সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে নিখুঁতভাবে মাপা ভূপৃষ্ঠের কোনাে বিন্দুর জ্ঞাত উচ্চতাকে বেঞ্চ মার্ক (Bench Mark) বলে। ভূপৃষ্ঠের কোনাে স্থানের সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা সঠিকভাবে পরিমাপ করতে বেঞ্চমার্ক ব্যবহৃত হয়।
মানচিত্রে বিন্দু বা ডট দিয়ে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে কোনাে স্থানের উচ্চতাকে দেখানাে হলে তাকে স্পট হাইট (Spot Height) বলে। এর সাহায্যে পাহাড় বা পর্বতের শিখরের উচ্চতা ও বিশেষ কতকগুলি স্থানের উচ্চতা দেখানো হয়।
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে সমউচ্চতাযুক্ত স্থানগুলিকে যােগ করলে সমােন্নতি রেখা পাওয়া যায়।
কোনাে অঞ্চলের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন উচ্চতার পার্থক্যকে আপেক্ষিক উচ্চতা বলে এবং সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে কোনাে স্থানের উচ্চতাকে চরম উচ্চতা বলা হয়।
সমােচ্চ রেখার ধরন বা বিন্যাস দেখে ভূমিরূপ ও ভূমিরূপের প্রকৃতি বােঝা যায়।
ভারতীয় জরিপ বিভাগ (Survey of India) টপােশিট প্রকাশ করে।
মিলিটারিরা যুদ্ধের সময় Grid টানা Topo মানচিত্র ব্যবহার করে।
Toposheet-এর স্কেল 1:50,000 বা 2 সেমিতে 1 কিমি।
প্রাকৃতিক (যেমন-ভূপ্রকৃতি, নদনদী, উদ্ভিদের বণ্টন) ও সাংস্কৃতিক (যেমনকৃষিজমি, যােগাযােগ ও পরিবহণ ব্যবস্থা এবং জনবসতির বণ্টন) প্রভৃতি বিষয় দেখানাে হয়।
73 M/14 Toposheet-এর স্কেল 1 : 50,000 বা 2 সেমিতে 1 কিমি হবে।
PF-43 wef za-Protected Forest ( সুরক্ষিত অরণ্য) ও PS এর অর্থ হল Police Station (থানা)।
73 ও 73M নম্বর টপােশিটগুলির স্কেল যথাক্রমে- 1: 1,000,000 এবং 1 : 2,50,000।
আন্তর্জাতিক সিরিজ অনুসারে 2,222 টি Toposheet আছে।
পাহাড় বা পর্বতের যে অংশ ক্রমান্বয়ে দুটি নদী-উপত্যকার মধ্যবর্তী অংশে ধীরে ধীরে নেমে যায় তাকে স্পার বলে।
মানচিত্রের স্কেল, অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশের বিস্তৃতির সাহায্যে টপােশিটের সূচক সংখ্যা জানা যাবে।
1: 50,000 স্কেলের টপােশিটের সমােন্নতি রেখার ব্যবধান 10 মিটার বা 20 মিটার হয়।
4° x 4° ব্যবধানে আঁকা টপােশিটের সূচক নম্বরের উদাহরণ 73,74 ইত্যাদি।
1°x 1° ব্যবধানে আঁকা কোনাে একটি টপােশিটের সূচক নং-73J, 73F 75F ইত্যাদি।
15 x 15 ব্যবধানে আঁকা একটি টপােশিটের সূচক নং-73J/6, 73F/14, 75F/12 ইত্যাদি।
সমােন্নতি রেখার বৈশিষ্ট্য দেখে শৈলশিরা চিহ্নিত করা যায়। যেমন-বৃত্তাকার বা উপবৃত্তাকার সমােন্নতি রেখাগুলির কাছাকাছি অবস্থান, শৈলশিরার অক্ষ বরাবর অল্প কয়েকটি উচ্চমানের আবদ্ধ সমােন্নতি রেখা ইত্যাদি।
দু-দিকে মসৃণ ঢালবিশিষ্ট ও মাঝে মাঝে শৃঙ্গযুক্ত অনুদৈর্ঘ্য উচ্চ ভূভাগকে শৈলশিরা বলে।
কজওয়ে হল নদীর ওপর একপ্রকার নীচু বাঁধ (যা বর্ষাকালে ডুবে যায়) যার ওপর দিয়ে মানুষ চলাচল করতে পারে এবং শুষ্ক মরসুমে হালকা যান চলাচল করতে পারে।
উত্তল ঢালের ক্ষেত্রে নিম্নভূমির দিকে সমােন্নতি রেখাগুলি বেঁকে কাছাকাছি এবং উধ্বাংশে ক্রমান্বয়ে দূরে দূরে অবস্থান করে। অবতল ঢালের ক্ষেত্রে নিম্নভূমির দিকে সমােন্নতি রেখাগুলি দূরে দূরে এবং উর্ধ্বাংশে ক্রমান্বয়ে কাছাকাছি অবস্থান করে।
