ধারা–১
শিরোনাম: সংক্ষিপ্ত শিরোনাম বিস্তৃতি প্রযোজ্যতা ও আরাম্ভ[Short title, extent, application and commencement]
আলোচ্য বিষয়:এই অধ্যাদেশটিকে মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ, ১৯৬১ বলা হয়েছে। এটি বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের মুসলিম নাগরিকের জন্য প্রযোজ্য।
ধারা–২
শিরোনাম: সংজ্ঞাসমূহ[Definitions]
আলোচ্য বিষয়:এই ধারায় সালিশী পরিষদ,চেয়ারম্যান,পৌর কর্পোরেশন, পৌরশাব, নির্ধারিত ও ইউনিয়ন পরিষদ এর সংজ্ঞা প্রদান করা হয়েছে।
ধারা–৩
শিরোনাম: অন্যান্য আইন, ইত্যাদির উপর প্রাধান্য[Ordinance to override other Laws, etc.]
আলোচ্য বিষয়:কোন আইন, প্রথা বা usage সত্ত্বেও এই অধ্যাদেশের বিধান কার্যকর হবে। সালিসি আইন–১৯৪০, দেওয়ানী কার্যবিধি, ১৯০৮ এর বিধান এবং আদালতের পদ্ধতি নিয়ন্ত্রণকারী অন্য কোন আইন কোন সালিশি পরিষদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।
ধারা–৪
শিরোনাম: উত্তরাধিকার[Succession/Inheritance]
আলোচ্য বিষয়: যার সম্পত্তি বন্টন বা ভাগ বাটোয়ারা করা হবে[Propositus],তার মৃত্যুর পূর্বে তার কোন পুত্র বা কন্যা মারা গেলে এবং উক্ত ব্যক্তির মৃত্যুর পর তার সম্পত্তি বন্টনের সময় উক্ত পুত্র বা কন্যার কোন সন্তানাদি জীবিত থাকলে তারা সেই হারে[equivalent] সম্পত্তিপাবে, যা তাদের পিতা বা মাতা জীবিত থাকলে পেত। এখানে প্রতিনিধিত্বের নীতি বা মতবাদ[Doctrine of Representation] স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে।
ধারা–৫
শিরোনাম: বিবাহ নিবন্ধন[Registration of marriages][বিলুপ্ত]
আলোচ্য বিষয়: মুসলিম বিবাহ ও বিবাহবিচ্ছেদ (নিবন্ধন) আইন, ১৯৭৪ এর ১৫ ধারা মোতাবেক বিলুপ্ত করা হয়েছে।
ধারা–৬
শিরোনাম: বহুবিবাহ[Polygamy]
আলোচ্য বিষয়: মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ–১৯৬১এর ৬ ধারায় বহুবিবাহ প্রথার প্রবণতাকে সীমিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। সালিশ পরিষদের অনুমতি ছাড়া বিবাহ বারণ,নির্ধারিত ফী দিয়ে সালিশ পরিষদে বিয়ের অনুমতির জন্য আবেদন, প্রস্তাবিত বিয়ের আবেদনটি অর্থাৎ বিবাহটি প্রয়োজন ও ন্যায় সঙ্গত কিনা তা দেখে সালিশ পরিষদ কর্তৃক শর্তসাপেক্ষে প্রার্থীত অনুমতি মঞ্জুর করার বিধান এবং অনুমতি ছাড়া বিবাহের পরিনাম সম্পর্কে বিধান বর্ণিত রয়েছে।
ধারা–৭
শিরোনাম: তালাক[Talaq]
আলোচ্য বিষয়: স্বামী কর্তৃক কোন কারণ ব্যতীত একতরফা তালাক দেওয়ার প্রবণতাকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হয়েছে।
ধারা–৮
শিরোনাম: তালাক ব্যতীত অন্য উপায়ে বিবাহ ভঙ্গ[Dissolution of marriage otherwise than by talaq]
আলোচ্য বিষয়: এই ধারায় বলা আছে যে, স্বামী বা স্ত্রী তালাক [divorce] ছাড়া অন্য কোন উপায়ে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চাইলেএই অধ্যাদেশের ৭ ধারার মূল বিষয়কে প্রভাবিত না করে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করা[mutatis mutandis] যথাসম্ভব প্রযোজ্য হবে।
ধারা–৯
শিরোনাম: ভরণপোষণ[Maintenance]
আলোচ্য বিষয়: শরিয়া আইনে ভরণপোষণ[Maintenance] আদায়ের অনিশ্চয়তাকে মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ–১৯৬১ নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে। শরিয়া আইনে স্ত্রীকে ভরণপোষণ করা স্বামীর কর্তব্য ছিল কিন্তু আইনগত কোনো বাধ্যবাধকতা ছিল না।
ধারা–১০
শিরোনাম: দেনমোহর[Dower]
আলোচ্য বিষয়: কাবিননামা বা নিকানামা বা বিবাহ চুক্তিতে [nikah nama, or the marriage contract] দেনমোহরের ঋণ পরিশোধের কোন সুনির্দিষ্ট পন্থা [mode of payment of
dower] উল্লেখ না থাকলে দেনমোহরের পুরো অর্থই স্ত্রীর চাহিদামাত্র পরিশোধযোগ্য [payable on demand] বলে গণ্য করা হয়েছে।
ধারা–১১
শিরোনাম: বিধিমালা প্রণয়নের ক্ষমতা[Power to make rules]
আলোচ্য বিষয়: সরকার এই অধ্যাদেশের উদ্দেশ্য কার্যকরের উদ্দেশ্যে বিধি প্রণয়ন করতে পারবে এবং বিধি লঙ্ঘনের দায়ে সাধারন কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড কিংবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রাখা হয়েছে।
ধারা–১১[ক]
শিরোনাম: বিচারের স্থান[Place of trial]
আলোচ্য বিষয়: এই অধ্যাদেশের অধীনে স্থানীয় সীমার মধ্যে অবস্থিত [অপরাধ সংঘটিত হয়েছিল এবং অভিযোগকারী বা অভিযুক্ত বাস করেন কিংবা সর্বশেষ বসবাস করেন।] এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতের মাধ্যমে অপরাধের বিচার করার বিধান বর্ণিত হয়েছে।
ধারা–১২
শিরোনাম: ১৯২৯ সালের বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের সংশোধন
আলোচ্য বিষয়:বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন–১৯২৯ সংশোধনকল্পে বেশ কিছু শব্দ বা শব্দাবলী প্রতিস্থাপন করা হয়েছে,সংজ্ঞা প্রদান করা হয়েছে এবং অত্র অধ্যাদেশের ১১ ধারা বিলুপ্ত করা হয়েছে।
ধারা–১৩
শিরোনাম: ১৯৩৯ সালের মুসলিম বিবাহ বিচ্ছেদ আইনের সংশোধন
আলোচ্য বিষয়: মুসলিম বিবাহ বিচ্ছেদ আইন, ১৯৩৯ সংশোধনকল্পে নতুন ধারা সন্নিবেশ করা হয়েছে।
ডাউনলোড করুন The Muslim Family Laws Ordinance, 1961এর pdf