গ্রামীণ বসতি গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে সাধারণত প্রাকৃতিক এবং আর্থসামাজিক পরিবেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে, এইসব নিয়ন্ত্রকের বাইরে মানুষ যখন পরিকল্পনা করে এবং সুসজ্জিতভাবে গ্রাম গড়ে তােলে তখন তাকে পরিকল্পিত গ্রাম বলে। সাধারণত দূষণমুক্ত পরিবেশে বসবাসের জন্য এবং চাকরি শেষে অবসর জীবনযাপনের জন্য এই ধরনের জনবসতি গড়ে তােলা হয়। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলি যেমন সুইডেন, ডেনমার্ক, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকা ইত্যাদি দেশগুলিতে এরূপ বসতি দেখা যায়। সাধারণ গ্রামের তুলনায় এই গ্রামগুলিতে সুযােগসুবিধা অনেক বেশি থাকে।
গোষ্ঠীবদ্ধ জনবসতি
-
নির্দিষ্ট এলাকায় সংঘবদ্ধভাবে যে বসতি গড়ে ওঠে তাকে গােষ্ঠীবদ্ধ জনবসতি বলে।
-
বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মৃদু ঢালযুক্ত সমতলভূমি, প্রায় সমতলভূমি, উর্বর মৃত্তিকা সমৃদ্ধ অঞ্চল এবং মনােরম জলবায়ুযুক্ত অঞ্চলে গড়ে উঠতে দেখা যায়।
-
বাড়িগুলির মধ্যে ব্যবধান কম, কাছাকাছি অবস্থান করে।
-
বাড়িগুলি কাছাকাছি থাকায় নিরাপত্তার অভাব হয় না।
-
জনসাধারণের মধ্যে পারস্পরিক যােগাযােগ খুব বেশি।
-
এই প্রকার জনবসতির প্রধান জীবিকা চাষবাস।
বিক্ষিপ্ত জনবসতি
-
দূরে দূরে সংযােগহীন এবং সম্পর্কহীন ভাবে যে জনবসতি গড়ে ওঠে তাকে বিক্ষিপ্ত জনবসতি বলে।
-
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অধিক ঢালযুক্ত পার্বত্য অঞ্চল, মালভূমি অঞ্চল এবং চরম জলবায়ুযুক্ত শুষ্ক, শুষ্কপ্রায় ও শীতল অঞ্চলে গড়ে উঠতে দেখা যায়।
-
বাড়িগুলির মধ্যে ব্যবধান বেশি, দূরে দূরে অবস্থান করে।
-
বাড়িগুলি দূরে দূরে থাকায় নিরাপত্তার অভাব থাকে।
-
জনসাধারণের মধ্যে পারস্পরিক যােগাযােগ খুব কম।
-
এই জনবসতির প্রধান জীবিকা পশুচারণ ও কাঠ সংগ্রহ।