটি ফরজ কাজ। এই তাওয়াফ ওমরা হজের মতই। তবে এ তাওয়াফের
পরবর্তী সায়ী আরাফার দিনের পূর্বে আদায় করে নেওয়ার সুযোগ আছে।
অগ্রিম সায়ী করা হয়ে থাকলে তাওয়াফে জিয়ারতের পর সায়ী করতে হয়না। তাওয়াফে
কুদুম এরপর অগ্রীম সায়ী করা না হলে তাওয়াফে জিয়ারতের পর সায়ী করতে হবে। সে
ক্ষেত্রে তাওয়াফে ইজতিবা ও রমল করতে হবে। এ তাওয়াফের আরো চারটি নাম আছে ।
১) তাওয়াফে ফরজ ২) তাওয়াফে ইয়াউমুন্নাহার ৩) তাওয়াফের হেফাজত
৪) তাওয়াফের রুকন।
তাওয়াফে কুদুম
মক্কা মুকাররমায় প্রবেশের পর বহিরাগত ব্যক্তিদের বাইতুল্লাহ তাওয়াফ করাকে
তাওয়াফে কুদুম বলা হয়। যে ব্যক্তি মক্কার বাইরে থেকে এসে ইরাক-ইফ্রাদ হজ বা
কিরান হজ করবেন তার জন্য মক্কায় প্রবেশের পর বাইতুল্লায় গিয়ে প্রথমে তাওয়াফ
করা সুন্নত। একে সাক্ষাৎ পরবর্তী তাওয়াফ ও বলা হয়। এ তাওয়াফ আরাফায়
অবস্থানের পূর্বেই করতে হবে।
এ তাওয়াফে কুদুম হজ তামাতুত কারি বা শুধু ওমরা কারীর জন্য প্রযোজ্য নয়। এমনকি
মক্কার ভেতরে লোকদের জন্য ও এটি প্রযোজ্য নয়। এ তাওয়াফের আরও চারটি নাম
আছে। ১) তাওয়াফে তাহিয়্যাহ , ২) তাওয়াফে লিকা, ৩) তাওয়াফে আহদে
বাইত, ৪) তাওয়াফে আওয়ালুল আহদ।
তাওয়াফে ওমরা
তাওয়াফে ওমরা – ওমরা হজ আদায়ের ক্ষেত্রে ফরজ ও রুকন। যারা তামাত্তু করেন
বা শুধু ওমরা করেন তাদের প্রথমে মক্কায় প্রবেশের পর তাওয়াফ করতে হয়। একে
ওমরার তাওয়াফ বলা হয়। এ তাওয়াফ ওমরার ক্ষেত্রে ফরজ। এই ওমরার তাওয়াফে
প্রথমে তিন চক্কর বীরদর্পে জোরে জোরে হাঁটা সুন্নত। যাকে রমল ও বলা হয়।
ইহরামের কাপড় ডান বগলের নীচ দিয়ে বাম কাঁধের উপর রাখা সুন্নত। একে ইজতিবা ও বলা
হয়। এ তাওয়াফে রামল ও ইজতিবা উভয়টাই রয়েছে।
নফল তাওয়াফ
মক্কায় থাকা অবস্থায় যখন ইচ্ছা তখন বা যখনই সুযোগ পাওয়া যায় তখনই এই নফল
তাওয়াফ করা যায়। অন্যান্য নফল ইবাদতের চেয়ে নফল তাওয়াফ বেশি
গুরুত্বপূর্ণ। এই নফল তাওয়াফে কোন ইজতিবা বা রমল নেই। নফল তাওয়াফ
ইহরামের কাপডড়ে না করে বরং সাধারণ কাপড়ে করতে হবে। সাত চক্কর শেষ হলে একটি
তাওয়াফ হিসাবে গণ্য হবে।
নিজের জন্য, স্ত্রী সন্তানের জন্য, পিতামাতার জন্য , এক কথায় যে কারো পক্ষ থেকে
এ নফল তাওয়াফ করা যায়। যার পক্ষ থেকে এ তাওয়াফ করা হবে আশা করা যায় তার
আমলনামায় এই তাওয়াফের সওয়াব লেখা হবে। তবে এ নফল তাওয়াফ করার ক্ষেত্রে কিছু
বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে। যেমন –
পবিত্রতা অর্জন করা
