১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দের ১৩ নভেম্বর বর্তমান বাংলাদেশের বিক্রমপুর জেলার রাড়িখাল গ্রামে জগদীশচন্দ্র বসু জন্মগ্রহণ করেন। জগদীশচন্দ্র কলকাতায় এসে প্রথমে হেয়ার স্কুলে, পরে সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুল থেকে প্রথম বিভাগে এন্ট্রান্স পাস করে ভরতি হন সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে। কলেজে পড়াকালীন সুখ্যাত অধ্যাপক ফাদার লাফেঁার সংস্পর্শে এসে তার কাছ থেকেই জগদীশচন্দ্র প্রকৃতিবিজ্ঞান ও পদার্থবিজ্ঞানের তত্ত্ব হাতেকলমে পরীক্ষার দ্বারা আয়ত্ত করেন। পিতার ইচ্ছানুসারে দেশসেবার জন্য জগদীশচন্দ্র বিজ্ঞানী হওয়ার সংকল্পে কেমব্রিজে গিয়ে ক্রাইস্টান কলেজে ভরতি হন। চার বছর বিলেতে থেকে বি এসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তিনি পদার্থবিদ্যা, রসায়ন ও উদ্ভিদবিদ্যায় ব্যুৎপত্তি অর্জন করে দেশে ফেরেন।
প্রেসিডেন্সি কলেজে অধ্যাপনার সময় থেকেই তিনি বৈজ্ঞানিক গবেষণার কাজে দেশীয় কারিগর দিয়ে নিজ ব্যয়ে যন্ত্রপাতি তৈরি করান। ক্রমে আকাশস্পন্দন ও আকাশসম্ভব জগৎ, বিদ্যুৎ রশ্মির দিক পরিবর্তন, বিদ্যুৎ তরঙ্গ সৃষ্টি, বিনা তারে সংবাদপ্রেরণ, এক্স-রে, কাচ ও বায়ুর রশ্মিপথ পরিবর্তন করার শক্তি, জীব ও জড় পদার্থের উপর বিদ্যুৎ রশ্মিপাতের ফলের ক্ষমতা, জড় ও জীবের সাড়া দেওয়ার ক্ষমতা প্রভৃতি বিচিত্র বিষয়ে পৃথিবীর নানা গবেষণাগারে মূল্যবান গবেষণা করেন।
এ ছাড়াও তিনি দীর্ঘকাল উদ্ভিদ ও প্রাণীর পেশির তুলনামূলক গবেষণা করেন। তাঁর লেখা বিজ্ঞানবিষয়ক গ্রন্থগুলি হল—Physiology of Ascent of Sap, Physiology of Photosynthesis, Nervous Mechanism of Plants, Growth and Troplc Movements of Plants ইত্যাদি। বাংলায় লেখা তার বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধগুলি অব্যক্ত গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে। প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে অবসর নিয়ে তিনি বসু বিজ্ঞান মন্দির প্রতিষ্ঠায় আত্মনিয়ােগ করেন। ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দের ২৩ নভেম্বর গিরিডিতে এই কর্মবীর বিজ্ঞানসাধকের মহাপ্রয়াণ ঘটে।
বাঙালির বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের অবদান আলােচনা করাে।
বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের অবদান আলােচনা করাে।
বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে মেঘনাদ সাহার অবদান আলােচনা করাে।
বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে সত্যেন্দ্রনাথ বসুর অবদান সম্পর্কে আলােচনা করাে।
বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে দেবেন্দ্রমোহন বসুর অবদান আলােচনা করাে।
বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে প্রিয়দারঞ্জন রায়ের অবদান আলােচনা করাে।
বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে জ্ঞানেন্দ্রনাথ মুখােপাধ্যায়ের অবদান আলােচনা করাে।
বাঙালির বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে আশুতােষ মুখােপাধ্যায়ের অবদান আলােচনা করাে।
বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে ডা. ইন্দুমাধব মল্লিকের অবদান আলােচনা করাে।
বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে শিশিরকুমার মিত্রের অবদান আলােচনা করাে।
বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশের অবদান আলােচনা করাে।
বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে নীলরতন ধরের অবদান আলােচনা করাে।