“..তার কাকুতি-মিনতি শুনে গুরু নানক দুশ্চিন্তায় পড়লেন।”— এই কাকুতিমিনতির কারণ কী ছিল?
কর্তার সিং দুগগালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পে গুরু নানকের শিষ্য মর্দানা প্রবল তৃয়ায় জলের জন্য কাকুতিমিনতি করেছিল।
“আমি কাফেরের শিষ্যকে এক গণ্ডুষ জলও দেব না”—কাফের’ এবং ‘কাফেরের শিষ্য’ বলতে কাদের বােঝানাে হয়েছে?
কর্তার সিং দুগালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পে বক্তা বলী কান্ধারী কাফের বলতে গুরু নানককে আর কাফেরের শিষ্য বলতে নানকের শিষ্য মর্দানাকে বুঝিয়েছেন।
“…ঘুরতে ঘুরতে এসে পৌঁছােলেন…”—কে, কোথায় পৌঁছেছিলেন?
কর্তার সিং দুগগালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পে গুরু নানক ঘুরতে ঘুরতে হাসান আব্দালের জঙ্গলে এসে পৌঁছেছিলেন।
“…ঘুরতে ঘুরতে এসে পৌঁছােলেন…” -যে সময় পৌঁছেছিলেন তখন চারদিকের অবস্থা কেমন ছিল?
দুগগালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পে গুরু নানক যখন হাসান আব্দালের জঙ্গলে এসে পৌঁছেছিলেন তখন ভয়ানক গরম পড়েছিল আর গনগনে রােদে চারদিক শুনসান ছিল।
“কোথাও একটা জনমানুষ নেই।”—কোথায়, কখন একটাও জনমানুষ ছিল না?
কর্তার সিং দুগালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পে গুরু নানক যখন হাসান আব্দালের জঙ্গলে পৌঁছেছিলেন তখন সেখানে একটাও জনমানুষ ছিল না।
“কোথাও একটা জনমানুষ নেই।”—একটাও জনমানুষ নেই কেন?
দুগগালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পে গুরু নানক হাসান আব্দালের জঙ্গলে এসে পৌঁছােনাের সময়ে গনগনে রােদ আর ভয়ানক গরম থাকায় সেখানে একটাও জনমানুষ ছিল না।
“ভাই মর্দানা, সবুর করাে।” -বক্তা কে?
কর্তার সিং দুগালের ‘অলৌকিক’ গল্পের প্রশ্নোধৃত অংশের বক্তা গুরু নানক।
গল্প ─ কে বাঁচায়, কে বাঁচে (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)
গল্প ─ ভাত (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)
গল্প ─ ভারতবর্ষ (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)
কবিতা ─ রূপনারানের কূলে (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)
কবিতা ─ শিকার (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)
কবিতা ─ মহুয়ার দেশ (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)
কবিতা ─ আমি দেখি (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)
কবিতা ─ ক্রন্দনরতা জননীর পাশে (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)
নাটক ─ বিভাব (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)
নাটক ─ নানা রঙের দিন (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)
আন্তর্জাতিক কবিতা ─ পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)
ভাষা ─ ভাষাবিজ্ঞান ও তার বিভিন্ন শাখা (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)
ভাষা ─ ধ্বনিতত্ত্ব (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)
ভাষা ─ রূপতত্ত্ব (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)
ভাষা ─ বাক্যতত্ত্ব (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)
ভাষা ─ শব্দার্থতত্ত্ব (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)
“ভাই মর্দানা, সবুর করাে।” -বক্তা মর্দানাকে সবুর করতে বলেছেন কেন?
দুগগালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পে গুরু নানক তার শিষ্য তৃয়ার্ত মর্দানাকে সবুর করতে বলেছিলেন কারণ তিনি জানতেন পরের গ্রামে গেলেই জল পাওয়া যাবে।
“কিন্তু তার কাকুতি-মিনতি শুনে গুরু নানক দুশ্চিন্তায় পড়লেন।” -কার কাকুতিমিনতি শুনে গুরু নানক দুশ্চিন্তায় পড়লেন এবং কেন?
