ভূমিকা: পশ্চিমবঙ্গের আইনসভা হল এককক্ষবিশিষ্ট আইনসভা। কিন্তু রাজ্য আইনসভার সংগঠন দ্বিকক্ষবিশিষ্ট হওয়ার দরুন তা এককক্ষবিশিষ্ট সংগঠন থেকে অবশ্যই পৃথক বলে প্রতিপন্ন হবে। রাজ্যের দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভার নিম্নকক্ষের নাম বিধানসভা। পশ্চিমবঙ্গে ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাসে বিধানসভার অধিবেশনে বিধান পরিষদের বিলুপ্ত হওয়ার প্রস্তাব সকলের সমর্থনে গৃহীত হয়েছিল। এর ফলস্বরূপ বর্তমানে অন্যান্য রাজ্যের বিধানসভার তুলনায় পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য বিধানসভার গঠন, ক্ষমতা ও কার্যাবলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।
রাজ্য বিধানসভার গঠন
ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী প্রাপ্তবয়স্কের ভােটাধিকারের ভিত্তিতে প্রত্যক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বিধানসভা গুলি গঠিত হবে一
(1) বিধানসভার সদস্যদের নির্বাচন পদ্ধতি: ১৭০ (১) নং ধারা অনুসারে কোনাে বিধানসভার সদস্য সংখ্যা ৫০০-এর বেশি বা ৬০-এর কম হবে না। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার নির্বাচিত সদস্য সংখ্যা হল ২৯৪ জন। সংবিধান অনুসারে বিধানসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে জনসংখ্যার অনুপাতে প্রতিটি রাজ্যকে কতকগুলি নির্বাচনী এলাকায় বিভক্ত করা হয়, যা ৭৫ হাজার থেকে ১ লাখ ভােটদাতাকে নিয়ে গঠিত হয়। প্রত্যেক কেন্দ্র থেকে ১ জন করে বিধায়ক নির্বাচিত হন। আবার রাজ্যপাল যদি মনে করেন বিধানসভায় অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান সম্প্রদায়ের পর্যাপ্ত প্রতিনিধিত্ব নেই, তাহলে রাজ্যপাল অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক, কেরল, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ প্রভৃতি রাজ্য থেকে ইঙ্গ- ভারতীয় সম্প্রদায়ের একজন করে প্রতিনিধি মনােনীত করতে পারেন (অনুচ্ছেদ ৩৩৩)।
(2) বিধানসভার সদস্যদের যােগ্যতা : পশ্চিমবঙ্গ-সহ যে-কোনাে রাজ্যের বিধানসভার সদস্য হতে গলে, যে-সমস্ত যােগ্যতা থাকা দরকার, সেগুলি হল- (a) ভারতীয় নাগরিক হতে হবে, (b) কমপক্ষে ২৫ বছর বয়স্ক হতে হবে, (c) কোন সরকারি লাভজনক পদে নিযুক্ত থাকা চলবে না, (d) আদালত কর্তৃক দেউলিয়া বা বিকৃত মস্তিষ্ক ঘােষিত ব্যক্তি প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হতে পারবেন না, (e) একইসঙ্গে বিধানসভা ও পার্লামেন্টের সদস্য থাকা চলবে না।
(3) বিধানসভার সদস্যদের আসন সংরক্ষণ : ৯৫ তম (২০০৯ খ্রি.) সংবিধান-সংশোধনের মাধ্যমে ২০২০ খ্রিস্টাব্দের ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বিধানসভা নির্বাচনে তপশিলি জাতি ও উপজাতিগুলির জন্য আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
