2000 খ্রিস্টাব্দে 28 জুলাই ভারত সরকার নতুন জাতীয় কৃষি নীতি ঘােষণা করে। WTO-র শর্ত মেনে এই নীতির পরিকল্পনা নেওয়া হয় যাতে কৃষি ক্ষেত্রে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখােমুখি হওয়া যায়। এই কৃষি নীতিতে দেশের চাহিদা মেটানাের পর কৃষির দ্রব্যের রপ্তানির ওপর জোর দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই কৃষি নীতির প্রধান বৈশিষ্ট্য হল—
-
পরবর্তী দুদশক ধরে প্রতি বছর 4% হারে কৃষি উৎপাদনের বৃদ্ধি ঘটানাে।
-
ভূমি পুনর্গঠনের মাধ্যমে গরিব চাষীদের জমি প্রদানের ব্যবস্থা করা।
-
দেশের সব রাজ্যে কৃষিজমিগুলিকে শক্তিশালী করা।
-
কৃষিতে ব্যক্তিগত বিনিয়ােগের পরিমাণ বৃদ্ধি করা।
-
কৃষকদের শস্যহানির মােকাবিলার জন্য উৎপাদিত শস্যকে কৃষিবিমার আওতায় আনা।
-
বায়ােপ্রযুক্তি ব্যবহারের অগ্রগতি ঘটানাে।
-
নতুন নতুন বীজ আবিষ্কারের জন্য গবেষণা চালানাে এবং উন্নত বীজগুলির সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
নতুন এই কৃষি নীতিকে বলা হয় ‘রামধনু বিপ্লব’ (Rainbow Revolution), যার অন্তর্গত বিপ্লবগুলি হল—
সবুজ বিল্পব—খাদ্যশস্য উৎপাদন, শ্বেত বিপ্লব—দুধ উৎপাদন, পীত/হলুদ বিপ্লব—তৈলবীজ উৎপাদন, নীল বিপ্লব—মাছ উৎপাদন, লাল বিপ্লব—মাংস এবং টম্যাটো উৎপাদন, স্বর্ণালী বিপ্লব—ফল (আপেল) উৎপাদন, ধূসর বিপ্লব সার উৎপাদন,কৃয় বিপ্লব—পেট্রোলিয়াম উৎপাদন, রজত বিপ্লব-ডিম উৎপাদন, গােল বিপ্লব—আলু উৎপাদন, গােলাপি বিপ্লব চিংড়ি উৎপাদন, বাদামি বিপ্লব কফি উৎপাদন।
রামধনু বিপ্লবের অন্তর্গত হয়েছে Food Chain Revolution, যার মাধ্যমে অতিরিক্ত খাদ্যশস্য, তরিতরকারি ও ফলকে নষ্ট করে কৃত্রিম চাহিদা সৃষ্টি করে কৃষি-উৎপাদনকে সমানভাবে অব্যাহত রাখা হয়।