তাওয়াফ করার পূর্বে পবিত্রতা অর্জন করা জরুরি। কাবাঘর বা আল্লাহর ঘর
পৃথিবীর বুকে পবিত্রতম জায়গা, যা আপনি তাওয়াফ করতে যাচ্ছেন। তাহলে আপনাকে
অবশ্যই পবিত্রতা অর্জন করতে হবে। কেননা সহিহ হাদিস থেকে জানা যায়, বিদায় হজের
সময় রাসুল (সাঃ) প্রথমে অজু করেছেন তারপর তাওয়াফ শুরু করেছেন। আমাদের প্রিয় নবী
রাসূল (সাঃ) যেভাবে হজ করেছেন, আমাদের কে ও সেই ভাবে হজ্ব করতে বলেছেন।
রাসুল সাঃ বলেছেন, “হে লোকসকল ! আমার কাছ তোমাদের হজ কর্মসমূহ জেনে নাও”।
ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত, এক হাদীসে তাওয়াফকে সালাতের সমতুল্য বলা
হয়েছে। “তাওয়াফ সালাত সমতুল্য; তবে তাওয়াফে কথার অনুমতি দেওয়া হয়েছে, কাজেই
যে কথা বলতে চাই সে যেন কল্যাণকর কথাই বলে। তবে পার্থক্য শুধু এতোটুকু যে,
আল্লাহতালা তাওয়াফে কথা বলা কে বৈধ করে দিয়েছেন। তবে যে কথা বলতে চাই সে যেন
উত্তম কথা বলে।
“নিশ্চয়ই এটি (ঋতুস্রাব) এমন একটি বিষয় যা আল্লাহ তাআলা আদম কন্যা সন্তানদের
ওপর বিধিবদ্ধ করে দিয়েছেন। কাজেই তুমি করো যা হাজীগন করে থাকে; তবে
তুমি তাওয়াফ থেকে বিরত থেকো”। ইহরাম অবস্থায় আয়েশা রাদিআল্লাহু আনহার
ঋতুস্রাব শুরু হলে রাসুল সাঃ তাকে তাওয়াফ করতে নিষেধ করে দেন। এ কারণেই অজু
অবস্থায় তাওয়াফ করা কে ওয়াজিব বলা হয়।
সতর ঢাকা বাসতরা আবৃত করা
তাওয়াফের সময় সতর ঢাকা জরুরী। জাহেলী যুগে উলঙ্গ হয়ে তাওয়াফ করার প্রথা কে
বন্ধ করার জন্য পবিত্র কুরআনে এসেছে, “হে বনী-আদম, প্রত্যেক সালাতের সময়
সৌন্দর্য অবলম্বন করো (সূরা আল আরাফ, আয়াত ৩১)। ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু
“সৌন্দর্য” অর্থ পোশাক বলেছেন। হজের সময় পবিত্র কাবা তাওয়াফ করার সময় কেউ যেন
উলঙ্গ হয়ে তাওয়াফ না করে এই মর্মে ফরমান জারি করা হয়।
নিয়ত করা
তাওয়াফের শুরুতে নিয়ত করা গুরুত্বপূর্ণ। তবে সুনির্ধারিত ভাবে নিয়ত করতে হবে
না। বরং মনে মনে নিয়ত করলেই চলবে। মনে মনে প্রতিজ্ঞা করলেই চলবে যে, আমি আল্লাহর
ঘর তাওয়াফ করতে যাচ্ছি।
তাওয়াফ করার সময় ইজতিবা ও রামল
ফেকাহ বিদদের মধ্যে কোন কোন ইজতিক ও রামল নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। কুদুমের
তাওয়াফ ও ওমরার তাওয়াফেই কেবল ইজতিবা আছে, এটাই হল বিশুদ্ধ
অভিমত। রাসুল (সাঃ) ওমরার তাওয়াফ ও কুদুমের তাওয়াফ এই দুই ধরনের
তাওয়াফে ইজতিবা ও রামল করেছেন। যে তাওয়াফের পর সাফা মারওয়ার সাঈ আছে সে
