কবির নিজস্ব কবিস্বভাবের পরিচয় : কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা সম্পর্কে কবি শঙ্খ ঘােষ লিখেছিলেন— “ভালােবেসেছিলেন তিনি সংসারছুট অরণ্যপ্রান্তুর সমুদ্র পাহাড়, প্রকৃতির সঙ্গে মিশে গিয়ে তিনি নিজেই হয়ে উঠেছিলেন প্রকৃতি।” শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা তাই হয়েছে প্রকৃতিময়। প্রকৃতি হয়েছে তার আশ্রয়। জঙ্গলের প্রতি এক নিবিড় টান অনুভব করেছেন কবি আর প্রকৃতির প্রতীক হয়ে গাছ বারেবারে উঠে এসেছে তাঁর কবিতায়। ‘আমি দেখি’ কবিতাটিও গাছকে কেন্দ্র করে রচিত। নিজের জীবনে গাছের প্রয়ােজনীয়তা উপলব্ধি করেছেন কবি। নাগরিক জীবনের ব্যস্ততা শরীরের সতেজতাকে নিংড়ে নেয়। তাই সুস্থ শরীরের প্রয়ােজনেই সবুজ প্রকৃতির ছোঁয়া দরকার। শুধু শরীর নয়, কবির মনও চায় সবুজের সান্নিধ্য। বহুদিন ধরে বৃক্ষনিধনের সাক্ষ্য বহন করে চলা শহরে থাকার জন্য তাই কবির আক্ষেপ- “বহুদিন জঙ্গলে যাইনি” অন্য একটি কবিতায় কবি লিখেছিলেন—“প্রকৃতির কাছে ফেরাে, মানুষ যেভাবে/শূন্য ভালােবাসা থেকে কাছে ফেরে সম্পূর্ণ কলমে…।” এই আকর্ষণ থেকেই নগরজীবনে বিষন্ন কবি গাছ তুলে এনে বাগানে বসাতে বলেছেন। এটি কবির কোনাে ব্যক্তিগত আকাঙ্ক্ষা নয়, এ যেন সমগ্র বিশ্বের মানুষের হয়ে কবির প্রার্থনা- সবুজ, সুস্থতা আর সজীবতার জন্য।
আমি দেখি কবিতাটির গঠনবৈশিষ্ট্য আলােচনা করাে।
গাছ আনাে, বাগানে বসাও। -কাদের উদ্দেশে কবি এই আহ্বান জানিয়েছেন? কোথা থেকে গাছ তুলে আনার কথা বলেছেন কবি? পঙক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করাে।
আরােগ্যের জন্য ওই সবুজের ভীষণ দরকার—ওই সবুজ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন? সেই সবুজকে পাওয়ার জন্য কবি কী কী নির্দেশ দিয়েছেন?
কেন তবে লেখা কেন গান গাওয়া/কেন তবে আঁকাআঁকি?—এই মন্তব্যটির মধ্যে দিয়ে কবির কোন্ বিশেষ মনােভাবের প্রকাশ ঘটেছে আলােচনা করাে।
নিহত ভাইয়ের শবদেহ দেখে/নাই যদি হয় ক্রোধ- কবি কাকে ভাই বলে সম্বােধন করেছেন? কবির প্রতিক্রিয়া বিশ্লেষণ করাে।
আমি কি তাকাব আকাশের দিকে/বিধির বিচার চেয়ে?- কবির এই মন্তব্যের তাৎপর্য আলােচনা করাে।
আমি তা পারি না।- কবি কী পারেন না? যা পারি কেবল- কবি কী পারেন?
অথবা, আমি তা পারি না।—বক্তা কী পারেন না? বক্তা কীভাবে তার কর্তব্য পালন করতে চান?
আমি তা পারি না।—কবি কী না পারার কথা বলেছেন? কেন তিনি এ কথা বলেছেন?
আমি তা পারি না।—কে পারেন না? না পারার বেদনা কীভাবে কবিকে আলােড়িত করেছে তা কবিতা অবলম্বনে লেখাে।
…কবিতায় জাগে/আমার বিবেক, আমার বারুদ। বিস্ফোরণের আগে। -এই মন্তব্যটির মধ্য দিয়ে কবির যে বিশেষ মনােভাবের প্রকাশ ঘটেছে তা আলােচনা করাে।
ক্রন্দনরতা জননীর পাশে কবিতার মূল বক্তব্য সংক্ষেপে আলােচনা করাে।
ক্রন্দনরতা জননীর পাশে কবিতা অবলম্বনে কবির রচনাশৈলীর বিশিষ্টতা আলােচনা করাে।