কানাডা বিশ্বের সেরা শিক্ষিত দেশগুলোর মধ্যে স্থান করে নিয়েছে। তাই পৃথিবীর
বিভিন্ন দেশ থেকে শিক্ষার্থীরা কানাডায় যাওয়ার সময় তাদের মনে প্রশ্ন জাগে
কানাডায় স্কলারশিপ কত – কানাডায় পড়াশোনার মাসিক খরচ ২০২৩/২৪। যারা কানাডায়
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজগুলিতে লেখাপড়ার জন্য যেতে চাই এবং জানতে চাই
কানাডায় স্কলারশিপ কত – কানাডায় পড়াশোনার মাসিক খরচ ২০২৩/২৪ আমার আজকের পোস্ট
তাদের জন্য।
কানাডায় শিক্ষার্থীদের যাওয়ার একটি প্রধান কারণ হলো এখানে পোস্ট সেকেন্ডারি
প্রতিষ্ঠানের যোগ্যতা যা কোর্স এবং প্রোগ্রাম অফার করে। যার কারনে শিক্ষার্থীরা
জানতে চায় কানাডায় স্কলারশিপ কত – কানাডায় পড়াশোনার মাসিক খরচ ২০২৩/২৪। নিচে
কানাডায় স্কলারশিপ কত – কানাডায় পড়াশোনার মাসিক খরচ ২০২৩/২৪ সম্পর্কে
বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-
পোস্ট সূচিপত্রঃ কানাডায় স্কলারশিপ কত – কানাডায় পড়াশোনা মাসিক খরচ
২০২৩/২৪
২০২৩/২৪
কানাডায় স্কলারশিপ কত
যারা কানাডায় স্কলারশিপ পেতে চান তাদের মনে প্রশ্ন জাগে কানাডায় আসলেই
স্কলারশিপ কত! আমি তাদের জন্যই বলছি, কানাডায় স্কলারশিপ গুলো আসলে বিভিন্ন মান
দ্বন্ডের প্রদান করে থাকে। সাধারণত এগুলো নির্ভর করে পুরস্কার দাতার মূল্যবোধ এবং
উদ্দেশ্য গুলির প্রতিফলনের ওপরে। তবে স্কলারশিপ এর মান কয়েকশো ডলা থেকে শুরু করে
সমস্ত টিউশন ফি এবং স্টুডেন্ট ফি সহ সকল পেমেন্ট পর্যন্ত হতে পারে।
তবে সর্বোচ্চ স্কলারশিপ মূল্য হল প্রতিবছর এক হাজার ১০০০ ডলার থেকে
পাঁচ ৫০০০ হাজার কানাডিয়ান ডলার। ভেনিয়ার কানাডা গ্রাজুয়েট স্কলারশিপ হল
কানাডায় উচ্চশিক্ষা গ্রহণে ইচ্ছুক এমন শিক্ষার্থীদের জন্য সর্বোচ্চ স্কলারশিপ।
এটি এই স্কলারশিপ কানাডার সরকার দিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে স্কলারশিপ প্রাপ্ত প্রতিটি
শিক্ষার্থীকে তিন বছর মেয়াদী বছরে ৫0 হাজার কানাডিয়ান ডলার প্রদান করা হয়ে
থাকে।
কানাডা স্কলারশিপ এর জন্য কত সি জি পি এ প্রয়োজন
কানাডায় স্কলার্শিপের জন্য আবেদন করতে একজন শিক্ষার্থীর ন্যূনতম সিজিপিএ
প্রয়োজন হবে ৩.৫০ এবং আই ই এল টি এস IELTS স্কোর প্রয়োজন নূন্যতম ৬.৫ এবং ভালো
মানের আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা পত্র। তবে কানাডায় পড়াশোনা করতে
কমপক্ষে শতকরা ৭0 ভাগ নম্বরের প্রয়োজন পড়বে। কানাডায় ব্যাচেলর করতে আপনার
এইচএসসি HSC তে ভালো মার্কস এবং আই ই এল টি এস IELTS এ ৬.০
কিন্তু সাব সেকশনে আপনাকে ৫.৫ এর উপরে নাম্বার পেতে হবে।
আবার যদি মাস্টার্স প্রোগ্রামে আপনি যেতে চান তাহলে ব্যাচেলরে আপনার শতকরা ৭০
ভাগের ওপরে নাম্বার থাকতে হবে। সে ক্ষেত্রে আপনার এল আই ই এল টি
এস IELTS থাকতে হবে ৬.৫। কিন্তু সে ক্ষেত্রে আপনার কোন সাবজেকশন
৬.০ এর নিচে থাকলে আপনি অ্যাপ্লিকেশন করতে পারবেন না। অনেক সময় বিশ্ববিদ্যালয়
কর্তৃপক্ষ ব্যাচেলরে জিআরই GRE ,জিএমএটি GMT চাইতে পারে।