তাওয়াফের প্রথম তিন চক্করে রমল ও পুরা তাওয়াফে ইজতিবা আছে।
নারীর তাওয়াফ
নারীরা অবশ্যই তাওয়াফ করবে। তবে নারীরা পুরুষদের সঙ্গে মিশে তাওয়াফ করবে না।
যখন ভীড় কম থাকবে তখন তাওয়াফ করবে। অথবা সময় বেশি লাগলেও দূর দিয়ে
নারীরা তাওয়াফ করবে। এমনকি পুরুষদের ভীড়ে নারীরা হাযরে আসওয়াদ চুম্বন করতে
যাবেনা। হাদিসে আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু এর তাওয়াফে ব্যাপারে এসেছে
“আয়েশা রাযিয়াল্লাহু আনহা পুরুষদের এক পাশ হয়ে একাকী তাওয়াফ করতেন। পুরুষদের
সাথে মিশতেন না। এক মহিলা বললেন, চলুন ! হাযরে আসওয়াদ চুম্বন, স্পর্শ করি , তিনি
বললেন , তুমি যাও , আমাকে ছাড়া। তিনি যেতে অস্বীকার করলেন”। ঋতুস্রাব অবস্থায়
নারীরা তাওয়াফ করবেনা। রাসুল (সাঃ) নারীকে রামল বা ইজতিবা করতে বলেননি।
সাফা মারওয়ার মাঝে সাঈ
সাঈ বলতে বোঝায় সাফা-মারওয়ার মধ্যে যাওয়া-আসাকে। সাফা থেকে
মারওয়া যাওয়া এক চক্কর হয়। এবং মারওয়া থেকে সাফা আসা আর এক চক্কর
হয়। এভাবে ৭ চক্কর হিসাব করা হয়।
সাঈ করার হুকুম ও গুরুত্ব
তাওয়াফে ওমরা ও তাওয়াফে ইফাজা যেমন ফরজ, তাওয়াফ তেমনি সাফা মারওয়ার মাঝে সাঈ
করা আবশ্যিক। হাদীসে এসেছে ,আয়েশা রাযিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন , “আমার জীবন
কে সাক্ষী রেখে বলছি, ওই ব্যক্তির হজ আল্লাহর কাছে পূর্ণতা পাবে না, যে সাফা
মারওয়ার মাঝে সাঈ করল না । অন্য এক হাদীসে বর্ণিত আছে – সাঈ করো , কেননা আল্লাহ
তা’আলা তোমাদের ওপর সাঈ লিখে দিয়েছেন।
৭ চক্করে তাওয়াফ শেষ করা
৭ চক্করে তাওয়াফ শেষ করার নির্দেশ রয়েছে। রাসুল (সাঃ) ও সাহাবায়ে কেরামদের
মধ্যে কেউ এর চেয়ে কম চক্করে তাওয়াফ শেষ করেছেন বলে কোন উল্লেখ নেই। হাযরে
আসওয়াদ থেকে শুরু করে আবার হাযরে আসওয়াদ এসে শেষ করতে হবে। যদি কেউ হাযরে
আসওয়াদ বরাবর আসার একটু পূর্বেও তাওয়াফ ছেড়ে দেয় তাহলে তার তাওয়াফ
শুদ্ধ বলে গণ্য হবে না।
তাওয়াফে তাহিয়্যা
তাওয়াফে তাহিয়্যা মসজিদুল হারামে প্রবেশকারীদের জন্য মুস্তাহাব। মসজিদে
প্রবেশের পর যেমন মসজিদের সম্মানে তাহিয়্যাতুল মসজিদ নামক দুই রাকাত নফল নামাজ
পড়া সুন্নত, তেমনি কাবাঘরে হাজির হলে মসজিদুল হারামের সম্মানার্থে একটি তাওয়াফ
করা মুস্তাহাব। তবে মসজিদে হারামে প্রবেশের পর অন্য কোন তাওয়াফ করলেও তাওয়াফের
তাহিয়া আদায় হয়ে যাবে। তবে যদি কেউ অন্য কোন তাওয়াফ করে সেটিও তাওয়াফের
স্থলাভিষিক্ত হবে।
মান্নত তাওয়াফ বা তাওয়াফের নযর
