রাষ্ট্রপতির পদ শূন্য হলে কত দিনের মধ্যে নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করতে হয়?
রাষ্ট্রপতির পদ শূন্য হলে ৬ মাসের মধ্যে নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করতে হয়।
রাষ্ট্রপতির অনুপস্থিতিতে তার হয়ে কে দায়িত্ব পালন করেন।
রাষ্ট্রপতির অনুপস্থিতিতে উপরাষ্ট্রপতি তার দায়িত্ব পালন করেন।
বর্তমানে রাষ্ট্রপতির মাসিক বেতন কত ধার্য করা হয়েছে?
বর্তমানে (২০১৮ খ্রিস্টাব্দের ১ এপ্রিল) রাষ্ট্রপতির মূল বেতন ৫ লক্ষ টাকা ধার্য করা হয়েছে। এর সঙ্গে তিনি অন্যান্য সুযোগ সুবিধা ভােগ করেন।
ভারতীয় সংবিধানের কত নং ধারা অনুযায়ী কেন্দ্রের শাসনকার্য রাষ্ট্রপতির নামে সম্পাদিত হবে?
ভারতীয় সংবিধানের ৭৭(১) নং ধারা অনুযায়ী কেন্দ্রের শাসনকার্য রাষ্ট্রপতির নামে সম্পাদিত হবে।
রাষ্ট্রপতি কাদের নিয়ােগ করেন?
শাসনবিভাগীয় প্রধান হিসেবে ভারতের রাষ্ট্রপতি ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলিতে সদস্যদেরকে নিয়ােগ করে থাকেন। যে-সমস্ত সদস্যদেরকে রাষ্ট্রপতি নিয়ােগ করেন, তারা হলেন অঙ্গরাজ্যের রাজ্যপাল, অ্যাটর্নি জেনারেল, সুপ্রিমকোর্ট ও হাইকোর্টের বিচারকগণ, নির্বাচন কমিশন ও অর্থ কমিশনের সদস্যগণ প্রমুখ।
রাষ্ট্রপতি কাদের পদচ্যুত করতে পারেন?
রাষ্ট্রপতি নিয়ােগ সংক্রান্ত ক্ষমতা ভােগ করার সঙ্গে সঙ্গে পদচ্যুত সংক্রান্ত ক্ষমতাও ভােগ করে থাকেন। যেমন অ্যাটর্নি জেনারেল, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সদস্য এবং পার্লামেন্টের প্রস্তাব অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের বিচারককে পদচ্যুত করতে পারেন।
ভারতের জাতীয় প্রতিরক্ষা কমিটির প্রধান কে?
ভারতের জাতীয় প্রতিরক্ষা কমিটির প্রধান হলেন রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান Class-12 (স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন ব্যবস্থা Short Question)
রাষ্ট্রবিজ্ঞান Class-12 (সরকারের বিভিন্ন বিভাগ Short Question)
রাষ্ট্রবিজ্ঞান Class-12 (সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ Short Question)
রাষ্ট্রবিজ্ঞান Class-12 (পররাষ্ট্রনীতি Short Question)
রাষ্ট্র বিজ্ঞান Class-12 (দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর পর্বে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক – Short Question)
রাষ্ট্রপতির কী কূটনৈতিক ক্ষমতা রয়েছে?
রাষ্ট্রপতি হলেন আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারতের প্রধান প্রতিনিধি। ভারতের রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে তিনি বিভিন্ন রাষ্ট্রে কূটনৈতিক প্রতিনিধি নিয়ােগ করেন এবং অন্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধিগণের পরিচয়পত্র গ্রহণ করেন।
রাষ্ট্রপতির দুটি আইন সংক্রান্ত ক্ষমতা উল্লেখ করো।
রাষ্ট্রপতির দুটি আইন সংক্রান্ত ক্ষমতা হল (১) আইনসভার অধিবেশন আহ্বান করতে পারেন, অধিবেশন স্থগিত রাখতে পারেন এবং (২) পার্লামেন্টের অধিবেশন বন্ধ থাকাকালীন রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ বা অর্ডিন্যান্স জারি করতে পারেন।
পার্লামেন্টের যৌথ অধিবেশনে কে বাণী প্রেরণ করতে এবং ভাষণ দিতে পারেন?
রাষ্ট্রপতি পার্লামেন্টের যৌথ অধিবেশনে বাণী প্রেরণ করতে এবং ভাষণ দিতে পারেন।
রাষ্ট্রপতি রাজ্যসভায় কত জন প্রতিনিধি মনােনয়ন করেন?
রাষ্ট্রপতি রাজ্যসভায় সাহিত্যিক, বৈজ্ঞানিক, সমাজসেবী প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্য থেকে ১২ জনকে মনােনয়ন করতে পারেন।
রাষ্ট্রপতি লোকসভায় কত জন প্রতিনিধি মনােনয়ন করতে পারেন?
রাষ্ট্রপতি লোকসভায় ২ জন ইঙ্গ-ভারতীয় প্রতিনিধি মনােনয়ন করতে পারেন।
রাষ্ট্রপতির ভেটো ক্ষমতা কাকে বলে?
রাজ্য বিধানসভায় গৃহীত কোনাে বিল রাষ্ট্রপতির বিবেচনার্থে রাজ্যপাল প্রেরণ করলে রাষ্ট্রপতি সেই বিলে সম্মতি দিতে অস্বীকার করলে, তাকে ভেটো ক্ষমতা বলে।
রাষ্ট্রপতির ভেটো ক্ষমতা কত প্রকার ও কী কী?
ভারতের রাষ্ট্রপতির হাতে তিন ধরনের ভেটো ক্ষমতা রয়েছে—(১) চরম ভেটো, (২) স্থগিতকারী ভেটো, (৩) পকেট ভেটো।
স্থগিতকারী ভেটো ক্ষমতা বলতে কী বােঝাে?
পার্লামেন্টে পাস হওয়া কোনাে বিল রাষ্ট্রপতি যখন সরাসরি সম্মতি বা অসম্মতি না জানিয়ে পুনর্বিবেচনার জন্য পার্লামেন্টের কাছে ফেরত পাঠিয়ে দেন, তখন তাকে স্থগিতকারী ভেটো ক্ষমতা বলা হয়।
পকেট ভেটো ক্ষমতা কী?
যেসব বিলে রাষ্ট্রপতি সম্মতি না দিয়ে অথবা পুনর্বিবেচনার জন্য পার্লামেন্টে ফেরত না পাঠিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিলটিকে আটকে রাখেন, তাকে রাষ্ট্রপতির পকেট ভেটো ক্ষমতা বলে।
রাষ্ট্রপতি কখন অর্ডিন্যান্স জারি করতে পারেন?
সংসদের অধিবেশন যখন স্থগিত থাকে তখন জরুরি প্রয়ােজনে পার্লামেন্টের এক্তিয়ারভুক্ত বিষয়ে রাষ্ট্রপতি অর্ডিন্যান্স জারি করতে পারেন।
রাষ্ট্রপতির জারি করা অর্ডিন্যান্সের মেয়াদ কত দিন?
রাষ্ট্রপতির জারি করা অর্ডিন্যান্সের মেয়াদ ৬ সপ্তাহ।
অর্ডিন্যান্স বা জরুরি আইনের অর্থ কী?
অর্ডিন্যান্সের অর্থ হল বিশেষ আদেশ।
রাষ্ট্রপতির দুটি আর্থিক ক্ষমতার উল্লেখ করাে।
রাষ্ট্রপতির আর্থিক ক্ষমতাগুলির মধ্যে উল্লেখযােগ্য হল – (১)রাষ্ট্রপতির পূর্ব সুপারিশ ছাড়া কর, ঋণ প্রভৃতি সম্পর্কিত বিল পার্লামেন্টে উত্থাপন করা যায় না। (২) রাষ্ট্রপতির পক্ষেই অর্থমন্ত্রী প্রত্যেক আর্থিক বছরের জন্য লোকসভা বাজেট পেশ করেন। আকস্মিকতা তহবিল থেকে রাষ্ট্রপতি আইনসভার অনুমােদন সাপেক্ষে অগ্রিম অর্থ মঞ্জুর করতে পারেন।
রাষ্ট্রপতি কেন প্রতি ৫ বছর অন্তর একটি অর্থ কমিশন গঠন করেন?
কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির মধ্যে রাজস্ব বণ্টনের জন্য রাষ্ট্রপতি প্রতি ৫ বছর অন্তর একটি অর্থ কমিশন গঠন করেন।
রাষ্ট্রপতি কোন কোন বিলে সম্মতি দিতে বাধ্য?
রাষ্ট্রপতি অর্থবিল এবং সংবিধান-সংশােধনী বিলে সম্মতি দিতে বাধ্য।
রাষ্ট্রপতির দুটি বিচার সংক্রান্ত কার্য উল্লেখ করাে।
রাষ্ট্রপতির বিচার সংক্রান্ত দুটি কাজ হল (১) পার্লামেন্টের সুপারিশক্রমে সুপ্রিমকোর্ট ও হাইকোর্টের বিচারপতিদের নিয়ােগ ও পদচ্যুত উভয় কাজ করে থাকেন। (২) অপরাধীকে ক্ষমা প্রদর্শন, দণ্ডাজ্ঞা প্রাপ্ত ব্যক্তির দণ্ড হ্রাস ইত্যাদি করতে পারেন।
ভারতের রাষ্ট্রপতি কত ধরনের জরুরি অবস্থা ঘােষণা করতে পারেন?
ভারতের রাষ্ট্রপতি তিন ধরনের জরুরি অবস্থা ঘােষণা করতে পারেন।
রাষ্ট্রপতির জরুরি অবস্থাকালীন ক্ষমতাগুলি কী কী?
ভারতের রাষ্ট্রপতি তিন ধরনের জরুরি অবস্থা ঘােষণা করতে পারেন- (১) জাতীয় জরুরি অবস্থা, (২) রাজ্যসমূহের সাংবিধানিক অচলাবস্থা জনিত জরুরি অবস্থা, (৩) আর্থিক জরুরি অবস্থা।
ভারতীয় সংবিধানের কত নম্বর ধারায় জাতীয় জরুরি অবস্থার কথা বলা হয়েছে?
ভারতীয় সংবিধানের ৩৫২ নং ধারায় জাতীয় জরুরি অবস্থার কথা বলা হয়েছে।
জাতীয় জরুরি অবস্থা কাকে বলা হয়? অথবা, জাতীয় জরুরি অবস্থা কবে ঘােষণা করা হয়?
