অথবা, বৈষ্ণব কবিতায় রস কত প্রকার? পরিচয় দাও
উত্তর: বৈষ্ণব পদাবলীর মৌল বিষয় রাধাকৃষ্ণের প্রেম তথা ভক্ত ও ভগবানের প্রেম। এ প্রেমের স্বরূপ উদঘাটনে রসের আবির্ভাব। অলংকার শাস্ত্রে আটটি রসের সন্ধান মেলে। যথা: শৃঙ্গার, হাস্য, করুণ, রুদ্র, বীর, ভয়ানক, বীভৎস এবং অদ্ভুত। এ আটটি রসের বিভাব হচ্ছে নায়ক বা নায়িকা। কিন্তু বৈষ্ণব পদাবলীতে পাঁচটি রস আছে যথা: শান্ত, দাস্য, সখ্য, বাৎসল্য ও মধুর রস। বৈষ্ণব পদাবলীতে শান্ত ও দাস্য পদের সংখ্যা কম, সখ্য ও বাৎসল্যের পদ সংখ্যা খুব বেশি নয়, তবে মধুর রসের পদ বেশি। আদি রসের বৈষ্ণবীয় নাম মধুর রস।
মধুর রস: মধুর রস আস্বাদনের মাধ্যমেই বৈষ্ণব সাধনা চলে। বৈষ্ণব পদাবলিতে বিধৃত। মধুর রসের রতি তিনটি – (১) সাধারণী (২) সমঞ্জসা (৩) সমর্থা।
মধুর রস : পহিলহি রাগ নয়ন ভঙ্গ ভেল,
অনুদিন বাঢ়ল অবধি না গেল।
শান্ত রস : শান্ত রসে শ্রীকৃষ্ণকে জগৎ শ্রেষ্ঠ জ্ঞান করা হয়। যেমন-
কত চতুরা নন মরি মরি যাও যত
ন তুয়া আদি অবসানা।
দাস্য রস : সভক্তি সেবার দ্বারা প্রভু কৃষ্ণের পরিতুষ্টি আদায় করাতেই কবিগণ ভাবটিকে দাস্য রস বলেছেন যেমন-
সেবা দিয়া কর অনুচর
তু মেরে হৃদয়কে রাজা।
সখ্য রস: বিশ্রম্ভ রতির রসরূপ সখ্য রস।
বাৎসল্য রস : বৎসলতা রতির রসরূপ বাৎসল্য রস। এতে ভক্ত পিতামাতা এবং সন্তান ভগবান।
Leave a comment