প্রিয় শিক্ষার্থী তোমাদের অনেক সময় বইমেলা অনুচ্ছেদ লিখতে আসে। আমি
তোমাদের সুবিধার্থে বইমেলা অনুচ্ছেদ লিখার চেষ্টা করেছি। আমি আশা করি এই
বইমেলা অনুচ্ছেদ লিখলে তোমরা বেশ ভালো নম্বর পাবে।
আমি তোমাদের জন্য বিশ্বে কবে বইমেলা শুরু হয়েছে এবং বাংলাদেশে কবে থেকে বইমেলা
শুরু হয়েছে নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আমার এই বইমেলা অনুচ্ছেদটি পড়লে
তোমরা সবাই এই অনুচ্ছেদ গুলো লিখতে পারবে। তবে যে সব শিক্ষার্থী বন্ধুরা ক্লাস
ফোর, ফাইভ এবং সিক্সে পড়ো তারা একটু ছোট করে লিখবে।
বই মেলা অনুচ্ছেদ ১০০ শব্দ
বই মেলা অনুচ্ছেদ class 12
বই মেলা অনুচ্ছেদ class 5
একুশে বই মেলা অনুচ্ছেদ class 6
একুশে বই মেলা অনুচ্ছেদ class 10
একুশে বই মেলা অনুচ্ছেদ
বই মেলা অনুচ্ছেদ class 4
বাংলা ২য় অনুচ্ছেদ বই মেলা
বইমেলা অনুচ্ছেদ
একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য যখন অনেক মানুষ একসাথে হয়ে বইয়ের দোকান দেয় এবং
ক্রেতারা কিনতে আসে তখন তাকে বইমেলা বলা হয়। বইমেলা হলো নির্ধারিত সময়ের
মধ্যে ক্রেতা এবং বিক্রেতার সমাহার। একটি আকর্ষণীয় মেলা হলো বইমেলা, যেখানে
থাকে বিভিন্ন ধরনের বই এবং ক্রেতারা বই কিনে থাকে। বইমেলা বর্তমান সময়ে অনেক
জনপ্রিয় একটি মেলা।
কারণ মানুষের প্রাণ সত্তা হলো বই। একমাত্র বই পারে মানুষের জীবনকে সমৃদ্ধ করতে
পারে পূর্ণতা দিতে, বইমেলা মানুষের মানসিকতা বৃদ্ধি করে। মানুষের মধ্যে বই
সম্পর্কে আগ্রহ সৃষ্টি করে এবং মানুষের মনের প্রসার ঘটায়। আর মানুষের জীবনে
সবচেয়ে প্রয়োজনীয় বৈশিষ্ট্য হলো পড়াশোনা করা। একটি দেশ, একটি জাতি তার
ভবিষ্যতের উজ্জ্বলতা দেখতে পায় সঠিকভাবে বই পড়ার মাধ্যমে এবং এই বইয়ের আদর্শ
চর্চা করার মাধ্যমে।
আরো পড়ুনঃ নিয়মানুবর্তিতা রচনা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
বইমেলা হলো এমন একটি জায়গা যেখানে থাকে প্রচুর বই এবং সেখানে থাকে লেখক এবং
পাঠকের ভিড়। এক কথায় বইমেলা হলো লেখক ও পাঠকের মিলনমেলা। বইমেলার উদ্দেশ্য হল
বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের মধ্যে বই পড়ার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করা। বইমেলায়
থাকে শত শত বইপ্রেমীদের ভিড় এবং সেখানে অংশগ্রহণ করে অনেক বই ব্যবসায়ী।
১৮০২ সালে যুক্তরাষ্ট্রর নিউ ইয়ার্ক শহরে সর্বপ্রথম বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর
১৯৪৯ সালে জার্মানির ফ্রাঙ্ক ফুটে বইমেলা হয় আর আধুনিক এই বইমেলার যাত্রা শুরু
হয় সেখান থেকেই। তবে বাংলাদেশের ইতিহাসে বইমেলা খুব দীর্ঘ নয়। ১৯৭২ সালে