গুরু নানক তৃয়ার্ত মানার কাকুতিমিনতি শুনে দুশ্চিন্তায় পড়েছিলেন, কারণ জল না পেয়ে যদি মর্দানা পথ চলতে না পারে তাহলে সকলকেই অসুবিধায় পড়তে হবে।
“অথচ সে বেঁকে বসলে সবাইকেই ঝক্কি পােয়াতে হবে।” -এখানে ‘সে’ কে?
কর্তার সিং দুগগালের ‘অলৌকিক’ গল্পের প্রশ্নোধৃত অংশে ‘সে’ বলতে তৃষ্ণার্ত মর্দানাকে বােঝানাে হয়েছে।
“এটাকে ভগবানের অভিপ্রায় বলেই মেনে নাও।” -বক্তা কে?
দুগগালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পে উপর্যুক্ত উক্তিটির বক্তা হলেন গুরুনানক।
“পরিস্থিতি দেখে ধ্যানে বসলেন তিনি।” -তিনি ধ্যানে বসলেন কেন?
তৃয়ার্ত মর্দানা যখন গুরু নানকের উপদেশ শুনেও চলতে রাজি হলেন না, তখন সমস্যামুক্তির জন্য নানক ধ্যানে বসলেন।
“পরিস্থিতি দেখে ধ্যানে বসলেন তিনি।”—তিনি ধ্যান শেষে কী দেখলেন?
গুরু নানক ধ্যান শেষ করার পরে দেখলেন মর্দানা তেষ্টার চোটে জল ছাড়া মাছের মতাে ছটফট করছে।
“সদগুরু তখন ঠোটে হাসি ফুটিয়ে বললেন,”—“সদগুরু’ কে?
কর্তার সিং দুগগালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্প থেকে উদ্ধৃত অংশে ‘সদ্গুরু’ হলেন গুরু নানক।
“সদগুরু তখন ঠোটে হাসি ফুটিয়ে বললেন”, -কোন সময়ের কথা বলা হয়েছে?
দুগগালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পে ধ্যান শেষে গুরু নানক যখন মর্দানাকে তেষ্টায় ছটফট করতে দেখে ঠোটে হাসি ফুটিয়ে তাকে তৃয়া নিবারণের উপায় বলেছিলেন, এখানে সেই সময়ের কথা বলা হয়েছে।
“সদগুরু তখন ঠোটে হাসি ফুটিয়ে বললেন,” -সদগুরু কী বলেছিলেন ?
সদগুরু ঠোটে হাসি ফুটিয়ে বলেছিলেন যে, পাহাড়ের চুড়ােয় বলী কান্ধারী নামে এক দরবেশের কুটিরের কুয়ােতেই একমাত্র জল পাওয়া যেতে পারে। এই তল্লাটে আর কোথাও জল নেই।
“সদগুরু তখন ঠোটে হাসি ফুটিয়ে বললেন,”—সদগুরুর কথা শুনে শ্রোতা তখন কী করল ?
দুগগালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পে সদ্গুরুর কথা শুনে শ্রোতা মর্দানা বলী কাম্ধারীর কুটিরের উদ্দেশ্যে ছুটে গেল।
“…এক দরবেশ কুটির বেঁধে থাকেন।” -উল্লিখিত দরবেশের নাম কী?
কর্তার সিং দুগগালের ‘অলৌকিক’ গল্পে উল্লিখিত দরবেশের নাম বলী কান্ধারী।
“.. এক দরবেশ কুটির বেঁধে থাকেন।”—দরবেশ কোথায় কুটির বেঁধে থাকতেন?
কর্তার সিং দুগগালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পে দরবেশ বলী কান্ধারী পাহাড়ের চূড়ায় কুটির বেঁধে থাকতেন।
“মর্দানা শুনেই ছুটে গেল।”—মানা কোথায় ছুটে গেল?
