বিজ্ঞানী রবার্ট ব্রাউন পোলেন কণাকে পানিতে ছেড়ে দিয়ে লক্ষ্য করেন কণাগুলো অবিরাম ইতস্তত গতিশীল অবস্থায় থাকে। তিনি লক্ষ্য করেন তাপমাত্রা বা কোন বাহ্যিক কারণে কণাগুলোর গতিবিধির কোন পরিবর্তন হয়না।
তখন তিনি সিদ্ধান্তে পৌঁছান যে কনার এরূপ গতি বাহ্যিক কারণ বা তাপমাত্রার উপর নির্ভর করে না বরং এটি তার নিজস্ব ব্যাপার।
যে কোন কলয়ডীয় কণার এরূপ অবিরাম গতিকে আবিষ্কারকের নাম অনুসারে ব্রাউনীয় গতি বলা হয়। পানির কণাগুলো সর্বদা ইতস্তত বিচরণশীল থাকায় তারা কলয়েড কণাগুলোকে চারিদিক থেকে অনবরত ধাক্কা দেয়। কলয়েড কণাগুলো অতি ক্ষুদ্র হওয়ায় ধাক্কা গুলি সাধারণত অসমান হয়। ফলে কণাটি কোন এক দিকে ধাবিত হয়। এভাবে ধাক্কার মাধ্যমে কলয়েড কণাগুলো অনবরত দিক পরিবর্তন করে।
কনার আকার বৃদ্ধির সাথে সাথে অসমান ধাক্কার সম্ভাবনা হ্রাস পায়। বড় আকারের কনার ক্ষেত্রে এ ধাক্কা চারিদিক হতে সমানভাবে আসে। যার কারণে বড় কণা গুলির ক্ষেত্রে ব্রাউনীয় গতি প্রায় শূন্য হয়।
সুতরাং বলা যায়, বড় কণাগুলোর ক্ষেত্রে ব্রাউনীয় গতি শূণ্য।