রাষ্ট্রপতি যদি মনে করেন যে, যুদ্ধ, বহিরাক্রমণ কিংবা অভ্যন্তরীণ বিশৃঙ্খলা জন্য দেশের কোন অংশের বা সমগ্র ভারতের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়েছে বা হওয়ার উপক্রম হয়েছে বলে রাষ্ট্রপতি মনে করলে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘােষণা করতে পারেন।
জাতীয় জরুরি অবস্থার দুটি ফলাফল লেখাে।
জাতীয় জরুরি অবস্থা দুটি ফলাফল হল- (১) পার্লামেন্ট রাজ্য তালিকা ও যুগ্ম তালিকা বিষয়ে আইন প্রণয়ন করতে পারে এবং (২) শাসনকার্য পরিচালনার ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকারগুলিকে প্রয়ােজনীয় নির্দেশ দিতে পারে।
ভারতীয় সংবিধানের কত নম্বর ধারায় শাসনতান্ত্রিক অচলাবস্থা জনিত জরুরি অবস্থার কথা বলা হয়েছে?
ভারতীয় সংবিধানের ৩৫৬ নম্বর ধারায় শাসনতান্ত্রিক অচলাবস্থাজনিত জরুরি অবস্থার কথা বলা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতির শাসন বলতে কী বােঝাে?
ভারতীয় সংবিধানের ৩৫৬ নং ধারানুযায়ী অঙ্গরাজ্যের সাংবিধানিক অচলাবস্থা সংক্রান্ত ঘোষণা রাজ্য আইনসভা স্থগিত থাকে এবং শাসনবিভাগীয় সকল ক্ষমতা আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেন। এই কারণের জন্য এই ঘোষণা রাষ্ট্রপতির শাসন’ বলা হয়।
রাষ্ট্রপতি শাসনের মেয়াদ কখন বৃদ্ধি পায়?
পার্লামেন্টের অনুমােদন লাভ করলে রাষ্ট্রপতি শাসনের মেয়াদ এক বছর বৃদ্ধি করা যায় এবং নির্বাচন কমিশনের সুপারিশে রাষ্ট্রপতি শাসনের মেয়াদ তিন বছর বৃদ্ধি করা যায়।
পশ্চিমবঙ্গে আজ পর্যন্ত কত বার শাসনতান্ত্রিক অচলাবস্থা জারি হয়?
পশ্চিমবঙ্গে আজ পর্যন্ত মােট চার বার শাসনতান্ত্রিক অচলাবস্থা জারি হয়।
শাসনতান্ত্রিক জরুরি অবস্থার দুটি ফলাফল লেখাে।
শাসনতান্ত্রিক জরুরি অবস্থা ঘােষিত হলে রাষ্ট্রপতি – (১) রাজ্যপাল বা রাজ্য সরকারের যাবতীয় ক্ষমতা হস্তগত করতে পারেন, (২) রাজ্য আইনসভা কে বরখাস্ত করতে পারেন।
ভারতীয় সংবিধানের কত নম্বর ধারায় রাষ্ট্রপতির আর্থিক জরুরি অবস্থা ঘােষণার কথা বলা হয়েছে?
ভারতীয় সংবিধানের ৩৬০ নং ধারায় রাষ্ট্রপতির আর্থিক জরুরি অবস্থা ঘােষণার কথা বলা হয়েছে।
আর্থিক জরুরি অবস্থায় রাষ্ট্রপতি যেসব বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন, সেগুলির মধ্যে যে-কোনাে দুটি উল্লেখ করাে। অথবা, আর্থিক জরুরি অবস্থার দুটি ফলাফল লেখাে।
আর্থিক জরুরি অবস্থায় রাষ্ট্রপতি যেসব বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন, সেগুলির মধ্যে উল্লেখযােগ্য দুটি হল (১) কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকারগুলিকে আর্থিক ব্যাপারে প্রয়ােজনীয় সবরকম নির্দেশ দিতে পারে এবং (২) কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকারি কর্মীদের বেতন, ভাতা প্রভৃতি হ্রাস করার নির্দেশ দিতে পারে।
নিয়মতান্ত্রিক রাজতন্ত্র কাকে বলে?
রাজা বা রানি আইনগতভাবে দেশের সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী হলেও বাস্তবে জনগণই যেখানে প্রকৃত শাসক, তাকে নিয়মতান্ত্রিক রাজতন্ত্র বলে।
ভারত সরকারের আন্তর্জাতিক সন্ধি ও চুক্তি কার নামে সম্পাদিত হয়?
ভারত সরকারের আন্তর্জাতিক সন্ধি ও চুক্তি রাষ্ট্রপতির নামে সম্পাদিত হয়।
রাষ্ট্রপতিকে শপথ বাক্য পাঠ করান কে?
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রপতিকে শপথ বাক্য পাঠ করান।
অর্ধ-রাষ্ট্রপতি শাসন কী?
রাষ্ট্রপতি শাসন কোনাে রাজ্যে জারি হলে রাষ্ট্রপতি বিধানসভা না ভেঙে সাময়িকভাবে বিধানসভার কার্যাবলি স্থগিত রাখতে পারেন। এই শাসনের উদ্দেশ্যই হল সাময়িক সমস্যা কাটিয়ে যাতে বিধানসভার সদস্যরা বিকল্প একটি মন্ত্রীসভা গঠন করতে পারে। রাষ্ট্রপতির এই প্রকারের শাসনকে অর্ধ-রাষ্ট্রপতি শাসন বলা হয়।
ভারতের কোন রাষ্ট্রপতি দীর্ঘদিন রাষ্ট্রপতির পদ অলংকৃত করেছেন?
ড.রাজেন্দ্র প্রসাদ দীর্ঘদিন (১৯৫০-১৯৬২ খ্রিস্টাব্দ) রাষ্ট্রপতির পদ অলংকৃত করেছেন।
ভারতের রাষ্ট্রপতি কে কারা নির্বাচন করেন?
পার্লামেন্টের রাজ্যসভা ও লোকসভার উভয় কক্ষের সদস্যদের নিয়ে গঠিত একটি নির্বাচন সংস্থা কর্তৃক একক হস্তান্তরযােগ্য ভোটের ভিত্তিতে সমানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের নিয়মানুযায়ী গোপন ভোটে ভারতের উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।
ভারতের রাষ্ট্রপতি কে কীভাবে পদচ্যুত করা যায়?
ভারতের রাষ্ট্রপতি কে পদচ্যুত করতে হলে সংবিধান ভঙ্গের অভিযােগে ১৪ দিনের বিজ্ঞপ্তি দিতে হয়। প্রথমে উপরাষ্ট্রপতি পদচ্যুত সংক্রান্ত প্রস্তাবটি রাজ্যসভায় উত্থাপিত হয়। এরপর রাজ্যসভার অধিকাংশ সদস্য যদি প্রস্তাবটিকে গ্রহণ করে এবং লােকসভা যদি সেই প্রস্তাবে সম্মতি জানায়, তাহলে কার্যকাল শেষ হওয়ার পূর্বেই উপরাষ্ট্রপতি পদচ্যুত হন।
বর্তমানে রাষ্ট্রপতির বেতন কত ধার্য করা হয়েছে।
বর্তমানে (২০১৮ খ্রিস্টাব্দের ১ এপ্রিল) রাষ্ট্রপতির বেতন ৪ লক্ষ টাকা ধার্য করা হয়েছে।
ভারতের উপরাষ্ট্রপতির প্রধান কাজ কী?
সংবিধানের ৬৪নং ধারানুসারে ভারতের রাষ্ট্রপতির প্রধান কাজ হল রাজ্যসভায় সভাপতিত্ব করা।
উপরাষ্ট্রপতির যে-কোনাে দুটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ উল্লেখ করাে।
উপরাষ্ট্রপতির দুটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল (১) সংবিধানের ৬৪ নং ধারানুযায়ী উপরাষ্ট্রপতি পদাধিকারবলে রাজ্যসভার সভাপতি এবং এই সভা পরিচালনার দায়দায়িত্ব তার উপরই ন্যস্ত হয়। (২) পদত্যাগ অথবা অপসারণ, অসুস্থতা বশত যদি রাষ্ট্রপতির পদ শূন্য হয় তবে নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত উপরাষ্ট্রপতি সেই দায়িত্ব পালন করে থাকেন।
রাজ্যসভার চেয়ারম্যান পদটির দায়িত্ব কে পালন করেন?
রাজ্যসভার চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালন করেন উপরাষ্ট্রপতি।
ভারতের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি কে ছিলেন?
ভারতের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি ছিলেন ড. সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণ।
আজ পর্যন্ত ভারতে কত জন উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন?
আজ পর্যন্ত ভারতে ১৩ জন উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন?
বর্তমান রাষ্ট্রপতি ও উপরাষ্ট্রপতির নাম লেখাে।
বর্তমান রাষ্ট্রপতির নাম রামনাথ কোবিন্দ (২০১৭ খ্রিস্টাব্দের, ২৫ জুলাই বর্তমান) এবং বর্তমান রাষ্ট্রপতির নাম মুপ্পারাপু ভেঙ্কাইয়া নাইডু (২০১৭ খ্রিস্টাব্দের, ১১ জুলাই – বর্তমান)।
ভারতীয় সংবিধানের কত নম্বর ধারায় রাষ্ট্রপতিকে সাহায্যের জন্য একটি মন্ত্রীসভা গঠনের কথা বলা হয়েছে?
ভারতীয় সংবিধানের ৭৪ (১) নং ধারায় রাষ্ট্রপতিকে সাহায্য ও পরামর্শদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী পরিচালিত একটি মন্ত্রীসভা গঠনের কথা বলা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় কত ধরনের মন্ত্রী রয়েছেন ও কী কী?
ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় তিন ধরনের মন্ত্রী রয়েছেন (১) ক্যাবিনেট মন্ত্রী, (২) রাষ্ট্রমন্ত্রী, (৩) উপমন্ত্রী।
ভারতের ক্যাবিনেটের যে-কোনাে দুটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পর্কে অতিসংক্ষেপে আলােচনা করাে।
ভারতের ক্যাবিনেটের দুটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল (১) জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে উদ্ভূত বিভিন্ন সমস্যাসমূহ পর্যালােচনা করে সুচিন্তিত নীতি নির্ধারণ করাই হল ক্যাবিনেটের প্রধান কাজ। (২) শাসন বিভাগকে পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা সম্পূর্ণরূপে ক্যাবিনেটের হাতেই ন্যস্ত রয়েছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা কার কাছে দায়বদ্ধ থাকে?
