জনঘনত্ব
-
কোনাে দেশের মােট জনসংখ্যা এবং ওই দেশের মােট জমির অনুপাতকে জনঘনত্ব বলে।
-
মােট জনসংখ্যা ÷ মােট জমির আয়তন
-
জনঘনত্ব একটি পরিমাণগত সম্পর্ক।
-
পরিমাপের উপাদান হিসেবে মােট জনসংখ্যা ও মােট জমির পরিমাণকে বিবেচনা করা হয়। জমির কার্যকারিতা সম্পর্কে কোনাে ধারণা পাওয়া যায় না।
-
জনঘনত্ব থেকে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা বা মানুষের জীবনযাত্রার মান সম্পর্কে কোনাে আভাস পাওয়া যায় না।
-
কাম্য বা আদর্শ জনসংখ্যা সম্পর্কে কোনাে ধারণা লাভ করা যায় না।
-
দেশের মােট জনসংখ্যা সম্পর্কে কোনাে ধারণা করা না গেলেও জনবণ্টনের প্রকৃতি সম্পর্কে ধারণা করা যেতে পারে।
-
জমির পােষণ ক্ষমতা ও কার্যকারিতা বিচার করা যায় না।
মানুষ-জমি অনুপাত
-
কোনাে দেশের মােট জনসংখ্যা এবং ওই দেশের মােট কার্যকর জমির অনুপাতকে মানুষ-জমি অনুপাত বলে।
-
মােট জনসংখ্যা ÷ মােট কার্যকর জমির আয়তন
-
মানুষ-জমি অনুপাত একটি গুণগত সম্পর্ক।
-
পরিমাপের উপাদান হিসেবে মােট জনসংখ্যা ও কার্যকর জমির পরিমাণকে বিবেচনা করা হয়। যে জমি ব্যবহারের অযােগ্য, তা হিসাবে ধরা হয় না।
-
মানুষ-জমি অনুপাত থেকে কোনাে দেশ বা অঞ্চলের মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা ও জীবনযাত্রার মান সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যায়।
-
আদর্শ বা কাম্য জনসংখ্যা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা লাভ করা যায়।
-
জনসংখ্যার কেন্দ্রীভবন ও বিকেন্দ্রীভবন। সম্পর্কে ধরাণা করা যেতে পারে এবং গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে।
-
জমির পােষণ ক্ষমতা ও কার্যকারিতা বিচার করা যায়।
পূর্বে মানুষ কেবলমাত্র ভূমির উপরিভাগ থেকে কৃষিজ দ্রব্য ও বনজ সম্পদ আহরণ করত। সময়ের সাথে সাথে জ্ঞান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নতির ফলে জমির কার্যকারিতা বহুগুণ বেড়েছে। মানুষ আজ ভূমির অভ্যন্তরভাগ থেকেও সম্পদ সংগ্রহ করছে। বর্তমানে যেসব জমি সম্পদ উৎপাদনে অক্ষম, তা হয়তাে অদূর ভবিষ্যতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নতির ফলে সম্পদ সৃষ্টিতে সক্ষম হবে। ফলে জমির বহন ক্ষমতা আরও বাড়বে। মানুষ-জমি অনুপাতের পরিবর্তন হলে মানুষের অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপের গতিপ্রকৃতিও পরিবর্তিত হয়। কোনাে দেশের মানুষ-জমি অনুপাত কম হলে, সেই দেশের মানুষের অর্থনৈতিক কাজকর্মের সুযােগ বাড়ে। কৃষি, শিল্প, বাণিজ্য ও সেবাক্ষেত্রে কাজের সুযােগ বাড়ায় কর্মক্ষেত্রের পরিধিও বহুগুণ বেড়ে যায়। তাই বলা যায় মানুষ-জমি অনুপাত ধারণাটি স্থিতিশীল নয় বরং গতিশীল।