(4) অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ : সংবিধানের ১৭৮ নং ধারায় উল্লেখ করা আছে যে, প্রতিটি রাজ্য বিধানসভার প্রথম অধিবেশনে সদস্যরা নিজেদের মধ্য থেকে একজনকে অধ্যক্ষ (স্পিকার) এবং অন্য একজনকে উপাধ্যক্ষ (ডেপুটি স্পিকার) হিসেবে নির্বাচন করে থাকেন। এ ছাড়া, অধ্যক্ষ সদস্যদের মধ্য থেকে অনধিক ৬ জনকে সভাপতি হিসেবে মনােনয়ন করতে পারেন। অধ্যক্ষ বিধানসভার ভােটাভুটির সময় নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে থাকেন। তবে কোনাে প্রস্তাব বা বিলের পক্ষে ও বিপক্ষে সমানসংখ্যক ভােট প্রদত্ত হলে তিনি একটি নির্ণায়ক ভােট (Casting Vote) প্রদান করতে পারেন।
(5) বিধানসভার সদস্যদের স্থিতিকাল : বিধানসভার সদস্যদের সাধারণ কার্যকালের স্থিতিকাল ৫ বছর হলেও এই ৫ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই রাজ্যপাল বিধানসভা ভেঙে দিতে পারেন। তবে রাষ্ট্রপতি জরুরি অবস্থা ঘােষণা করে থাকলে ৫ বছর মেয়াদ বৃদ্ধি করা যেতে পারে। এইরকম অবস্থায় কেন্দ্রীয় সংসদ জরুরি অবস্থা শেষ হয়ে যাওয়ার পর অনধিক ছ-মাস বিধানসভার মেয়াদ বৃদ্ধি করতে পারে, তবে এক-একবার এক বছরের বেশি সময়ের জন্য মেয়াদ বৃদ্ধি করা যাবে না [অনুচ্ছেদ ১৭২ (১)]।
(6) সদস্যদের বেতন ও ভাতা : বিধানসভার সদস্যদের বেতন ও ভাতা সংশ্লিষ্ট রাজ্যের আইনের মাধ্যমে স্থির করার ফলে সকল রাজ্য বিধানসভার সদস্যদের বেতন ও ভাতা একরকম হয় না। কিন্তু বিধানসভা ২০১১ খ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে একটি আইন [Legislative Assembly (Members Emoluments) Amendment Act] প্রণয়ন করে বিধানসভার সদস্যদের বেতন, ভাতা নির্ধারণ করে। এই আইনের মাধ্যমে স্থির করা হয় বিধানসভার সদস্যদের মাসিক বেতন বর্তমানে ১৭,৫০০ টাকা করা হয়েছে এবং তার সঙ্গে অন্যান্য সযােগসুবিধাও তারা ভােগ করে থাকেন।
(7) বিধানসভার অধিবেশন : পশ্চিমবঙ্গ-সহ সব রাজ্যের রাজ্যপাল রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন আহ্বান করতে কিংবা স্থগিত রাখতে পারেন। বছরে অন্তত দু-বার বিধানসভার অধিবেশন আহ্বান করতে পারেন। একটি অধিবেশনের সমাপ্তি ও পরবর্তী অধিবেশনের সূচনার মধ্যে ৬ মাসের কম ব্যবধান থাকতে হবে। প্রয়ােজন মনে করলে রাজ্যপাল বিধানসভা ভেঙে দিতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে রাজ্যপাল সংসদীয় গণতন্ত্রের রীতি মান্য করে মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকেন।
বিধানসভার ক্ষমতা ও কার্যাবলি
রাজ্য আইনসভা হিসেবে বিধানসভার প্রধান কাজ আইন প্রণয়ন করা। প্রতিটি বিধানসভাকে যেসকল কার্যাবলি সম্পাদন করতে হয় নিম্নে তা আলােচনা করা হল一
(1) আইন প্রণয়ন সংক্রান্ত ক্ষমতা : বিধানসভার প্রথম ও প্রধান কাজ হল আইন প্রণয়ন করা। সাংবিধানিক বিধিব্যবস্থা অনুযায়ী রাজ্য তালিকাভুক্ত যে-কোনাে বিষয়ে বিধানসভা আইন প্রণয়নে এককভাবে ক্ষমতা প্রয়ােগের অধিকারী। আবার, যুগ্ম তালিকাভুক্ত বিষয়ে পার্লামেন্ট এবং বিধানসভা যৌথভাবে আইন প্রণয়ন করতে পারে। বিধানসভায় গৃহীত প্রতিটি বিলে রাজ্যপালের সম্মতি অপরিহার্য। কিন্তু রাজ্যপাল সাধারণ বিলের পুনর্বিবেচনার জন্য সুপারিশ-সহ কিংবা সুপারিশ ছাড়া বিধানসভার কাছে ফেরত পাঠাতে পারেন। তবে পুনরায় বিবেচনার জন্য বিলটি দ্বিতীয়বার রাজ্যপালের কাছে প্রেরিত হলে, রাজ্যপাল তাতে কখনােই অসম্মতি জ্ঞাপন করতে পারেন না। রাজ্যপাল স্বাক্ষর করলেই সংশ্লিষ্ট বিলটি আইনে পরিণত হয়, অবশ্য কোনাে কোনাে সময়ে সংশ্লিষ্ট বিলে সই না করে রাষ্ট্রপতির বিবেচনার জন্য পাঠানো যেতে পারে। এক্ষেত্রে রাজ্যপাল স্ববিবেচনা অনুযায়ী কাজ করে থাকেন বলেই তিনি রাজ্য মন্ত্রীসভার সুপারিশ গ্রহণ করতে বাধ্য থাকেন না।
