রূপতত্ত্বের আলােচ্য বিষয় কী?
রূপতত্ত্বের আলােচ্য বিষয় হল শব্দের নানা দিক, অর্থাৎ তার গঠন, রূপবৈচিত্র্য, রূপবৈচিত্র্য সাধনের বিভিন্ন উপকরণ যেমন—প্রত্যয়, বিভক্তি ইত্যাদি।
‘আমসত্ত্ব’ কথাটি একটি রূপ নয় কেন?
এর কারণ, এটি ক্ষুদ্রতম ধ্বনিসমষ্টি নয়। একে ক্ষুদ্রতর দুটি অর্থপূর্ণ ধ্বনিসমষ্টিতে ভাগ করা যায়—“আম’ ও ‘সত্ত্ব’। তাই আমসত্ত্ব রূপ নয়, সমস্তপদ।
‘বাঘের’ শব্দটির রূপ বিভাগ করে দেখাও কোনটি কী ধরনের রূপ?
‘বাঘের’ শব্দটিকে ভাঙলে দুটি রূপ পাওয়া যাবে। ‘বাঘ’ ও ‘এর’। ‘বাঘ’ হল মুক্ত রূপ এবং ‘এর’ হল বদ্ধ রূপ।
শব্দের সঙ্গে রূপের একটা পার্থক্যের সূত্র নির্দেশ করাে।
সব শব্দই একা একা ব্যবহৃত হতে পারে, কিন্তু সব রূপই একা একা ব্যবহৃত হতে পারে না।
মুক্ত রূপমূল কাকে বলে?
যে অর্থপূর্ণ ক্ষুদ্রতম ধ্বনিসমষ্টি অন্য ধ্বনিসমষ্টির সঙ্গে যুক্ত না হয়েও স্বাধীনভাবে ব্যবহৃত হতে পারে, তাকে মুক্ত রূপমূল বলে। যেমন আম।
বদ্ধ রূপমূল বলতে কী বােঝ?
যে অর্থপূর্ণ ক্ষুদ্রতম ধ্বনিসমষ্টি কখনও অন্য ধ্বনিসমষ্টির সঙ্গে যুক্ত না হয়ে স্বাধীনভাবে ব্যবহৃত হতে পারে না, তাই বন্ধ রূপমূল। যেমন— ‘ছেলেটি’র ‘টি।
বাংলায় একটি জোড়কলম শব্দের উদাহরণ দাও।
বাংলায় একটি জোড়কলম শব্দের উদাহরণ হল ‘ধোঁয়াশা’, যা ‘ধোঁয়া’ শব্দের প্রথমাংশ এবং কুয়াশা’ শব্দের শেষাংশ জুড়ে তৈরি।
দুটি পরাধীন রূপমূলের উদাহরণ দাও
তামাটে শব্দের ‘টে’ (প্রত্যয়) এবং অভিন্ন শব্দের ‘অ’ (উপসর্গ) হল পরাধীন রূপমূল।
মিশ্র রূপমূলের প্রধান বৈশিষ্ট্য কী?
দুটি মুক্ত রূপমূল সহযােগে একটি মিশ্র রূপমূল গঠিত হলে মুক্ত রূপমূল দুটির পূর্ব অর্থের বদলে একটি নতুন অর্থ প্রকাশিত হয় (যেমন ‘গাং’ + ‘চিল’ = গাংচিল)।
জটিল রূপমূলের সংজ্ঞা-সহ উদাহরণ দাও।
দুইয়ের বেশি মুক্ত রূপমূলের সংযােগে যে রূপমূল গঠিত হয়, তাকে জটিল রূপমূল বলা হয়। বাংলায় একটি জটিল রূপমূল হল বহুবর্ণপাথর।
গল্প ─ কে বাঁচায়, কে বাঁচে (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)
গল্প ─ ভাত (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)
গল্প ─ ভারতবর্ষ (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)
কবিতা ─ রূপনারানের কূলে (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)
কবিতা ─ শিকার (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)
কবিতা ─ মহুয়ার দেশ (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)
কবিতা ─ আমি দেখি (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)
কবিতা ─ ক্রন্দনরতা জননীর পাশে (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)
নাটক ─ বিভাব (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)
নাটক ─ নানা রঙের দিন (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)
আন্তর্জাতিক কবিতা ─ পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)
ভারতীয় গল্প ─ অলৌকিক (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)
ভাষা ─ ভাষাবিজ্ঞান ও তার বিভিন্ন শাখা (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)
ভাষা ─ ধ্বনিতত্ত্ব (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)
ভাষা ─ বাক্যতত্ত্ব (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)
ভাষা ─ শব্দার্থতত্ত্ব (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)
দুই-এর বেশি রূপমূলের সমবায়কে কী বলা হয়?