কিন্তু স্কলারশিপ পেতে গেলে আপনার এই দুটি থাকা আবশ্যকীয়। আবার পিএইচডি
প্রোগ্রামে অংশ নিতে মাস্টার্স থাকতে হবে এবং অন্যান্য যোগ্যতা মাস্টার্স করতে
গেলে সমতুল্য যোগ্যতার প্রয়োজন হবে।
কানাডায় পড়াশোনার – মাসিক খরচ/ খরচ
কানাডায় যদি আপনি স্কলারশিপ নিয়ে পড়াশোনা করতে চান তাহলে আপনাকে খরচের বিষয়টি
অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে। আপনি যদি কানাডায় ব্যাচেলার প্রোগ্রামে পড়াশোনা করতে
চান তাহলে আপনার খরচ হবে প্রতিবছরে ১৪000 থেকে ২৭000 কানাডিয়ান ডলার। আর
মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য প্রতিবছর খরচ হবে ১৬ হাজার থেকে বিশ ২০ হাজার
কানাডিয়ান ডলার। সে ক্ষেত্রে আপনার মাসিক খরচ হবে দেড় থেকে ২০০০ কানাডিয়ান
ডলার।
তবে কানাডায় ব্যাচেলর লেভেল স্কলারশিপের সুযোগ খুবই কম কিন্তু মাস্টার্স
প্রোগ্রামে স্কলারশিপ এর সুযোগ ব্যাচেলার লেভেলের তুলনায় একটু বেশি। কানাডায়
ন্যাশনাল স্কলারশিপ প্রোগ্রাম এর পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও স্কলারশিপ
পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
কানাডায় মাস্টার্স খরচ
আপনি যদি কানাডায় মাস্টার্স করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই কানাডায় পড়াশোনার
খরচ সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। আপনি যদি বর্তমান সময়ে কানাডায় মাস্টার্স করতে
চান তাহলে আপনাকে প্রতিবছরে খরচ করতে হবে ১৪ হাজার থেকে ২৭ হাজার কানাডিয়ান
ডলার। আর যদি আপনি বাংলাদেশ থেকে কানাডায় মাস্টার্স করতে চান তাহলে বাংলাদেশী
টাকায় হিসাব করলে এর পরিমাণ দাঁড়াবে প্রতি বছরে ১১ লাখ টাকা থেকে ২১ লাখ টাকা।
তাই আপনি যদি কানাডায় মাস্টার্স করতে চান তাহলে এই পরিমাণ সক্ষমতা আপনার থাকতে
হবে।
কানাডায় স্কলারশিপ খরচ
বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা কানাডায় পড়াশোনার জন্য যেতে
চান তবে কানাডায় যাওয়ার পূর্বে তাদের মনে একটি প্রশ্ন জাগে আর তা হল কানাডায়
পড়াশোনার খরচ কেমন বা একজন শিক্ষার্থীর সাধারণভাবে কানাডায় পড়াশোনা করতে কি
পরিমান টাকা খরচ হবে কানাডার কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের লেখাপড়া করতে হলে আপনাকে যে
পরিমাণে অর্থ খরচ করতে হবে তা হল –
-
আপনি যদি কানাডায় পড়াশোনা করতে চান তাহলে আপনাকে প্রতি একাডেমিক বছরে শুধু
একাডেমিক খরচ বহন করতে হবে ১৫ হাজার থেকে ২৮ হাজার কানাডিয়ান ডলার। -
তবে যারা ইমিগ্রেট বা যে সকল সিটিজেন রয়েছে তাদের জন্য একাডেমিক খরচ হবে ৪০০০
থেকে ৭.৫ হাজার কানাডিয়ান ডলার। -
আবার অনেক ছোট ছোট শহরে যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো রয়েছে সেখানে মূলত খরচের পরিমাণ
হবে ৮ হাজার থেকে ১৪ হাজার কানাডিয়ান মার্কিন ডলার।
আপনাকে একাডেমিক খরচ ছাড়াও আর যে সকল খরচ বহন করতে হবে তা হল-
-
আপনি যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে থাকেন এবং সেখানে খাওয়া-দাওয়া করেন