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা লোকসভার নিকট দায়বদ্ধ থাকে।
ভারতীয় সংবিধানের মন্ত্রীসভার যৌথ দায়িত্বশীলতা বলতে কী বোঝো?
সংসদীয় ব্যবস্থায় মন্ত্রীসভার কোনাে একজন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে আইনসভার সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের দ্বারা অনাস্থা প্রস্তাব গৃহীত হলে সমগ্র মন্ত্রিসভার পদচ্যুতি ঘটে। একেই মন্ত্রীসভার যৌথ দায়িত্ব বলা হয়।
কিচেন ক্যাবিনেট বলতে কী বোঝো?
ক্যাবিনেটের অভ্যন্তরে প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর একান্ত অনুগত দু-তিন জন মন্ত্রীকে নিয়ে যে ছােটো ক্যাবিনেট গড়ে তােলা হয়, তাকে কিচেন ক্যাবিনেট বলা হয়।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে কে নিয়ােগ করেন?
ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ােগ করেন রাষ্ট্রপতি [৭৫ (১) নং ধারা অনুযায়ী ]।
প্রধানমন্ত্রীর মাসিক বেতন কত ধার্য করা হয়েছে?
প্রধানমন্ত্রীর মাসিক বেতন বর্তমান সময়ানুযায়ী ১ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা ধার্য করা হয়েছে। এর সঙ্গে তিনি অন্যান্য সুযােগসুবিধাও ভােগ করে থাকেন।
ভারতে সংসদের নেতা কে?
ভারতে সংসদের নেতা বলা হয় প্রধানমন্ত্রীকে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর যেকোনো দুটি ক্ষমতার উল্লেখ করাে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দুটি ক্ষমতা হল (১) ক্যাবিনেটের সভায় সভাপতিত্ব করা এবং (২) রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সরকারের সম্পর্ক বজায় রাখার ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা পালন করেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর যে-কোনাে একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ উল্লেখ করাে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী সরকারের প্রধান মুখপাত্র হিসেবে লোকসভায় সরকারি নীতিসমূহের ব্যাখ্যা প্রদান করেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে সমপর্যায়ভুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে অগ্রগণ্য বলার যে-কোনো একটি কারণ লেখাে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে সমপর্যায়ভুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে অগ্রগণ্য বলার একটি কারণ হল মন্ত্রীসভা কিংবা ক্যাবিনেটে সাধারণ কোনাে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে কোনােরূপ ভােটাভুটি হয় না। প্রধানমন্ত্রী অন্যান্য মন্ত্রীদের মতাে একটিমাত্র ভােটদানের অধিকার ভােগ করে থাকেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে একনায়ক বলার যে-কোনাে একটি কারণ লেখাে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে একনায়ক বলার একটি কারণ হল প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমেই রাষ্ট্রপতি ক্যাবিনেট মন্ত্রীদের নিয়ােগ ও পদচ্যুত করতে পারেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কোনাে মন্ত্রীর নীতিগতভাবে বা অন্য কোনাে কারণে বিরোধ বাধলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হয়।
ভারতের ক্যাবিনেটের পরিপ্রেক্ষিতে সমানদের মধ্যে প্রথম কাকে বলা যায়?
ভারতের ক্যাবিনেটের পরিপ্রেক্ষিতে ‘সমানদের মধ্যে প্রথম বলা হয় প্রধানমন্ত্রীকে।
ক্যাবিনেটের মধ্যমণি কাকে বলা হয়?
ক্যাবিনেটের নেতা হিসেবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর মতে বিশেষ এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন বলে, তাকে ক্যাবিনেটের মধ্যমণি বলা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় কী?
প্রধানমন্ত্রীর কাজকর্মে সাহায্য দানের জন্য তার অধীনে যে কার্যালয় বা দপ্তর থাকে, তাকেই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বলা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় কীভাবে গঠিত হয়?
১ জন প্রধান সচিব, ১ জন অতিরিক্ত সচিব, ৩ জন যুগ্ম সচিব ও ৪ জন আধিকারিক নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গঠিত হয়। এরই সঙ্গে বহুসংখ্যক দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের নিয়ে এই কার্যালয় গড়ে ওঠে।
ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন?
ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল।
ভারতের পরিকল্পনা কমিশনের সভাপতি কে?
ভারতের পরিকল্পনা কমিশনের সভাপতি হলেন প্রধানমন্ত্রী।
ক্যাবিনেট সচিবালয়ের রাজনৈতিক প্রধান কে?
ক্যাবিনেট সচিবালয়ের রাজনৈতিক প্রধান হলেন প্রধানমন্ত্রী।
ক্যাবিনেট সচিবালয়ের প্রধান কাজ কী?
ক্যাবিনেট সচিবালয়ের প্রধান কাজ হল ক্যাবিনেট ও তার বিভিন্ন কমিটিকে সচিব পর্যায়ে উন্নীত করা।
প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়কে কী বলা হয়?
প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়কে প্রধানমন্ত্রীর কর্মদপ্তর বলা হয়।
২০১৬ খ্রিস্টাব্দে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সার্জিকাল স্ট্রাইক ব্যবহার করে ভারতের কোন্ প্রধানমন্ত্রী অনন্য নজির সৃষ্টি করেন?
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামােদরদাস মোদি ২০১৬ খ্রিস্টাব্দের ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২৯ ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ৪ সপ্তাহ ১ দিন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সার্জিকাল স্ট্রাইক ব্যবহার করে নজির সৃষ্টি করেছেন।
ভারতের কোন প্রধানমন্ত্রী ৫০০ ও ২০০০ টাকার নতুন নােট প্রবর্তন করে বিশ্ব রাজনীতিতে নজির সৃষ্টি করেছেন?
ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামােদরদাস মোদী ২০১৬ খ্রিস্টাব্দের ৮ নভেম্বর নতুন ৫০০ ও ২০০০ টাকার নােট প্রবর্তন করে বিশ্ব রাজনীতিতে নজির সৃষ্টি করেছেন।
রাজ্যের শাসন বিভাগ কিভাবে গঠিত হয়?
অঙ্গরাজ্যের শাসন বিভাগ রাজ্যপাল এবং রাজ্য মন্ত্রিসভাকে নিয়ে গঠিত হয়।
ভারতের রাজ্যগুলিতে রাজ্যপাল কীভাবে নিযুক্ত হন?
ভারতের রাজ্যগুলিতে রাজ্যপাল প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক মনােনীত হন।
রাজ্যপাল পদের একটি যােগ্যতা লেখাে।
কোনো ব্যক্তিকে রাজ্যপাল পদে নিযুক্ত হতে হলে তাকে অবশ্যই ভারতীয় নাগরিক হতে হবে এবং অন্ততপক্ষে ৩৫ বছর বয়স্ক হতে হবে।
রাজ্যপালকে কে শপথ বাক্য পাঠ করান?
সংশ্লিষ্ট রাজ্যের হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি কিংবা তার অনুপস্থিতিতে প্রাচীনতম বিচারপতি রাজ্যপাল কে শপথ বাক্য পাঠ করান।
রাজ্যপালের দুটি আইন প্রণয়ন সংক্রান্ত ক্ষমতা উল্লেখ করাে।
রাজ্যপালের আইন প্রণয়ন সংক্রান্ত ক্ষমতাগুলির মধ্যে দুটি হল- (১) রাজ্য আইনসভার অধিবেশন স্থগিত থাকাকালে তিনি অধ্যাদেশ বা অর্ডিন্যান্স জারি করতে পারেন। (২) প্রতি বছর বিধানসভার নির্বাচনের পর যখন প্রথম অধিবেশন শুরু হয়, তখন রাজ্যপাল বিধানসভায় কিংবা বিধানমণ্ডলীর যৌথ অধিবেশনগুলিতে ভাষণ প্রদান করে থাকেন।
কে বিধানসভায় ইঙ্গ-ভারতীয় সম্প্রদায়ের একজন প্রতিনিধিকে নিয়ােগ করতে পারেন?
রাজ্যপাল বিধানসভায় ইঙ্গ-ভারতীয় সম্প্রদায়ের একজন প্রতিনিধিকে নিয়ােগ করতে পারেন।
রাজ্যপালের দুটি অর্থ সংক্রান্ত ক্ষমতার উল্লেখ করাে।
রাজ্যপালের দুটি অর্থ সংক্রান্ত ক্ষমতা হল (১) রাজ্যপালের সম্মতি ছাড়া রাজ্য আইনসভায় কোনাে ব্যয় বরাদ্দের দাবি উত্থাপন করা যায় না। (২) রাজ্যের বার্ষিক আয় ব্যয়ের বিবরণ রাজ্যপাল অর্থমন্ত্রী মারফত আইনসভার কাছে উত্থাপন করেন।
রাজ্যপালের দুটি বিচার সংক্রান্ত ক্ষমতার উল্লেখ করো।
রাজ্যপালের দুটি বিচার সংক্রান্ত ক্ষমতা হল (১) রাজ্যপাল জেলা জজ এবং অন্যান্য পদস্থ বিচারবিভাগীয় অফিসারদের নিয়োগ, কর্মক্ষেত্র এবং পদোন্নতি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেন। (২) রাজ্যপালের পরামর্শ মেনে রাষ্ট্রপতি রাজ্যের হাইকোর্টের বিচারপতিদের নিয়ােগ করে থাকেন।
রাজ্যপালের স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা বলতে কী বােঝাে?
রাজ্যপালের স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা বলতে এমন এক বিশেষ ধরনের ক্ষমতাকে বােঝায়, যা প্রয়ােগ করার জন্য তিনি মুখ্যমন্ত্রী বা মন্ত্রীসভার সঙ্গে পরামর্শ করতে বাধ্য নন এবং যে ক্ষমতা প্রয়ােগের বৈধতা নিয়েও কোনাে প্রশ্ন তােলা যায় না।
ভারতের অঙ্গরাজ্যের রাজ্যপালের যে-কোনাে একটি স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা উল্লেখ করাে।
রাজ্যপালের একটি স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা হল তত্ত্বগতভাবে রাজ্যপাল মন্ত্রীদের মধ্যে দপ্তর বণ্টন এবং তাদের শপথ বাক্য পাঠ করান।
ভারতের রাজ্যপাল কখন অধ্যাদেশ জারি করতে পারেন?
