ভূমিকা: ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রের সংসদীয় শাসনব্যবস্থার রীতি অনুসারে কেন্দ্রীয় প্রশাসনে প্রধানমন্ত্রীর এবং রাজ্য প্রশাসনে মুখ্যমন্ত্রীর প্রাধান্য প্রতিষ্ঠিত হয়। রাজ্য প্রশাসনে প্রশাসনিক কর্তৃত্বের প্রকৃত অধিকারী মুখ্যমন্ত্রী ও তার মন্ত্রীসভা। নরম্যানের ডি পামারের ভাষায়, রাজ্যগুলিতে প্রকৃত শাসক মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যে যার প্রকৃত অবস্থান প্রধানমন্ত্রীর অনুরূপ।
অঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর যােগ্যতা, নিয়ােগ ও কার্যকাল
কোনাে অঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হতে হলে তাকে রাজ্য আইনসভার সদস্য হতে হয়। তবে এ কথাও ঠিক যে, রাজ্য আইনসভার সদস্য না হয়েও ছ-মাস মুখ্যমন্ত্রী পদে তিনি বহাল থাকতে পারেন। সংবিধানের ১৬৪ (১) নং ধারানুযায়ী রাজ্যপাল সংশ্লিষ্ট রাজ্যের বিধানসভার সংখ্যাগরিষ্ঠ দল বা জোটের নেতা বা নেত্রী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নিয়ােগ করে থাকেন। তবে অনেকক্ষেত্রে রাজ্যের বিধানসভায় কোনাে দল বা জোট যদি সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে না পারে তাহলে মুখ্যমন্ত্রী কে নিয়ােগ সংক্রান্ত ব্যাপারে রাজ্যপাল তার স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা প্রয়ােগ করতে পারেন। মুখ্যমন্ত্রীর কার্যকালের স্থায়িত্ব ৫ বছর অর্থাৎ তার কার্যকালের মেয়াদ বিধানসভার মেয়াদেরই সমান।
অঙ্গরাজ্যে মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমতা ও কার্যাবলি
সংবিধানে মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমতা ও কার্যাবলি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে কিছু উল্লেখ করা হয়নি। এ বিষয়ে সঠিক ধারণা লাভের জন্য রাজ্যের রাজ্যপাল, মন্ত্রীসভা, বিধানসভা, নিজ দল ও জনগণের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সম্পর্ক আলােচনা করা দরকার। নিম্নে সেগুলি আলােচনা করা হলㅡ
(১) রাজ্যপাল ও রাজ্য সরকারের মধ্যে মুখ্য সংযােগসূত্র হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী: মুখ্যমন্ত্রী হলেন রাজ্যপাল ও রাজ্য সরকারের মধ্যে মুখ্য যােগসূত্রকারক। রাজ্যপাল তার স্ববিবেচনা অনুযায়ী কাজ করার ক্ষেত্রগুলি ছাড়া, শাসনকার্য পরিচালনার অন্য সমস্ত ক্ষেত্রে রাজ্য মন্ত্রীসভার পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করে থাকেন। এই সমস্ত ক্ষেত্রে রাজ্য মন্ত্রীসভার সিদ্ধান্তের কথা মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপাল কে জানান। এ ছাড়া শাসনকার্য পরিচালনার জন্য গৃহীত ক্যাবিনেটের সমস্ত নীতি ও সিদ্ধান্তের কথা মুখ্যমন্ত্রী মারফত রাজ্যপাল জেনে থাকেন।
মুখ্যমন্ত্রী হলেন রাজ্যপালের প্রধান পরামর্শদাতা। তাঁর পরামর্শ অনুযায়ী রাজ্য মন্ত্রীসভায় মন্ত্রীদের নিয়ােগ, অপসারণ, দপ্তর বণ্টন সংক্রান্ত কাজকর্ম, বিধানসভার অধিবেশন আহ্বান করা, স্থগিত রাখা বা কার্যকাল সমাপ্ত হয়ে থাকে। বলা যেতে পারে যে, মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্য মন্ত্রীসভার সংযােগসাধন করে থাকেন।