দুই-এর বেশি রূপমূলের সমবায়কে বলা হয় জটিল রূপমূল। যেমন- জাতীয়তাবাদ।
‘মা’ শব্দটিকে আমরা মৌলিক শব্দ বলি কেন?
একটি মাত্র রূপিম নিয়ে গঠিত শব্দকে মৌলিক শব্দ বলে। ‘মা’ শব্দটিও একটি মাত্র রূপিম দ্বারা গঠিত (কারণ ‘মা’-কে ভাঙলে আমরা পাব ‘ম’ + ‘অ’, যার কোনাে অর্থ নেই)। তাই ‘মা’ মৌলিক শব্দ।
জটিল শব্দ কাকে বলে?
এক বা একাধিক মুক্ত রূপিমের সঙ্গে এক বা একাধিক বদ্ধ রৃপিমের সংযােগে অথবা শুধুই একাধিক বন্ধ রুপিমের সংযােগে গঠিত শব্দকে জটিল শব্দ বলে। যেমন—ছেলে + মি = ছেলেমি।
দেশ + বিদেশ = দেশবিদেশ- এই ধরনের শব্দগঠনকে ব্যাকরণের ভাষায় কী বলে?
আমরা জানি, যে শব্দ একাধিক মুক্ত রূপিম বা একাধিক শব্দ নিয়ে গঠিত, তাকে সমাসবদ্ধ শব্দ বলে। তাই ‘দেশবিদেশ’ একটি সমাসবদ্ধ শব্দ।
ক্র্যানবেরি রূপমূলের একটি উদাহরণ দাও।
আলাপ, প্রলাপ, বিলাপ, সংলাপ ইত্যাদি শব্দের ‘লাপ’ অংশটি ক্র্যানবেরি রূপমূলের উদাহরণ।
ভাষাবিজ্ঞানে ‘রূপ’ কাকে বলে?
ভাষাবিজ্ঞানে রূপ হল ভাষার সবচেয়ে ছােটো অর্থপূর্ণ একক।
রূপতত্ত্ব কোন্ বিষয় নিয়ে কাজ করে?
রূপতত্ত্ব ভাষার ক্ষুদ্রতম অর্থপূর্ণ একক নিয়ে অর্থাৎ রূপ (Morph) নিয়ে কাজ করে।
শব্দকে আমরা সম্পূর্ণ একক রূপে কোথায় পাই?
অভিধানে।
দল কাকে বলে?
বাগ্যন্ত্রের একবারের চেষ্টায় উচ্চারিত ধ্বনি বা ধ্বনিসমূহই দল।
সহরূপ কী?
কোনাে রূপ-এর অর্থ না পালটে যদি তার একাধিক বিভিন্ন রূপভেদ দেখা যায়, তবে রূপের সেই বিচিত্র রূপভেদগুলিকে বলে সহরূপ।
রূপমূল কী?
প্রতিটি রূপ (ভাষার ক্ষুদ্রতম, অর্থপূর্ণ একক)-এর মূল ধারণা হল রূপমূল।
স্বাধীন রূপমূল কাকে বলে?
ভাষার ক্ষুদ্রতম, অর্থপূর্ণ একক (অর্থাৎরূপ) স্বাধীনভাবে বাক্যে তথা ভাষায় ব্যবহৃত হলে তাকে বলে স্বাধীন রূপমূল। স্বাধীন রূপমূল হল মৌলিক শব্দ।
পরাধীন রূপমূল কাকে বলে?
ভাষার ক্ষুদ্রতম, অর্থপূর্ণ একক (অর্থাৎ রূপ) স্বাধীনভাবে বাক্যে তথা ভাষায় ব্যবহৃত হতে না পারলে তাকে বলে পরাধীন রূপমূল। যেমন উপসর্গ, প্রত্যয়, বিভক্তি।
‘প্রকৃতি’ কাকে বলে?
মৌলিক ভাব প্রদান করে এমন অবিভাজ্য ভাষাখণ্ডই হল প্রকৃতি।
প্রকৃতি কত প্রকার ও কী কী?
প্রকৃতি দু-প্রকার নামপ্রকৃতি এবং ধাতুপ্রকৃতি।
প্রাতিপদিক বা স্টেম কী?
প্রকৃতি ও প্রত্যয়ের যােগে যে শব্দ তৈরি হয়, তাকে বলে প্রাতিপদিক। প্রাতিপদিকের সঙ্গে বিভক্তি যুক্ত হয়।
ধাতুপ্রকৃতি কাকে বলে?