রাজ্য আইনসভার অধিবেশন বন্ধ থাকাকালীন সময়ে তত্ত্বগতভাবে অঙ্গরাজ্যের প্রধান রাজ্যপাল অধ্যাদেশ জারি করতে পারেন।
রাজ্যপাল কাদের নিয়ােগ করেন?
তত্ত্বগতভাবে রাজ্যপাল রাজ্যের অ্যাডভােকেট জেনারেল, রাজ্যজনকৃত্যক কমিশনের সভাপতি ও সদস্যবৃন্দ প্রমুখকে নিয়োগ করেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল কে?
ভারত সরকারের মুখ্য আইন অফিসার হলেন অ্যাটর্নি জেনারেল।
পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান রাজ্যপাল কে?
পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান রাজ্যপাল হলেন কেশরীনাথ ত্রিপাঠী (ফেব্রুয়ারি, ২০১৭)।
স্বাধীন ভারতের প্রথম মহিলা রাজ্যপালের নাম লেখাে।
স্বাধীন ভারতের প্রথম মহিলা রাজ্যপালের নাম হল সরোজিনী নাইডু (১৫ আগস্ট, ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দ)।
রাজ্য মন্ত্রীসভার দুটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ লেখাে।
রাজ্য মন্ত্রীসভার দুটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল- (১) সরকারি নীতি নির্ধারণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা, (২) আইন প্রণয়নের গুরুদায়িত্ব বহন করা।
অর্পিত ক্ষমতাপ্রসূত আইন কী?
রাজ্য আইনসভার পরামর্শে ক্যাবিনেট মন্ত্রীরা যেসব আইন প্রণয়ন করেন, সেগুলি অর্পিত ক্ষমতাপ্রসূত আইন বলা হয়।
রাজ্য আইনসভার নেতা কে?
রাজ্য আইনসভার নেতা হলেন মুখ্যমন্ত্রী।
ভারতের অঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে কে নিয়ােগ করেন?
ভারতের অঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ােগ করেন সংশ্লিষ্ট রাজ্যের রাজ্যপাল।
কাকে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বিতীয় সত্তা বলা হয়?
মুখ্যমন্ত্রীর দ্বিতীয় সত্তা মুখ্যসচিবকে বলা হয়।
ভারতের অঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ উল্লেখ করাে।
ভারতের অঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর জনমতের দিকে সতর্ক দৃষ্টি রেখে সরকারি নীতি নির্ধারণ এবং কার্যাবলি সম্পাদন করতে হয়।
মুখ্যমন্ত্রীর উল্লেখযােগ্য দুটি কার্যাবলি লেখাে।
মুখ্যমন্ত্রীর উল্লেখযােগ্য দুটি কার্যাবলি হল (১) রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্য মন্ত্রীসভার যােগসূত্র রক্ষার দায়িত্ব পালন করেন। (২) জনমতের দিকে সতর্ক দৃষ্টি রেখে সরকারি নীতি নির্ধারণ ও কার্যাবলি সম্পাদন করেন।
পশ্চিমবঙ্গের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী কে ছিলেন?
পশ্চিমবঙ্গের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন প্রফুল্লচন্দ্র ঘোষ।
পশ্চিমবঙ্গের প্রথম উপমুখ্যমন্ত্রী পদে কে অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন?
জ্যোতি বসু প্রথম পশ্চিমবঙ্গে উপ মুখ্যমন্ত্রী পদে অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন।
পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর নাম কী?
পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান (ফেব্রুয়ারি ২০১৭) মুখ্যমন্ত্রী হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজনৈতিক প্রশাসক বলতে কী বোঝো?
রাজনৈতিক প্রশাসক বলতে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য মন্ত্রীসভার সকল মন্ত্রী কে বােঝায়।
সংখ্যালঘু সরকার কাকে বলে?
যে দল সরকার গঠন করে, যদি পার্লামেন্টে সেই দলের সদস্য সংখ্যা হ্রাস পায় এবং যদি সেই দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে সফল না হয়, তাহলে সেই দলের সরকারকে সংখ্যালঘু সরকার বলা হয়।
ভারতের বিচার ব্যবস্থার দুটি বৈশিষ্ট্য লেখাে।
ভারতের বিচারব্যবস্থার দুটি বৈশিষ্ট্য হল—(১) ভারতে সারা দেশের জন্য এক ও অখন্ড বিচারব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। (২) সারা ভারতে প্রায় একই দেওয়ানি ও ফৌজদারি আইন মেনে বিচারকার্য সম্পাদন করা হয়েছে।
ভারতে কী ধরনের বিচারব্যবস্থা প্রচলিত রয়েছে? অথবা, ভারতের বিচার ব্যবস্থার স্বরূপ কীরূপ?*
ভারতের অখন্ড বিচার ব্যবস্থা প্রচলিত রয়েছে।
ভারতের অখন্ড বিচার ব্যবস্থা বলতে কী বােঝাে?
ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রের সারা দেশের জন্য দ্বৈত বিচার ব্যবস্থার পরিবর্তে অখন্ড বিচার ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। ভারতে কেন্দ্র ও অঙ্গরাজ্যসমূহে যে বিভিন্ন বিচার ব্যবস্থা চালু আছে, তাকে অখন্ড বিচারব্যবস্থা বলা হয়। এই অখন্ড বিচার ব্যবস্থার শীর্ষে অবস্থিত সুপ্রিম কোর্ট। অঙ্গরাজ্যগুলির হাইকোর্ট এবং বিভিন্ন ধরনের অধস্তন আদালত এই অখণ্ড বিচার ব্যবস্থার অন্তর্ভুক্ত।
ভারতের অখন্ড বিচার ব্যবস্থার শীর্ষে আছে কোন আদালত?
ভারতের অখন্ড বিচার ব্যবস্থার শীর্ষে আছে সুপ্রিম কোর্ট।
কততম সংবিধান-সংশােধনীর মাধ্যমে পার্লামেন্ট প্রশাসনিক আদালত গঠন করতে পারে?
পার্লামেন্ট আইন প্রণয়ন করে ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দে সংবিধানে ৪২ তম সংশােধনী আইন গৃহীত হওয়ার পরই প্রশাসনিক আদালত গঠন করতে পারে।
প্রশাসনিক আদালত বলতে কী বােঝায়?
ভারতীয় পার্লামেন্ট যে-কোনাে সরকারি কর্মচারী, স্থানীয় সংস্থা বা বেসরকারি কর্মচারীবৃন্দের চাকরি সংক্রান্ত বিরােধ নিষ্পত্তির জন্য আইন প্রণয়ন করে যে আদালত গঠন করে, তাকে প্রশাসনিক আদালত বলা হয়।
প্রশাসনিক আদালতের (Administrative Tribunal) দুটি উদ্দেশ্য লেখাে।
প্রশাসনিক আদালতের দুটি উদ্দেশ্য হল— (১) যে-কোনাে সরকারি ও বেসরকারি কর্মচারীবৃন্দের চাকরি সংক্রান্ত বিরােধের নিষ্পত্তি করা। (২) শিল্প, ভূমি সংস্কার, খাদ্য সংগ্রহ ও বণ্টন প্রভৃতি সংক্রান্ত বিরােধ নিষ্পত্তির উদ্দেশ্যে প্রশাসনিক আদালত গঠন করা।
ট্রাইবিউনাল কী?
ট্রাইবিউনাল হল পার্লামেন্ট কর্তৃক আইন নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে গঠিত একটি অস্থায়ী আদালত। এই অস্থায়ী আদালতের উদ্দেশ্য হল নির্দিষ্ট বিষয়গুলিকে বিচার করা।
ভ্রাম্যমাণ আদালত কোথায় দেখা যায়?
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালত দেখা যায়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের একটি বৈশিষ্ট্য লেখো।
ভ্রাম্যমান আদালতে অভিযােগকারীদের অভিযোগ শোনার জন্য বিচারপতিরা অভিযােগকারীর কাছে যান না।
গঠনের দিক থেকে ভারতের বিচারব্যবস্থা কীরূপ?
গঠনের দিক থেকে ভারতের বিচারব্যবস্থা পিরামিডের মতাে।
ভারতের সর্বোচ্চ আদালতের নাম কী?
ভারতের সর্বোচ্চ আদালতের নাম হল সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্ট কীভাবে গঠিত হয়?
বর্তমান ২০১১ খ্রিস্টাব্দে প্রণীত একটি আইন অনুসারে ১ জন প্রধান বিচারপতি এবং সর্বাধিক ৩০ জন সহকারী বিচারপতিকে নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট গঠিত হয় [১২৪ (১) নং ধারায়]।
ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট কত জন প্রধান ও কত জন সহকারী বিচারপতি নিয়ে গঠিত?
ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট ১ জন প্রধান ও ৩০ জন সহকারী বিচারপতি নিয়ে গঠিত। বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের সর্ব মোট ৩১ জন বিচারপতি নিয়ে গঠিত।
বর্তমানে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির সংখ্যা কত?
বর্তমানে ভারতের সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতির সংখ্যা ৩১ জন।
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি কীভাবে নিযুক্ত হন?
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে নিয়ােগ করেন ভারতের রাষ্ট্রপতি। নিয়ােগের পূর্বে রাষ্ট্রপতি প্রয়ােজনানুসারে সুপ্রিমকোর্ট ও হাইকোর্টের বিচারপতিদের সঙ্গে পরামর্শ করতে পারেন। বাস্তবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি এই নিয়োগের কাজটি করে থাকেন।
স্বাধীন ভারতের সুপ্রিমকোর্টের প্রথম প্রধান বিচারপতির নাম লেখাে।
স্বাধীন ভারতে হরিলাল জে কানিয়া ছিলেন সুপ্রিমকোর্টের প্রথম প্রধান বিচারপতি।
কে সুপ্রিম কোর্টের প্রথম মহিলা বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন?
সুপ্রিম কোর্টের প্রথম মহিলা বিচারপতি ছিলেন মীর সাহিব ফতেমা বিবি।
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির অনুপস্থিতিতে কে তাঁর দায়িত্ব পালন করেন? অথবা, ভারতের সুপ্রিম কোর্ট কার্যনির্বাহী প্রধান কখন নিয়োগ করা হয়?