(২) রাজ্য মন্ত্রীসভার নেতা হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী: মন্ত্রীসভার পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রীকে ‘সমপর্যায়ভুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে অগ্রগণ্য (first among equals) বলা হয়ে থাকে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী হলেন রাজ্যের মন্ত্রীসভার নেতা (১৬৩ নং ধারা)। এই কারণে তার স্থান শীর্ষে। মন্ত্রীসভার অন্যান্য সদস্য মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে রাজ্যপাল কর্তৃক নিযুক্ত হন। বস্তুত রাজ্যের মন্ত্রীসভার আয়তন, নিয়ােগ ও দপ্তর বণ্টন প্রভৃতি ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্তই রাজ্যপালের মাধ্যমে কার্যকর হয়। মন্ত্রীদের মধ্যে তিনি দপ্তর রদবদল করতে পারেন, যার বিরাগভাজন মন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে বলতে পারেন বা রাজ্যপালের মাধ্যমে তাঁকে অপসারণ করতে পারেন। আবার নিজে পদত্যাগ করে তিনি সমগ্র মন্ত্রীসভার পতন ঘটাতে পারেন। মুখ্যমন্ত্রী ক্যাবিনেটের বৈঠক আহ্বান করে সেই বৈঠকে সভাপতিত্ব করে থাকেন। মুখ্যমন্ত্রী সরকারের নীতি নির্ধারণ, নীতি ও সিদ্ধান্তসমূহ কার্যকর করার মূল দায়িত্ব পালন করেন। মন্ত্রীসভায় সংহতি ও ঐক্য বজায় রাখা, সরকারি নীতির সমন্বয়সাধনের ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীকে যথেষ্ট যত্নবান হতে হয়। এ ছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী এক বা একাধিক দপ্তরের দায়িত্ব নিলেও তাঁর মূল কাজ হল মন্ত্রীসভাকে নেতৃত্ব প্রদান করা এবং মন্ত্রীসভার মধ্যে সমন্বয়সাধন করা। সুতরাং মুখ্যমন্ত্রী হলেন ক্যাবিনেট তােরণের ভিত্তিপ্রস্তর (Keystone of the Cabinet arch)।
(৩) রাজ্য আইনসভার নেতা হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী: রাজ্যের আইনসভার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। রাজ্য আইনসভায় তার ভূমিকা দ্বিবিধ। (A) সরকারের প্রধান হিসেবে এবং (B) সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা হিসেবে আইনসভায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। আইনসভায় সরকারবিরােধী সমালােচনার জবাব দেওয়া, সরকারি নীতি ব্যাখ্যা করা এবং সরকারি নীতি কার্যকর করা সম্পর্কে সরকারি বক্তব্য আইনসভায় পেশ করার চূড়ান্ত দায়িত্ব মুখ্যমন্ত্রীর উপর ন্যস্ত থাকে। মুখ্যমন্ত্রী সরকারের মুখপাত্র হওয়ার জন্যই তাঁকে বিরােধী দলগুলির সঙ্গে যােগাযােগ ও প্রীতিপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে চলতে হয়। তিনি সভা ও সভার সদস্যদের অধিকার ও মর্যাদারক্ষার চেষ্টা করেন এবং রাজ্যপালের মাধ্যমে রাজ্য আইনসভার অধিবেশন আহ্বান করতে ও স্থগিত রাখতে পারেন।
বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় তাকে দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা বজায় রেখে সবসময় চলতে হয়। মুখ্যমন্ত্রী কিছু রাজনৈতিক দায়িত্ব পালন করে থাকেন, সেগুলি হল সংসদীয় শাখার মধ্যে ঐক্য বজায় রাখা, দলের বিরূপ সমালােচনার জবাব দেওয়া, দলীয় নীতিকে জনপ্রিয় করে ব্যাখ্যা করা ও তার রূপায়ণ ঘটানাে। রাজ্য আইনসভার গুরুত্বপূর্ণ বিলের ব্যাপারেও মুখ্যমন্ত্রীকে দায়িত্ব পালন করতে হয়।
