পানির খরতা দুই ধরনের হয়।
স্থায়ী খরতা এবং অস্থায়ী খরতা।
পানির অস্থায়ী খরতা দূর করতে হলে পানিকে শুধু উত্তপ্ত করলেই অদ্রবণীয় কার্বনেট লবণ উৎপন্ন হয়। যা পাত্রের নিচে তলানি আকারে জমা হয়। এই তলানিকে ছাকনের মাধ্যমে পানিকে সহজেই খর মুক্ত করা যায়। অর্থাৎ অস্হায়ী খর পানি মৃদু পানিতে পরিণত হয়।
স্থায়ী খরতাঃ পানিতে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন ইত্যাদির সাথে যদি ক্লোরাইড, সালফেট লবণ দ্রবীভূত থাকে তাহলে ওই পানিকে স্থায়ী খর পানি বলে।
পানির স্থায়ী খরতা সহজে দূর করা যায় না। স্থায়ী খরতা দূর করনের জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি আছে।
যেমনঃ পারমুটিট পদ্ধতি, সোডা অ্যাশ পদ্ধতি, আয়ন বিনিময় রেজিন পদ্ধতি।
এর মধ্যে সোডা অ্যাশ পদ্ধতিতে স্থায়ী খরতা দূর করার জন্য, পানিতে সোডিয়াম কার্বনেট যোগ করলে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন এদের লবণের সাথে সোডিয়াম কার্বনেট বিক্রিয়া করে ক্যালসিয়াম কার্বনেট, ম্যাগনেসিয়াম কার্বনেট, আয়রন কার্বনেটের অধঃক্ষেপ উৎপন্ন করে।
ফলে পানি থেকে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ইত্যাদির ক্লোরাইড, সালফেট লবণ গুলি অপসারিত হয়। এর ফলে পানির স্থায়ী খরতা দূর করা সম্ভব।
খর পানিতে সাবান কাপড় পরিষ্কার করে না। কারণ খর পানিতে বিদ্যামান ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন এদের সাথে সাবান বিক্রিয়া করে সাবানের অধঃক্ষেপ তৈরি করে। যার ফলে সাবানের অপচয় ঘটে।
CaCl₂ + 2RCOONa —–>Ca(RCOO)₂ +2NaCl