তাহলে আপনাকে প্রতি চার ৪ মাস পর পর তিন ৩ হাজার থেকে ৭ হাজার কানাডিয়ান ডলার
খরচ করতে হবে। -
তবে আপনি যদি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে না থেকে বাইরে থাকেন তাহলে আপনার খরচ
হবে ১ থেকে ১.৫ হাজার থেকে ২০০০ কানাডিয়ান ডলার তবে মনে রাখবেন খরচ নির্ভর
করবে আপনি কোন শহরে আছেন তার ওপর নির্ভর করে। -
তবে এক্ষেত্রে আপনাকে আরেকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে আর তা হলো আপনি কানাডায়
শুধু থাকলে হবে না আপনি যদি কানাডার কোন ছোট শহরে থেকে লেখাপড়া করেন তাহলে
আপনার ক্যারিয়ার গড়ার দিক থেকে আপনি একটু সুবিধা একটু কম পাবেন।
কানাডায় পড়াশোনার ধরন
আপনি যদি কানাডায় পড়াশোনা করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই কানাডার পড়াশোনার ধরন
সম্পর্কে জ্ঞান রাখতে হবে। আর আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে কানাডায় পড়াশোনা করতে চান
তাহলে সবার প্রথমে আপনাকে যে বিষয়টা জানতে হবে তা হলো – আপনাকে স্কলারশিপ এর
সুযোগ নিতে হবে। আর এর প্রধান কারণ হলো কানাডাতে এমন অনেক ধরনের সরকারি ও
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ প্রদান করা হয়ে থাকে।
আপনাকে প্রথমে জানতে হবে কানাডায় অবস্থিত প্রতিটা বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট দুটি করে
ধাপ রয়েছে। যেমন – পোস্ট গ্রাজুয়েট এবং আন্ডার গ্রাজুয়েট। কানাডার
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বছরে মোট তিনটি করে সেমিস্টার নেওয়া হয়। আর যারা আন্ডার
গ্রাজুয়েট নিয়ে কানাড়াতে লেখাপড়া করেন তাদের ক্ষেত্রে স্কলারশিপের তেমন কোনো
সুযোগ সুবিধা নেই বললেই চলে।
আরো পড়ুনঃ ফেসবুক পেজ বুস্ট কি – ফেসবুক পেজ বুস্ট করার যাবতীয় নিয়ম
কিন্তু যারা কানাডাতে পোস্ট গেজুয়েটে পড়াশোনা করেন তাদের নানা ধরনের সুবিধা ভোগ
করতে পারেন।যদি কানাডায় পোস্ট গ্যাজুয়েট নিয়ে পড়াশোনা করতে পারেন তাহলে আপনি
নিজের লেখাপড়ার খরচ চালানোর পাশাপাশি নিজের বাড়িতেও কিছু টাকা পাঠাতে পারবেন।
তবে আপনি যদি আন্ডার গ্রাজুয়েট নিয়ে কানাডায় লেখাপড়া করেন তাহলে আপনাকে
অবশ্যই ভালো ফলাফল করতে হবে।
ভালো ফলাফলের উপর অনেক সময় ছোটখাটো কিছু স্কলারশিপ দেওয়া হয়ে থাকে। তবে
আপনাকে মনে রাখতে হবে অধিকাংশ সময় আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ
দেওয়া হয় না। তবে আপনি কানাডাতে পড়াশোনা করার সময় “কো ওপ” নামের একটি বিশেষ
অপশন দেখতে পাবেন যেখানে আপনার লেখা পড়ার কাজে যে টাকা প্রয়োজন হবে সেগুলো পে
করবে কোন নির্দিষ্ট একটি কোম্পানি।
কানাডায় মাস্টার্স স্কলারশিপ
আপনি যদি কানাডায় মাস্টার্স স্কলারশিপ এর সুবিধা পান তাহলে মনে রাখবেন আপনার
টিউশন ফি এর চাপ অনেকটা কমে যাবে কেননা কানাডাতে এমন অনেক ধরনের বিশ্ববিদ্যালয়
রয়েছে যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্কলারশিপের সুযোগ পেলে আপনার টিউশন ফি এর পরিমাণ
একেবারে অর্ধেক হয়ে যাবে।
