টেলিগ্রাফ বিভাগের প্রথম ভারতীয় কর্মী তথা প্রথম ভারতীয় ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার শিবচন্দ্র নন্দী ১৮২৪ খ্রিস্টাব্দের জুন মাসে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। ভারতে বৈদ্যুতিক টেলিগ্রাফ সংক্রান্ত প্রযুক্তিবিদ্যার জন্মদাতাদের মধ্যে তিনি অগ্রণী ছিলেন। গবেষণার কাজ ছাড়াও ব্যাবহারিক প্রয়ােজনে ও পরিস্থিতি অনুসারে বৈজ্ঞানিক তত্ত্বকে সৃজনশীলভাবে প্রয়ােগ করে তিনি কৃতিত্বের পরিচয় দেন। ১৮৬৪ খ্রিস্টাব্দের ২২ ডিসেম্বর তারিখে কলকাতার মেডিকেল কলেজ থিয়েটারে বেথুন সােসাইটির এক সভায় ভারতে বৈদ্যুতিক টেলিগ্রাফ বিষয়ে শিবচন্দ্রের উচ্চপ্রশংসিত বক্তৃতার সারাংশ বেথুন সােসাইটির কার্যবিবরণীতে প্রকাশিত হয়। সেই সভায় বহু বিশিষ্ট শ্রোতাদের মধ্যে ছিলেন বিজয়নগরের মহারাজা ও কুমার সত্যানন্দ ঘােষাল।
কলকাতার টাকশালের রিফাইনারি বিভাগে কেরানির চাকরি করতে গিয়ে-ও শনেসির সঙ্গে শিবচন্দ্র নন্দীর যােগাযােগ হয় এবং তার টেলিগ্রাফ বিষয়ক গবেষণার কাজে শিবচন্দ্র যােগ দেন। ১৮৫২ খ্রিস্টাব্দে সরকার অনুমােদিত ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির প্রথম টেলিগ্রাফ লাইন পাতার কাজে শিবচন্দ্র ইনচার্জ অব দ্য ওয়ার্ক নিযুক্ত হন। কলকাতা থেকে ডায়মন্ডহারবার ও কলকাতা থেকে খেজুরি পর্যন্ত টেলিগ্রাফ লাইন পাতার কাজে প্রথম থেকে শেষ অবধি তিনি তদারকি করেছিলেন। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে স্থাপিত ভারতের প্রথম বৈদ্যুতিক টেলিগ্রাফ লাইনে প্রথম বার্তা প্রেরণের গৌরবও তার প্রাপ্য।
পরবর্তীকালে তারই তত্ত্বাবধানে পূর্ব বরাকর থেকে এলাহাবাদ, বেনারস থেকে মির্জাপুর, মির্জাপুর থেকে সিওনি এবং কলকাতা থেকে ঢাকা অবধি ৯০০ মাইল টেলিগ্রাফ লাইন বিস্তারের কাজ সম্পূর্ণ হয়। অবসরগ্রহণের পর শিবচন্দ্র শিয়ালদায় অবৈতনিক ম্যাজিস্ট্রেটের পদে আদালতের এজলাসে কাজ করেন। বিউবনিক প্লেগ মহামারিতে ৯ এপ্রিল, ১৯০৩ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় তার মৃত্যু হয়। উত্তর কলকাতার বড়ােবাজারের কাছে একটি গলিপথ তারই নামাঙ্কিত, যার নাম শিবু নন্দী লেন।
স্বদেশি শিল্পের প্রসারে সীতানাথ ঘােষের অবদান আলােচনা করাে।
বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে মহেন্দ্রচন্দ্র নন্দীর অবদান আলােচনা করাে।
বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে রাজকৃষ্ণ কর্মকারের অবদান আলােচনা করাে।
স্বদেশি শিল্পের প্রসারে কালিদাস শীলের ভূমিকা পর্যালােচনা করাে।
বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে নীলমণি মিত্রর অবদান আলােচনা করাে।
স্বদেশি শিল্পোদ্যোগের ইতিহাসে উপেন্দ্রকিশাের রায়-চৌধুরীর অবদান আলােচনা করাে।
স্বদেশি শিল্প প্রচারে সুকুমার রায়ের উদ্যোগের বিবরণ লিপিবদ্ধ করাে।
বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে হেমেন্দ্রমােহন বসুর অবদান আলােচনা করাে।
বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে রসিকলাল দত্তের অবদান আলােচনা করাে।
বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে বিপিনবিহারী দাসের অবদান সম্পর্কে আলােচনা করাে।
বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে প্রমথনাথ বসুর অবদান আলােচনা করাে।
মুদ্রণ শিল্প ও পুস্তক প্রকাশনার ইতিহাসে পি. এম. বাগচি অ্যান্ড কোং-এর গুরুত্ব আলােচনা করাে।