অর্থনৈতিক নৃবিজ্ঞানঃ নৃবিজ্ঞান পূর্ণাঙ্গ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সমাজ ও সামাজিক মানুষকে অধ্যয়ন করে থাকে। নৃবিজ্ঞানের সনাতন বিষয়বস্তু, পৃথিবীর বিভিন্ন এলাকার আরবাসী ও প্রাক শিল্পযুগের মানুষ ও তাদের কার্যকলাপ নৃবিজ্ঞানের প্রধান প্রাথমিক বিষয়বস্তু। অর্থনৈতিক নৃবিজ্ঞানের বিজ্ঞানভিত্তিক বা সুনির্দিষ্ট তেমন কোন সংজ্ঞা কোন নৃবিজ্ঞানী প্রদান করেননি। তবুও বিভিন্ন নৃবিজ্ঞানী বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে বিভিন্নভাবে সংজ্ঞা প্রদান করেছেন। যথা-
নৃবিজ্ঞানী Morulin Harris তার An Introduction to General Anthropology গ্রন্থে বলেন, Economic anthropology mediates between Social organization and ecology.
Wikipedia এর ভাষ্য মতে, Economic anthropology is a field that attempts to explain human economic behavior in its widest historic, geographic and cultural scope. It is an amalgamation of economics and anthropology.
পরিশেষে বলা যায়, অর্থনৈতিক নৃবিজ্ঞান এমন একটি বিষয় যার সঠিক সংজ্ঞা প্রদান সত্যই জটিল। তবুও আমরা আলােচনায় একথা বলতে পারি যে, অর্থনৈতিক নৃবিজ্ঞান হল অভাব মােচন তথা চাহিদা মিটানাের নিমিত্তে সমাজের প্রযুক্তি বিদ্যা, প্রাকৃতিক সম্পদ ও শ্রমের সমন্বয়ে গঠিত উৎপাদিত জিনিসের বণ্টন, বিনিময় ও বেচাকেনার সমষ্টি। উল্লেখ্য যে, অর্থনৈতিক নৃবিজ্ঞান শুধু আদিম অর্থনীতি নিয়ে আলােচনা করে না বরং আধুনিক অর্থনীতি নিয়ে গবেষনায় কৌতূহলী ।
পরিশেষঃ পরিশেষে বলা যায় যে, আদিম সমাজে কোন সৃষ্ট জীবন ধারণ পদ্ধতি ছিল না। কিন্তু হাতিয়ারের উন্নতি বিশেষত বল্লম ইত্যাদি আবিষ্কারের ফলে মানুষের উৎপাদন ক্ষমতা অর্থাৎ পশু শিকারেরও খাদ্য সংগ্রহের ক্ষমতা, অনেক বেড়ে যায়। এর ফলে দলের মধ্যে কাজের বিভাগ দেখা দিল এবং দলের সংগঠনেও অনেক পরিবর্তন এল।