L. C. King-এর মতে মরু বা মরুপ্রায় অঞ্চলের ক্ষয়চক্রের পরিণত অবস্থায় নদী তার নিম্নক্ষয় করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে এবং পেডিমেন্টগুলি অধিক মাত্রায় বিস্তৃত হয়। কিছুকিছু ইনসেলবার্জ এই পর্যায়ে অবলুপ্ত হয়। ফলে ইনসেলবার্জের উভয় দিকের পেডিমেন্টগুলি সংযুক্ত হয়ে এক বিস্তীর্ণ সমভূমি বা পেডিপ্লেন সৃষ্টি হয়।
ডেভিসের ধারণা অনুযায়ী, ‘Landscape is the function of structure, process and stage’। একে ডেভিসের ত্রয়ী বলা হয়। অর্থাৎ ভূমিরূপ হল গঠন, প্রক্রিয়া এবং পর্যায়ের সম্মিলিত ফল।
(১) গঠন : গঠন বলতে তিনি শিলার কাঠিন্য, সংযুক্তি, চ্যুতি, ভাজ, নতি, প্রবেশ্যতা প্রভৃতির সম্মিলিত অবস্থাকে বুঝিয়েছেন।
(২) প্রক্রিয়া : প্রক্রিয়া বলতে তিনি অন্তর্জাত শক্তি (ভূ-আলােড়ন, অগ্ন্যুৎপাত ইত্যাদি) এবং বহির্জাত শক্তি (আবহবিকার, পুঞ্জিত স্বালন এবং সমুদ্রতরঙ্গ,নদী, বায়ু, হিমবাহ প্রভৃতি)-কে বুঝিয়েছেন।
(৩) পর্যায় : পর্যায় বলতে ডেভিস ভূমিরূপ ক্রমবিকাশের সময় বা ব্যাপ্তিকালকে বুঝিয়েছেন। তিনি ভূমিরূপ পর্যায়কে তিনটি প্রধান ভাগে ভাগ করেছেন- যৌবন পর্যায়, পরিণত পর্যায় ও বার্ধক্য পর্যায়।
মরু ক্ষয়চক্রে দৃশ্যমান বিভিন্ন ভূমিরূপ
মরু ক্ষয়চক্রে দৃশ্যমান বিভিন্ন ভূমিরূপগুলি হল পেডিমেন্ট, বাজাদা, ইনসেলবার্জ, বায়ুতাড়িত অবনত ভূমিভাগ ইত্যাদি।