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির অনুপস্থিতিতে বা তার কর্তব্যপালনে অক্ষমতা প্রকাশ পেলে সুপ্রিমকোর্টের অন্য বিচারপতিদের মধ্য থেকে একজনকে রাষ্ট্রপতি কার্যনির্বাহী প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়ােগ করেন (১২৬ নং ধারানুযায়ী)। তিনি প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করেন।
কখন সুপ্রিম কোর্টের অস্থায়ী বিচারপতি নিয়োগ করা হয়?
সুপ্রিম কোর্টে কোরামের অভাব হলে অস্থায়ী বিচারপতিদের নিয়োগ করা হয়।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পদপ্রার্থীর দুটি যোগ্যতা নির্দেশ করাে।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হওয়ার জন্য প্রার্থীকে (১) ভারতীয় নাগরিক হতে হবে, (২) রাষ্ট্রপতির মতে, তাঁকে একজন বিশিষ্ট আইনজ্ঞ হতে হবে।
ভারতের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের কে নিযুক্ত করেন?
ভারতের রাষ্ট্রপতি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের নিযুক্ত করেন।
কার সুপারিশ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি নিয়ােগ করেন?
প্রধানমন্ত্রীর সুপারিশ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতিদের নিয়ােগ করেন।
বিচার ব্যবস্থায় প্রবীণতা নীতি কী?
প্রচলিত প্রথা অনুসারে সুপ্রিমকোর্টের প্রবীণতম বিচারপতিকে প্রধান বিচারপতির পদে নিয়োগ করা হয়। একেই বিচার ব্যবস্থায় প্রবীণতা নীতি বলা হয়।
সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতিদের কার্যকালীন মেয়াদ কত?
সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতিদের কার্যকালীন মেয়াদ হল ৬৫ বছর।
সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতির পদ কখন শূন্য হয়?
সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলে বা তার মৃত্যু হলে বা কোনাে কারণে তাঁকে পদচ্যুত করা হলে কার্যকাল শেষ হওয়ার আগেই সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতির পদ শূন্য হয়।
সংবিধানের কত নম্বর ধারায় রাষ্ট্রপতি সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতিদের অপসারণ করেন?
ভারতীয় সংবিধানের ১২৪ (৪) নং ধারা অনুসারে রাষ্ট্রপতি সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতিদের অপসারণ করেন।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি কে অপসারণের প্রস্তাব প্রথম কবে ওঠে?
বিচারপতি পি রামস্বামীর বিরুদ্ধে আনীত বিভিন্ন অভিযােগের ভিত্তিতে ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দের ১২ মার্চ নবম লোকসভার কাজের শেষ দিনে প্রথম সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি কে অপসারণের প্রস্তাব ওঠে।
কোন্ পদ্ধতিতে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের অপসারিত করা যায়?
ইমপিচমেন্ট পদ্ধতির দ্বারা ভারতের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের অপসারিত করা যায়।
সুপ্রিম কোর্টের কোন বিচারপতি কে পদচ্যুত করা হয়?
প্রমাণিত অসমর্থ কিংবা অসদাচরণ প্রদর্শনের কারণে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে অপসারণ করা হয়।
সুপ্রিমকোর্টের প্রধান ও অন্যান্য বিচারপতির মাসিক বেতন কত?
সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতির মাসিক বেতন ২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা ও অন্যান্য বিচারপতিরা ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা করে মাসিক বেতন পান।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের বেতন, ভাতা ইত্যাদি কোথা থেকে দেওয়া হয়?
সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতিদের বেতন, ভাতা ইত্যাদি ভারতের সতি তহবিল থেকে দেওয়া হয়।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের স্বাধীনভাবে কাজ করার জন্য সংবিধানে গৃহীত ব্যবস্থার যে-কোনাে দুটির উল্লেখ করাে।
বিচারপতিদের স্বাধীনভাবে কাজ করার উল্লেখযােগ্য দুটি বৈশিষ্ট্য হল (১)পার্লামেন্টে বিচারপতিদের কোনাে রায়ের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তােলা যায় না। (২) সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের বেতন, ভাতা সাধারণ অবস্থাতে হ্রাস করা যায় না।
সুপ্রিম কোর্টের এক্তিয়ার বা এলাকাগুলি কী কী?
সুপ্রিম কোর্টের এক্তিয়ার বা এলাকাগুলি সাধারণত চার ভাগে ভাগ করা যায়। যথা (১) মূল এলাকা, (২) আপিল এলাকা, (৩) পরামর্শদান এলাকা, (৪) লেখ এলাকা।
সুপ্রিম কোর্টের মূল এলাকা বলতে কী বােঝাে?
যেসকল মামলা হাইকোর্ট বা অন্য কোনাে অধস্তন আদালতে দায়ের করা যায় না শুধুমাত্র সংবিধানের ১৩১নং ধারানুযায়ী সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা যায়, সেই ক্ষেত্রে সুপ্রিমকোর্টের মূল এলাকা বলে।
ভারতের সুপ্রিম কোর্টের একটি মূল এলাকাভুক্ত ক্ষমতার উল্লেখ করাে।
ভারতের সুপ্রিমকোর্টের একটি মূল এলাকাভুক্ত ক্ষমতা হল – রাষ্ট্রপতি কিংবা উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন সংক্রান্ত যে-কোনাে প্রশ্ন বা বিরোধ নিষ্পত্তি ঘটানাে কি সংবিধানের ৭১ (১) নং ধারায় বর্ণিত হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের মূল এলাকাভুক্ত ক্ষমতা উপর আরােপিত বাধানিষেধগুলির মধ্যে যেকোনো একটি উল্লেখ করাে।
সুপ্রিম কোর্টের মূল এলাকাভুক্ত ক্ষমতা উপর আরােপিত বাধানিষেধগুলির মধ্যে অন্যতম একটি হলো সুপ্রিম কোর্ট বিভিন্ন রাজ্যের অধিবাসীদের মধ্যে কিংবা একটি রাজ্যের অধিবাসীদের সঙ্গে অপর একটি রাজ্যের অধিবাসীদের বিরােধের বিচার করতে পারে না।
ভারতের সর্বোচ্চ আপিল আদালত কোনটি?
ভারতের সর্বোচ্চ আপিল আদালত হল সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল এলাকা বলতে কী বােঝাে?
সুপ্রিম কোর্ট হল সর্বোচ্চ আপিল আদালত। যখন নিম্নতর বা অধস্তন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিমকোর্টে আপিল করা হয় এবং সুপ্রিম কোর্টের আপিল গ্রহণ করতে পারে, তখন তাকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল এলাকা বলে।
ভারতের সুপ্রিম কোর্টের আপিল এলাকা কটি ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী?
সুপ্রিম কোর্টের আপিল এলাকা চার ভাগে ভাগ করা যায় (১) সংবিধানের ব্যাখ্যা সংক্রান্ত আপিল, (২) দেওয়ানি আপিল, (৩) ফৌজদারি আপিল, (৪) বিশেষ অনুমতির মাধ্যমে আপিল।
সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শদান এলাকা বলতে কী বোঝায়?
সংবিধানের ১৪৩ (১) নং ধারানুযায়ী রাষ্ট্রপতি যদি আইন বা তথ্য সংক্রান্ত কোনাে সর্বজনীন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উদ্ভব ঘটেছে। বা ঘটার সম্ভাবনা আছে বলে মনে করেন, তখন রাষ্ট্রপতি সে বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ চাইলে সুপ্রিম কোর্ট সেই বিষয়ে যে পরামর্শ দেন, তাকেই পরামর্শদান এলাকা বলে। তবে প্রদত্ত পরামর্শ রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করতে বাধ্য নন।
সংবিধানের ব্যাখ্যা সংক্রান্ত বিষয়ে কে সুপ্রিমকোর্টে আপিল করার বিশেষ অনুমতি দিতে পারে?
সংবিধানের ১৩৬ (১) নং ধারানুযায়ী, সংবিধানের ব্যাখ্যা সংক্রান্ত বিষয়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট নিয়ে আপিল করার বিশেষ অনুমতি দিতে পারে।
ভারতের সর্বোচ্চ ফৌজদারি আদালত কোনটি?
ভারতের সর্বোচ্চ ফৌজদারি আদালত হল সুপ্রিম কোর্ট।
বিশেষ অনুমতি সূত্রে সুপ্রিম কোর্টে কি আপিল করা যায়?
ভারতীয় সংবিধানের ১৩৬ (১) নং ধারানুযায়ী, সামরিক আদালত ও ট্রাইবিউনালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা ছাড়া অন্য যে-কোনাে আদালতের রায়, আদেশ বা দণ্ডের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল করার জন্য বিশেষ অনুমতি দিতে পারে।
ভারতীয় সংবিধানের কত নম্বর ধারায় সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শদান সংক্রান্ত ক্ষমতার উল্লেখ পাওয়া যায়?
ভারতীয় সংবিধানের ১৪৩ (১) এবং ১৪৩ (২) নং ধারায় সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শদান সংক্রান্ত ক্ষমতা উল্লেখ পাওয়া যায়।
কোন্ বিষয়ে রাষ্ট্রপতি পরামর্শ চাইলে সুপ্রিমকোর্ট পরামর্শ দিতে বাধ্য?
সংবিধান চালু হওয়ার পূর্বে সম্পাদিত কোনাে সন্ধি, চুক্তি, অঙ্গীকারপত্র ইত্যাদি বিষয়ে রাষ্ট্রপতি পরামর্শ চাইলে সুপ্রিম কোর্ট পরামর্শ দিতে বাধ্য।
সুপ্রিম কোর্টের লেখ জারি এলাকা কী?
সংবিধানের ৩২ নং ধারা অনুযায়ী, সুপ্রিম কোর্টের যে এলাকায় নাগরিকদের মৌলিক অধিকার রক্ষার জন্য বিভিন্ন লেখ জারি করা যায়, তাকেই সুপ্রিম কোর্টের লেখ জারি এলাকা বলা হয়।
ভারতীয় সংবিধানের কত নং ধারানুযায়ী সুপ্রিমকোর্ট লেখ’ জারি করতে পারে?
ভারতীয় সংবিধানের ৩২নং ধারা অনুযায়ী সুপ্রিমকোর্ট লেখ’ জারি করতে পারে।
সুপ্রিম কোর্ট কয়টি লেখ জারি করতে পারে?
