১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে যে যুদ্ধের অবসানের পর আনুষ্ঠানিকভাবে ঠান্ডা লড়াই-এর সূচনা হয়, সেটি হল– দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ
ঠান্ডা যুদ্ধের সূচনা হয়- ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে।
ঠান্ডা যুদ্ধের একটি মূল কারণ হল- মতাদর্শগত বিরােধ
ঠান্ডা লড়াই বলতে বোঝায়- যুদ্ধ ও শান্তির মাঝামাঝি যুদ্ধ-যুদ্ধ অবস্থা।
ঠান্ডা লড়াইয়ের উৎস খুঁজে পাওয়া যায়- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর কালে মার্কিন সোভিয়েত বিরােধের মধ্যে ।
ঠান্ডা যুদ্ধের প্রধান দুই প্রতিপক্ষ হল- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত রাশিয়া।
ঠান্ডা লড়াইয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত দেশগুলির নাম – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়ন
ঠান্ডা লড়াইশব্দটি প্রথম প্রয়ােগ করেন- বার্নার্ড বারুচ।
ঠান্ডা লড়াইকে গরম যুদ্ধ-এর প্রয়ােজনীয় একটি স্তর বলে মনে করেন না- ফ্রিডম্যান
ঠান্ডা যুদ্ধকে গরম শাস্তি বলে চিহ্নিত করেছেন- বার্নেট।
ওয়াশিংটন পােস্ট নামক সুবিখ্যাত মার্কিন পত্রিকায় ঠান্ডা লড়াই-এর পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে কতকগুলি প্রবন্ধ লিখেছেন- ওয়াল্টার লিপম্যান।
ঠান্ডা লড়াই কথাটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হতে থাকে- ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দ থেকে।
ফালটন বক্তৃতায় সভাপতিত্ব করেন- চার্চিল।
ঠান্ডা লড়াইয়ের প্রারম্ভিক ঘােষণা করেন– চার্চিল।
মিউনিখ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়- ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দে।
স্তালিন কার সঙ্গে অনাক্রমণ চুক্তি সম্পাদন করেন- হিটলার।
১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে কমেকন গঠন করেছিল— সোভিয়েত ইউনিয়ন।
ঠান্ডা লড়াই-এর সংশােধনবাদী অভিমত অনুসারে ঠান্ডা লড়াই-এর মূল কারণ- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তীব্র সোভিয়েত বিরোধী মনােভাব।
মার্শাল পরিকল্পনা কার্যকর হয়- ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে।
মার্শাল পরিকল্পনা কে ডলার সাম্রাজ্যবাদ বলেছেন- মলোটভ।
মার্শাল পরিকল্পনার বিকল্প হিসেবে কমিউনিস্ট দেশগুলি যে সংগঠন ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে গড়ে তােলে, তার নাম হল- কমিকন।
ট্রুম্যান নীতি গৃহীত হয়—১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ১২ মার্চ।
কোন্ মার্কিন রাষ্ট্রপতি তারকা যুদ্ধ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন? রোনাল্ড রেগান।
NATO গঠিত হয়—১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে ৪ এপ্রিল।
NATO প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ছিল- পূর্ব ইউরোপে রাশিয়ার প্রভাব সৃষ্টিতে বাধাদান।
ন্যাটো’ গঠিত হয় কার উদ্যোগে? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
যে দেশ NATO সদস্য ভুক্ত হয়নি- কিউবা।
বার্লিন অবরোধ শুরু হয়- ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে।
বার্লিন প্রাচীর নির্মাণ করা হয়- ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দে।
বার্লিন প্রাচীর নির্মাণ করেছিল- সোভিয়েত রাশিয়া।
ঠান্ডা লড়াইয়ের দ্বিতীয় পর্যায়ে ছিল- ১৯৫০-১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দ।
দ্বিতীয় পর্যায়ে ঠান্ডা লড়াই কেন্দ্রীভূত হয়েছিল এশিয়া মহাদেশের- কোরিয়ায়।
কোরিয়া যুদ্ধের সূত্রপাত হয়- ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের ২৫ জুন।
উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার সংঘর্ষ হয়- ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে।
সিয়াটো গঠিত হয়— ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে।
এশিয়ার একটি সামরিক জোটের নাম- সিয়াটো।
এশিয়ার একটি অসামরিক জোটের নাম- আসিয়ান।
আসিয়ানের সদস্যভুক্ত একটি দেশের নাম হল- ভিয়েতনাম।
মধ্যপ্রাচ্য প্রতিরক্ষা সংস্থা বা MEDO গঠিত হয়—১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে।
ওয়ারশ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়—১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দের ১৪ মে।
ওয়ারশ চুক্তি স্বাক্ষর করে মােট- ৮টি দেশ।
ওয়ারশ চুক্তি গঠিত হয় কার উদ্যোগে- সােভিয়েত ইউনিয়ন।
জেনেভা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়- ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে।
OAS-এর পুরাে কথাটি হল- Organisation of American States।
আমেরিকা লাতিন আমেরিকার দেশগুলিকে নিয়ে আমেরিকার রাষ্ট্রসমূহের সংস্থা বা (OAS) কোন বছর গঠন করেছিল ? ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও লাতিন আমেরিকার কতগুলি দেশ মিলে OAS গঠন করেছিল? ২০টি।
সুয়েজ সংকট দেখা দেয়- ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে।
ঠান্ডা লড়াইয়ের চতুর্থ পর্যায়ের পরিব্যাপ্তিটি হল- ১৯৫৯-১৯৬২ খ্রিস্টাব্দ।
কঙ্গো সমস্যাকে কেন্দ্র করে ঠান্ডা যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়- আমেরিকায়।
দে দাঁতাত শব্দটি হল- ফরাসি।
দাঁতাতের সময়কাল ছিল- ১৯৬২-১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত।
দাঁতাত হল একটি- প্রক্রিয়া।
১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের নীতি ঘােষণা করেছিলেন- ক্রুশ্চেভ।