তৃষ্ণার্ত মর্দানা জলের জন্য পাহাড় চুড়াোয় বলী কাম্ধারীর কাছে ছুটে গেল।
“পাঞ্জা সাহেবের লােকজন খবরটা পেয়ে সবাই উত্তেজিত।” -খবরটি কী ?
খবরটি হলফিরিজ্গিরা নিরস্ত্র ভারতীয়দের ওপর গুলি নিক্ষেপ করছে বাকিদের অন্য শহরের জেলে পাঠানাে হচ্ছে। হুকুম হয়েছে খিদে-তেষ্টায় কাতর, মৃতপ্রায় কয়েদিতে ভরা ট্রেনটি কোথাও থামবে না।
“হাঁপাতে হাঁপাতে শেষ অবধি অনেক কষ্টে উঠতে পারল।”—অনেক কষ্ট হওয়ার কারণ কী?
‘অলৌকিক’ গল্পে মর্দানা তেষ্টায় অত্যন্ত কাতর ছিল। তাই অত্যধিক গরমে পাহাড়ের চুড়ােয় বলীকান্ধারীর কুটিরে পৌঁছােতে তার অনেক কষ্ট হয়েছিল।
“সে কুয়াের দিকে এগুলে হঠাৎ একটা প্রশ্ন জাগল ওর মনে।” -সে বলতে কার কথা বলা হয়েছে?
কর্তার সিং দুগগালের ‘অলৌকিক’ গল্পের প্রশ্নোদ্ধৃত অংশে সে বলতে গুরু নানকের শিষ্য মর্দানার কথা বলা হয়েছে।
“সে কুয়াের দিকে এগুলে হঠাৎ একটা প্রশ্ন জাগল ওর মনে।” -কার মনে প্রশ্ন জাগল ?
কর্তার সিং দুগগালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পে মর্দানা কুয়াের দিকে এগােনাের সঙ্গে সঙ্গে বলী কান্ধারীর মনে প্রশ্ন জাগল।
“সে কুয়াের দিকে এগুলে হঠাৎ একটা প্রশ্ন জাগল ওর মনে।”— প্রশ্নটা কী ছিল?
কর্তার সিং দুগগালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পে বলী কান্ধারীর মনে যে প্রশ্নটি জেগেছিল সেটি হল, মর্দানা কোথা থেকে এসেছে।
“সে কুয়াের দিকে এগুলে হঠাৎ একটা প্রশ্ন জাগল ওর মনে।” -প্রশ্নের উত্তরে ‘সে’ কী বলেছিল?
দুগগালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পে বলী কান্ধারীর প্রশ্নের উত্তরে মর্দানা জানিয়েছিল যে, সে পির নানকের সঙ্গী, ঘুরতে ঘুরতে সেখানে এসে পড়েছে।
“…বলী রেগে তাকে সঙ্গে সঙ্গে তাড়িয়ে দিলেন।”—বলী’ কে ?
কর্তার সিং দুগগালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পের প্রশ্নোধৃত অংশে ‘বলী’ হলেন পাহাড় চুড়ােয় কুটির বেঁধে থাকা দরবেশ বলী কান্ধারী।
“..বলী রেগে তাকে সঙ্গে সঙ্গে তাড়িয়ে দিলেন।” -বলী রেগে গেলেন কেন ?
কর্তার সিং দুগ্গালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পে মর্দানা নানকের শিষ্য হওয়ায় বলী কারী রেগে গিয়েছিলেন।
“…বলী রেগে তাকে সঙ্গে সঙ্গে তাড়িয়ে দিলেন।” -বলী কাকে তাড়িয়ে দিলেন?
কর্তার সিং দুগগালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পে বলী কান্ধারী রেগে গিয়ে মর্দানাকে তাড়িয়ে দিলেন।
“নেমে সে নালিশ জানাল।” -কে, কার কাছে নালিশ জানিয়েছিল?