মান্নত তাওয়াফ মান্নতকারীর উপর ওয়াজিব। কেউ যদি তাওয়াফ করার মান্নত করে তাহলে
তার জন্য তাওয়াফ আদায় করা ওয়াজিব হয়ে যাবে।
বিদায়ী তাওয়াফ বা তাওয়াফে বিদা
বাইতুল্লা হতে প্রত্যাবর্তনের সময় যে তাওয়াফ করা হয় তাকে বিদায়ী তাওয়াফ
বা তাওয়াফে বিদা বলা হয়। যারা মক্কার বাইরে থেকে এসে হজ করেন তাদের হজের পর
মক্কা থেকে বের হওয়ার সময় যে তাওয়াফ করা হয় তাকে তাওয়াফে বিদা বা বিদায়ী
তাওয়াফ বলা হয়। যারা মক্কা থেকে চলে যাবেন তাদের জন্য বিদায়ী তাওয়াফ করা
ওয়াজিব, তবে যারা মক্কায় থেকে যাবেন তাদের জন্য এ তাওয়াফ ওয়াজিব নয়।
যেহেতু মক্কায় বসবাসকারী হাজীদের জন্য এ তাওয়াফ ওয়াজিব নয়, তাই এ তাওয়াফ
হজের অংশ কিনা এ নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। কেননা হজের অংশ হলে মক্কা বাসির জন্য ও এ
তাওয়াফ ওয়াজিব হত। মুসলিম শরীফের একটি হাদিসের বর্ণনা থেকে বুঝা যায় যে,
বিদায়ী তাওয়াফ হজের অংশ নয়। অন্য এক হাদীসে রাসূল সাঃ বলেছেন,
“মুজাহির ব্যক্তি হজের কার্যক্রম সম্পন্ন করার পর মক্কায় তিন দিন অবস্থান
করবে”।
“হজের কার্যক্রম সম্পন্ন করার পর” এই বাক্যের মাধ্যমে বোঝা যায় যে, তাওয়াফে
বিদা বা বিদায়ী তাওয়াফ এর পূর্বেই হজের সমস্ত কাজ সম্পন্ন হয়ে যায়। তবে
যারা মক্কারবাইরে থেকে এসে হজ করেন তাদের জন্য এই তাওয়াফ খুবই গুরুত্বপূর্ণ
বা ওয়া্জীব। এ তাওয়াফ সম্পর্কে রাসুল (সাঃ) বলেছেন , বাইতুল্লাহর সাথে শেষ
সাক্ষাৎ না দিয়ে তোমাদের কেউ যেন না যায়”।
তবে ঋতুস্রাব গ্রস্থ মহিলারা বিদায়ী তাওয়াফ করতে পারবেন না । তবে যারা মক্কায়
থেকে যাবেন তারাও এ বিদায় করতে পারেন। এই তাওয়াফের আরো দুইটি নাম রয়েছে
-১) তাওয়াফে সদও , ২) তাওয়াফে আখিরিল আহদি বিলবাইতি।
শেষ কথা
কাবা শরীফের চারিদিকের নিয়মতান্ত্রিকভাবে প্রদক্ষিণ করাকে শাব্দিক অর্থে তাওয়াফ
বলা হয়। হজের ক্ষেত্রে কাবা শরীফের চারদিকে প্রদক্ষিণ করাকে তাওয়াফ বলে।
পবিত্র কাবা বা আল্লাহর ঘর ছাড়া অন্য কোন জায়গায় কোন জিনিস কে কেন্দ্র করে
তাওয়াফ করা হারাম। রাসূল (সাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি বাইতুল্লাহর তাওয়াফ করল ও দুই
রাকাত সালাত আদায় করল তার এ কাজটি একটি গোলাম আজাদ এর সমতুল্য হল।
তাওয়াফ অর্থ হলো কাবা শরীফের চারি দিকে প্রদক্ষিণ করা। তাওয়াফ সাত প্রকার। আমি
তাওয়াফ এর প্রকারভেদ নিয়ে আলোচনা করেছি। আমি আশা করি আমার এই আলোচনা আপনাদের
অনেক উপকারে আসবে।