নদী-উপত্যকার ক্ষেত্রে সমােন্নতি রেখার ‘V’-এর তীক্ষ্ম বা ছুঁচালাে দিকটি উচ্চভূমির দিকে এবং স্পার-এর ক্ষেত্রে সমােন্নতি রেখার জিহ্বার অগ্রভাগ নিম্নভূমির দিকে বর্ধিত থাকে।
সমভূমির মধ্যে অবস্থিত এই উঁচু ঢিবিকে নােল বলে এবং পার্বত্য বা মালভূমি দুটি উচ্চ স্থানের মধ্যবর্তী নীচু স্থানকে কল বলে।
ক্ষয়জাত সমভূমির মধ্যে গােলাকৃতি সমােন্নতি রেখার অবস্থান দেখে মােনাড়নক চেনা যায়।
শিলা দারণ ও ফাটলুযুক্ত হলে জাফরিরূপী ও আয়তাকার নদী নকশা তৈরি হয়।
টপােশিটে লাল রঙের দুটি সমান্তরাল নিরবচ্ছিন্ন রেখা দেখে পাকা রাস্তা এবং লাল রঙের দুটি সমান্তরাল বিচ্ছিন্ন রেখা দেখে কাঁচা রাস্তা চেনা যাবে।
NH-33 লেখা থাকলে বুঝতে হবে এটি 33 নং জাতীয় সড়ক।
একটি নিরবচ্ছিন্ন লাল রেখা দ্বারা গাে-যান পথ চেনা যাবে।
সমপ্রকৃতির শিলা লক্ষণযুক্ত ভূতাত্ত্বিক গঠনে বৃক্ষরূপী জলনির্গম প্রণালী দেখা যায়।
নদীবাক দেখে ভূমিরূপের অপ্রতিসম নদী উপত্যকার প্রকৃতি বােঝা যায়।
যে বনভূমির কিয়দংশ সরকারি অনুমতি সাপেক্ষে ব্যবহারযােগ্য সেই বনভূমিকে সংরক্ষিত বনভূমি বলে।
যে বনভূমির বাস্তুতন্ত্র উদ্ভিদ ও প্রাণীকূলের জন্য সম্পূর্ণরূপে সংরক্ষিত বা নিয়ন্ত্রিত তাকে সুরক্ষিত বনভূমি বলে। এই বনভূমির কোনাে অংশই সাধারণের ব্যবহারের জন্য অনুমতি পায় না।
গম্বুজাকৃতি বা শঙ্কু আকৃতির পাহাড় থাকলে কেন্দ্রবিমুখ নদী নকশা গড়ে ওঠে।
জনবসতি দুই প্রকার—গ্রামীণ জনবসতি ও পৌর জনবসতি।
জনবসতির বাহ্যিক বা জ্যামিতিক রূপকে ধরন বা বিন্যাস বলে।
যখন জনবসতিগুলি নদীর তীর বরাবর অথবা রাস্তার দুই পাশে বিন্যস্ত হয় তখন রৈখিক বা দণ্ডাকৃতি জনবসতি গড়ে ওঠে।
অতি ক্ষুদ্র গ্রামীণ বসতিকে হ্যামলেট বসতি বলে। এটি সাধারণত প্রতিকূল পরিবেশে প্রায় যােগাযােগহীন অবস্থায় বিচ্ছিন্নভাবে কয়েকটি বাড়ি নিয়ে গড়ে ওঠে।
খুবই বন্ধুর ভূপ্রকৃতি থাকলে বিক্ষিপ্ত জনবসতি গড়ে ওঠে।
রাস্তার ধার বরাবর দণ্ডাকৃতি বা রৈখিক জনবসতি দেখা যায়।
রৈখিক দূরত্বের ভিত্তিতে গ্রামীণ বসতি দুই প্রকারগােষ্ঠীবদ্ধ ও বিক্ষিপ্ত জনবসতি।
ভারতীয় জরিপ বিভাগ 1967 সালে স্থাপিত হয়।
ভারতীয় জরিপ বিভাগের সদর দপ্তর দেরাদুনে অবস্থিত।
ভারতীয় জরিপ বিভাগের একটি দপ্তর পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার উড স্ট্রিটে অবস্থিত।
ভারতীয় জরিপ বিভাগের অন্যতম কাজ হল—জরিপ কাজের মাধ্যমে টপােগ্রাফিকাল মানচিত্র প্রস্তুত করা।
পাহাড়, পর্বত বা মালভূমির অপেক্ষাকৃত খাড়া ঢালবিশিষ্ট অংশকে ভৃগুতট বলে।
সমােন্নতিরেখাগুলি প্রায় বৃত্তাকার এবং এদের অন্তর্বর্তী দূরত্ব বেশি হয়। বৃত্তগুলি কেন্দ্রের দিকে ক্রমশ ছােটো হয় কিন্তু বিন্দুতে পরিণত হয় না। সমােন্নতি রেখার মান কেন্দ্রে বেশি থাকে এবং বাইরের দিকে কমতে থাকে।
মানচিত্রের সমােন্নতি রেখাগুলির মধ্যবর্তী দূরত্ব সর্বত্র সমান হলে সুষম ঢাল চিহ্নিত করা যাবে।
সমােন্নতি রেখাগুলির পর্যায়ক্রমিকভাবে ঘনঘন এবং দূরে দূরে অবস্থান দেখে তরঙ্গায়িত ঢাল চিহ্নিত করা যায়।
Geography সব প্রশ্ন উত্তর (দ্বাদশ শ্রেণীর)