শিক্ষার লক্ষ্য নিরূপণ করতে গেলে যে তিনটি বিষয়ের প্রতি নজর দেওয়া হয়, তাদের প্রথমটি হল ব্যক্তিগত বিকাশ। ব্যক্তিগত বিকাশের ক্ষেত্রে শিক্ষার ভূমিকা হল-
[1] ব্যক্তির সুপ্ত সম্ভাবনাগুলিকে শনাক্ত করা এবং যথাযথ বিকাশে সহায়তা করা : শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল শিশুর সম্ভাবনাগুলিকে চিহ্নিত করা এবং সেগুলির পরিপূর্ণ বিকাশে সহায়তা করা।
[2] পরিবর্তনশীল পরিবেশের সঙ্গে ব্যক্তির অডিযােজনে সাহায্য করা : ব্যক্তিজীবনের লক্ষ্য হল পরিবর্তনশীল পরিবেশের সঙ্গে অভিযােজনের মাধ্যমে এগিয়ে যাওয়া। শিক্ষা এক্ষেত্রে ব্যক্তিকে সাহায্য করে।
[3] ব্যক্তিকে অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেওয়া : বিভিন্ন পাঠক্রম ও সহপাঠক্রমিক কর্মসূচির মধ্য দিয়ে শিক্ষা ব্যক্তিকে অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযােগ করে দেয়।
[4] ব্যক্তির চিন্তাশক্তির বিকাশ এবং তার প্রকাশে সহায়তা করা : শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল ব্যক্তির স্বাধীন চিন্তাশক্তি বিকাশে সহায়তা করা।
[5] সামাজিক কাজের সঙ্গে ব্যক্তিকে যুক্ত করা : ব্যক্তির সামাজিক বিকাশকে ত্বরান্বিত করতে হলে ব্যক্তিকে সমাজের বিভিন্ন অংশের সঙ্গে, বিভিন্ন সামাজিক কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। এক্ষেত্রেও শিক্ষা বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
[6] ব্যক্তিকে সমাজের উপযুক্ত সদস্যে পরিণত করা : ব্যক্তি যাতে সমাজের একজন উৎপাদনশীল এবং সক্রিয় নাগরিক হতে পারে, সমাজকে কিছু দিতে পারে সে ব্যাপারে শিক্ষা ব্যক্তিকে সাহায্য করে।
[7] ব্যক্তিকে দেশের অর্থনৈতিক শ্রীবৃদ্ধির সঙ্গে যুক্ত করা : শিক্ষার অন্যতম কাজ হল ব্যক্তিকে জাতির অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করার মাধ্যমে দেশের আর্থিক শ্রীবৃদ্ধি ঘটানাে।
[8] ব্যক্তিকে ‘প্রকৃত মানুষ’ হতে সাহায্য করা : প্রকৃত মানুষ হতে গেলে শিক্ষিত হওয়ার পাশাপাশি আরও কিছু গুণের অধিকারী হওয়া প্রয়ােজন। শিক্ষা ব্যক্তিকে সেইসব গুণ অর্জনে সাহায্য করে।
ওপরের বিষয়গুলির পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, শিক্ষা বিভিন্নভাবে ব্যক্তির সুপ্ত সন্তাবনাগুলি বিকাশে সাহায্য করে এবং ব্যক্তিকে প্রকৃত মানুষ করে তােলে।