প্রশ্নঃ মৃত্যুকালীন ঘোষণা কি? ঘোষণাকারী যদি দৈবাৎ বেঁচে যায় তাহলে তার মৃত্যুকালীন ঘোষণার পরিণতি কি হবে?
মৃত্যুকালীন ঘোষণাঃ সাক্ষ্য আইনের ৩২ ধারা মতে, কোন নিহত ব্যক্তি মৃত্যুর পূর্বে যদি তার মৃত্যুর কারণ, অবস্থা এবং পরিস্থিতি বর্ণনা করে কোন বিবৃতি বা জবানবন্দী প্রদান করে থাকেন তবে তাকে মৃত্যুকালীন ঘোষণা বলা হয়। ৩২ (১) ধারায় বলা হয়েছে যে, যদি কোন মামলায় কোন মৃত ব্যক্তির মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে কোন প্রশ্ন উঠে তখন ঐ ব্যক্তির মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে অথবা যে অবস্থা এবং পরিস্থিতিতে তার মৃত্যু ঘটেছে সে সম্পর্কে যদি বিবৃতি প্রদান করে থাকে, তবে এরূপ বিবৃতি প্রদানের সময় বিবৃতি দানকারীর মৃত্যুর আশংকা উপস্থিত থাকুক বা না থাকুক এবং যে মামলায় তার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে প্রশ্ন উঠে তার প্রকৃতি যাই থাকুক না কেন, উক্ত বিবৃতি প্রাসঙ্গিক। এরূপ ঘোষণা লিখিত হতে পারে বা মৌখিক হতে পারে কিংবা ভাব ভঙ্গির মাধ্যমে প্রকাশিত হতে পারে । ইহা ম্যাজিস্ট্রেট বা কোন বিশেষ ব্যক্তির নিকট ঘোষণা করতে হবে তার কোন বাধ্যবাধকতা বা বিধি- বিধান নেই। ম্যাজিস্ট্রেট বা পুলিশ অফিসার বা সাধারণ নাগরিকের নিকট এরূপ ঘোষণা বা বিবৃতি প্রদান করা যায় ৷
ঘোষণাকারী বেঁচে গেলে এরূপ ঘোষণার গ্রহণযোগ্যতাঃ ঘোষণাকারী যদি মারা না-যান অর্থাৎ দৈবাৎ বেঁচে উঠেন তবে তার এই ঘোষণা ৩২ (১) ধারা মতে মৃত্যুকালীন ঘোষণা হিসেবে গ্রহণযোগ্য হবে না। তবে সাক্ষ্য আইনের ১৫৭ ধারার বিধান মোতাবেক তা সমর্থনমূলক সাক্ষ্য হিসেবে গৃহীত হতে পারে। ঘোষণাকারী বেঁচে গেলে ঘোষণাকারী স্বয়ং আদালতে উপস্থিত থেকে শপথ বাক্য পাঠ ও জেরার সম্মুখীন হতে পারেন। এক্ষেত্রে সমর্থনমূলক সাক্ষ্য অপরিহার্য হয়ে পড়ে।