সুপ্রিম কোর্ট পাঁচটি লেখ জারি করতে পারে।
রাষ্ট্রপতি সুপ্রিমকোর্টের পরামর্শ গ্রহণ করেছে এমন দুটি উদাহরণ বা দৃষ্টান্ত উল্লেখ করাে।
রাষ্ট্রপতি সুপ্রিমকোর্টের পরামর্শ গ্রহণ করেছে এমন দুটি দৃষ্টান্ত হল (১) কেরল শিক্ষা বিল (১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দ), (২) জম্মু-কাশ্মীর পুনর্বাসন বিল (১৯৮২ খ্রিস্টাব্দ)।
ভারতের সুপ্রিমকোর্টের দুটি লেখ উল্লেখ করাে।
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট যে-সমস্ত লেখ জারি করতে পারে, সেগুলির মধ্যে উল্লেখযােগ্য দুটি হল (১) বন্দী-প্রত্যক্ষীকরণ, (২) পরমাদেশ। এ ছাড়া প্রতিষেধ, অধিকার পৃচ্ছা, উৎপ্রেষণ প্রভৃতি নির্দেশ, আদেশ সংবিধানের ৩২ নং ধারায় উল্লেখ করা আছে।
বন্দি-প্রত্যক্ষীকরণ-এর অর্থ কী?
বন্দি-প্রত্যক্ষীকরণের অর্থ হল বন্দি সশরীরে আদালতে হাজির করা।
‘পরমাদেশ’ কথাটির অর্থ কী?
পরমাদেশ’ কথাটির অর্থ আমরা আদেশ দিচ্ছি।
‘প্রতিষেধ’ বলতে কী বােঝায়?
সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট নিজেদের এক্তিয়ারের মধ্যে কাজ করার জন্য নিম্ন বা অধস্তন আদালত গুলো কি আদেশ দেয়, তাকেই প্রতিষেধ বলা হয়।
‘অধিকার পৃচ্ছা’ বলতে কী বােঝায়?
কোনো ক্ষমতা বা অধিকারবলে যদি কেউ সরকারিপদে আসীন থাকার দাবি পেশ করে, তাহলে সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট জনস্বার্থে যে লেখ জারি করে, তাকে অধিকার পৃচ্ছা বলে।
উৎপ্রেষণ বলতে কী বােঝায়?
নিম্নতম আদালত এবং ট্রাইবিউনালের বেআইনি আদেশ খারিজ করে উচ্চতর আদালত কর্তৃক সমস্ত কাগজপত্র নিজ বিচারাধীনে তলব করার যে নির্দেশ দেওয়া হয়, তাকে উৎপ্রেষণ বলে।
মৌলিক অধিকার বলবৎ করার জন্য দুটি লেখ-র নাম উল্লেখ করাে।
মৌলিক অধিকার বলবৎ করার জন্য সুপ্রিম কোর্ট এবং হাইকোর্ট যে-সমস্ত লেখ জারি করে, সেগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য দুটি হল (১) বন্দি-প্রত্যক্ষীকরণ, (২) পরমাদেশ।
অভিলেখ আদালত কী?
নিজের অবমাননার জন্য যে আদালত শাস্তি দিতে পারে (যেমন— হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট) তাকে অভিলেখ আদালত বলে।
সংবিধানের কত নম্বর ধারায় সুপ্রিম কোর্টের অভিলেখ আদালত হিসেবে কাজ করার উল্লেখ রয়েছে?
সংবিধানের ১২৯ নম্বর ধারায় সুপ্রিম কোর্টের অভিলেখ আদালত বা Court of Record’ হিসেবে কাজ করার উল্লেখ রয়েছে।
সংবিধানের কত নম্বর ধারায় বলা হয়েছে সুপ্রিমকোর্টের রায় ভারতের সমস্ত আদালতের পক্ষে বাধ্যতামূলক?
সংবিধানের ১৪১ নং ধারা অনুসারে সুপ্রিম কোর্টের রায় ভারতের সমস্ত আদালতের পক্ষে বাধ্যতামূলক।
কোন কোন ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্ট নিজের রায় বা আদেশ পুনর্বিবেচনা করে থাকে?
সাধারণত তিনটি ক্ষেত্রে সুপ্রিমকোর্ট নিজের রায় বা আদেশ পুনর্বিবেচনা করে থাকে সংবিধানের ১৩ নং ধারায়, যথা (১) নথি অনুসারে আগে কোনাে ত্রুটি দেখা দিলে, (২) নতুন কোনো তথ্য বা সাক্ষ্যপ্রমাণ যুক্ত হলে, (৩) পুনর্বিবেচনার জন্য যথেষ্ট কারণ রয়েছে বলে মনে করলে।
বিচারবিভাগীয় নিরীক্ষণ বলতে কি বুঝ?
বিচারবিভাগীয় নিরীক্ষণ বলতে বােঝায়, সংবিধানের পরিপ্রেক্ষিতে কোনাে আইন ন্যায়সংগত কি না, তা বিচার করা।
সুপ্রিম কোর্টের বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনা বা পুনৰীক্ষণের ক্ষমতা বলতে কী বোঝায়?
পার্লামেন্ট প্রণীত আইন বা রাষ্ট্রপতি ও রাজ্যপালের আদেশ বা নির্দেশ যদি সংবিধান সম্মত না হয় বা সংবিধান বহির্ভূত হয়, তাহলে সুপ্রিম কোর্টের আদেশ বা নির্দেশ কে অবৈধ বলে বাতিল করে দিতে পারে। সুপ্রিমকোর্টের এই বিশেষ ধরনের ক্ষমতাকেই বিচারবিভাগীয় পর্যালােচনা বা পুনরীক্ষণের ক্ষমতা (Power of Judicial Review) বলা হয়।
বিচার বিভাগীয় পর্যালােচনার ক্ষমতা নেই, এমন দুটি দেশের নাম লেখাে।
ব্রিটেন ও ফ্রান্সে বিচার বিভাগীয় পর্যালােচনার ক্ষমতা নেই।
সুপ্রিম কোর্টের বিচার বিভাগীয় সক্রিয়তা বলতে কী বোঝায়?
সাধারণভাবে বিচার বিভাগের সক্রিয়তা বলতে বিচার বিভাগের সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণ করাকে বোঝায়। বিচার বিভাগ অনেকক্ষেত্রেই শাসন বিভাগের দুর্নীতি ও অপশাসনের সুযােগ নিয়ে ব্যক্তিস্বাধীনতা রক্ষা ও জনস্বার্থের উদ্দেশ্যে নিজের এক্তিয়ারের বাইরে বিভিন্ন কাজকর্ম করে থাকে।
বিচারক প্রণীত আইন বলতে কী বােঝাে?
প্রচলিত আইনের সাহায্যে বিচারকার্য সম্ভব নয় উপলব্ধি করে বিচারকেরা অনেকসময় নিজস্ব বিচার বুদ্ধির সাহায্যে বিচার করে থাকেন, একেই বিচারক প্রণীত আইন বলা হয়।
আইনের যথাবিহিত পদ্ধতি (Due process of Law) বলতে কী বােঝায়?
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট আইনের যথাবিহিত পদ্ধতি অনুযায়ী দেখে যে, আইনটি যথাযথ সাংবিধানিক পদ্ধতি অনুসরণ করছে কি না এবং তা স্বাভাবিক ন্যায়নীতি লঙ্ঘন করছে কি না যে ক্ষমতা ভারতের সুপ্রিমকোর্টের নেই।
সুপ্রিম কোর্ট কবে কেশবানন্দ বনাম কেরল রাজ্য মামলার রায় দেয়?
সুপ্রিমকোর্ট ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দে কেশবানন্দ বনাম কেরল রাজ্য মামলার রায় দেয়।
PIL-এর পুরাে কথা কী?
PIL-এর পুরাে কথা Public Interest Litigation (জনস্বার্থমূলক মামলা)।
জনস্বার্থমূলক মামলা বলতে কী বােঝায়?
কোনাে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের স্বার্থের জন্য মামলা নয়, শুধুমাত্র জনগণের স্বার্থ সম্পর্কিত মামলা কে বলা হয় জনস্বার্থমূলক মামলা।
সাধারণ মামলা ও জনস্বার্থমূলক মামলার মধ্যে দুটি পার্থক্য দেখাও।
সাধারণ মামলা ও জনস্বার্থমূলক মামলার মধ্যে দুটি পার্থক্য হল – (১) জনস্বার্থমূলক মামলা শুধুমাত্র জনগণের স্বার্থসংক্রান্ত বিষয়গুলিকে আদালত বিচার করে থাকে, অপরদিকে ব্যক্তি ওপ্রতিষ্ঠানের স্বার্থসংক্রান্ত বিষয়গুলিকে নিয়ে সাধারণ মামলার বিচার হয়। (২) জনস্বার্থমূলক মামলা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ছাড়া অন্যান্য ব্যক্তিও মামলা করতে পারে, অপরদিকে সাধারণ মামলায় কেবল ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিই আদালতের দ্বারস্থ হয়ে থাকে।
SAL-এর পুরাে কথা কী?
SAL-এর পুরাে কথা Social Action Litigation (সামাজিক কার্যমূলক মামলা)।
মৌলিক অধিকার রক্ষার জন্য সুপ্রিম কোর্ট বাতিল করেছে এমন দুটি আইনের দৃষ্টান্ত লেখাে।
মৌলিক অধিকার রক্ষার জন্য সুপ্রিম কোর্ট বাতিল করেছে, এমন দুটি আইন হল – (১) এ কে গােপালন বনাম মাদ্রাজ রাজ্য মামলার (১৯৫০ খ্রিস্টাব্দ) নিবর্তনমূলক আটক আইনের ১৪ নং ধারাটিকে বাতিল করা। (২) ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দে মিসা আইনের ১৭ (ক) ধারাটি বাতিল করা।
MISA-এর পুরাে কথা কী?
MISA- Maintenance of Internal Security Act।
নাগরিকদের মৌলিক অধিকার রক্ষায় সুপ্রিম কোর্টের দুটি ইতিবাচক ভূমিকার নাম লেখাে।
নাগরিকদের মৌলিক অধিকার রক্ষায় সুপ্রিম কোর্টের দুটি ইতিবাচক ভূমিকা হল – (১) ১৯৮৩ খ্রিস্টাব্দে বধূহত্যার দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের চরম দণ্ড দেওয়ার পক্ষে রায় দেয়। (২) ১৯৮৩ খ্রিস্টাব্দে বেগার শ্রমিকদের মুক্তি ও পুনর্বাসনের জন্য সরকারকে নির্দেশ দেয়।
ভারতের সুপ্রিমকোর্টকে কেন ‘গণতন্ত্রের রক্ষাকর্তা বলা হয়?
