অথবা, ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব কী?
ভূমিকাঃ সমাজবিজ্ঞানে যেসকল উল্লেখযােগ্য প্রত্যয় রয়েছে তার মধ্যে ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব এই বিষয়গুলাে আলােচিত হয়ে থাকে রাষ্ট্র, আমলাতন্ত্র, রাজনৈতিক দল ও স্বার্থগােষ্ঠী সম্পর্কিত আলােচনা পরিপ্রেক্ষিতে। কেননা রাষ্ট্র, আমলাতন্ত্র, রাজনৈতিক দল ও স্বার্থগােষ্ঠী আলােচনায় ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব ওতপ্রােতভাবে জড়িয়ে রয়েছে।
ক্ষমতাঃ মানুষের আচার-ব্যবহারকে প্রভাবিত বা নিয়ন্ত্রণ করার উদ্দেশ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সামর্থ্যকে বুঝায়। অর্থাৎ ক্ষমতা হলাে এক ধরনের শক্তি, সামর্থ্য বা দক্ষতাপ্রসূত এক রকম প্রভাব।
কর্তৃত্বঃ কর্তৃত্ব সাধারণত বৈধভাবে অর্জিত হয়ে থাকে। কর্তৃত্ব রাজনৈতিক ব্যবস্থায় খুবই গুরুত্ব সহকারে বিবেচিত হয়ে থাকে। জনসাধারণের সহজ ও স্বাভাবিক স্বীকৃতির ওপর ভিত্তি করেই কর্তৃত্বের সৃষ্টি হয়ে থাকে।
প্রামাণ্য সংজ্ঞাঃ নিম্নে কর্তৃত্বের উল্লেখযােগ্য কয়েকটি সংজ্ঞা তুলে ধরা হলাে-
কর্তৃত্বের সংজ্ঞা প্রদান করতে গিয়ে ফেরেল (Freel) বলেন, “আদেশ দান এবং উক্ত আদেশ পালনে বাধ্য করার অধিকার ও ক্ষমতাকে কর্তৃত্ব বলা হয়।”
বি.ডি. জুভেলিন (B. D. Jouvene) এর মতে, কর্তৃত্ব হলাে সম্মতিদানে প্ররােচিত করার দক্ষতা, এটি হচ্ছে কর্তৃত্বকে অনুসরণ করা ঐচ্ছিক সাইন। এ ঐচ্ছিক সম্মতি শেষ হলে কর্তৃত্বও শেষ হয়।
ডেভিড পােপিনাে (David Popenoe) এর মতে, কর্তৃত্ব হচ্ছে বৈধ ক্ষমতা, যেটি চরিত্রগত দিক থেকে প্রাতিষ্ঠানিক।
পরিশেষঃ পরিশেষে বলা যায় যে, কর্তৃত্ব হচ্ছে এক ধরনের বৈধ ক্ষমতা কিন্তু অবৈধভাবে কোনাে প্রকার প্রভাব খাটানাে কর্তৃত্বের আওতায় পড়বে না। অবৈধভাবে ক্ষমতা প্রয়ােগ কর্তৃত্ব নয় বরং তা হলাে জবরদস্তি।