(৪) দলের নেতা হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী: মুখ্যমন্ত্রী হলেন রাজ্য আইনসভার সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা। এক্ষেত্রে তিনি আইনসভার অভ্যন্তরেই শুধু দলনেতার ভূমিকা পালন করেন না, আইনসভার বাইরে জনগণের নিকটেও শাসকদলের নেতা হিসেবে ভূমিকা পালন করেন। দলের সমর্থন ছাড়া তিনি কোনাে কার্য সম্পাদন করতে পারেন না বলেই তার পদমর্যাদা সেইরূপ গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয় না।
মুখ্যমন্ত্রীকে তার দলের প্রতি জনসমর্থন বৃদ্ধি করার জন্য, সর্বোপরি দলে তাঁর ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল করার জন্য তাকে জননেতার ভূমিকা পালন করতে হয়। যেমন- মুখ্যমন্ত্রী সভায়, জনসমাবেশে ভাষণ প্রদান করে থাকেন, সাংবাদিকদের সাক্ষাৎকার দিয়ে থাকেন, রেডিয়াে ও টেলিভিশনের মারফত জনগণের সামনে বিভিন্ন বক্তব্য পেশ করে থাকেন প্রভৃতি।
(৫) কেন্দ্র-রাজ্যের সম্পর্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা: মুখ্যমন্ত্রীর মাধ্যমেই কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রীর রুটিনমাফিক কাজগুলির মধ্যে কয়েকটি উল্লেখযােগ্য হল রাজ্যের আর্থিক পরিকল্পনা রূপায়ণ থেকে শুরু করে বন্যা, খরা ও অন্যান্য প্রাকৃতিক বিপর্যয় মােকাবিলা করা পর্যন্ত যে বাড়তি অর্থের প্রয়ােজন দেখা যায়, সেই প্রয়ােজনের মােকাবিলার দরুন কেন্দ্রের উপর চাপ সৃষ্টি করা।
(৬) জনগণের নেতা বা নেত্রী হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী: রাজ্যের প্রকৃত শাসকপ্রধান মুখ্যমন্ত্রী হলেন রাজ্যের জনগণের নেতা। রাজ্য সরকারের সাফল্য ও জনপ্রিয়তা বিশেষভাবে মুখ্যমন্ত্রীর উপর নির্ভরশীল। আবার মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমতা ও মর্যাদা জনসমর্থনের উপর নির্ভরশীল। জনসাধারণ তাদের ইচ্ছা-অনিচ্ছা, আশা-আকাঙ্খা পূরণের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিই আস্থাশীল থাকে। তার বক্তব্য, কার্যকলাপ প্রভৃতি রাজ্যের অধিবাসীদের মধ্যে গভীর প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করার ফলে রাজ্যবাসীর মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে দৃঢ় বিশ্বাস ও মােহের সৃষ্টি হয়। বলাবাহুল্য, মুখ্যমন্ত্রীর বিচক্ষণতা ও জনপ্রিয়তা সরকারের অনুকূলে জনমত গড়ে তুলতে সাহায্য করে।
অঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পদমর্যাদা
মুখ্যমন্ত্রীদের ক্ষমতার পরিধি ও পদমর্যাদার প্রকৃতি আলােচনা প্রসঙ্গে অধ্যাপক জোহারি মুখ্যমন্ত্রীদের তিন শ্রেণিতে বিভক্ত করেন一
(১) কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দলের একদলীয় মন্ত্রীসভার মুখ্যমন্ত্রী: কেন্দ্রীয় সরকার এবং দলীয় নেতাদের সমর্থন, রাজ্যপাল ও বিধানসভার দলীয় সদস্যদের সহযােগিতা প্রথম শ্রেণির মুখ্যমন্ত্রীগণ লাভ করে থাকেন। এক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী অপরিসীম ক্ষমতার অধিকারী হতে পারেন যদি পদাধিকারীগণ দক্ষ, বিজ্ঞান ও ব্যক্তিত্বসম্পন্ন হন। উদাহরণস্বরূপ ড. বিধানচন্দ্র রায়, গােবিন্দবল্লভ পন্থ প্রমুখ মুখ্যমন্ত্রীদের নাম বিশেষভাবে উল্লেখ করা যেতে পারে। আবার পদাধিকারীগণ যদি দক্ষ ও ব্যক্তিত্বসম্পন্ন না হন তাহলে মুখ্যমন্ত্রীগণ কেন্দ্রীয় সরকারের ক্রীড়নকে পরিণত হয়ে পড়েন।
