অথবা, জ্ঞানদাস কামনা ও প্রাপ্তির মধ্যে যে বিস্তর ব্যবধান দেখিয়েছেন তার সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও
উত্তর : কৃষ্ণপ্রেমে রাধা ঘর ছেড়েছে, কুল ছেড়েছে, কিন্তু ফল হল তার সম্পূর্ণ বিপরীত। কৃষ্ণপ্রেমতো লাভ হলোই না, অধিকন্তু কলঙ্কিনীরূপে পরিচিত হলো। এখানে রাধা বলছে যে, সুখের জন্য সে ঘর বেঁধেছিল, কিন্তু সে গৃহে তার বাস করা হলো না; কারণ ঘর আগুনে পুড়ে গেল, আর সাথে সাথে তার আশাও ভস্মীভূত হলো। অমৃত সাগর ভেবে রাধা সেখানে স্নান করতে নামল, দেখল তা বিষে পরিণত হয়েছে। অর্থাৎ রাধা যতই সুখ চেয়েছে, সুখের ঘর বাঁধতে প্রয়াসী হয়েছে, ততই সে ঘর দগ্ধ হয়েছে প্রেমানলে। তার সুখের ঘর বিরহের অনলে পুড়ে গেছে আর ভালোবাসার অমৃত সাগর বিচ্ছেদের গরলে পূর্ণ হয়েছে। রাধার সকল আশাই অতৃপ্ত থেকে গেছে। কৃষ্ণপ্রেমে রাধা যেন পূতিয়ে স্বাদ পেলো না। তাই সখীকে বলেছে এটা কি তার পূর্ব জন্মের কর্মের ফল।
কবি এখানে উপমার সাহায্যে কৃষ্ণবিরহে রাধার ব্যাকুলতা ও খেদ প্রকাশ করেছে।
Leave a comment