আবার অনেক এমন বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে যারা টিউশন ফি একেবারে শতকরা ৮0 ভাগ
পর্যন্ত মৌকুফ করে দেয়। এছাড়াও আপনার মাস্টার্স রিসার্চ করার সময় যে অর্থ
প্রয়োজন হবে সেগুলো সম্পূর্ণভাবে বিশ্ববিদ্যালয় বহন করবে।
কানাডায় মাস্টার্স স্কলারশিপ এর ওপর অনেক সুবিধার রয়েছে তবে কানাডায় মাস্টার
স্কলারশিপ এর প্রকারভেদ রয়েছে সেগুলো হল-
- কানাডায় সরকারি বৃত্তি
- কানাডায় পড়ার জন্য বেসরকারি বৃত্তি
- কানাডায় পড়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট বৃত্তি
কানাডায় সরকারি বৃত্তি
কানাডার সরকার সাধারণত এই ভিত্তিগুলো কিছু ব্যতিক্রমী ছাত্রদের জন্য অফার করে
থাকে যারা কানাডায় ডিগ্রি অর্জন করতে এবং যোগ্যতার মানদণ্ড পূরণ করতে চাই
তাদের জন্য এই ভিত্তিগুলো প্রদান করা হয়ে থাকে।
কানাডায় পড়ার জন্য বেসরকারি বৃত্তি
কানাডায় পড়াশোনা করার জন্য এই বেসরকারি বৃত্তিগুলো বিভিন্ন সংস্থা দ্বারা
স্পন্সর করা হয়ে থাকে। আর এই বৃত্তি গুলো পেলে আপনার পড়াশোনার
সম্পন্ন খরচ বহন করবে না কিন্তু আপনার সেই দেশের পড়াশোনার অধিকাংশ খরচ এই
বেসরকারি সংস্থাগুলো বহন করবে।
আরো পড়ুনঃ ভালো ব্রান্ডের- এসির- দাম সহ এসি সম্পর্কে দশ ১০ টি বিষয় জেনে নিন
তবে কানাডায় আপনি মাস্টার্স স্কলারশিপ পেতে যেসব শর্তগুলো প্রয়োজন হবে তা
হলো-
-
আপনি কানাডায় যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চান সেই বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির অনুমতি
পত্র প্রদান করতে হবে। -
আপনাকে সবার আগে প্রতিশ্রুতি দিতে হবে যে,আপনার মাস্টার্স কোর্স সম্পূর্ণ হয়ে
যাওয়ার পর আপনি পুনরায় নিজ দেশে ফিরে আসবেন। -
অতীতের দিনগুলোতে কোনভাবেই আপনার মামলা কিংবা কোন ধরনের অপরাধমূলক কাজের সাথে
জড়িত হওয়ার কোন প্রমাণ থাকা যাবে না। - আপনার অতীতের শিক্ষাগত বা একাডেমিক রেজাল্ট ভালো হতে হবে।
-
আবার অনেক বিশ্ববিদ্যালয় আপনার ব্যাংক ব্যালেন্স চেক করার অনুমতি চাইবে।
এক্ষেত্রে আপনার ব্যাংকে কমপক্ষে ৩০ লক্ষ টাকা ৬ মাসের জন্য থাকতে হবে। -
আপনাকে অবশ্যই প্রমাণ করতে হবে যে আপনি কানাডায় পড়াশোনা করার জন্য পর্যাপ্ত
অর্থ বহন করতে পারবেন।
এছাড়াও আপনাকে মনে রাখতে হবে যে, আপনি যদি কানাডায় মাস্টার্স স্কলারশিপ নিতে
চান তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে আরও অন্যান্য যোগ্যতার প্রয়োজন দেওয়া লাগতে
পারে। তবে উপরোক্ত তথ্যগুলো দিয়ে আপনি কানাডার স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে
মাস্টার্স কমপ্লিট করতে পারবেন।
কানাডায় আন্ডার গ্রাজুয়েট স্কলারশিপ
কানাডার বিশ্ববিদ্যালয় গুলো এ স্টুডেন্টদের বিভিন্ন স্কলারশিপ দিয়ে থাকে। এর
মধ্যে পোস্ট গ্রেজুয়েট স্কলারশিপ এবং আন্ডার গ্রাজুয়েট স্কলারশিপ রয়েছে। যারা
আন্ডার গ্রাজুয়েট স্কলারশিপ নিয়ে কানাডায় যেতে চান তাদের জানা উচিত
আন্ডারগ্রাজুয়েট স্কলারশিপ এর তেমন কোন সুযোগ সুবিধা নেই বললেই চলে।
তবে আন্ডার গ্রাজুয়েট স্কলারশিপে যদি আপনি কানাডায় লেখাপড়া করতে চান