যে প্রকৃতির মধ্য দিয়ে কাজ করার অর্থ প্রকাশিত হয়, তাকে বলা হয় ধাতুপ্রকৃতি। যেমন—যা, চল, বল্ ইত্যাদি।
নামপ্রকৃতি কাকে বলে?
যে প্রকৃতির মধ্য দিয়ে কাজ করার অর্থ ছাড়া অন্য কোনাে অর্থ প্রকাশিত হয়, তাকে বলে নামপ্রকৃতি। যেমন—গাছ, হাত ইত্যাদি।
সহরূপ হওয়ার মৌলিক শর্তদুটি কী কী?
(১) একটি রূপের সহরূপগুলাের অর্থগত সাদৃশ্য থাকতে হবে, (২) সহরূপগুলােকে একে অপরের পরিপূরক হতে হবে বলে এক সহরূপের স্থানে অন্য সহরূপ নেওয়া যাবে না।
প্রত্যয় কাকে বলে? উদাহরণ-সহ লেখাে।
যে ধ্বনি বা ধ্বনিসমষ্টি নাম শব্দ বা ধাতুর সঙ্গে যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ তৈরি করে, তাকে বলে প্রত্যয়।
কৃৎ প্রত্যয় কাকে বলে?
যে প্রত্যয় কেবলমাত্র ধাতুর সঙ্গে যুক্ত হয়, তাকে বলে কৃৎ প্রত্যয় যেমন- √পূজ + অনীয় = পূজনীয়। এখানে অনীয় কৃৎ প্রত্যয়।
তদ্ধিত প্রত্যয় কাকে বলে?
যে প্রত্যয় নাম শব্দের সঙ্গেই কেবল যুক্ত হয়, তাকে বলে তদ্ধিত প্রত্যয়। যেমন- বাঁশি + ওয়ালা = বাঁশিওয়ালা। এখানে ‘ওয়ালা’ তদ্ধিত প্রত্যয়।
প্রত্যয়ের ফলে পদ-পরিবর্তনের একটি উদাহরণ দাও।
চালাক + ই = চালাকি। এখানে ‘চালাক’ এই বিশেষণ নামশব্দের সঙ্গে = তদ্ধিত প্রত্যয় ‘ই’ যুক্ত হয়ে ‘চালাকি’ এই বিশেষ্য নাম শব্দ তৈরি করেছে।
ভিত্তি কাকে বলে?
শব্দ বা পদের যে অংশ কোনাে নির্দিষ্ট প্রত্যয় বা উপসর্গের ভিত হিসেবে কাজ করে, সেই অংশকে বলে ভিত্তি।
বিভক্তি কাকে বলে?
যে ধ্বনি বা ধ্বনি গুচ্ছ শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়ে শব্দকে পদে পরিণত করে এবং বাক্য-মধ্যস্থ পদগুলির পারস্পরিক সম্পর্ক তৈরি করে, তাকে বলে বিভক্তি।
আভিধানিক রূপমূল কাকে বলে?
যেসব রূপমূলের অর্থ অভিধান ঘেঁটে বের করা যায়, সেইসব রূপমূলকে বলে আভিধানিক রূপমূল। যেমন মৌলিক শব্দ, উপসর্গ ইত্যাদি।
ব্যাকরণসম্মত রূপমূল কাকে বলে ?
যেসব রূপমূলের অর্থ অভিধান ঘেঁটে বের করা না গেলেও ব্যাকরণে তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তাদের বলে ব্যাকরণসম্মত রূপমূল। যেমন—প্রত্যয়, অনুসর্গ ইত্যাদি।
ব্যাকরণসম্মত রূপমূল কত প্রকার ও কী কী?
ব্যাকরণসম্মত রূপমূল দুই প্রকারের—পরাধীন এবং স্বাধীন। প্রত্যয় হল পরাধীন ব্যাকরণসম্মত রূপমূল, অনুসর্গ হল স্বাধীন ব্যাকরণসম্মত রূপমূল।
পরাধীন ব্যাকরণসম্মত রূপমূল কত প্রকার ও কী কী?
পরাধীন ব্যাকরণসম্মত রূপমূল দুপ্রকারের সমন্বয়ী রূপমূল এবং নিম্পাদিত রূপমূল।
সমন্বয়ী রূপমূল কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
যে পরাধীন রূপমূল শব্দকে পদে পরিণত করে এবং তার পর অন্য কোনাে রূপমূল তার সঙ্গে বসে না, তাকে বলে সমন্বয়ী রূপমূল। যেমন—বিভক্তি।
নিম্পাদক রূপমূল কী?