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট বিভিন্ন লেখ জারি করে মৌলিক অধিকারগুলি রক্ষা করে এবং দেশের সর্বোচ্চ আপিল আদালত হিসেবে নির্বাচন সংক্রান্ত বিরােধের মীমাংসার দায়িত্ব পালন করে গণতন্ত্রকে পবিত্র ও স্বচ্ছ রাখার চেষ্টা করে, তাই সুপ্রিমকোর্টকে গণতন্ত্রের রক্ষাকর্তা বলা হয়।
ভারতে বর্তমান হাইকোর্টের সংখ্যা ক-টি?
ভারতে বর্তমানে ২১টি হাইকোর্ট রয়েছে।
রাজ্যে বিচার বিভাগের শীর্ষে কে রয়েছে?
রাজ্যে বিচার বিভাগের শীর্ষে রয়েছে হাইকোর্ট।
সংবিধানের কত নম্বর ধারায় অঙ্গরাজ্যের হাইকোর্টের কথা বলা হয়েছে?
ভারতীয় সংবিধানের ২১৪ নং ধারায় ভারতের প্রতিটি অঙ্গরাজ্যে একটি করে হাইকোর্ট গঠনের কথা বলা হয়েছে।
কলকাতা হাইকোর্ট পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও আর কোন অঞ্চলের মামলার বিচার করে?
কলকাতা হাইকোর্ট পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ অঞ্চলের মামলার বিচার করে।
রাজ্যের সর্বোচ্চ আদালত কোটি?
রাজ্যের সর্বোচ্চ আদালত হল হাইকোর্ট।
হাইকোর্ট কীভাবে গঠিত হয়?
সংবিধানের ২১৪ নং ধারানুযায়ী প্রতি অঙ্গরাজ্যে হাইকোর্ট গঠনের ব্যবস্থা রয়েছে। পার্লামেন্ট আইন দ্বারা দুই বা ততােধিক অঙ্গরাজ্যের জন্য একটি সাধারণ হাইকোর্ট গঠন করতে পারে। প্রতিটি হাইকোর্ট একজন প্রধান বিচারপতি ও অন্য কয়েকজন বিচারপতিকে নিয়ে গঠিত হয়। এই অন্যান্য বিচারপতিদের সংখ্যা রাষ্ট্রপতির নির্ধারণ করে থাকেন।
হাইকোর্টের বিচারপতিকে কে নিয়ােগ করেন?
সংবিধানের ২১৭ (১) নং ধারানুযায়ী হাইকোর্টের বিচারপতিরা রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত হন। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এবং সংশ্লিষ্ট রাজ্যের রাজ্যপালের সঙ্গে পরামর্শক্রমে রাষ্ট্রপতি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে নিয়ােগ করেন। অন্য বিচারপতিদের নিয়ােগের সময় রাষ্ট্রপতি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এবং রাজ্যপাল ছাড়াও সংশ্লিষ্ট রাজ্যের হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে পরামর্শ করতে পারেন।
হাইকোর্টের বিচারপতি হওয়ার দুটি যােগ্যতা লেখাে।
হাইকোর্টের বিচারপতি হওয়ার জন্য (১) বিচারপতিকে অবশ্যই ভারতীয় নাগরিক হতে হবে, (২) ভারতীয় ভূখণ্ডে অবস্থিত যে-কোনাে বিচারবিভাগীয় পদে কমপক্ষে ১০ বছর আসীন থাকতে হবে।
হাইকোর্টে বিচারপতিদের বদলি কীভাবে হয়?
সংবিধানের ২২২ (১) নং ধারা অনুযায়ী সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে পরামর্শ করে রাষ্ট্রপতি এক হাইকোর্টের বিচারপতিকে অন্য হাইকোর্টে বদলি করতে পারেন।
একজন হাইকোর্টের বিচারপতির অবসর গ্রহণের বয়স কত?
হাইকোর্টের বিচারপতিরা ৬২ বছর বয়স পর্যন্ত স্বপদে অধিষ্ঠিত থাকেন।
হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির মাসিক বেতন কত?
হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির মাসিক বেতন ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা।
হাইকোর্টের এক্তিয়ারভুক্ত দুটি প্রধান বিচারের এলাকা উল্লেখ করাে।
হাইকোর্টের এক্তিয়ারভুক্ত দুটি প্রধান বিচারের এলাকা হল – (১) মূল এলাকা, (২) আপিল এলাকা।
হাইকোর্ট গুলির মূল এলাকা কী?
হাইকোর্টের মূল এলাকা বলতে বােঝায় যে এলাকায় সরাসরি মামলা দাখিল করা যায়। বর্তমানে মূল এলাকাভুক্ত বিষয়গুলিকে দেওয়ানি মামলার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে। ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দের আগে পর্যন্ত ফৌজদারি মামলা হাইকোর্টে করা হয়নি, শুধুমাত্র রাজস্ব সংক্রান্ত মামলা মূল এলাকার অন্তর্ভুক্ত।
হাইকোর্টের কোন্ রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের মূল এলাকায় আপিল করা যায়?
সংবিধানের ব্যাখ্যা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের মূল এলাকায় আপিল করা যায়।
হাইকোর্টের আপিল এলাকার দুটি দৃষ্টান্ত দাও।
হাইকোর্টের আপিল এলাকার দুটি দৃষ্টান্ত হল (১) জেলা জজ ও অধস্তন জেলা জজ ঘােষিত রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করা যায়। (২) দায়রা জজ এবং অতিরিক্ত দায়রা জজের আদালতে কোনাে ব্যক্তিকে ৭ বছরের অধিক কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হলে হাইকোর্টে আপিল করা যায়।
ভারতের কোন হাইকোর্ট জারি করতে পারে এমন পাঁচটি হুকুমনামার নাম উল্লেখ করাে।
ভারতের সংবিধানের ২২৬ (১) নং ধারা অনুসারে ভারতের যে-কোনাে হাইকোর্ট যে পাঁচটি হুকুমনামা জারি করতে পারে, সেগুলি হল (১) বন্দী-প্রত্যক্ষীকরণ, (২) পরমাদেশ, (৩) প্রতিষেধ, (৪) অধিকার পৃচ্ছা, (৫) উৎপ্রেষণ।
সুপ্রিম কোর্টের মতাে কোন এলাকা হাইকোর্টের নেই?
সুপ্রিম কোর্টের মতে পরামর্শদান এলাকা হাইকোর্টের নেই।
একইসঙ্গে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত একটি হাইকোর্টের উদাহরণ দাও।
একইসঙ্গে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত একটি হাইকোর্টের উদাহরণ হল কলকাতা হাইকোর্ট।
ভারতের কোন্ কোন্ আদালত নাগরিকদের মৌলিক অধিকার ভঙ্গের বিচার করতে পারে?
ভারতে অবস্থিত বিভিন্ন আদালত গুলির মধ্যে সুপ্রিম কোর্ট এবং হাইকোর্ট নাগরিকদের মৌলিক অধিকার ভঙ্গের বিচার করতে পারে।
অধস্তন আদালত ব্যবস্থা বলতে কী বোঝো?
অধস্তন আদালত হাইকোর্টের পরবর্তী পর্যায়ে অবস্থিত। এই আদালতটি দু-ভাগে বিভক্ত। এই দুটি ভাগ হল— (১) জেলার অধস্তন আদালত, (২) মহানগরীয় অঞ্চলের অধস্তন আদালত।
জেলার অধস্তন আদালত গুলি কটি ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী?
জেলার অধস্তন আদালত গুলির দুটি ভাগে ভাগ করা যায় (১) দেওয়ানি আদালত, (২) ফৌজদারি আদালত।
জেলার সর্বোচ্চ আদালত কোনটি?
জেলার সর্বোচ্চ আদালত হল জেলা বিচারকের আদালত।
জেলা বিচারকের আদালতের নিম্নে কোন আদালত অবস্থিত?
জেলা বিচারকের আদালতের নীচে অবর আদালত অবস্থিত।
পশ্চিমবঙ্গের একটি অধস্তন আদালতের নাম লেখাে।
পশ্চিমবঙ্গের দায়রা আদালত হল একটি অধস্তন আদালতের উদাহরণ।
জেলার সর্বোচ্চ ফৌজদারি আদালত কোনটি?
জেলার সর্বোচ্চ ফৌজদারি আদালত হল দায়রা আদালত।
দায়রা আদালতের বিচারক কে?
জেলা বিচার দায়রা আদালতের বিচারক হিসেবে বিচারকার্য সম্পাদন করেন।
জেলার দেওয়ানি এবং ফৌজদারি আদালতের সর্বনিম্নে কোন্ আদালত অবস্থিত?
জেলার দেওয়ানি এবং ফৌজদারি আদালতের সর্বনিম্নে ন্যায় পঞ্চায়েত অবস্থিত।
দেওয়ানি আদালতসমূহের সর্বনিম্ন কোন আদালত অবস্থিত?
দেওয়ানি আদালতসমূহের সর্বনিম্নে ন্যায় পঞ্চায়েত অবস্থিত।
ন্যায় পঞ্চায়েত কী?
ন্যায় পঞ্চায়েত হল গ্রাম পঞ্চায়েতের আদালত।
লােক আদালত প্রথম কোথায় গঠিত হয়?
লােক আদালত প্রথম দিল্লিতে গঠিত হয়।
লােক আদালত কী?
ভারতের বিচারব্যবস্থাকে সমাজের সাধারণ মানুষের কাছে স্বল্প ব্যয়ে ও স্বল্প সময়ে পৌছে দেওয়ার এক প্রগতিশীল পদক্ষেপ হল লােক আদালত বা People’s Court’। এটি জনগণের আদালত।
লােক আদালত (People’s Court) গঠনের দুটি মূল উদ্দেশ্য লেখাে।
লোক আদালত গঠনের মূল উদ্দেশ্য হল (১) ভারতের বিভিন্ন আদালত গুলির স্বাভাবিক চাপ কমানাে, (২) স্বল্প ব্যয়ে বা বিনা ব্যয়ে নাগরিকদের কাছে ন্যায়বিচারকে পৌছে দেওয়া।
NLSA বলতে কী বােঝায়?
