১৮৪১ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন ভারতীয় চক্ষুচিকিৎসার ইতিহাসের অন্যতম ব্যক্তিত্ব লালমাধব মুখােপাধ্যায়। শিক্ষাজীবনে তিনি ফ্রিচার্চ কলেজে আলেকজান্ডার ডাফ, রেভারেন্ড ডা. এ ওয়ার্ট এবং রেভারেন্ড ডা. ফিফের সান্নিধ্যে এসে খ্রিস্টান থিয়ােলজি সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করেন। এদের সান্নিধ্যে থেকেও তিনি আপন ধর্মের প্রতি অনুরাগ হারিয়ে ফেলেননি।
মেডিকেল কলেজে পড়াকালীন তিনি সিভার্স, ফেরার, প্যাটরিজ, ফ্রান্সিস, গুভিড, ম্যাকনামারা প্রমুখকে শিক্ষক হিসেবে পান। ১৮৬৬ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তার স্নাতক হওয়ার বছরেই ওড়িশার দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষজনদের ত্রাণের উদ্দেশ্যে কলকাতার চিৎপুর ও শিয়ালদহ অঞ্লে দুটি হাসপাতাল খােলা হলে তিনি সেগুলির দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। চোখের চিকিৎসা এবং তার ওষুধ সম্পর্কে তার তীব্র আকর্ষণ ও জ্ঞান অধ্যাপক চার্লস ম্যাকনামারার নজরে আসে এবং মূলত ম্যাকনামারারই প্রচেষ্টায় তিনি হ্যালিডে স্ট্রিটের কলকাতা অপথ্যালমিক হাসপাতালের রেসিডেন্ট সার্জেন পদে নিযুক্ত হন। লর্ড মেয়াে তাঁকে জয়পুরের মহারাজা সােয়াই জয়সিং-এর চিকিৎসার দায়িত্ব অর্পণ করেন।
পরবর্তীকালে লর্ড নর্থব্রুক তাঁকে জয়পুরে পাঠান। কলকাতার চক্ষুচিকিৎসক হাসপাতালে কিছুদিন কাজ করার পর তিনি ক্যাম্পবেল মেডিকেল স্কুলের প্রধান চক্ষুচিকিৎসকের পদে আসীন হন। ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা মেডিকেল কলেজের চক্ষুচিকিৎসকের পদ অস্থায়ীভাবে খালি হলে তিনি সেই পদের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। শহরের পৌরসভায় নির্বাচিত হয়ে নয় বছরের জন্য তিনি স্বাস্থ্যসংস্কার বিষয়ক কাজও করেন। তিনি বেথুন সােসাইটির সদস্য ও কলকাতা মেডিকেল সােসাইটির সভাপতি ছিলেন।
বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে বনবিহারী মুখােপাধ্যায়ের অবদান আলােচনা করাে।
বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে সুরেশপ্রসাদ সর্বাধিকারীর অবদান আলােচনা করাে।
বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে চুনীলাল বসুর অবদান আলােচনা করাে।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে বিধানচন্দ্র রায়ের অবদান আলােচনা করাে।
বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে গিরীন্দ্রশেখর বসুর অবদান আলােচনা করাে।
বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে গােলকচন্দ্র নন্দীর অবদান আলােচনা করাে।
বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে শিবচন্দ্র নন্দীর অবদান আলােচনা করাে।
স্বদেশি শিল্পের প্রসারে সীতানাথ ঘােষের অবদান আলােচনা করাে।
বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে মহেন্দ্রচন্দ্র নন্দীর অবদান আলােচনা করাে।
বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে রাজকৃষ্ণ কর্মকারের অবদান আলােচনা করাে।
স্বদেশি শিল্পের প্রসারে কালিদাস শীলের ভূমিকা পর্যালােচনা করাে।
বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে নীলমণি মিত্রর অবদান আলােচনা করাে।