যে রূপমূল শব্দকে নতুন শব্দে পরিণত করে তাকে বলে নিম্পাদক রূপমূল। এতে পদ-পরিবর্তন ঘটতে পারে, না-ও পারে। কখনও বা একই পদের মধ্যেই শুধু অর্থের পরিবর্তন ঘটায়। যেমন—প্রত্যয়, উপসর্গ।
শব্দে উপস্থিত রূপ-এর সংখ্যার তারতম্যের ভিত্তিতে রূপ কত প্রকার?
শব্দে উপস্থিত রূপ-এর সংখ্যার তারতম্যের ভিত্তিতে রূপ দুই প্রকার- মিশ্র রূপমূল এবং জটিল রূপমূল।
মিশ্র রূপমূল কাকে বলে?
দুটি স্বাধীন রূপমূলের সমন্বয়ে তৈরি হওয়া শব্দ বা পদের অর্থ ওই দুটি ৰূপমূলের অর্থ থেকে আলাদা হলে সেই রূপমূল-সমবায়কে মিশ্র রূপমূল। বলে। যেমন—গঙ্গাফড়িং।
ফাঁকা রূপ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
যে রূপ আপাত অর্থহীন এবং তার বাস্তব অস্তিত্ব নেই, তাকে বলে ফাঁকা বুপ। যেমনব্যাঙ্গমা ব্যাঙ্গমি।
শূন্য রূপ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
যে রূপ কানে শােনা না গেলেও ভাষায় তার পরােক্ষ উপস্থিতি টের পাওয়া যায়, তাকে বলে শূন্য রূপ। যেমন-শূন্য বিভক্তি।
সমাস কাকে বলে?
যে গঠন-প্রক্রিয়ায় একাধিক পদ একত্রে যুক্ত হয়ে একটি বড়াে পদ গঠন করে, সেই গঠন-প্রক্রিয়াকে বলে সমাস।
পদ গঠনের চরিত্রের ভিন্নতা অনুযায়ী সমাসকে কয়ভাগে ভাগ করা যায়?
পদ গঠনের চরিত্রের ভিন্নতা অনুযায়ী সমাসকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন—(১) দ্বন্দ্ব সমাস (২) ব্যাখ্যামূলক সমাস (৩) বর্ণনামূলক সমাস।
দ্বন্দ্ব সমাস কাকে বলে?
যে সমাসে একাধিক পদ যুক্ত হলেও পদগুলির নিজস্ব অর্থ নতুন পদে গিয়ে বজায় থাকে, তাকে বলে দ্বন্দ্ব সমাস। যেমন বাপ-মা।
ব্যাখ্যানমূলক সমাস কাকে বলে?
যে সমাসে পরপর বসা দুটি পদের মধ্যে একটি পদ অন্য পদকে ব্যাখ্যা করে, তাকে বলে ব্যাখ্যানমূলক সমাস। যেমন-মহাকবি।
বর্ণনামূলক সমাস কাকে বলে?
একাধিক পদ মিলে গঠিত সমস্তপদের অর্থ সেই পদগুলির কোনােটিকে না বুঝিয়ে অন্য অর্থ বােঝালে তাকে বলে বর্ণনামূলক সমাস (বহুব্রীহি সমাস)। যেমন—ক্ষুরধার।
পদদ্বৈত কাকে বলে?
দুটি একই পদ মিলে অথবা অর্থসম্বন্ধযুক্ত দুটি ভিন্ন পদ মিলে গঠিত পদকে বলে শব্দদ্বৈত বা পদদ্বৈত। যেমন— দিনদিন, অল্পবিস্তর ইত্যাদি।
অনুকার পদ কাকে বলে? একটি উদাহরণ দাও।
যে দ্বিপদী শব্দ বা পদের একটি অর্থযুক্ত এবং অপরটি তার ধ্বনিগত অনুকরণে সৃষ্ট আপাত অর্থহীন, সেই দ্বিপদী শব্দ বা পদকে বলে অনুকার। যেমন—টুপটাপ, জল-টল।
সংক্ষেপিত পদ বা ক্লিপিংস কী?
কোনাে পদ সংক্ষিপ্ত রূপ লাভ করেও মূল পদের অর্থটিই প্রকাশ করলে সেই নতুন পদকে বলে ক্লিপিংস বা সংক্ষেপিত পদ। যেমন—মাইক্রোফোন > মাইক।
বিকল্পন কী?
