বাংলা সিনেমায় নতুন ধারা নিয়ে আসেন মৃণাল সেন। ১৯৫৫ থেকে চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে তার যাত্রা শুরু। আজ অবধি সেই ধারা বহমান রয়েছে। টেলিফিল্ম, শর্টফিল্ম, ডকুমেন্টারি ফিল্ম এবং পূর্ণদৈর্ঘ্যের ছবি সব মিলিয়ে সংখ্যাটি প্রায় পঞ্চাশ ছাড়িয়েছে। তার প্রথম ছবি ‘রাতভাের’ (১৯৫৫)। ওই একই বছর মুক্তি পেয়েছে ‘পথের পাঁচালী’। ‘রাতভাের’-এ ব্যর্থ হলেন পরিচালক মৃণাল সেন। কিন্তু সেই ব্যর্থতা তাকে দমাতে পারেনি। পরবর্তী ছবি নীল আকাশের নীচে এবং তৃতীয় ছবি ‘বাইশে শ্রাবণ’। এর মধ্যেই তিনি খুঁজে নিলেন নিজের চলার পথ। চলচ্চিত্র পরিচালনার আগে চলচ্চিত্র বিষয়ক লেখালেখি থেকেই মৃণাল সেনের ছবি তৈরির ভাবনা শুরু হয়। সত্যজিৎ রায় যেমন শুরু থেকেই ধ্রুপদি সাহিত্য অবলম্বনে ছবি তৈরি করেছেন, মৃণাল সেন তা করেননি। বরং তাঁর বিপরীত অবস্থানটিই মৃণাল সেনের ছবির বৈশিষ্ট্য। সত্যজিৎ রায় সে কথা স্বীকার করে বলেছেন—“দে স্টার্টেড অ্যাট অ্যাবাউট দ্য সেম টাইম অ্যাজ আই ডিড, ঋত্বিক অ্যান্ড মৃণাল, দে ওয়্যার মেকিং ফিল্ম ভেরি ডিফারেন্ট ফ্রম মাইন, ভেরি ডিফারেন্ট, বাট ভেরি পাওয়ারফুল, আই থিংক।”
মৃণাল সেন পরিচালিত উল্লেখযােগ্য ছবিগুলি হল—’নীল আকাশের নীচে’ (১৯৫৮), ‘বাইশে শ্রাবণ’ (১৯৬০), ‘আকাশ কুসুম’ (১৯৬৫), ‘ভুবন সােম’ (১৯৬৯), ‘কলকাতা ৭১’ (১৯৭২), ‘পদাতিক’ (১৯৭৩), ‘আকালের সন্ধানে’ (১৯৮২), ‘মহাপৃথিবী’ (১৯৯১) ইত্যাদি। সারা জীবনে মৃণাল সেন অসংখ্য জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন। তার নির্মিত তথ্যচিত্রগুলির মধ্যে রয়েছে ‘মুভিং পারসপেকটিভ’ (১৯৬৭), ‘ত্রিপুরা প্রসঙ্গ’(১৯৮২), ‘ক্যালকাটা মাই এলডােরাডাে’ (১৯৮৯), ‘অ্যান্ড দি শাে গােজ অন’ (১৯৯৬)। এ ছাড়াও তিনি ‘তসবির আপনি আপনি’ (১৯৮৪) নামে একটি দূরদর্শন চিত্র, বহু দূরদর্শন ধারাবাহিকের চিত্রনাট্য রচনা করেন (যেমন—’দশ সাল বাদ’, ‘আজনভি’, ‘শাল’, ‘সালগিরা’, ‘জিত’, ‘দো বহেন’, ‘আজকাল’, ‘রবিবার’, ‘আয়না’, ‘স্বয়ম্ভব’, ‘কভি দূর কভি পাস’, ‘অপরাজিত’)। ‘রাজধানী থেকে’ (১৯৫৮), ‘কানামাছি’ (১৯৬১), ‘জোড়াদীঘির চৌধুরী পরিবার’ (১৯৬৬) এবং “কাচকাটা হীরে’ (১৯৬৬)-র চিত্রনাট্যও মৃণাল সেনের রচনা।
বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে তপন সিংহের অবদান সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করাে।
বাংলা সিনেমার স্মরণীয় কয়েকজন অভিনেতা-অভিনেত্রীদের পরিচয় দাও।
বাংলা তথ্যচিত্রের ধারা সম্পর্কে আলােচনা করাে।
অথবা, তথ্যচিত্র বলতে কী বােঝ? বাংলা তথ্যচিত্র সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলােচনা করাে।
ঔপনিবেশিক বাংলায় আধুনিক বিজ্ঞানচর্চার সূত্রপাতে বােটানিক্যাল গার্ডেনের ভূমিকা ব্যক্ত করে।
ঔপনিবেশিক বাংলায় আধুনিক বিজ্ঞানচর্চার সূত্রপাতে এশিয়াটিক সােসাইটির অবদান কতখানি তা বিশ্লেষণ করে বুঝিয়ে দাও।
ঔপনিবেশিক বাংলায় শ্রীরামপুর মিশন আধুনিক বিজ্ঞান-চর্চায় প্রচার ও প্রসারে কীভাবে অংশ নিয়েছিল তা পর্যালােচনা করাে।
ঔপনিবেশিক বাংলায় আধুনিক বিজ্ঞানচর্চার সূত্রপাত প্রসঙ্গে স্কুল বুক সােসাইটির ভূমিকা নির্ণয় করাে।
হিন্দু কলেজে আধুনিক বিজ্ঞানচর্চার সূত্রপাত কীভাবে ঘটেছিল তা আলােচনা করাে।
অথবা, বাংলার আধুনিক জ্ঞান বিজ্ঞানচর্চার প্রেক্ষাপটে হিন্দু কলেজের অবদান সংক্ষেপে লেখাে।
বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে নীলরতন সরকারের অবদান আলােচনা করাে।
বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে রাধাগােবিন্দ করের অবদান আলােচনা করাে।
বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে কাদম্বিনী বসুর অবদান আলােচনা করাে।
অথবা, বাংলার চিকিৎসাবিজ্ঞানের ইতিহাসে ড. কাদম্বিনী (বসু) গঙ্গোপাধ্যায়ের পরিচয় দাও।
অথবা, বাংলা চিকিৎসা বিজ্ঞানে কাদম্বিনী (বসু) গঙ্গোপাধ্যায়ের ভূমিকা সম্পর্কে আলােচনা করাে।
বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে উপেন্দ্রনাথ ব্রম্মচারীর অবদান আলােচনা করাে।