লােক আদালতে সফল করার জন্য পার্লামেন্টে গৃহীত হয় ১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দে ‘ন্যাশনাল লিগাল সার্ভিস অথরিটি অ্যাক্ট (NLSA)I
লোক আদালতের দুটি উপযােগিতা উল্লেখ করে।
লােক আদালতের দুটি উল্লেখযােগ্য উপযােগিতা হল— (১) স্বল্প ব্যয়ে বা বিনা ব্যয়ে নাগরিকদের কাছে ন্যায়বিচার পৌছে দেওয়া। (২) কম গুরুত্বপূর্ণ মামলাগুলির দ্রুত নিষ্পত্তি ঘটানাে সম্ভব।
গণ আদালতের কার্যাবলি কী?
লোক আদালত বা গণ আদালতের কার্যাবলি দেওয়ানি সংক্রান্ত মামলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। দীর্ঘদিন ধরে চলছে এমন অমীমাংসিত মামলা যদি কোনাে আদালত লােক আদালতে পাঠায়, তাহলে লোক আদালত বা গণ আদালত তার বিচার করে। গণ আদালত আসলে আপস মীমাংসার উপর গুরুত্ব আরােপ করে থাকে। এই আদালতের মূল কাজ হল বাদী-বিবাদী উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে একটা পারস্পরিক সমঝােতায় আসার চেষ্টা করে।
পারিবারিক আদালত কীভাবে গঠিত হয়?
রাজ্য সরকার বিবাহ সংক্রান্ত সমস্যা বা তার সঙ্গে জড়িত কোনাে পারিবারিক সমস্যার দ্রুত সমাধানের উদ্দেশ্যে ১৯৮৪ খ্রিস্টাব্দে পার্লামেন্ট প্রণীত আইন অনুসারে পারিবারিক আদালত গঠন করা হয়।
ক্রেতা সুরক্ষা আইন (Consumer Protection Law) ভারতে কবে পাস হয়?
১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে ক্রেতা সুরক্ষা আইন ভারতে পাস হয়।
ক্রেতা সুরক্ষা আইন ভারতে কবে থেকে কার্যকর হয়েছে?
১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দের ১৫ এপ্রিল থেকে জম্মু-কাশ্মীর বাদে ভারতব্যাপী ক্রেতা সুরক্ষা আইন কার্যকর হয়েছে।
ক্রেতা আদালতের একটি বৈশিষ্ট্য লেখাে।
ক্রেতা আদালতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল ব্রেতা বা উপভােক্তা ছাড়া অন্য কেউ এখানে অভিযােগ দায়ের করতে পারে না।
ক্রেতা আদালত গঠনের উদ্দেশ্য লেখাে।
ক্রেতা আদালত গঠনের একটি উদ্দেশ্য হল ক্রেতা যেন ন্যায্য দামে সঠিক জিনিস কিনতে পারে।
ক্রেতা আদালতের ক-টি স্তর রয়েছে ও কী কী?
ক্রেতা আদালতের তিনটি স্তর রয়েছে। এই তিনটি স্তর হল (১) জেলা স্তর (জেলা ক্রেতা আদালত), (২) রাজ্য স্তর (রাজ্য ক্রেতা আদালত), (৩) জাতীয় স্তর (জাতীয় ক্রেতা আদালত)।
ক্রেতা আদালতের সর্বনিম্ন স্তরে কোন্ আদালত রয়েছে?
ক্রেতা আদালতের সর্বনিম্ন স্তরে রয়েছে ক্রেতা বিরােধ নিষ্পত্তিকরণ আদালত, যা জেলা আদালত নামে পরিচিত।
ক্রেতা সুরক্ষা বিষয়ক রাজ্য স্তরের কমিশনের নাম কী?
ক্রেতা সুরক্ষা বিষয়ক রাজ্য স্তরের কমিশনের নাম রাজ্য কমিশন।
রাজ্য কমিশনের সদস্যদের কার্যকালের মেয়াদ কত বছর?
রাজ্য কমিশনের সদস্যদের কার্যকালের মেয়াদ ৫ বছর অর্থাৎ সদস্যরা ৬৭ বছর বয়স পর্যন্ত স্বপদে বহাল থাকেন।
অভিযােগ পাওয়ার কত দিনের মধ্যে জেলা আদালতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয়?
অভিযােগ পাওয়ার ২১ দিনের মধ্যে জেলা আদালতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয়।
বিচার বিভাগ কে সামাজিক বিপ্লবের একটি হাতিয়ার বলেছেন?
জে সি জোহারি বিচার বিভাগ সামাজিক বিপ্লবের একটি হাতিয়ার বলেছেন।
ভারতের কেন্দ্রীয় শাসনের রাজনৈতিক অংশ কাদের নিয়ে গঠিত?
ভারতের কেন্দ্রীয় শাসনের রাজনৈতিক অংশ রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি এবং মন্ত্রীসভাকে নিয়ে গঠিত।
ভারতের কেন্দ্রীয় শাসনের রাজনৈতিক অংশ কাদের নিয়ে গঠিত?
ভারতের কেন্দ্রীয় শাসন রাজনৈতিক অংশ উচ্চপদস্থ কর্মচারীবৃন্দ-সহ সাধারণ কর্মচারীদের নিয়ে গঠিত।
ভারত রাষ্ট্রের সাংবিধানিক প্রধান কে?
ভারতের রাষ্ট্রপতি।
ভারতের প্রথম নাগরিক কাকে বলা হয়?
ভারতের প্রথম নাগরিক বলা হয় রাষ্ট্রপতিকে।
রাষ্ট্রপতি ভারতের কীরূপ শাসক?
রাষ্ট্রপতি ভারতের নিয়মতান্ত্রিক বা নামসর্বস্ব শাসক।
রাষ্ট্রপতি হওয়ার দুটি যােগ্যতা লেখাে।
ভারতের রাষ্ট্রপতি হওয়ার জন্য প্রার্থীকে—(১) ভারতীয় নাগরিক হতে হবে, (২) লোকসভায় নির্বাচিত হওয়ার যােগ্যতাসম্পন্ন হতে হবে।
ভারতের রাষ্ট্রপতি কীভাবে নির্বাচিত হন?
ভারতের রাষ্ট্রপতি একক হস্তান্তরযােগ্য সমানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের নীতির ভিত্তিতে গােপন ভোটের দ্বারা এক নির্বাচক সংস্থা কর্তৃক পরােক্ষ পদ্ধতিতে নির্বাচিত হন।
ভারতের রাষ্ট্রপতি কাদের দ্বারা নির্বাচিত হন।
ভারতের রাষ্ট্রপতি পার্লামেন্টের দুটি কক্ষের সদস্যগণ এবং রাজ্য আইনসভার নিম্নকক্ষ বিধানসভার সদস্যদের নিয়ে গঠিত একটি নির্বাচক সংস্থা কর্তৃক নির্বাচিত হন।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য নির্বাচক সংস্থা কাদের নিয়ে গঠিত হয়?
ভারতীয় পার্লামেন্টের উভয় কক্ষের নির্বাচিত সদস্যবৃন্দ এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল (পুদুচেরি) ও জাতীয় রাজধানী অঞ্চল (দিল্লি)-সহ রাজ্য আইনসভার নিম্নকক্ষ অর্থাৎ বিধানসভার নির্বাচিত সদস্যদেরকে নিয়ে এই নির্বাচক সংস্থাটি গঠিত হয়।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি ক-টি পর্যায়ে ভাগ করা যায়?
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতিকে তিনটি পর্যায়ে ভাগ করা যায়।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের দ্বিতীয় পর্যায়ে কারা ভোট দান করেন?
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের দ্বিতীয় পর্যায়ে পার্লামেন্টের উভয় কক্ষের নির্বাচিত সদস্যরা ভোট দান করেন।
ভারতের কোন রাষ্ট্রপতি দ্বিতীয় পছন্দের ভোটে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হন?
১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দ্বিতীয় পছন্দের ভোটে ভি ভি গিরি রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হন।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রতিনিধিত্বের কোন্ নীতি গ্রহণ করা হয়েছে?
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে একক হস্তান্তরযােগ্য সমানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের নীতি গৃহীত হয়েছে।
কোটা’ কী?
রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার জন্য সকল প্রার্থীর বৈধ প্রথম পছন্দের ভােট সংখ্যাকে ২ দ্বারা ভাগ করে ভাগফলের সঙ্গে ১ যােগ করলে যে সংখ্যা পাওয়া যাবে তাকে কোটা (Quota) বলা হয়। কোটা বলতে সেই নির্দিষ্ট সংখ্যক ভোট বােঝায় যা পেলে কোনাে প্রার্থী রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হতে পারবেন।
রাষ্ট্রপতি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে চাইলে কার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন?
রাষ্ট্রপতি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে চাইলে নিজে হাতে পদত্যাগপত্র লিখতে রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দেবে।
কোন্ অপরাধে রাষ্ট্রপতিকে কার্যকাল শেষ হওয়ার আগেই অপসারণ করা যায়?
সংবিধানের ৫৬ নং ধারা অনুসারে রাষ্ট্রপতিকে সংবিধান ভঙ্গের অপরাধে অপসারণ করা যায়।
ভারতের রাষ্ট্রপতি কে কীভাবে অপসারণ করা যায়?
সংবিধানের ৬১নং ধারা অনুসারে সংবিধান ভঙ্গের অপরাধে ইমপিচমেন্ট পদ্ধতির মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি অপসারিত হন। এক্ষেত্রে ১৪ দিন পূর্বে পার্লামেন্টের যে-কোনাে কক্ষে প্রস্তাব উত্থাপন করতে হয়। প্রস্তাব উভয় ক্ষের দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন করলে রাষ্ট্রপতি অপসারিত হন।
ভারতীয় রাষ্ট্রপতির অপসারণের পদ্ধতির নাম লেখাে।
ভারতের রাষ্ট্রপতিকে ইমপিচমেন্ট পদ্ধতির মাধ্যমে অপসারণ করা হয়।
ইমপিচমেন্ট পদ্ধতি কী?
সংবিধান ভঙ্গের অপরাধে ভারতীয় সংবিধানের ৬১ নম্বর ধারা অনুসারে রাষ্ট্রপতি ও উপরাষ্ট্রপতির অপসারণ পদ্ধতি কে ইমপিচমেন্ট পদ্ধতি বলে।