বদ্ধ ও মুক্ত রূপের সমন্বয়ে পদ গঠনের সময় মুক্ত রূপের সঙ্গে বদ্ধ রূপের ব্যতিক্রমী রূপটি যুক্ত হলে তাকে বলে বিকল্পন। যেমন— ‘go’ থেকে ‘went’।
নব্যশব্দ প্রয়ােগ প্রক্রিয়া কী?
দৈনন্দিন ভাষা-ব্যবহারের তালিকায় নতুন শব্দ ঢােকার প্রক্রিয়াকে বলে নব্যশব্দ প্রয়ােগ প্রক্রিয়া। যেমন—ফেসবুক, সেলফি প্রভৃতি শব্দ শব্দভাণ্ডারে প্রবেশ করেছে।
বর্গান্তর কী?
কোনাে বাক্যের একটি পদ অন্য বাক্যে অন্য পদ হিসেবে ব্যবহৃত হলে তাকে বলে বর্গান্তর। যেমন—’নির্মল’ বিশেষ্য এবং বিশেষণ হিসেবে ব্যবহৃত হয় বাক্যে।
ক্র্যানবেরি রূপমূল বলতে কী বােঝ ?
আপাত অর্থহীন যে পরাধীন রূপমূল একটি শব্দকে অন্য শব্দের থেকে পৃথক করতে পারে, তাকে বলে ক্র্যানবেরি রূপমূল। যেমন—আলাপ, বিলাপ শব্দের ‘লাপ’ অংশটি।
একটি স্বরের পরিবর্তনে সৃষ্ট অনুকার শব্দের দুটি উদাহরণ দাও।
একটি স্বরের পরিবর্তনে সৃষ্ট দুটি অনুকার শব্দ হল খুচখাচ, টুপটাপ।
একটি ব্যঞ্জনের পরিবর্তনে সৃষ্ট অনুকার শব্দের দুটি উদাহরণ দাও।
একটি ব্যঞ্জনের পরিবর্তনে সৃষ্ট দুটি অনুকার শব্দ হল জলটল, কাজফাজ।
রূপমূলের দুটি শ্রেণির উল্লেখ করাে।
রূপমূলের দুটি শ্রেণি হল স্বাধীন আর পরাধীন রূপমূল।
মুণ্ডমাল শব্দ কী?
কোনাে শব্দগুচ্ছের প্রত্যেক শব্দ থেকে প্রথম ধ্বনিগুলি নিয়ে একটি শব্দ তৈরি হলে তাকে বলে মুণ্ডমাল শব্দ (বা অ্যাক্রোনিম)। যেমন VIP, পিপুফিশু (পিঠ পুড়ছে, ফিরে শুই)।
উপসর্গ কাকে বলে?
উপসর্গ হল একধরনের অব্যয় যা শব্দের শুরুতে বসে পদের মানে পালটে দেয়। যেমন— অনাসৃষ্টি, বিপথ শব্দের অনা, বি।
‘জোড়কলম শব্দ’ কাকে বলে?
‘জোড়কলম’ শব্দ হচ্ছে একাধিক শব্দের বিভিন্ন রূপমূল জুড়ে তৈরি এক নতুন রূপমূলের শব্দ। যেমন—ধোঁয়া + কুয়াশা = ধোঁয়াশা।
লােকনিরুক্তি কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
অপরিচিত শব্দ লােকমুখে পরিচিত শব্দের সাদৃশ্যে ধ্বনিপরিবর্তিত হয়ে নতুন শব্দ তৈরি করলে সেই ধ্বনিপরিবর্তনকে বলে লােকনিরুক্তি। যেমন আর্মচেয়ার > আরামকেদারা।
[‘লােকনিরুক্তি’ প্রসঙ্গটি দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ বইয়ের প্রথম সংস্করণে থাকলেও পরিমার্জিত সংস্করণে তা পরিত্যাজ্য হয়েছে। তাই বিষয়টি ছাত্রছাত্রীদের না পড়লেও চলবে।]
শূন্য রূপের উল্লেখযােগ্য উদাহরণ দাও।
আমি বাড়িতে যাব। আমি বাড়ি যাব।এই দুটি বাক্যের অর্থ এক। তবে প্রথম বাক্যে রয়েছে ‘বাড়িতে’ পদ, দ্বিতীয়তে ‘বাড়ি’ পদ। প্রথমটিতে আছে। ‘তে’ বিভক্তি, দ্বিতীয়টিতে আছে শূন্য বিভক্তি। শূন্য বিভক্তিই হল শূন্য রূপ। শূন্য রূপ ধ্বনিগতভাবে শূন্য হলেও অর্থগতভাবে এর অস্তিত্ব আছে।