কর্তার সিং দুগগালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পে পাহাড় চুড়াে থেকে নেমে এসে মর্দানা গুরু নানকের কাছে নালিশ জানিয়েছিল।
“নেমে সে নালিশ জানাল।”—যাঁর কাছে নালিশ জানাল তিনি কী বললেন?
মরদানা নালিশ জানালে নানক তাকে আবার বলী কাম্ধারীর কাছে গিয়ে নিজেকে নানক দরবেশের অনুচর হিসেবে পরিচয় দিতে বললেন।
“ক্ষোভে দুঃখে বিড়বিড় করতে করতে সে আবার গেল।” -কে, কোথায় আবার গিয়েছিল?
দুগগালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পে ক্ষোভে দুঃখে বিড়বিড় করতে করতে মর্দানা আবার পাহাড়ের চূড়ায় বলী কাম্ধারীর কুটিরে গিয়েছিল।
“ক্ষোভে দুঃখে বিড়বিড় করতে করতে সে আবার গেল।” -তার ক্ষোভ ও দুঃখের কারণ কী ছিল?
দুগগালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পে তুয়ার্ত মর্দানাকে বলী কাম্ধারীর বারবার তাড়িয়ে দেওয়াই ছিল মর্দানার ক্ষোভ ও দুঃখের কারণ।
“আমি কাফেরের শিষ্যকে এক গণ্ডুষ জলও দেব না” -বক্তা কে?
কর্তার সিং দুগগালের ‘অলৌকিক’ গল্পের প্রশ্নোদ্ধৃত অংশের বক্তা হলেন দরবেশ বলী কান্ধারী।
“আদেশ অমান্য করতে না পেরে সে ফের রওনা দিল।”—কে, কার। আদেশ অমান্য করতে পারল না?
কর্তার সিং দুগগালের ‘অলৌকিক’ গল্পে শিষ্য মর্দানা গুরু নানকের আদেশ অমান্য করতে পারল না।
“আদেশ অমান্য করতে না পেরে সে ফের রওনা দিল।” -আদেশ অমান্য করতে পারল না কেন?
কর্তার সিং দুগগালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পে গুরু নানকের প্রতি শ্রদ্ধা ও আনুগত্যের কারণেই মর্দানা তাঁর আদেশ অমান্য করতে পারল না।
“আদেশ অমান্য করতে না পেরে সে ফের রওনা দিল”—সে কোথায় রওনা দিয়েছিল?
দুগগালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পে গুরু নানকের আদেশ অমান্য করতে না পেরে মর্দানা পাহাড় চুড়ােয় বলী কান্ধারীর কুটিরের উদ্দেশ্যে পুনরায় রওনা দিয়েছিল।
“আদেশ অমান্য করতে না পেরে সে ফের রওনা দিল।”—উদ্দিষ্ট স্থানে গিয়ে সে কী করল ?
দুগগালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পে নানকের আদেশ অমান্য করতে না পেরে মর্দানা পাহাড় চুড়ােয় বলী কাম্ধারীর কুটিরে অতি কষ্টে পৌঁছে তার পায়ের কাছে লুটিয়ে পড়লেন।
“… নিজেকে পির বলে জাহির করে অথচ…” -বক্তা কে?
কর্তার সিং দুগগালের ‘অলৌকিক’ গল্পের প্রশ্নোধৃত অংশটির বক্তা দরবেশ বলী কান্ধারী।
“…নিজেকে পির বলে জাহির করে অথচ…”—কে নিজেকে পির বলে জাহির করে?
কর্তার সিং দুগগালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্প বলী কান্ধারীর মতে, গুরু নানক নিজেকে পির বলে জাহির করেন।
“…নিজেকে পির বলে জাহির করে অথচ…”-বক্তা ‘অথচ’ শব্দটির দ্বারা কী বােঝাতে চেয়েছেন?