(২) কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন নয় এমন কোন দলের একদলীয় মন্ত্রিসভার মুখ্যমন্ত্রী: কেন্দ্রের প্রতিনিধি হিসেবে চিহ্নিত দ্বিতীয় শ্রেণির মুখ্যমন্ত্রীগণ রাজ্যপালের বিরােধিতার সম্মুখীন হন। নিজ দলের উপর এই শ্রেণির মুখ্যমন্ত্রীর কর্তৃত্ব থাকা বাঞ্ছনীয়। যদি তা না হয় তাহলে সুষ্ঠুভাবে শাসনকার্য পরিচালনার ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি হতে পারে।
(৩) কোয়ালিশন মন্ত্রীসভার মুখ্যমন্ত্রী: কোয়ালিশন মন্ত্রীসভার মুখ্যমন্ত্রীগণ তাদের স্বাভাবিক ক্ষমতা থেকে অনেকসময়ই বঞ্চিত হয়ে পড়েন, যদিও এই মন্ত্রীসভা তাদের শরিকদের সঙ্গে আলাপ-আলােচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকে এবং সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই সরকার পরিচালিত হয়ে থাকে। এই ধরনের সরকারে মন্ত্রী নিয়ােগ, দপ্তর বণ্টন প্রভৃতি ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর কোনােরূপ কর্তৃত্ব বা অধিকার বজায় থাকে না। বলাবাহুল্য, কোনাে মন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীর বিরােধিতা করে মন্ত্রীসভায় বহাল তবিয়তে টিকে থাকতে পারে না। উদাহরণস্বরূপ, ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দে পশ্চিমবঙ্গে যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রীসভার মুখ্যমন্ত্রী অজয় মুখোপাধ্যায় কথা এক্ষেত্রে উল্লেখ করা যেতে পারে।
মূল্যায়ন: সর্বোপরি পদাধিকারীর ব্যক্তিত্ব, কার্যদক্ষতা ও গুণগত যােগ্যতার উপর মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমতা ও পদমর্যাদা বহুলাংশে নির্ভরশীল। পদাধিকারী যদি যােগ্য, বিজ্ঞ ও দক্ষ প্রশাসক হন তাহলে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি ব্যাপক ক্ষমতা ও প্রভূত মর্যাদার অধিকারী হবেন। রাজনৈতিক দূরদৃষ্টি, বিচক্ষণতা এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা মুখ্যমন্ত্রীর প্রভাবের পরিধিকে প্রসারিত করে।
বলাবাহুল্য, বর্তমান শাসনব্যবস্থায় অধিকাংশ অঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের স্বাভাবিক ক্ষমতা ও মর্যাদা অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে। সাম্প্রতিককালে শাসকদলের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, পদাধিকারীদের যােগ্যতা ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠার অভাব, অন্যের আনুকূল্য ও পৃষ্ঠপােষকতা, বিশেষত প্রধানমন্ত্রীর একান্ত অনুগত ব্যক্তিদেরকে মুখ্যমন্ত্রী পদে নিয়ােগ করা ও ঘন ঘন মুখ্যমন্ত্রী পরিবর্তন হওয়া, মুখ্যমন্ত্রীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযােগ আনা এবং তদন্ত কমিশন গঠন প্রভৃতি মুখ্যমন্ত্রী পদের অবমূল্যায়নের জন্য অন্যতম কারণ বলে মনে করা হয়।