মাসিক গড় উয়নতা ও মােট বার্ষিক বৃষ্টিপাতের বণ্টনের তারতম্যের ওপর নির্ভর করে কোপেন পৃথিবীর জলবায়ুর শ্রেণিবিন্যাস করেন। তার মতে, কোনাে অঞ্চলের জলবায়ুর বহিঃপ্রকাশ সেই অঞ্চলের উদ্ভিদগােষ্ঠীর বৈশিষ্ট্য ও বণ্টনের মাধ্যমেই ঘটে থাকে। প্রতিটি জলবায়ু অঞ্চলের উদ্ভিদগােষ্ঠী দেখে জলবায়ুর প্রকৃতি নির্ধারণ করা যায়। তাই, তিনি উদ্ভিদ বলয়ের সীমানাকে জলবায়ুর সীমানা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
1. ক্রান্তীয় বৃষ্টিবহুল অরণ্য জলবায়ু –
-
Af-ক্রান্তীয় বৃষ্টি-অরণ্য জলবায়ু
-
Aw-ক্রান্তীয় সাভনা জলবায়ু
-
Am-মৌসুমি জলবায়ু
2. শুষ্ক জলবায়ু –
3. উষ্ণ নাতিশীতােয় বৃষ্টিবহুল জলবায়ু –
-
Cf-সমস্ত ঋতু আর্দ্র
-
Cs-শুষ্ক গ্রীষ্ম, আর্দ্র শীত
-
Cw-আর্দ্র গ্রীষ্ম, শুষ্ক শীত
4. শীতল তুষারময় অরণ্য জলবায়ু –
-
Df-তুষার অরণ্য, সমস্ত ঋতু আর্দ্র
-
Dw-তুষার অরণ্য, শুষ্ক শীত
5. মেরু জলবায়ু –
মৌসুমি জলবায়ু অঞ্চল নিরক্ষরেখার উভয়দিকে 10° -25° উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষরেখার মধ্যে বিস্তৃত। এই অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ যথেষ্ট বেশি। বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত 250 সেমির বেশি, যা নিরক্ষীয় জলবায়ু অঞ্চলের মােট বার্ষিক বৃষ্টিপাতের প্রায় সমান। তবে এই অঞ্চলে মােট বৃষ্টিপাতের প্রায় 90 শতাংশই দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর দ্বারা গ্রীষ্মকালে সংঘটিত হয়ে থাকে। শীতকালের পাঁচ-ছয় মাস বৃষ্টিপাত প্রায় হয় না। তাই এই জলবায়ু অঞ্চলে একটা শুষ্ক ঋতু বিরাজ করে। এই শুষ্ক ঋতুতে জলের অভাব মেটাতে এই অঞ্চলের উদ্ভিদকূল পত্রমােচনের মাধ্যমে বাম্পমােচনের হার কমিয়ে দেয়। তাই এই অঞ্চলে পর্যাপ্ত পরিমাণ বৃষ্টিপাত হওয়া সত্ত্বেও পর্ণমােচী বৃক্ষের অরণ্য গড়ে উঠেছে।