“পদ্মাবতী”- আলাওল।
“পদ্মাবতী ” আলাওলের প্রথম ও শ্রেষ্ট কাব্য। এটি হিন্দি কবি মালিক মোহাম্মদ জায়সীর “পদুমাবত” কাব্যের অনুবাদ। আলাওল কোরেশী মাগন ঠাকুরের নির্দেশে ১৬৫১ সালে কাব্যটি রচনা করেন। এই কাব্যের কাহিনী রূপায়ন, চরিত্রচিত্রণ, প্রকাশভঙ্গির ক্ষেত্রে আলাওল তার সময়ের অন্যান্য কবিকে ছাপিয়ে উঠেছেন। পদ্মাবতী প্রেমমূলক ঐতিহাসিক কাব্য হলেও প্রেমের স্বরূপই এখানে বেশি, ইতিহাস গৌণ।
সংক্ষিপ্ত কাহিনীঃ
কাব্যের কাহিনী আবর্তিত হয়েছে চিতোরের রানী পদ্মিনীকে কেন্দ্র করে। পদ্মাবতীর স্বামীর নাম রত্নসেন। পদ্মাবতী অপূর্ব সুন্দরী। চিতোরের রাজসভায় রাঘবচেতন নামে এক ব্রাহ্মণ পণ্ডিত প্রতিশোধ গ্রহণের জন্য দিল্লির সম্রাট আলাউদ্দিনের নিকট পদ্মাবতীর অনুপম রূপের প্রশংসা করে তাঁকে হরণ করতে প্ররোচিত করেন। আলাউদ্দিন রত্নসেনের নিকট পদ্মাবতী সম্বন্ধে অনুরূপ প্রস্তাব করে প্রত্যাখ্যাত হন এবং প্রতিশোধ গ্রহণের উদ্দেশ্যে চিতোর আক্রমণ করেন। যুদ্ধে রত্নসেন বন্দী হলেও বিশ্বস্ত অনুচরদের সহায়তায় মুক্তি পেতে সক্ষম হন। পরে রাজা দেওপালের সঙ্গে রত্নসেনের যুদ্ধ বাঁধে। সে যুদ্ধে দেওপাল নিহত হন এবং রত্নসেন আহত হন। এ সুযোগে আলাউদ্দিন পুনরায় চিতোর আক্রমণ করেন। ইতোমধ্যে রত্নসেনের মৃত্যু ঘটলে, পদ্মাবতী ও সহমৃত হন। আলাউদ্দিন বিজয়ীবেশে চিতোর পৌঁছে তাঁদের জলন্ত চিতা দেখতে পেলেন। তখন চিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সুলতান দিল্লি ফিরে আসেন