যেসকল দেশে নারী ও পুরুষ জনসংখ্যার ব্যবধান অনেক বেশি এবং সামাজিক অধিকারের ক্ষেত্রে নারীরা বঞ্চিত তাদের উন্নয়নশীল দেশ বলে। উন্নয়নশীল দেশের বয়ঃলিঙ্গ পিরামিডের বৈশিষ্ট্যগুলি (চিত্র, 9.1.7) হল নিম্নরূপ一
-
উন্নয়নশীল দেশের বয়ঃলিঙ্গ পিরামিডের ভূমিভাগ স্ফীত হয়। কারণ উন্নয়নশীল দেশে জন্মহার বেশি, তাই শিশু ও মধ্যবয়সী জনসংখ্যা, অনেক বেশি হয়। এইসকল দেশে নির্ভরশীলতার অনুপাত অনেক বেশি থাকায় অর্থনৈতিক উন্নয়নও ধীর গতিতে হয়।
-
উন্নয়নশীল দেশে পিরামিডের মধ্যভাগ স্ফীত হয়। কারণ প্রাপ্ত বয়স্কদের জনসংখ্যা বেশি হয় বলে সম্পদ উৎপাদনের পরিমাণও ক্রমবর্ধমান।
-
পিরামিডের ওপরের অংশ ক্রমশই সংকীর্ণ হয়ে যায়। অর্থাৎ এইসকল দেশে মৃত্যুহার বেশি হওয়ায় বয়স্ক জনসংখ্যার পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কম যা চিকিৎসাব্যবস্থার অনগ্রসরতার সাক্ষ্য বহন করে।
যে দেশের জন্মহার ও মৃত্যুহার উভয়ই বেশি, সেই দেশের জনসংখ্যা পিরামিডের ভূমি (Base) বেশি বিস্তৃত এবং মস্তকদেশ (Top) অতি তীক্ষ্ণ। এরূপ জনসংখ্যা পিরামিডবিশিষ্ট দেশসমূহের জনসংখ্যাকে অগ্রগামী জনসংখ্যা বলে। শ্রীলঙ্কা, ভারত, বাংলাদেশ প্রভৃতি দেশের জনসংখ্যা অগ্রগামী জনসংখ্যার উদাহরণ।
উন্নত দেশসমূহের জন্মহার বর্তমানে ভীষণভাবে কমে যাচ্ছে। এখানে মৃত্যুহারও যথেষ্ট কম। ফলে জনসংখ্যার স্বাভাবিক বৃদ্ধি খুবই কমে। এইরূপ অবস্থায় জনসংখ্যা পিরামিডের ভূমিভাগ কম প্রশস্ত ও শীর্ষদেশ বেশি প্রশস্ত। এরূপ জনসংখ্যা পিরামিডবিশিষ্ট দেশসমূহের জনসংখ্যাকে পশ্চাদগামী জনসংখ্যা বলে। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র, উত্তর-পশ্চিম ইউরােপের দেশসমূহ, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড প্রভৃতি উন্নত দেশসমূহের জনসংখ্যা। পশ্চাদগামী জনসংখ্যার উদাহরণ।