১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দে তাসখন্দ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়- ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে।
পারমাণবিক অস্ত্র প্রসার রােধ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়- ১৯৬৮ খ্রিস্টাব্দে।
সল্ট-১ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল- ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দে।
চিন-ভারত সীমান্ত সংঘর্ষ হয়- ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দে।
বিশ্বের প্রথম সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র হল- সোভিয়েত ইউনিয়ন।
সোভিয়েত ইউনিয়ন পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্ররূপে আত্মপ্রকাশ করে- ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে।
সােভিয়েত ইউনিয়নের পতন হয়- ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দে।
গ্লাসনস্ত ও পেরেস্ত্রইকা এই দুটি নীতির প্রবক্তা হলেন- গর্বাচেভ।
ঠান্ডা লড়াইয়ের অবসান হয়- ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দে।
প্রক্সি যুদ্ধ কৌশলটি ব্যবহৃত হয়েছিল- ঠান্ডা লড়াইয়ে।
যে ঘটনার মধ্য দিয়ে ঠান্ডা লড়াইয়ের অবসান হয়, সেটি হল- সােভিয়েত ইউনিয়নের পতন।
International Relations’ গ্রন্থের লেখক— বার্টন।
The End of History’ প্রবন্ধটির লেখক- ফ্রান্সিস ফুকোয়ামা।
Political Dictionary’ গ্রন্থটির লেখক—ওয়াল্টার রেমন্ড।
The Cold War: A Study in US Foreign Policy গ্রন্থটির প্রণেতা- ওয়াল্টার লিপম্যান।
ঠান্ডা যুদ্ধের যুগকে দীর্ঘশান্তির যুগ’ বলেছেন- অধ্যাপক গ্যাডিস।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়েছিল- ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দের ২৮ জুলাই।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়- ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে কোন শক্তি বা জোট জয়লাভ করেছিল?- মিত্রশক্তি।
প্রথম পরমাণু বোমা আক্রান্ত দেশটির নাম উল্লেখ করো- জাপান।
জাপানে যে বোমা পড়েছিল তার একটির নাম হল- ফ্যাট ম্যান।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয়- ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে।
“দ্বিমেরু কৃত রাজনীতি হল সংঘাত ও নিরন্তর সংকট সৃষ্টির রাজনীতি। – উক্তিটি করেন- কেনেথ ওয়াল্জ।
একমেরুকরণের সূচনা হয়- সােভিয়েত ইউনিয়নের পতনের ফলে।
একমেরু কেন্দ্রিক বিশ্বের প্রধান দেশ হলো- আমেরিকা।
পঞ্চশীল চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়- ভারত ও চিনের মধ্যে।
পঞ্চশীল চুক্তি হয় কোন খ্রিস্টাব্দে?- ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে।
পঞ্চশীল জোট নিরপেক্ষ তার পরিণতি বলেছেন- কে এস মুর্তি।
বান্দুং সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল- ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে।
বান্দুং সম্মেলনে গৃহীত হয়েছিল- দশটি নীতি।
মিশরের জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের নেতা ছিলেন- নাসের।
জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন হল- ভারতের বিদেশ নীতির অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
জোটনিরপেক্ষ দেশগুলির প্রথম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়- ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দে।
জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের অন্যতম প্রধান দেশ- ভারত।
জোট নিরপেক্ষতা হল একটি- আন্দোলন।
ভারতের জোটনিরপেক্ষ নীতি হল—গতিশীল।
জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের জনক হলেন- জওহরলাল নেহরু।
নেহেরু জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের- প্রবন্তা।
জোট নিরপেক্ষতার প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে স্বীকৃত নয় কোন ব্যক্তিত্ব?– রুজভেল্ট।
জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনের একটি অপরিহার্য নীতি হল- হস্তক্ষেপ না করা।
বর্তমানে জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনের সদস্য সংখ্যা- ১২০।
জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনের প্রথম শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়- বেলগ্রেড।
বেলগ্রেড সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়—১৯৬১ খ্রিস্টাব্দে।
কায়রো সম্মেলনে জোটনিরপেক্ষতার সদস্যপদ লাভের জন্য গৃহীত হয়- ৫টি নীতি।
জোট নিরপেক্ষ রাষ্ট্র গুলির কলম্বো সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন- সিরিমাভাে বন্দরনায়েক।
আফ্রিকা তহবিল গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়- হারারে সম্মেলনে।
সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের নেতৃত্বে একটি গ্রহ সংরক্ষণ তহবিল গঠন করা হয় জোট নিরপেক্ষ গােষ্ঠীর- বেলগ্রেড সম্মেলনে (১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দে)।
বেলগ্রেড সম্মেলনে গ্রহ করেছিলেন- রাজিব গান্ধি।
১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দে অনুষ্ঠিত জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের বেলগ্রেড শীর্ষ সম্মেলনে পরিবর্তিত আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিতে জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের গুরুত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছিলেন- জেভিয়ার পেরেজ দ্য কুয়েলার।
জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনে তেহেরান শীর্ষ সম্মেলনে (২০১২) উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের মহাসচিব- বান-কি-মুন।