তাহলে আপনাকে অবশ্যই ভালো ফলাফল করতে হবে।
কারণ অনেক সময় ভালো ফলাফলের ওপর ছোটখাটো কিছু স্কলারশিপ এখানে দেওয়া হয়ে থাকে।
আপনি কানাডাতে পড়াশোনা করার সময় “কো অপ” নামের একটি অপশন দেখতে পাবেন যেখানে
আপনার লেখাপড়ার কাজে যে টাকা প্রয়োজন হবে সেগুলো পে করবে কোন নির্দিষ্ট কিছু
কোম্পানি। আপনি যদি আন্ডার গ্রাজুয়েট স্কলারশিপ নিয়ে কানাডায় লেখাপড়া করতে
চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই ভালো ফলাফল করতে হবে।
আইডিআরসি ডক্টরাল রিসার্চ আওয়ার্ড
এই ধরনের স্কলারশিপ গুলো সাধারণত উন্নয়নশীল দেশগুলোর শিক্ষার্থীরা পেয়ে থাকে
যেমন বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের শিক্ষার্থীরা এই স্কলারশিপ এ অগ্রাধিকার
পেয়ে থাকে। আর এই স্কলারশিপ প্রতিবছরই প্রদান করা হয়ে থাকে।
তবে আপনি যদি স্কলারশিপ নিয়ে কানাডায় লেখাপড়ার উদ্দেশ্যে যেতে চান তাহলে
অবশ্যই আপনাকে আর্থিক স্বচ্ছলতার প্রমাণ দেখাতে হবে। সে ক্ষেত্রে একজন
শিক্ষার্থীকে তার পৃষ্ঠপোষকের ন্যূনতম ব্যাংক হিসেবে থাকতে হবে ৩০ লক্ষ টাকা এবং
এই টাকা ন্যূনতম ৬ মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত ব্যাংকে থাকতে হবে। আর যদি
শিক্ষার্থীর স্পন্সর তার মা হোক অথবা বাবা হোক যেই হোক না কেন তাহলে যে স্পন্সর
হবে তার ট্যাক্স এর কাগজপত্র ও ছয় মাসের ব্যাংক পেমেন্ট অবশ্যই দেখাতে হবে।
কানাডা কি ফ্রি এডুকেশন অফার করে
এমন অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী আছেন যারা কানাডায় ফ্রি এডুকেশন অফার আছে কিনা তাদের
মনে প্রশ্ন জাগে। আর যারা জানতে চান কানাডায় কি ফ্রি এডুকেশন অফার করে কিনা !
আমার আজকের পোস্ট তাদের জন্য। কানাডার আলবার্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুল ফ্রি
স্কলারশিপ আছে, স্বাস্থ্য বিমার সুযোগ ও স্নাতক, স্নাতক উত্তর ও পিএইচডি
প্রোগ্রাম এ ফুল ফ্রি স্কলারশিপ এর সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ সহ সকল আন্তর্জাতিক
মানের শিক্ষার্থীরা এই স্কলারশিপের জন্য এখানে আবেদন করতে পারেন।
এছাড়াও টিউশন ফি ছাড় স্কলারশিপ দিয়ে থাকে ইউনিভারসিটি ডি মন্ট্রিল
স্কলারশিপ হল এই স্কলারশিপের জন্য সারা বিশ্ব থেকে আন্তর্জাতিক মানের
শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারে। এখানেও স্ন স্নাতক ,স্নাতকোত্তর এবং
পিএইচডি অধ্যায়নের জন্য এই সুযোগগুলো দেওয়া হয়ে থাকে।
কানাডায় স্টুডেন্ট কত ঘন্টায় কাজ করতে পারে
কানাডায় একজন স্টুডেন্ট এক সপ্তাহে অর্থাৎ সাত ৭ দিনে বিশ ২০ ঘন্টা পার টাইম কাজ
করতে পারে। তবে ব্যাচেলার স্টুডেন্টের প্রথম এক বছর কাজ করার তেমন সুযোগ থাকে না।
তবে যদি ব্যাচেলার স্টুডেন্ট চায় তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে টিএ TA,আরএ RA,
অফিস এসিস্ট্যান্ট Office Assistance হিসেবে কাজ করতে পারে। কিন্তু মূলত এই
কাজগুলো মাস্টার্স বা পিএসডি এর শিক্ষার্থীদের অফার করা হয়ে থাকে।