‘অথচ’ শব্দটির দ্বারা বলী কান্ধারী বোঝাতে চেয়েছেন যে, নানক নিজেকে পির বলে জাহির করলেও শিষ্যের জন্য সামান্য জলও জোগাড় করার ক্ষমতা তার নেই।
“নিমেষেই চারিদিকে থৈ থৈ।”—কখন চারিদিক থইথই করতে লাগল?
দুগ্গালের লেখা ‘অলৌকিক’ গয়পে বলী কাম্ধারীর কাছে প্রত্যাখ্যাত মর্দানা নানকের কথায় সামনের পাথরটা সরাতেই পাথরের তলা থেকে জলের ঝরনা বেরিয়ে আসল এবং চারিদিক থইথই করতে লাগল।
“ঠিক সেই সময় বলী কাম্ধারীর জলের দরকার হয়েছে।”—কোন সময়ের কথা বলা হয়েছে?
নানকের কথায় মর্দানা পাথর সরানােয় চারিদিক যখন জলে থইথই করছে ঠিক সেই সময়ে বলী কান্ধারীর জলের দরকার হয়েছে।
“ঠিক সেই সময় বলী কাম্ধারীর জলের দরকার হয়েছে।” -জলের প্রয়ােজন হওয়ায় বলী কান্ধারী কী দেখল?
কর্তার সিং দুগগালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পে জলের প্রয়ােজনের সময়ে বলী কান্ধারী দেখলেন তার কুয়ােয় একটুও জল নেই।
“উনি রীতিমত হতভম্ব”—কে, কখন, কেন হতভম্ব হয়েছিলেন?
দুগগালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পে পাহাড়ের চুড়ােয় বলী কান্ধারী তাঁর কুয়ােতে একটুও জল না দেখে হতভম্ব হয়েছিলেন।
“উনি রীতিমত হতভম্ব।” -হতভম্ব হয়ে উনি কী দেখলেন?
দুগগালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পে হতভম্ব বলী কান্ধারী দেখলেন তাঁর কুয়ােতে একটুও জল নেই অথচ নীচে জলস্রোত বয়ে যাচ্ছে, আর বাবলাতলায় নানক তাঁর অনুচর-সহ বসে আছেন।
“উনি রীতিমত হতভম্ব।”—হতভম্ব হয়ে উনি কী করলেন?
দুগ্গালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পে হতভম্ব বলী কান্ধারী ক্ষিপ্ত হয়ে পাথরের একটা চাঙড় নীচে নানকের দিকে গড়িয়ে দিলেন।
“দৃশ্যটা দেখে মর্দানা চেঁচিয়ে উঠতেই …” -মর্দানা কেন চেঁচিয়ে উঠল ?
কর্তার সিং দুগগালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পে বিরাট পাথরের চাঙড় পাহাড়ের ওপর থেকে তাঁদের দিকে গড়িয়ে আসতে দেখে মর্দানা চেঁচিয়ে উঠল।
“কাছে আসতেই তিনি হাত দিয়ে…থামিয়ে দিলেন”–গুরু নানক হাত দিয়ে কী থামিয়ে দেন?
কর্তার সিং দুগগালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পে গুরু নানক হাত দিয়ে বলী কান্ধারীর গড়িয়ে দেওয়া পাথর থামিয়ে দেন।
“..তাকে সামনের পাথরটা তুলতে বলেন” -পাথরটা তােলার পর কী দেখা গিয়েছিল ?
দুগগালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পে গুরু নানকের কথামতাে মর্দানা পাথরটা তােলার পরে তার তলা থেকে জলের ঝরনা বেরিয়ে এসেছিল।
“আমি কৌতূহলী হয়ে উঠি।” -কী বিষয়ে বক্তা কৌতূহলী হয়ে ওঠেন?
দুগগালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পে লেখকের মা লেখককে গুরু নানকের গল্প বলতে বলতে একটু থামলে বাকি অংশটুকু শােনার জন্য লেখক কৌতূহলী হয়ে ওঠেন।
“এর কাছে জল পেতে পার।” -কার কাছে জল পাওয়া যেতে পারে? জলের প্রয়ােজন হয়েছিল কেন?
দুগগালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পে বলী কাম্ধারীর কাছে জল পাওয়া। যতে পারে বলে নানক মন্তব্য করেছিলেন। মর্দানা তৃয়ার্ত হয়ে পড়ায় জলের প্রয়ােজন হয়েছিল।
শিষ্য মর্দানার কখন জলতেষ্টা পেয়েছিল ?
দুগগালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্প অনুযায়ী যখন হাসান আব্দালের জঙ্গল দিয়ে অনুচরবর্গ সহ গুরু নানক হেঁটে যাচ্ছিলেন, তখন মর্দানার জলতেষ্টা পেয়েছিল।
“এ তল্লাটে ওঁর কুয়াে ছাড়া আর কোথাও জল নেই।”—কোন্ তল্লাটের কথা বলা হয়েছে?
দুগগালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পের প্রশ্নোষ্ধৃত অংশটিতে হাসান আব্দালের জঙ্গল এবং তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের কথা বলা হয়েছে।
“আমি কাফেরের শিষ্যকে এক গণ্ডুষ জলও দেব না” -বলী কান্ধারী নানককে কাফের বলেছেন কেন?
জন্মসূত্রে মুসলমান ধর্মসাধক বলী কান্ধারী জন্মসূত্রে হিন্দু ধর্মসাধক নানকের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে তাঁকে ‘কাফের’ অর্থাৎ ইসলামবিরােধী আখ্যা দিয়েছিলেন।
“আমি কৌতূহলী হয়ে উঠি” -কী বিষয়ে বক্তা কৌতূহলী হয়ে ওঠেন?
হাসান আব্দালের জঙ্গলে প্রচণ্ড গরমে নানকের এসে পৌঁছানাের কথা মার মুখে শুনে গল্পের পরবর্তী অংশ শােনার জন্য বক্তা কৌতুহলী হয়ে ওঠেন।
“…গুরু নানক শান্ত স্বরে জয় নিরঙ্কার ধ্বনি দিতে বললেন” -কখন বললেন?
বলী কান্ধারী পাথরের একটা চাঙড় নীচে নানক-মর্দানাকে লক্ষ করে গড়িয়ে দিলে ভয়ে মর্দানা চেঁচিয়ে উঠতেই নানক এমনটা বললেন।
নানকের নাম কানে যেতেই বলী কী করলেন?
দুগগালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্প অনুযায়ী নানকের নাম কানে যেতেই বলী কান্ধারী রেগে গিয়ে মর্দানাকে সঙ্গে সঙ্গে তাড়িয়ে দিলেন।
“খানিকক্ষণ অপেক্ষা করাে”—এ কথার বক্তা কে?
কর্তার সিং দুগগালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পের অন্তর্গত প্রশ্নোষ্ধৃত উক্তিটির বক্তা হলেন গুরু নানক।
“সমস্ত বৃত্তান্ত শুনে গুরু হাসেন”–গুরু হেসে কী বলেছিলেন?
গুরু নানক হেসে শিষ্য মর্দানাকে বলেছিলেন যে, সে যেন পুনরায় দরবেশ বলী কান্ধারীর কাছে যায় এবং নম্রভাবে তাকে বলে যে, মর্দানা নানক দরবেশের অনুচর।
কীভাবে ঝরনার জল বেরিয়ে এসেছিল ?
কর্তার সিং দুগগালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পে বলী কাম্ধারীর কাছে প্রত্যাখ্যাত মর্দানা নানকের কথায় সামনের পাথরটা সরাতেই পাথরের তলা থেকে ঝরনার জল বেরিয়ে এসেছিল।
‘সাকা’ হলে কী ঘটনা ঘটত ?
কর্তার সিং দুগগালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্প অনুযায়ী সাকা হলে বাড়িতে অরন্ধন ঘটত।
“চোখের জলটা তাদের জন্য।”—কাদের জন্য চোখের জল পড়েছিল?
দুগগালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পে নিজেদের জীবন তুচ্ছ করে চলন্ত ট্রেন থামিয়ে যাঁরা বন্দি ভারতীয়দের বুটি, জল পৌছে দিয়েছিল তাঁদের জন্য চোখের জল পড়েছিল।
“এ কি আদৌ সম্ভব ?” -কীসের কথা বলা হয়েছে?
দুগগালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পে পাহাড় চূড়া থেকে বলী কাম্ধারীর গড়িয়ে দেওয়া পাথরের চাঙড় নানক হাত দিয়ে থামিয়ে দিয়েছিলেন, এখানে তার সম্ভাব্যতার কথাই বলা হয়েছে।
“গল্পটা মনে পড়লেই হাসি পেত।” -গল্পটা কী?
দুগগালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পের প্রশ্নোদ্ধৃত অংশে পাহাড় চুড়া থেকে বলী কান্ধারীর গড়িয়ে দেওয়া পাথরকে নানকের হাত দিয়ে থামানাের গল্পের কথা বলা হয়েছে।
“গল্পটা মনে পড়লেই হাসি পেত।”—হাসি পাওয়ার কারণ কী?
কর্তার সিং দুগগালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পে নানকের হাত দিয়ে পাথর থামানাের যে ঘটনার উল্লেখ আছে, তাতে যুক্তি ও বাস্তবতার অভাব থাকায় লেখকের হাসি পেত।
“যারা পারে তাদের পক্ষে মােটেই অসম্ভব না” -বক্তা কে?
প্রশ্নোদ্ধৃত অংশের বক্তা ‘অলৌকিক’ গল্পের লেখক কর্তার সিং দুগালের স্কুলের মাস্টারমশাই।
“যারা পারে তাদের পক্ষে মােটেই অসম্ভব না” -কীসের কথা বলা হয়েছে?
কর্তার সিং দুগগালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পে গুরু নানকের হাত দিয়ে পাথর ঠেকানাের কথাটিই বলা হয়েছে।
“পাঞ্জাসাহেবে ‘সাকা হয়েছে।” -পাঞ্জাসাহেবের পূর্ব নাম কী ছিল ?
কর্তার সিং দুগগালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পে উল্লেখিত পাঞ্জাসাহেবের পূর্ব নাম ছিল হাসান আব্দাল।
“পাঞ্জা সাহেবের লােকজন খবরটা পেয়ে সবাই উত্তেজিত।” -খবরটা কী ছিল?
দুগগালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পে ক্ষুধা-তৃয়ায় কাতর বন্দি ভারতীয়দের ট্রেনে করে অন্য শহরের জেলে পাঠানাের সময়ে কোথাও ট্রেন না থামানাের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এখানে এই খবরের কথাই বলা হয়েছে।
“..ব্যাপারটা মেজাজ বিগড়ে দিল।” -কোন ব্যাপারটা?
দুগগালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্প অনুযায়ী নানক হাত দিয়ে পাহাড় চূড়া থেকে গড়িয়ে আসা পাথরের চাঙড়কে থামিয়ে দিয়েছেন—এই আজগুবি ব্যাপারটা লেখকের মেজাজ বিগড়ে দিয়েছিল।
“…মা চুপ করে গেলেন।”—মায়ের চুপ করার কারণ কী?
মায়ের বলা নানাকের গল্পে নানক যে গড়িয়ে-পড়া চাঙড় হাত দিয়ে থামিয়ে দিয়েছিলেন, সে-কথা লেখক বিশ্বাস করেননি। তার মুখ দেখে তা বুঝতে পেরেই মা চুপ করে গিয়েছিলেন।
“কিন্তু এই ব্যাপারটাতে সবসময়েই মাথা বাঁকিয়েছি।”-কোন ব্যাপারে লেখক সর্বদা মাথা বাঁকিয়েছেন?
