বক্তা: আলােচ্য উক্তিটির বক্তা হলেন তৃপ্তি মিত্র।
উদ্দেশ্যসিদ্ধি : নাট্যকার ও অভিনেতা শম্ভ মিত্রের ‘বিভাব’ নাটকে দেখা যায়, শম্ভু মিত্র নাট্যদলের সম্পাদকের নির্দেশে হাসির নাটক মঞ্চস্থ করার উদ্দেশে হাসির রসদ খুঁজতে অমর গাঙ্গুলির বাড়িতে যান।
হাস্যরস সৃষ্টির প্রস্তাব : প্রথমে কল্পিত বসার ভঙ্গি করে হাসি সৃষ্টিতে শম্ভু মিত্র ব্যর্থ হলে বউদি তৃপ্তি মিত্র ‘লভ সিন’ এর মাধ্যমে হাস্যরস সৃষ্টির প্রস্তাব দেন। কিন্তু তার নির্দেশনায় শম্ভু মিত্রকে নায়ক করে এবং নিজেকে নায়িকার ভূমিকায় রেখে যে দৃশ্যটির অনুশীলন হয়, তা দেখে শম্ভ মিত্র এবং অমর গাঙ্গুলি দুজনেই এক মত হন যে, “হাসি পাচ্ছে না।” তখন তৃপ্তি মিত্র একটি ‘প্রগ্রেসিভ লভ সিন’ অভিনয়ের কথা বলেন। নায়ক শম্ভ মিত্রকে একজন আত্মগােপন করে থাকা রাজনৈতিক নেতা, অমর গাঙ্গুলিকে পুলিশ এবং তৃপ্তি মিত্রকে নায়িকা ও শম্ভু মিত্রের প্রেমিকা হিসেবে উপস্থাপন করে দৃশ্যটি অভিনীত হয়।
ক্ষোভ প্রকাশ : দৃশ্যটির শেষে শম্ভু মিত্র জানলা দিয়ে পালাতে চেষ্টা করেন আর পুলিশবেশী অমর গাঙ্গুলি তাঁকে চোর ভেবে তাড়া করেন। কিন্তু অভিনয় শেষে শম্ভু মিত্র কিছুটা দ্বিধা নিয়ে “একটু একটু হাসি পাচ্ছিল” বললেও অমর গাঙ্গুলি স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে, দৃশ্যটিতে তাঁর একেবারেই হাসি পায়নি। এতে বউদি তৃপ্তি মিত্র রেগে গিয়ে উধৃত মন্তব্যটি করেন।