দুটি ছােটো শব্দের মধ্যে যদি একটি মাত্র ধ্বনিমূলের পার্থক্য থাকে, আর সেই পার্থক্যের কারণে শব্দ দুটির অর্থও যদি আলাদা হয়, তবে সেই শব্দ দুটিকে ন্যূনতম শব্দজোড় বলা হয়।
দুটি ইংরেজি শব্দ rail, mail উদাহরণ হিসেবে নেওয়া হল। প্রথম ও দ্বিতীয় শব্দের মধ্যে rও mএই দুটি ধ্বনিমূলের পার্থক্য দেখা যাচ্ছে। এ ছাড়া আর কোনাে পার্থক্য নেই। আর শব্দ দুটির অর্থও আলাদা। তাই এরা Minimal pair বা ন্যূনতম শব্দজোড়।
বাংলায় কাল-খাল, শােল-খােল, মান-পান প্রভৃতি শব্দ জোড়াকে অনুরূপভাবে ন্যূনতম শব্দজোড় বলা যাবে। এমন হতে পারে যে, দুটি শব্দের একটি ধ্বনি অল্পপ্রাণ (যেমন, ক), অন্যটির ধ্বনি মহাপ্রাণ (যেমন, খ)। আবার অনুনাসিক ধ্বনি নিয়েও ন্যূনতম শব্দজোড় হতে পারে। যেমন -আঁশ-আশ, পাক-পাক, বাস-বাঁশ।
এক্ষেত্রে উল্লেখযােগ্য যে, ন্যূনতম শব্দজোড়ের অনুশীলন দিয়ে ভাষার শিক্ষার্থীকে বা অন্য কোনাে ভাষাভাষী মানুষকে সহজে ভাষা শেখানাে যায়। অল্পপ্রাণ-মহাপ্রাণ ধ্বনি দিয়ে তাদের ন্যূনতম শব্দজোড়ের অনুশীলন দেওয়া যায়। যেমন – চালছাল, দান-ধান, চা-ছা। আবার ঘােষ অঘােষ ধ্বনির ন্যূনতম শব্দজোড়ও হতে পারে। যেমন – থান-ধান, খাই-ঘাই। উদাহরণের প্রতিটি ক্ষেত্রে একটিমাত্র ধ্বনি বা স্বনিমের জন্য শব্দ আলাদা হয়ে গেল; অর্থও বদলে গেল।
সহধ্বনির (Allophone) স্বরূপ বিশ্লেষণ করাে।
বিভাজ্য ধ্বনিমূল ও অবিভাজ্য ধ্বনিমূলের তুলনামূলক আলােচনা করাে।
উদাহরণ সহযােগে ধ্বনিমূলের অবস্থান (Distribution) ব্যাখ্যা করাে।
কয়েকটি পদ্ধতির সাহায্যে খুব সংক্ষেপে ভাষায় উচ্চারিত বিভিন্ন ধ্বনির মধ্যে ধ্বনিমূল ও সহধবনি শনাক্ত করাে।
অথবা, ভাষার ধ্বনিমূল এবং সহধ্বনি শনাক্তকরণের প্রধান তিনটি পদ্ধতির আলােচনা সংক্ষেপে করাে।
উদাহরণসহ ধ্বনিমূল এবং সহ ধ্বনির সম্পর্ক নির্ণয় করাে।
দুটি করে উদাহরণ-সহ গুচ্ছ ধ্বনি ও যুক্ত ধ্বনি-র পরিচয় দাও।
অবিভাজ্য ধ্বনি বলতে কী বােঝ? উদাহরণসহ অবিভাজ্য ধ্বনিগুলি সম্পর্কে আলােচনা করাে।
অথবা, অবিভাজ্য ধ্বনি কাকে বলে? দুটি অবিভাজ্য ধ্বনির পরিচয় দাও।
উদাহরণসহ গুচ্ছ ধ্বনির পরিচয় দাও।
যুক্ত ধবনি কাকে বলে? উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দাও।
অথবা, উদাহরণসহ যুক্ত ধ্বনির পরিচয় দাও।
বাংলা মৌলিক স্বরধ্বনিগুলির উচ্চারণ বৈশিষ্ট্য আলােচনা করাে।
জোড়কলম শব্দ সম্পর্কে আলােচনা করাে।
সমাস বলতে কী বােঝ? উদাহরণসহ বুঝিয়ে দাও। সমাসবদ্ধ পদের গঠনবৈশিষ্ট্য অনুযায়ী সমাসের ভাগগুলি উদাহরণসহ উল্লেখ করাে।