শুরুর কথা: সুভাষ মুখােধ্যায়ের ‘ছাতির বদলে হাতি’ গল্পে মনমােহন মহাজন চরিত্রটির উপস্থাপন ঘটেছে মহাজনি শােষণের প্রতীক হিসেবে। আলােচ্য গল্পে চরিত্রটির যে বৈশিষ্ট্যগুলি লক্ষ করা যায় তা হল-
আপাত বিনয় : বৃষ্টিতে আটকে পড়া চেংমানকে যেভাবে মনমােহন নতুন ছাতা দিয়েছে এবং দাম নিয়ে ভাবতে নিষেধ করেছে, কিংবা পরে দাম মেটানাের সুযােগ দিয়েছে, তা তার আপাত বিনয় এবং উদারতার নিদর্শন।
শঠতা : বিনয় কিংবা উদারতা মনমােহনের স্বভাবগত বৈশিষ্ট্য ছিল না। এগুলি ছিল তার দুরভিসন্ধির ভান। তাই চেংমান পরে বারবার বললেও মনমােহন ছাতার দাম নিতে চায়নি এবং যখন চেংমান ছাতার কথা ভুলে গিয়েছে তখনই সুদসমেত ছাতার এমন দাম দাবি করেছে যা একটি হাতির দামের সমান।
হৃদয়হীনতা : মনমােহন মহাজন তার শঠতার দ্বারা শােষণের যে ফাদ তৈরি করেছে চেংমানকে তার শিকার হতে হয়েছে। বছরের পর বছর দাম না নিয়ে সে চক্রবৃদ্ধিহারে সুদ বাড়ার সুযােগ তৈরি করেছে। শেষে ছাতার দাম বাবদ মনমােহন হাজার টাকা দাবি করেছে, যা চেংমানের মত দরিদ্র গারাে চাষিকে নিঃস্ব করার জন্য যথেষ্ট।
উপসংহার : সব মিলিয়েই মনমােহন মহাজন একটি চূড়ান্ত নেতিবাচক চরিত্র এবং মহাজনি শােষণের জীবন্ত প্রতীক।