এছাড়াও স্টুডেন্টের জন্য অফ ক্যাম্পাস ওয়ার্ক পারমিট এর সুবিধা রয়েছে। এই
সুবিধা পেতে হলে অবশ্যই একজন স্টুডেন্টকে এক বছর অপেক্ষা করতে হবে। তবে ৬ মাস
পুরোদমে লেখাপড়া করার পরে এপ্লাই করতে পারবে কিন্তু কাগজ জোগাড় করতে সময় লেগে
যায় প্রায় সাত থেকে আট ৭-৮ মাস। কিন্তু কানাডা সম্প্রতি বাংলাদেশকে সন্দেহজনক
দেশের তালিকায় যুক্ত করেছে যার কারনে কাগজপত্র প্রসেসিং করতে সময় লেগে যায় ১৫
দিনের পরিবর্তে কমপক্ষে তিন ৩ মাস।
আরো পড়ুনঃ আইপিএস ( IPS) – এর দাম – ব্র্যান্ড সম্পর্কে জেনে নিন
তাই একজন স্টুডেন্ট কে সব মিলিয়ে প্রায় এক বছর অপেক্ষা করতে হয় কাজ করার
অনুমতির জন্য। আর অনুমতির আগে একজন স্টুডেন্ট এর ক্যাম্পাসের বাইরে কোন কাজ করা
অবৈধ। তবে অনুমতির পরে একজন স্টুডেন্ট সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজ করতে পারে। তবে শুরুর
দিকে এই কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম তবে তারা ইচ্ছে করলে অন অফ ক্যাম্পাসে কাজ
করে থাকা খাওয়ার খরচ জোগাড় করতে পারে কিন্তু টিউশন ফি এর খরচ তারা জোগাড় করতে
পারে না।
কানাডিয়ান প্রেসিডেন্টশিয়াল স্কলারশিপ
বাংলাদেশ সহ বিশ্বের সকল দেশের শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপের মাধ্যমে চার বছর
মেয়াদী স্নাতক প্রোগ্রামে অধ্যয়নের সুযোগ দেয় কানাডিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়,
কানাডিয়া। বাংলাদেশসহ আন্তর্জাতিক যে কোন দেশের শিক্ষার্থীরা স্কলারশিপের জন্য
এখানে আবেদন করতে পারবেন। যেসব শিক্ষার্থী কানাডিয়ান প্রেসিডেনশিয়াল
স্কলারশীপ এর জন্য নির্বাচিত হবে তাদের যে সুযোগ প্রদান করবে তা হলো-
- টিউশন ফি সম্পূর্ণ ফ্রি।
- আবাসন খরচ প্রদান করবে।
- বই পুস্তকের খরচ বহন করবে।
-
বাংলাদেশ সহ বিশ্বের যে কোন দেশের শিক্ষার্থীরা এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে
পারবে।
স্কলারশিপে আবেদনের যোগ্যতা
কানাডিয়ান প্রেসিডেনশিয়াল স্কলারশিপ পেতে হলে শিক্ষার্থীদের আবেদনের যেসব
যোগ্যতা থাকতে হবে তা হল-
- একাডেমিক ফলাফল ভালো থাকতে হবে
- আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী হতে হবে
- উচ্চ মাধ্যমিক পাশ হতে হবে
- ইংরেজি ভাষায় দক্ষ হতে হবে
বিশেষ শর্তঃ স্কলারশিপের আওতায় লেখাপড়া করলে সেখানে বিশেষ শর্ত আছে সেটা
মানতে হবে। আর তা হলো – স্নাতক চার বছর পড়াকালে অর্থ উপার্জনের জন্য কোন চাকরিতে
প্রবেশ করা যাবে না। তবে শিক্ষার্থীরা পছন্দের যে কোন বিষয় নিয়ে অধ্যায়নের
সুযোগ পাবে। আর ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার সনদ প্রদর্শন করতে হবে।
শেষ কথা
প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, আপনারা যারা স্কলারশিপ নিয়ে কানাডায় যেতে চান আমি
আজকে আমার আর্টিকেলের মাধ্যমে তাদের জন্য বিস্তারিত ভাবে লেখার চেষ্টা করেছি। আমি
আশা করি আমার এই লেখা আপনাদের অনেক উপকারে আসবে। আর যদি উপকারে আসে তাহলে
বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করতে ভুলবেন না।