মহাজনি শোষণের চিত্র: সুভাষ মুখােপাধ্যায় তার ‘ছাতির বদলে হাতি’ রচনায় গারাে পাহাড়ের অধিবাসীদের ওপর মহাজনরা কীভাবে দীর্ঘদিন ধরে শােষণ করে চলেছে, তার ছবি তুলে ধরেছেন।
সাহায্যদান : পাহাড়তলির চাষি চেংমান একবার হালুয়াঘাট বন্দরে ব্যাবসার সওদা করতে আসে। ফেরার পথে প্রবল বর্ষায় সে আটকে পড়লে মনমােহন মহাজন একটি নতুন ছাতা জোর করেই চেংমানকে গছিয়ে দেন।
ঋণ শোধের প্রচেষ্টা : এরপর বহুবার হাটে মনমােহনের সঙ্গে চেংমানের দেখা হলেও মনমােহন প্রতিবারই তাকে ছাতার দাম দেওয়ার ব্যাপারে তাড়াহুড়ো করতে নিষেধ করেন। পাওনা আদায় কয়েক বছর পর মনমােহন চেংমানকে পাকড়াও করে তার দেনা মিটিয়ে দিতে বলেন। লাল খেরাের খাতা খুলে চেংমানকে মনমােহন জানান যে, ছাতার দাম এবং তার চক্রবৃদ্ধি সুদ-সহ বর্তমানে তার এক হাজার টাকা প্রাপ্য।
ডালুদের উপর অত্যাচার : ডালু উপজাতিদের গ্রাম কুমারগাঁতির ব্যবসায়ী নিবেদন সরকার তার মুদিখানার মশলাপাতি কেনার জন্য কয়েক বছর ধরে টাকা ধার করে চলেছিল মহাজন কুটিশ্বর সাহার কাছ থেকে। সেই ধারের টাকা তুলতে কুটিশ্বর সাহা নিবেদনের ছেষটি বিঘে জমি কেড়ে নিয়েছিলেন।
কোদালের বিনিময়ে জমি : আর-এক ধুরন্ধর মহাজন এক চাষিকে বাকিতে একটি কোদাল বিক্রি করেছিলেন। সেই টাকা তােলার অজুহাতে তিনি সেই চাষির কাছ থেকে পনেরাে বিঘা জমি কেড়ে নেন।
শেষের কথা : এইসব ঘটনার উল্লেখের মধ্য দিয়েই লেখক মহাজনদের শােষণের ইতিহাস তাঁর রচনায় তুলে ধরেছেন।