(2) অর্থ সংক্রান্ত ক্ষমতা : রাজ্য বিধানসভা হল রাজ্যের অর্থ সম্পদের অতন্দ্র প্রহরী। তাই রাজ্য বিধানসভার সম্মতি ব্যতীত সরকারের আয় ব্যয় সংক্রান্ত কোনাে প্রস্তাব কার্যকরী হতে পারে না। নতুন কোনাে কর স্থাপনের প্রস্তাবই হােক বা রাজ্যের সঞ্চিত তহবিল (Consolidated Fund) থেকে ব্যয়ের কোনাে প্রস্তাব হোক সবকিছু রাজ্য বিধানসভার অনুমােদন সাপেক্ষে কার্যকরী হয়। রাজ্যের জরুরি ব্যয় সংক্রান্ত তহবিল (Contingency Fund) থেকে রাজ্যপাল অগ্রিম কোনাে ব্যয়ের অনুমতি দিলেও, তা রাজ্য বিধানসভা কর্তৃক অনুমােদিত হওয়া প্রয়ােজন। রাজ্য বিধানসভা কর্তৃক অনুমােদিত না হলে সরকারের বাৎসরিক ব্যয় বরাদ্দ সংক্রান্ত প্রস্তাব (Budget) কার্যকরী হতে পারে না। রাজ্যপালের সম্মক্ৰিমে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী রাজ্য বিধানসভায় সরকারের আর্থিক বছর শুরু হওয়ার পূর্বেই সরকারের ব্যয় বরাদ্দ এই প্রস্তাব বিলের আকারে পেশ করে থাকেন। বিধানসভায় গৃহীত হওয়ার পর এই বিল রাজ্যপালের সম্মতিলাভ করলেই আইনে পরিণত হয়। রাজ্যপাল কোনাে অর্থ বিলকে অস্বীকার করতে পারেন না।
(3) শাসন বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত ক্ষমতা : সংবিধান অনুযায়ী সম্পাদিত কার্যাবলির জন্য রাজ্য মন্ত্রিসভা বিধানসভার কাছে যৌথভাবে দায়িত্বশীল থাকতে হয়। রাজ্য মন্ত্রীসভার স্থায়িত্ব বিধানসভার উপর নির্ভরশীল। বিধানসভার আস্থা হারালে তৎক্ষণাৎ মন্ত্রীসভাকে পদত্যাগ করতে হয়। প্রশ্ন জিজ্ঞাসা, মুলতুবি প্রস্তাব উত্থাপন, ছাঁটাই প্রস্তাব পেশ, অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন ইত্যাদির দ্বারাও বিধানসভা রাজ্য মন্ত্রীসভাকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। অবশ্য কঠোর দলীয় রাজনীতির কারণে বিধানসভার দ্বারা মন্ত্রীসভাকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা বাস্তবে তত্ত্বগত ধারণায় পর্যবসিত হয়েছে।
(4) সংবিধান-সংশোধন বিলের অনুমােদন সংক্রান্ত ক্ষমতা : রাজ্য বিধানসভা সংবিধান-সংশোধনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ভারতের সংবিধান-সংশােধনের মূল দায়িত্ব ভারতীয় পার্লামেন্টের হাতে ন্যস্ত থাকে কখনাে-কখনাে দেশের স্বার্থে বিধানসভা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামােকে অক্ষুন্ন রাখার জন্য সংবিধান-সংশােধনের মতাে দায়িত্ব পালন করে থাকে। এই দায়িত্বগুলির মধ্যে উল্লেখ্য হল রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, সুপ্রিমকোর্ট ও হাইকোর্ট সংক্রান্ত বিষয় এমনকি কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে ক্ষমতা বণ্টন সংক্রান্ত বিষয়ের নির্ধারণ।
