অথবা, বৈষ্ণব পদাবলী অবলম্বনে রাধার মর্যাদার বর্ণনা দাও
একজন পরমাত্মার প্রতীক রূপে পরিগণিত হয়েছেন। এতে রাধার মর্যাদার চমৎকার বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। রাধা মর্যাদাকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে; যথা: ১. স্বাভাবিকী ২. শিষ্টাচারপরম্পরা ৩. স্বকল্পিতা।
নিচে এ বিষয়ের সম্যক পরিচয় উপস্থাপন করা হলো:
স্বাভাবিকী-পৌর্ণমাসী বলিলেন, রাধা বহুযত্নেও শ্রীকৃষ্ণসহ তোমার মিলন ঘটাইতে পারিলাম না। তুমি জীবন-সফার জন্য উপায় চিন্তা কর। শ্রীরাধা বলিলেন, আমি প্রাণ পরিত্যাগ করিব, তথাপি কৃষ্ণ প্রাপ্তি ভিন্ন অন্য জীবনোপায় কল্পনা করিব না।
শিষ্টাচারপরম্পরা-শ্রীরাধা কৃষ্ণ বিরহে ব্যাকুলা, দর্শনে উৎকণ্ঠিতা, অথচ বৃন্দা অভিসারার্থে অনুরোধ করিলে শ্রীরাধা কহিলেন সখি, আমাকে ব্রজেশ্বরী আহ্বান করিয়াছেন। গুরুজনের আজ্ঞায় অবজ্ঞা করিলে কদাচ মঙ্গল হয় না। অতএব এ সময় অতিসার কর্তব্য নহে।
তৃতীয় মর্যাদা হচ্ছে স্বকল্পিতা দূতি আসিয়া শ্রীকৃষ্ণকে কহিলেন-
পূর্ণাশ্রীঃ পূর্ণিমাসাবহিততায় যা ত্বয়াস্যৈঃ বিতীর্ণা।
বষ্টি ত্বামের তন্বন্নখিল মধুরিমোৎ সেব্যনমস্যাং মুকুন্দঃ।
দিষ্ট্যা পর্বোদ্গাত্তে স্বয়মভিসরণে চিত্তমাধৎস্ব বৎসে।
যুক্ত্যাপ্যক্তাময়ের্তি দ্যুমণি সখসুতা প্রাহিণোদেব চিত্রাম। (উজ্জ্বলনীল মণি, বাধ-প্রকরণ)
এভাবে আমরা বৈষ্ণব পদাবলীর মাধ্যমে রাধা চরিত্রের মর্যাদার পরিচয় ব্যাখ্যা করতে পারি।
Leave a comment