চিত্তরঞ্জন সাহা যিনি ছিলেন মুক্তধারা প্রকাশনীর কর্ণধার তিনি নিজের
উদ্যোগে আয়োজন করেছিলেন বাংলাদেশের প্রথম বইমেলা।
আরো পড়ুনঃ জাতীয় শোক দিবস রচনা সম্পর্কে জেনে নিন
এরপর ১৯৭৮ সালে পূর্ণাঙ্গ প্রতিষ্ঠানিক বইমেলার আয়োজন করে বাংলা একাডেমি। ১৯৮৫
সাল থেকে বাংলা অ্যাকাডেমিতে যে বইমেলার আয়োজন করা হয় তাকে “একুশে বইমেলা” বলা
হয়।পরবর্তীতে এই বইমেলা ২০১৪ সাল থেকে সোহরার্দী উদ্যান পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। বই
মেলায় দোকানগুলোতে বই সুন্দরভাবে সাজানো থাকে। প্রতি বছর বইমেলায় প্রকাশিত হয়
নতুন এবং পুরাতন লেখকের বই। বইমেলায় থাকে সব বয়সী লোকের ভিড়।
লেখকেরা দেশ গড়তে শিক্ষিত মানুষের প্রতি অনুপ্রাণিত হন। প্রতিটি লেখক তাদের
লেখার মাধ্যমে তাদের অভিজ্ঞতা যাদের কাছে তুলে ধরেন।বইমেলা হল এমন একটি মেলা
যেখানে পাঠকেরা তাদের পছন্দের লেখক এর সাথে কথা বলতে পারে। পাঠকেরা বইমেলায় যোগ
দিয়ে পরিচিত হয়। বিভিন্ন বইয়ের সাথে এমন অনেক বিচিত্র বই প্রকাশিত হয় যা
পাঠকদের মন কেড়ে নেয়। যার কারণে পাঠকদের বইয়ের প্রতি আকর্ষণ বাড়ে এবং পাঠকরা
উৎসাহিত হয় বই কিনতে।
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশের উৎসব রচনা সম্পর্কে জেনে নিন বিস্তারিত
বাংলাদেশে প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাসের ১ তারিখ থেকে বইমেলা শুরু হয় এবং তা চলতে
থাকে পুরো মাস জুড়ে। একুশে বইমেলা এখন পরিণত হয়েছে বাঙ্গালীদের প্রাণের মেলা
হিসেবে। হাজার হাজার বইপ্রেমী মানুষের এবং সাহিত্যিক কবি ও প্রাবন্ধিক সহ সকলে
মিলে বইমেলা যেন হয়ে উঠেছে একটি বিচিত্র হিসাবেরবই ছাড়াও বই মেলাতে থাকে
বইমেলার আবৃতির ক্যাসেট, গান, ক্যালেন্ডার, ভিউ কার্ড ও পোস্টার।
বই আমাদের জ্ঞানের পরিধি বাড়িয়ে তোলে এবং আমাদের চিন্তা ধারাকে উন্নত করে। বই
আমাদের সর্বোত্তম বন্ধু এই মর্মবাণী আমরা বুঝতে পারি একমাত্র বইমেলার মাধ্যমে। আর
আমরা আমাদের জীবনের বন্ধুকে খুঁজে পাই বই মেলার মাধ্যমে। বই মেলা থেকে আমরা
স্বল্পদামে, বেশি দামে বিভিন্ন প্রকার বই কিনতে পারি। বই পড়ার মাধ্যমে আমাদের
ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হয়ে উঠুক জ্ঞানী এবং জ্ঞানের সমৃদ্ধশালী এটাই আমাদের কামনা।
পাঠক এবং লেখকের জন্য বইমেলার গুরুত্ব অপরিসীম।
শেষ কথা
প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা তোমরা যদি আমার এই বইমেলা অনুচ্ছেদ পড়ে উপকৃত হও
তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবে এবং একটি কমেন্টস করে আমাকে জানাবে।