(5) সংবাদ ও তথ্য প্রদান সংক্রান্ত ক্ষমতা : জনসাধারণকে অবহিত করার উদ্দেশ্যে সংবাদ ও তথ্য প্রদান সরবরাহ-কেন্দ্র হিসেবে বিধানসভা কাজ করে থাকে। অধিবেশন চলাকালীন সময় মন্ত্রীরা যে বিভিন্ন বিষয়ের প্রশ্নের জবাবে উত্তরপ্রদান ও তথ্য সরবরাহ করে থাকেন, বিধানসভা তা সংবাদমাধ্যমের দ্বারা সরবরাহ করে থাকেন। ফলে জনগণ সরকারি কাজের বিষয়ে সম্যকভাবে ওয়াকিবহাল হতে পারে।
(6) নিয়ােগ সংক্রান্ত ক্ষমতা : রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য যে বিশেষ নির্বাচক সংস্থা গঠিত হয়, অন্যান্য রাজ্য বিধানসভার মতাে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধানসভায়ও অংশগ্রহণ করতে পারে। রাজ্য বিধানসভার নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ, সংশ্লিষ্ট রাজ্যের রাজ্যসভার (পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ) সদস্যগণকে সমানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের ভিত্তিতে একক হস্তান্তরযােগ্য ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত করে থাকেন। রাজ্যসভায় পশ্চিমবঙ্গের আসনসংখ্যা হল ১৬। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধানসভার একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল রাজ্যসভার এই ১৬ জন ব্যক্তিকে নিয়ােগ করা।
(7) সাধারণের স্বার্থজড়িত বিষয়ে আলােচনা সংক্রান্ত ক্ষমতা : রাজ্য বিধানসভায় সমগ্র রাজ্যের জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা থাকেন। সুতরাং জনগণের সাধারণ স্বার্থজড়িত বিষয়ে সভায় আলােচনা, সমালােচনা ও তর্কবিতর্ক চলে। এই সমস্ত আলােচনা থেকে বহু কার্যকরী সমাধানের ইঙ্গিত পাওয়া যায়। এই সমস্ত আলােচনা থেকে বহু অজ্ঞাত সরকারি তথ্য ও প্রকাশিত হতে পারে যার থেকে জনগণের মধ্যে রাজনৈতিক জ্ঞান বৃদ্ধি লাভ করে, যা পরােক্ষভাবে জনমত গঠনে সহায়তা করে থাকে।
(8) অন্যান্য ক্ষমতা :
- (a) অন্যান্য রাজ্য বিধানসভার ন্যায় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধানসভা, সভার নির্বাচিত সদস্যদের মধ্য থেকে সভার কাজ পরিচালনার জন্য একজন স্পিকার ও একজন ডেপুটি স্পিকারকে নির্বাচিত করে।
- (b) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধানসভা এই রাজ্যের রাজ্য পাবলিক সার্ভিস কমিশনের রিপাের্ট, কম্পট্রোলার এবং অডিটর জেনারেলের রিপাের্ট প্রভৃতি পর্যালোচনা করতে পারে।
- (c) পশ্চিমবঙ্গের সীমানা সংক্রান্ত কোনাে কেন্দ্রীয় বিল সম্পর্কে রাষ্ট্রপতি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধানসভার মতামত চাইলে তা জানানোও বিধানসভার একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব বলে বিবেচিত হয়।
উপসংহার : ভারতবর্ষে রাজ্য-রাজনীতিতে বিধানসভা একটি কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। এরজন্য সংসদীয় শাসনব্যবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য আইনসভা ও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিকক্ষ রূপে পরিচিত বিধানসভার স্বতন্ত্র গুরুত্ব ও তাৎপর্য বিদ্যমান। এই কারণে বিধানসভা একটি সদর্থক ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হয়।