কর্তার সিং দুগগালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পানুযায়ী নানক যে হাত দিয়ে পাথরের চাঙড় থামিয়েছিলেন, সেই ব্যাপারটাতে লেখক সবসময় মাথা বাঁকিয়েছিলেন।
“…বলে উনি আমাকে চুপ করিয়ে দিলেন।” কী বলে?
যারা পারে, তাদের পক্ষে কোনােভাবেই অসম্ভব নয়—এমন কথা বলে মাস্টারমশাই লেখককে চুপ করিয়ে দিয়েছিলেন।
‘সাকা’ হওয়ার খবর পাওয়ামাত্রই গল্পকথকের মা কী করেছিলেন?
দুগগালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পানুযায়ী ‘সাকা’ হওয়ার খবর পাওয়া মাত্রই গল্পকথকের মা পাঞ্জাসাহেবের দিকে রওনা দিয়েছিলেন।
“ঠিক হল, ট্রেনটা থামানাে হবে”—এখানে কোন্ ট্রেনের কথা বলা হয়েছে?
দুগগালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পানুযায়ী যে ট্রেনে করে নিরস্ত্র ভারতীয়দের বন্দী করে দূরের শহরের জেলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল সেই ট্রেনের কথা বলা হয়েছে।
ভারতীয় কয়েদিভরতি ট্রেনটি পিছােনাের ফলে কী হয়েছিল?
ভারতীয় কয়েদিভরতি ট্রেনটি পিছােনাের ফলে লাশগুলি কেটে দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছিল।
“স্বচক্ষে দেখেছি”- বক্তা স্বচক্ষে কী দেখেছেন?
দুগগালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পানুযায়ী পাঞ্জাসাহেবের রেললাইনের পাশে খালপারের সেতুর দিকে রক্তের স্রোত বয়ে যেতে স্বচক্ষে দেখেছেন গল্পকথকের মায়ের বান্ধবী।
“সারাদিন একফোঁটা জলও মুখে দিতে পারিনি।”—কেন?
খিদে-তেষ্টায় কাতর স্বাধীনতা সংগ্রামী ও দেশপ্রেমিকে বােঝাই ট্রেনটি থামানাের জন্যে সাধারণ মানুষের আত্মবলিদানের কথা শুনে গল্পকথক সারাদিন এক ফোঁটা জলও মুখে দিতে পারেননি।
‘সাকা’ কী?
কোনাে ন্যায়সংগত অধিকারের জন্য বা কোনাে মহৎ উদ্দেশ্যে মৃত্যুবরণের ঘটনাকে পাঞ্জাবি ভাষায় বলা হত ‘সাকা’।
‘অলৌকিক’ গল্পে রক্তের স্রোত কোন্ দিকে প্রবাহিত হয়েছিল?
কর্তার সিং দুগগালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পে খালপারের সেতুর দিকে রক্তের স্রোত প্রবাহিত হয়েছিল।
“আমার চোখে জল”—কারণ কী ছিল?
পাঞ্জাসাহেবের মানুষেরা নিজেদের জীবন তুচ্ছ করে চলন্ত ট্রেন থামিয়ে খিদে-তেষ্টায় কাতর বন্দি ভারতীয়দের রুটি ও জল পৌঁছে দিয়েছিল বলেই তাদের জন্য চোখে জল পড়েছিল কথকের।
“সেকালে ঘন ঘন সাকা হত।” -সাকা হলে কী করতে হত?
দুগগালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্প অনুযায়ী, ‘সাকা’ হলে বাড়িতে অরন্ধন পালন করতে হত এবং রাত্রে মেঝেতে শুতে হত।
“..মার সঙ্গে তর্ক শুরু করি।”—কোন্ বিষয় নিয়ে তর্ক?
দুগগালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্প অনুযায়ী, মায়ের মুখে শােনা গল্পে নানকের পাহাড় চূড়া থেকে গড়িয়ে আসা পাথরের চাঙড়কে হাত দিয়ে থামিয়ে দেওয়ার বিষয় নিয়ে গল্পকথক তর্ক করেছিলেন।